নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২২ ডিসেম্বর। গোলার্ধের কি এক জটিল হিসেবে আজ সবচেয়ে দীর্ঘ রাত। হালকা শীতে লেপের মধ্যে গুটিশুটি মেরে মোবাইলে স্ক্রল করছি। আঙ্গুলগুলো এখন আর বইয়ের শুকনো পাতা উল্টাতে চায় না। ছোট্ট রূপালী ডিসপ্লেতে নড়া চাড়ায় ব্যস্ত। একটা আঙ্গুলের ঘষাতে কত কিছুইনা দেখা যায় মুঠোফোনের পর্দায়! নির্বিকার সময় তখন হয়ে ওঠে ঝলমলে। ঠুস করে অনেকটা সময় চলে যায় মুহূর্তে। রাত আরো গভীরতর হতে থাকে। ঘড়িতে তখন রাত ২ টা বেজে ২৪ মিনিট। মোবাইলে রুপঙ্কর বাগচীর একটা গান বাজছে তখন-
“আমায় একটু আড়াল দেবে কি?...লুকোবো।
ভিজতে ভিজতে... ক্লান্ত দুচোখ শুকোবো।”
আমার অসম্ভব রকমের প্রিয় একটা গান। বন্ধু চারুকেও বললাম গানটা শোন। ভাবছি গানটা শেষ হলেই চোখটাকে রেস্ট দিবো। মোবাইলটা লক করতে যাবো ঠিখ তখনই একটা ছবিতে চোখ আটকে গেল। চোখটাকে রেস্ট দেয়া বাকী রেখে বরং চোখের পাতাকে কিছুক্ষণ বিরাম দিলাম। একপলকে আর কতক্ষণ তাকিয়ে থাকা যায়! অগত্যা আমার পলকে লাভ ইমোজির মতো একটা ভাব হলো।
গভীর রাতের গভীরতা ভর করলো শরীর মনে। কী নিদারুন মায়া তাতে। বেগুনি রংয়ের ছোট্ট একটা টিপ কপালকে সমানভাবে ভাগ করেছে। খেয়াল করে দেখলাম মাঝখানে ক্ষুদ্র মনসা ফনা তুলে আছে। যেন দৃষ্টি নিক্ষেপকারীর হৃদয়ে মায়া ঢেলে দিবে। লাল শাড়ীর মোড়কে শরীর ঢাকা মানুষটাকে এক মুহূর্তে দেবীর মতো মনে হলো।
অনুপম যেমন অপরিচিতা কল্যানীকে ভেবে বলেছিলো-‘আমার চোখের সামনে কোনো মূর্তি ছিল না, কিন্তু হৃদয়ের মধ্যে আমি একটি হৃদয়ের রূপ দেখিতে লাগিলাম। সে যেন এই তারাময়ী রাত্রির মতো, আবৃত করিয়া ধরে কিন্তু তাহাকে ধরিতে পারা যায় না। ওগো সুর, অচেনা কণ্ঠের সুর, এক নিমেষে তুমি যে আমার চিরপরিচয়ের আসনটির উপরে আসিয়া বসিয়াছ। কী আশ্চর্য পরিপূর্ণ তুমি— চঞ্চল কালের ক্ষুব্ধ হৃদয়ের উপরে ফুলটির মতো ফুটিয়াছ, অথচ তার ঢেউ লাগিয়া একটি পাপড়িও টলে নাই, অপরিমেয় কোমলতায় এতটুকু দাগ পড়ে নাই।’
তাই আমিও আদিখ্যেতা করে ভাবছি, সাদা পাড়ের আঁচলে ঢাকা মানুষটাকে ভালোবাসার অর্চনা দিলে কেমন হয়! কালো মেয়ে সাদা পাড়ের লাল শাড়ি জড়িয়ে যে মনসাকে কপালে তুলেছে, সে যদি অঞ্জলীতে তৃপ্ত না হয়? মনকে সান্ত্বনা দিলাম দরকার হলে অর্জুনের মতো অপ্রতিরোধ্য যোদ্ধা হবো। ধুর, অর্চনা দিতে গেলে কি যোদ্ধা হওয়া লাগে? প্রেমিকতো যোদ্ধা থেকেও অপ্রতিরোধ্য।
কিন্তু বিধিবাম, নিমিষেই রূপালী পর্দার আলো ম্লান হয়ে গেল। মনে মনে রবীবাবুর বুলি আওড়ালাম-ওগো অপরিচিতা, তোমার পরিচয়ের শেষ হইল না, শেষ হইবে না; কিন্তু ভাগ্য আমার ভালো তিনি সান্ত্বনা দিয়ে গেছেন। তাই হেডফোন লাগিয়ে সকালের অপেক্ষা করলাম।
“ঘোমটা মাথায় ছিল না তার মোটে,
মুক্তবেণী পিঠের 'পরে লোটে।
কালো? তা সে যতই কালো হোক
দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।”
---------
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৬
ধ্রুব বাদল বলেছেন: জি ঠিক করে দিচ্ছি। অনেক ধন্যবাদ অাপনাকে।
২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: আবেগের কথাবার্তা।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৭
ধ্রুব বাদল বলেছেন: কি আর করা। এটাই সবচেয়ে নিরাপদ।
৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চমৎকার অনুভূতির প্রকাশ!
গত রাতে কি একবার পড়ে ছিলাম?
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯
ধ্রুব বাদল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। হ্যা, গতকাল পোস্ট করেছিলাম কিন্তু লেখার মধ্যে একটা ইমোজি ছিলো বলে পুরো লেখাটা না এসে অর্ধেক আসছিলো। সম্ভবত আপনি কমেন্ট করেছিলেন যে লেখাপা অসম্পূর্ণ। তারপর বুঝতে পারলাম লেখাটা অর্ধেক প্রকাশ হয়েছে কিন্তু কোন কারন খুজে পাচ্ছিলাম না। অবশেষে ইমোজি বাদ দিয়ে পোস্ট করেছি তাই পুরোটা এসেছে। এজন্য আবার পোস্ট করলাম।
৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১২
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লেখা ভাল লেগেছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৩
বিজন রয় বলেছেন: একান্ত মনের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন।
রবিবাবু হবে।