নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘুরতে ভালোবাসি। সময়ের অবসরে নিজের ভাবনাকে অক্ষরে প্রকাশ করার চেষ্টা করি।

ধ্রুব বাদল

বাদল

ধ্রুব বাদল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধুর যন্ত্রণা..!!

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৪

আসরের পরে মাঠে খেলতে যাওয়া আর মাগরিবের আযানের সময় নিয়ম করে ঘরে ফেরা ছিলো বাদলের এক সময়ের নিত্য অভ্যাস। এভাবে চলে গেছে অনেকটা সময়। বাড়িতে গেলে এখনও নিয়ম করে বাসায় ফেরে আগের মতো করে। সারাদিন পড়ালেখা আর ব্যস্ততার মধ্যেও সময় দেয় রিয়াকে। অদম্য প্রেম চলে দুর্বার গতিতে। বানের পানিতে কংক্রিটের তলের মাঠি সরে গেলেও তাদের পায়ের তলার মাঠি অদৃশ্য মজবুত।

অভিনব প্রেম বন্যায় ভাসছে। যেখানে ত্রাণের কোন আবদার নেই। স্বদেশ,জাতী,সরকার এমন কি প্রতিবেশি দেশের প্রতি নেই কোন অভিযোগ। শুধু নিয়মের বেলায় ব্যাতয় ঘঠেছে কিছুটা। মাঠের পরিবর্তে সেটা পার্ক,সিনেমা হল, না হয় কোন ক্যাফ বা রেস্টুরেন্ট। বাইকের পেছনে প্রেমিকাকে বসিয়ে এখন সে পথের ধুলো উড়ায়। পথচারিকে দেখিয়ে কখোনোবা হর্নের ভেল্কি মারে। সানগ্লাস আর চোখে দেয় না, বুকের বোতামে সাটানো থাকে। আহা ! কী জীবন। সত্যিই সুন্দর ও মনোরমে দাপিয়ে বেড়ায়।

তার প্রেম ও পড়াশোনা চলে সমান্তরালে। সাধারনত পড়ালেখা করতে দেখে না কেউ। বিশ্ববিদ্যালয়ের আনাচে কানাচে যাকে সব সময় পাওয়া যায়। তারপরও সবাই ঘুমিয়ে পড়লে পড়তে বসে আর ঘুম থেকে উঠার আগে সে ঘুমিয়ে পড়ে। ব্যস! এতটুকুতেই শেষ। কারণ পড়ালেখাতে নাকি বাদলের লজ্জা। কেউ যদি দেখে ফেলে! প্রেম আর পড়ালেখাতে নাকি তার কোন অরুচি না থাকলেও যাচাই-বাছাই আছে। ব্যক্তিত্ববান বলে কথা।

ইংলিশ রোড দিয়ে বাইক চালাতে চালাতে হঠাৎ শাখাঁরি বাজারে। আশির দশকের বাংলা সিনেমার হিরোদের মতো একটা লকেট নিলো। যেটাতে বাদল-রিয়ার ছবি থাকবে। লম্বা গলার চেইনে ঝোলানো থাকবে সেটা। সময় যেতে যেতে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনও শেষ। চাকরিও পেয়েছে মাল্টিন্যাশনাল কম্পানিতে। গল্পের গরু যেমন গাছে ওঠে তেমন অযৌক্তিক করে না। মেধা আর যোগত্যায়।
জীবনের নানা পরতে পরতে বৈচিত্রের ছোঁয়া লাগানো বাদল এখন কর্পোরেট লাইফে অভ্যস্ত। তবে উরাধুরা প্রেমিক মনটা আগোছালো চলতে চাই। সিগারেট টেনে মনের অজান্তে কারো মুখের উপর ধোঁয়া ছাড়ে। দুঃখিত না হয়ে বলে স্বাদটা নিন না দাদা! এতে আমার জীবনের অনেক কিছুই পাবেন।

ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে উঁকি মেরে দেখার অভ্যাসটা আধুনিকতায় রুপ দিয়েছে শৈল্পিকভাবে। অভ্রতায় বালাই নেই, তবে দুষ্টুমির ছাপ স্পষ্ট। হুটহাট করে প্রেমিকাকে চিরকুট দেওয়ার অভ্যাস এখন রীতিমতো ধরা ছোঁয়ার বাইরে। কিন্তু অভ্যাসমতো চর্চা মাঝে মাঝে চলে। দু-একখানা বসের পায়ের গোড়ালিতে ঠাঁয় পায়। তবে আতঙ্ক তার মোটেও লাগে না।

এর মাঝে সে রেডিও জকিও হয়েছে। মিডিয়ার মন ভোলানো রঙের দুনিয়া দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কর্পোরেটের অবসরে। আর রিয়া? দিন দিন দূরে যাচ্ছে। না মোটেও না। সেও তার আপন জগতে ব্যস্তায় পার করছে তার সময়। কোন যোগ-বিয়োগের অভিযোগ নেই তাদের। এরই মাঝে কোন এক সময়ে সেই ক্যাফেগুলোতে আড্ডা দেয়।

ছোট্ট একটা রসায়নপূর্ণ নাতিদীর্ঘ জার্নি। হঠাৎ করেই বাদল চলে যায় বিদেশে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে সে স্কলারিশিপের কাজটা সেরে ফেলেছে বলেই ইউরোপ যাত্রা। অনামিকায় পরানো আংটিটার দিকে তাকিয়েই লকেটের ভেতরের ছবিটা দেখে চোখ ছলছল করে রিয়ার!
মধুর যন্ত্রণার আর এক নাম অপেক্ষা।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রেম কিভাবে 'দুর্বার গতি'তে চলে? উহার লক্ষন কি কি?

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৭

ধ্রুব বাদল বলেছেন: অদম্য বলে হয়তো গতিটা সামঞ্জ্য নেই..তাই দুর্বার হয়ে গেছে

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


গল্প, নাকি ঘটনা? ঘটনা হলে, রিয়ার অপেক্ষার শেষ হবে না কোনদিন!

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬

ধ্রুব বাদল বলেছেন: গল্প.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.