নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তোমার নামই আদরি ? নাকি অবচেতন মন তোমাকে এই নামে ডেকেই তার তৃপ্তি মেটায় ? তোমাকে নিয়ে এরকম নানান ব্যাখ্যা আর ধাঁধায় কেটেছে। তবে উত্তর খোঁজার কোন চেষ্টা করেছি বলে মনে পড়ে না। এর কারণ কি জানো ? এখন মনে হয় ফ্রয়েডই সফল। ভালোবাসার বাটখারা যেমন ভালোবাসা তেমনি অনুভূতিকে অনুভূতি দিয়েই মাপলে তার বাস্তবায়নে রসায়নটা বেশ জমে।
তোমার হাসি পছন্দ করতে পারতাম না বলে মন খারাপ কম করোনি। পূর্ণ সত্য বা মিথ্যা বলে নাকি কিছু নেই। অর্ধ সত্য আর অর্ধ মিথ্যার আকরে সব কিছু ঢাকা পড়ে। তবে একটা কথা পূর্ণ মিথ্যা হবে, যদি বলি তোমার হাসি পছন্দ করতাম না। হয়তো অধিকারহীনতার পীড়ায় ভুগতাম। এত সুন্দর নির্মল আর প্রাণোচ্ছল হাসি কেন আমাকে ছাপিয়ে বাতাসে ছড়াবে! উদার হতে পারিনি তোমার হাসির অধিকারটুকু নিয়ে।
কেমন করে তুমি হাসতে, নিজের ভেতরের অনেককিছু চাপা দিয়ে? এই উপলদ্ধিটাতো হয়েছে অনেক পরে। যার কারণেই আমার ভালোবাসা বেড়েছে সমানুপাতিক হারে। তুমিতো রবীন্দ্রনাথের ‘সুভা’ না। কল্পনার চেয়েও সুন্দর, গল্পের চেয়েও সাজানো সত্যিকারের এক মানবী।
ঈদের দিনের কথা মনে আছে ? বারান্দায় বসে দক্ষিণদিকে মুখ করে বসেছিলে। আমার কারণে তোমার চোখের সুইজগেট খুলে অজরে ভাসালে। সেই যে আমি তলিয়েছি আর পিছন ফিরে তাকায়নি।
এমন উচ্ছল হাসি অনেকদিন হলো শুনিনি,তুমি যেটা শোনাতে। বসন্ত পার করার মধ্য দিয়েই বসন্তের চলে যাওয়াকে স্মরণ করি। অভিজ্ঞতা নিয়েই অপেক্ষা করি। আরেক বসন্তের আশায়। পূর্ণতা পায় আগের চেয়ে বেশি। অনেকবার মাথা ঝাড়া দিয়ে ভুলতে চেষ্টা করে দেখেছি। ভুলতে চাওয়ার মাধ্যমেই মস্তিষ্ক তোমাকে সবচেয়ে কাছে রেখেছে।
সম্পর্ক চর্চা না করার মানে এই না যে, সম্পর্ক ছেদ। তাতে বরং ভিন্ন এক মাত্রায় পেীছেছে। তবে হঠাৎ কেন সেদিন সামনে এসে দাড়ালে। ভেজা চুল বুকের উপর দিয়ে দাড়িয়ে থেকে আবার ভেজালে শরীরটাকে। হাতেই শুকিয়ে গেলো ভেজা কাপড়গুলো। এতটা সময় এভাবে কেন দৃষ্টি দিয়ে আমায় অনড় করে রাখলে। দুজনের মাঝখান দিয়ে ধেই ধেই করে নেচে চলছে তোমাদের ভালোবাসার স্মৃতি স্মারক। চোখ শুধু তোমাতেই আটকে ছিলো তাদের উপেক্ষা করে।
শীতের ভেজানো পিঠার থালা হাতে নিয়ে চোখ আর মন সমানভাবে তোমাকে দেখে। কাছে এসে তুমি বিমোহিত করলে। ফলাফল যা তাই। খেজুরের রস প্যান্টের উপর। কেউ ভাবলো না আমার উদাসিনতার দরুন এই অবস্থা। ভেবেই নিলো তোমার ধাক্কায় …….!!!!
আবার সেই হাসি শোনালে বহুদিন পর। কানের কাছে এসে চুপি চুপি বললে, এরকম দোষ নিতে সবাই পারে না। দোষই আমাকে হাসোলো আর তোমাকে শোনালো। এই হাসিতে কিন্তু আমার কোন দোষ নেই। রাগ করো না প্লিজ !!
মিটমিট করে শুধু চেয়ে থাকলাম। আর মনে মনে ভাবতে লাগলাম তোমার নাম আদরি নাকি সুহাসিনী ? সেই ব্যাখ্যা এখন মনের প্রধান কাজ। কি নামে ডাকবো তোমায় তুমি বলে দাও ??
২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৩
ধ্রুব বাদল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ....রক্তিম দিগন্ত
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০২
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: সুন্দর কাব্যিক ধাঁচের লেখা। ভাল লাগলো।