নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সমুদ্রের বড় বড় ঢেউ আলিঙ্গনের নেশায় এসে আছড়ে পড়ে বড় বড় মসৃন পাটাতনের উপর। দূর থেকে দেখছি মেয়েটি নরম ভেজা বালির উপর দিয়ে হেটে চলছে। ক্যাটস ওয়াকের মতো নিঃশব্দে হেটে চলা মেয়েটি তার মশৃণ পায়ের ছাপ বালির উপর রেখে আনমনে এগিয়ে যাচ্ছে। সূর্যোদয়ের আগেই দীর্ঘক্ষণ তার এই পদযাত্রার পেছনে আমি। রাতের অভিমানেই মনে হয় এই প্রভাব পদযাত্রা।
তার প্রিয় মানুষটির হাত ধরে মেয়েটির হাটার কথা। সেটা হচ্ছে না বলে মনে হয় সমুদ্রের পাড়ে রাখা বড় বড় পাথরের মসৃন পাটাতনের উপর ঢেউ আছড়ে পড়ার শব্দ তীব্রতর ।
মনে হচ্ছে একটু জোরে হেটে গিয়ে ঠিক পাশে পাশে হাটি। উষালগ্নে হাত ধরে দুজন পাশাপাশি হেটে সূর্যোদয় দেখি। দূর থেকে দেখে যে কেউ মনে করুক পৃথিবীর সব থেকে সুখী একটা কাপল হাটছে একে অন্যের হাত ধরে । যারা নিজেদের মাঝেই কথা বলায় ব্যস্ত । অন্য কোন দিকে দেখার সময় কোথায় তাদের !
কিন্তু খুব পরিস্কার কোন এক শঙ্কায় তাই আর কোন রিস্ক না নিয়েই পদচিহ্ন ধরে পিছন পিছনই হাটতে থাকি।
এক সময় তার কাছেই পৌঁছে যায়। কোন কথা না বলে পাশে বসে পড়ি। মেয়েটি বালির উপর বসে ঢেউ দেখছে। প্রতিবারের ঢেউয়ের পানি তার পা স্পর্শ করছে। খোলা পায়ে পানি এসে ছুয়ে আবার দূরে চলে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে তার পা দুটি ছোঁয়ার জন্যই ঢেউয়ের প্রতিযোগিতা। গুনগুন করে তার গাওয়া গানটা কানে আসেছ-----
“চরণ ধরিতে দিয়ো গো আমারে,
নিয়ো না, নিয়ো না সরায়ে
জীবন মরণ সুখ দুখ দিয়ে
বক্ষে ধরিব জড়ায়ে।।”
বিকালে পুকুর ঘাটে বসার শর্তে সব অভিমান ভেঙ্গে হাতে হাত ধরে ফিরে আসলাম। তখন নিজেদের মাঝেই কথা বলায় ব্যস্ত । অন্য কোন দিকে দেখার সময় কোথায় আমাদের!
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো।