নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ আসলে কি নিয়ে বাঁচে? স্বপ্ন ছাড়া জীবনের আর কি বা অনুষঙ্গ থাকতে পারে! কালকের নিত্যকাজের স্বপ্ন নিয়েই প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাই আমরা। ছোট্ট স্বপ্নকে সামনে নিয়ে এগোতে থাকি বড় স্বপ্নের দিকে। এভাবে বৈচিত্রময় স্বপ্নে জীবন তাকের নানা পরতে পরতে সাজানো থাকে বাঁচার অনুষঙ্গ। এই পৃথিবী থেকে যদি কিছু দেওয়া-পাওয়ার না থাকে তাহলে বেঁচে থাকার সব আগ্রহ হারায়। আত্মহননই তখন হয় সরল পথ।
কিন্তু স্বপ্নই বেঁচে থাকার দিকে তড়িৎ গতিতে ধাবিত করে আমারদের। এরকম সাজানো স্বপ্ন নিয়ে ষোলটা বছর পার করেছে কিশোরী নূর ফাতেমা। আর সেই স্বপ্নের ওপর আধুনিক অস্ত্রের ঝলকানি। উর্দি পরা সৈনিক আর মগদের মত্ততা। জীবন নিয়ে স্বপ্নকে ধূলিসাৎ আর স্বপ্ন ভঙ্গের মাধ্যমে জীবনকে নিস্তব্ধ করার খেলায় মেতে উঠেছে তারা।
সেই স্রোতে ভাসতে বাধ্য হয়ে এসেছে বাংলাদেশের সীমান্তে। প্রতিবেশীর সালেহ আহমদের সাথে বিয়ের স্বপ্নে বোধ হয় বধূ হিসেবে নিজেকে আরশির সামেন দেখেছে অনেকবার। হঠাৎ কোন বুলেট এসে পড়ছে আরশির উপর। ভেঙ্গে চুরমার হয়ে পায়ের কাছে পড়েছে কাচের টুকরোগুলো। নিজের প্রতিচ্ছবির সাথে সাথে হয়তো তার বধূ সাজার ইচ্ছাটাও হারিয়ে গেছিলো। টানা পাঁচ দিনের দুঃসাহসিক পাহাড়ি রাস্তা পেরিয়ে এসেছে এপারে। ঠাঁই হয়েছে শরণার্থী শিবিরে। ছোট্ট ঝুপড়ি ঘরের মধ্যে হারিকেনের আলোর মতো মিটমিট করছিলো তার ঘর বাধার স্বপ্ন।
নূর ফাতেমাদের মতো সালেহ আহমেদের পরিবারও এখন কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে। আজ বাংলানিউজের শিরোনাম দেখলাম ‘নিজ দেশ তাড়ালো, বাংলাদেশেই চার হাত এক হলো’। “সাংবাদিকের সাথে মাকে কথা বলতে দেখে সেখানে এসে দাঁড়ালো বছর ষোলোর কিশোরী। মেয়েটির মাথা থেকে কাপড়টা একটু সরলো বটে! মায়ের নজর এড়িয়ে যায়নি সেই দৃশ্য। খুব চেঁচিয়ে মেয়েকে উদ্দেশ্যে করে মায়ের হাঁক-‘নুর ফাতেমা পুরুষদের সামনে পর্দা করতে হয়। বিয়ে হয়েছে কদিন হলো-ভুলে গেছস?”
তাঁর মায়াবী মুখটার দিকে তাকায়ি চোখ ছলছল করে উঠছে। এক জীবনে আর কি দেখবে হবে তাকে! আর কি সইতে হবে! স্বপ্ন আর জীবন যে শরণার্থী শিবিরে থমকে দাঁড়িয়েছে।
এর মধ্যে আশার বাণী হলো লক্ষ লক্ষ মানুষের স্বপ্ন আর জীবনের পাশেই বাংলাদেশ। মানবতার পাশে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। হাজার স্বপ্নর ভেতরে যেন পূরণ হয় তোমার স্বপ্ন প্রিয় বাংলাদেশ। সেই প্রত্যাশা সব সময়। চার হাত এক হলেও মানবতার জন্য সারা পৃথিবীর হাত কবে এক হবে?
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:০৯
ধ্রুব বাদল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
হতভাগ্য রোহিংগারা কিন্তু জার্মানীতে আসেনি, এটা বাংলাদেশ
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:১০
ধ্রুব বাদল বলেছেন: তারপরও এই দেশ বোঝা টেনে চলছে প্রতিনিয়ত। ধন্যবাদ আপনাকে
৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৫
আখেনাটেন বলেছেন: কতশত বেদনার কাহিনি, কতশত হাহাকার।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৬
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: অনেক ভালো লিখেছেন । ভালো লাগল কাহিনী টা জানতে পেরে ।