নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাড়ির ঠিক পাশেই প্রাইমারি স্কুল। হেঁটে হেঁটেই আসা-যাওয়া করে ক্লাস ফাইভ শেষ। সিক্সে পড়তে হলে হাইস্কুলে যেতে হবে। সেটা আবার বাড়ি থেকে মাত্র এক কিলোমিটারের মধ্যে। যে ছেলে নতুন সাইকেল পেয়ে প্রথম দিন মধ্যরাত অবধি সাইকেল চালায়, তার কী এতটুকু পথ চলে চলে? তাই এত কাছের স্কুলে যাওয়া যাবে না। নানা বায়না করার অর্থই হলো দূরের কোন স্কুলে ভর্তি হওয়া। যাতে বেশি বেশি সাইকেল চালানো যায়। অবশ্য এর দুর্গতি পরে ঠিকই বুঝেছি। জিন্স প্যান্টও বেশি দিন টিকতো না। নিচ তলায় ফাটল ধরতো খুব দ্রুত। আর লুঙ্গি!! ...
এই সাইকেল চালাতে যেয়ে আর একটা জিনিস ঘটতো প্রতিনিয়ত। যাবার পথে প্রাইভেট মাস্টার ( বাড়ির পাশে এক ভাই)সহ প্রাইমারি স্কুল,হাইস্কুলের শিক্ষকদের সাথে দেখা হতো রাস্তায়। দূর থেকে দেখা মাত্রই তড়িৎ গতিতে সাইকেল থেকে নেমে যেতাম। সাইকেল নিয়ে হেঁটে হেঁটে স্যারদের সালাম বিনিময় করে আবার সাইকেলে উঠতাম। কখনও হঠাৎ কাছ থেকে দেখতে পেয়েছি তখনেই নেমে গেছি। এটা শুধু আমার না, ছোট কালে আমারদের সবার মধ্যে দেখতাম। শিক্ষকদের পাশদিয়ে সাইকেল চালিয়ে গেলে নিজেকে অপরাধী মনে হতো। অনেক সময় এমনও হয়েছে স্যার হেঁটে যাচ্ছেন আর আমি সাইকেল চালিয়ে এসে তার পিছনে নেমে হেটে যাচ্ছি। তাঁকে অভারটেক করে যাচ্ছিনা। অনেক দূর যাওয়ার পর কোন কারণে তিঁনি দেখলেন যে তার পিছন পিছন সাইকেল নিয়ে হেঁটে যাচ্ছি। অবাক হয়ে বলতেন যাও চলে যাও।
মাঝে মাঝে কোন কারণে যদি ভুল করে সাইকেল থেকে না নামতাম। তখন মনে হতো অাবার পিছনে যাই, হেঁটে হেঁটে পার হয়ে সাইকেলে উঠি। ক্যান্টনমেন্ট কলেজে পড়ে একটা জিনিস দেখতাম। এমপি চেকপোস্ট পার হতে হয় রিক্সা টেনে। কিন্তু কোন কারণে চালিয়ে পার হয়ে গেলে আবার পিছনে গিয়ে হেঁটে আসতে হয়। এটা দেখে ঐ ভাবনাটা বার বার মনে পড়তো।
ছোট থেকেই শিক্ষকের প্রতি সম্মান ভালোবাসার চর্চা। সব সময় সম্মান আর ভালোবাসার শিক্ষাগুরুদেরপ্রতি। স্কুল,কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ অসংখ্য শিক্ষকদের কাছে চির কৃতজ্ঞ। ক্লাস এইটে পড়ার সময় এক শিক্ষক বলেছিলো আই অ্যাম ইউর ফ্রেন্ড বাট নট আ ক্লাস ফ্রেন্ড। শুনেই চমকে গিয়েছিলাম। নানান সময়ে ভালোবাসা আর স্নেহর সান্নিধ্য পেয়েছি শিক্ষকদের । অভিভূত হয়েছি।
আজ এই কথাগুলো বেশি করে মনে পড়ছে। যদিও আমার কাছে মনে হয় ভালোবাসতে দিবস লাগেনা। দিবসের নামে বাণিজ্যিক মনোবৃত্তি লুকিয়ে থাকে। তারপরও ইউনেস্কো কর্তৃত স্বীকৃত শিক্ষক দিবসে এই কথাগুলো বেশ করে মনে পড়ছে।
অনেক অনেক ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, দোয়া সকল শিক্ষাগুরুর প্রতি। হ্যাপি টিচারস ডে।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৮
ধ্রুব বাদল বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: প্রতিটা শিক্ষকের জন্য ভালোবাসা।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৮
ধ্রুব বাদল বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীর নুর
৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৭
ঢাকার লোক বলেছেন: আল্লাহ, আমার সব শিক্ষক যারা আমাকে আজকের আমি হতে সহায়তা করেছেন, তুমি তাঁদের সবাইকে দুনিয়া ও আখিরাতে মঙ্গল দান করো !
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩
ধ্রুব বাদল বলেছেন: আমিন
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: হ্যা, অনেক শ্রদ্ধা, ভালবাসা ও দোয়া সকল শিক্ষকদের জন্য।