নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘুরতে ভালোবাসি। সময়ের অবসরে নিজের ভাবনাকে অক্ষরে প্রকাশ করার চেষ্টা করি।

ধ্রুব বাদল

বাদল

ধ্রুব বাদল › বিস্তারিত পোস্টঃ

রিয়্যালিটি বাণিজ্য ও আমাদের দায়বদ্ধতা

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৮

বাংলাদেশের ঘরে ঘরে জি বাংলা সিরিয়ালের রমরমা অবস্থান। কোন এপিসোড কেউ মিস করতেই চায় না। গৃহে রিমুট দখলের আধিপত্য নিয়ে হুলুস্থুল। নির্দিষ্ট সময়ে এক জনের হাতে রিমুট থাকবেই এটা নাকি এপার বাংলার অধিকাংশ গৃহে অলিখিত সংবিধান। যদি কোন কারণে মিস হয়ে যায়, সেটা দিনের বেলায় কয়েকবার পুন:প্রচার হয়। অর্থাৎ খুব সহজেই ক্ষতি পূরণ করার ব্যবস্থা আছে।

বাংলাদেশের কোন চ্যানেল ভারতে দেখানো হয় না কিন্তু ভারতের চ্যানেল বাংলাদেশে প্রবেশে কোন বাঁধা নেই। এই সব বিষয় নিয়ে বিস্তর আলোচনা সমালোচনা এমনকি অ্যাকাডেমিকে বিতর্ক হয় বিষয়টা নিয়ে। সরকারের পক্ষে থেকে নানা আলোচনাও হয়েছে এটা নিয়ে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট একপক্ষ এর পক্ষে আর অন্য পক্ষ বিপক্ষে। স্বাভাবিকভাবে অনেকেই যৌথভাবে কাজ করে সফলও হয়েছে। এপার বাংলার বাদশাহ, কিং , শাহেনশাহর মতো নায়ক, এবং নায়িকারা কাজ করতে গিয়ে দেখেছেন যে ওপার বাংলায় তাদের তেমন কেউ চেনে না। যারা ক’জন চেনে তারা ইউটিউবে দেখে জানে। টেলিভিশন বাজারের এই এক পাক্ষিক অবস্থানের কারণে তাদের এই রকম পরিস্থিততির মুখোমুখি হতে হয়েছে।

আমার মনে একটা ছোট্ট কৌতুহল, বাংলাদেশের টেলিভিশন যদি ভারতে ওপেন হতো তাহলে সে দেশের নারী,পুরুষ বা তরুণরা কোন অনুষ্ঠানের জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়তো?

বতর্মানের জি বাংলার রিয়েলিটি শো’র জনপ্রিয়তা বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে অতিমাত্রায়। আমার মনে হয় তাতে বাংলাদেশের কোন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করছে বলেই শুধু না। তাতে গুণগত কিছু আছে বলেই কি দর্শকপ্রিয়তা পাচ্ছে? মিরাক্কেলে আবু হেনা রনি। এক নামে যাকে সবাই চেনে। মিরাক্কেল বাংলাদেশের মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয় একটা অনুষ্ঠান।

সম্প্রতি ‘সারেগামাপা’তে অবন্তী দেব সিঁথীর পারফর্মেন্স ভাইরাল হয়েছে। সিঁথী এর আগেও বাংলাদেশের গানের রিয়েলিটি শো অংশগ্রহণ করেছেন। ক’জন জানেন ? বাংলাদেশের রিয়্যালিটি শোতে অংশ নিয়েছিলেন, এখন ভারতে। দুই দেশের অনুষ্ঠান আয়োজনে কোনো পার্থক্য চোখে পড়েছে? এমন প্রশ্ন করাতে তাঁর উত্তর-“অনেক পার্থক্য। একটা গান কী করে গাইতে হয়, সেটা এই আয়োজনে অংশ না নিলে শেখাই হতো না। এখানে না এলে অনেক কিছুই অজানা থেকে যেত। এখানে প্রত্যেক প্রতিযোগী অনেক তৈরি হয়ে আসেন। প্রত্যেকে আলাদা ভয়েস লেসনে মহড়া করেন। একজন আরেকজনের সঙ্গে ভাবনার শেয়ার করেন।” (সূত্র: প্রথম আলো, ১৬ সেপ্টেম্বর ১৮)।



তুলনামূলক গুণগত কোন বিচারের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবো না বলেই কি আন্দোলন ? নাকি প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র তৈরী করার পথ উন্মোচন? এমন অনেক কিছু হচ্ছে আমাদের দেশে। তাহলে একই আবু হেনা রনি, সিঁথীর মতো একই ব্যাক্তি কেন তাদের প্রতিভার যথাযথ উন্মোচনের পথ বাংলাদেশের মাধ্যমে পাচ্ছে না? গণমাধ্যমের কি কোন দায় আছে? নাকি সব দর্শকের উপর বর্তায়! তারাতো ইউটিউবে সিঁথীর কাপ সং দেখে আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিলো ২০১৭ সালে ‘সারেগামাপা’তে। আর এখন রিতিমতো অবন্তী দেব সিঁথী ও জি বাংলা সবার স্ক্রিনে। তাহলে কোন মানের বিচারে রিমুট নিয়ে কাড়াকাড়ি? আর মান বিচারে যদি হয়ে থাকে তাহলে আমরা কি পিছিয়ে? স্বীকার করেছে কেউ? জানিনা তো।

তাদের যথাযথ কর্মদক্ষতা, উপস্থাপন, মান বিচারে জি বাংলার প্রতিটি রিয়েলিটি শো’ জনপ্রিয়। বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ ছাড়াও দাদাগিরি মতো বাকী অনুষ্ঠানগুলো সমান হারে জনপ্রিয়। বাংলাদেশের মানুষের কাছে। এমনকি স্পন্সরও বাংলাদেশি কোম্পানি। তাহলে তারা কোন বিচারে বাংলাদেশি প্রতিযোগী নিয়ে সেটাকে চমৎকৃত করতে পারছে যার ফলে কোম্পানি বশ্যতা স্বীকার করে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে তাদের। আর বাংলাদেশের টেলিভিশন সেই কোম্পানির বিজ্ঞাপন নেওয়ার জন্য কৌশল অবলম্বন করে।

অভিজিৎ দত্ত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.কম করেছেন। ১৯ নভেম্বর ২০১৬, বিকালে তিনি এসে হাজির প্রিয় তারকা মোশারফ করিমের সাথে সাক্ষাত করতে। বোঝে না সে বোঝে না সিরিয়ালের পাখি, যার জনপ্রিয়তার এতদূর পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছিলো যে, ঈদ পাখি ড্রেস না পেয়ে নাকি কেউ কেউ আত্মহত্যাও করেছে শুনেছি। সেই পাখিও (মধুমিতা চক্রবর্তি) নাকি মোশারফ করিমের ফ্যান। এটা কী আশার বাণী নয়?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.