নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার চরিত্র সর্বদা সুবিধাবাদী। এ কথা শুনেই আমাকে গালি দিতে মনে চাচ্ছে? তারপরও আমি সুবিধাবাদী। যার কাছে যেমন,তার কাছে আমি ঠিক তেমন।
আমার জন্ম সেই অনেক আগে। আমি ৪৭ দেখেছি,৬৯,৫২,সর্বশেষ ১৯৭১ দেখেছি। সেই সময়ও আমি সুবিধাবাদী। আমি এদেশ থেকে তাড়িয়েছি দীর্ঘদিনের শাষককের। টাই পরা সাহেবরা মলম লাগানোর সময় পায়নি। চিৎকার করতে করতে হাত উঠিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে ঊর্দিপরা সৈনিকরা। ভাবছেন এই আমিটা কে? আমার নাম বাঁশ।
বাঁশ দিয়ে লাঠিও বানানো যায় জানেন? যেভাবে আমাকে ব্যবহার করেবেন আমি সেভাবেই চলেবো। আমি খুব কাছ থেকে অনেক কিছু দেখেছি। লক্ষ করেছি মানুষের নানা চরিত্র। কখোনে আমি শোষকের হাতে,কখোনোবা মজলুমদের হাতে। আবার কখোনা কুজো হওয়া কোন বৃদ্ধের কাঁপা কাঁপা হাতে।
আমি অনেক অন্যায়ের প্রতিবাদ করি। কারো নরম তুলতুলে পাছার উপরে আছড়ে পড়ি। তখন বাঁশ হিসেবে আমার স্বার্থকতায় আত্মগর্বে বারবার নিতম্বের সাথে নিজেকে জড়াই। আমার জন্মের স্বার্থকতা সেই দিনই পূর্ণ হয়েছে,যেদিন এদেশের একজন জলদাসের ছেলে ১০টা গুলির রাইফেলের পরিবর্তে আমাকে দিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর সেই স্থানে প্রবেশ করিয়েছে আর বের করেছে। গোপন স্থানে যাওয়া আসার আমার এই খেলা দেখেছে সারা পৃথিবী। সেই দিনই আমার জন্ম স্বার্থক।
তবে এরপরও কিন্তু আমার কদর একটু কমে যায়নি। সময় পেলে যে যাকে পারে শুধু আমাকেই প্রবেশ করায়। আমার কি কোন বাচ-বিচার নেই,আপনারই বলেন? দূর্ণীতিবাজ,ঘুষখোর,সুধখোর এদের নিতম্বতো বেশ নিটোল। হারামের মাংশের আধিক্যতা বেশি। সেই স্থানে আমাকে যদি ব্যবহার করেন তাতে কোন দু:খ নেই।
কিন্তু যারা তাদের ন্যায্য অধিকার,হৃদয়ের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য দিনের পর দিন রাজপথে আন্দোলন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়েও যারা মেসে থাকা শিক্ষার্থীদের উপর আমাকে ব্যবহার করলে আমি কিন্তু আর সুবিধাবাদী থাকবো না। প্রতিবাদের ভাষায় আমিও ফুসে উঠবো। এমনকি তখন মরার পরেও আমি ছাড়বো না সর্বভুক,মানুষরুপী হায়না নামক এই দাবনদের।
©somewhere in net ltd.