নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাংবাদিকতার শিক্ষার্থী বা সাংবাদিকতার সঙ্গে যারা জড়িত তাঁরা অনেকগুলো অ্যাকাডেমিক জার্গনের সঙ্গে পরিচিত। স্কুপ তেমনেই একটি জার্গন। এক্সক্লুসিভ থেকেও গুরুত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ কোন সংবাদের ব্রেকের জন্য ব্যবহার হয়। সাংবাদিকতার শিক্ষার্থী হওয়ার সুবাদে প্রথম পর্ব দেখেই বুঝতে পেরেছি হংসল মেহতার ‘স্কুপ’হলো সেই স্কুপ।
ভারতের খ্যাতিমান সাংবাদিক জ্যোতির্ময় দের খুনের ঘটনা নিয়ে প্রাক্তন সাংবাদিক জিগনা ভোরার লেখা বই ‘বিহাইন্ড দ্য বারস ইন বাইকুল্লা: মাই ডেজ ইন প্রিজন’-কে অবলম্বনে সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে পরিচালক হংসল মেহতার আলোচিত ওয়েব সিরিজ ‘স্কুপ’। ছয় এপিসোডের স্কুপের প্রত্যেকটি পর্ব এক ঘণ্টার উপরে। তবে দর্শক এক বসাতে দেখতে বাধ্য! এখানেই সিরিজটির অন্যতম অর্জন।
২০০৫ সালে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ৪ বছরের ছেলের হাত ধরে মুম্বাইতে আসেন জিগনা ভোরা। সেখানেই শুরু হয় তাঁর সাংবাদিক হিসেবে পথ চলা। এশিয়ান এজ সংবাদপত্রে ক্রাইম রিপোর্টার হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন জিগনা। তাঁর ক্যারিয়ারে বড় ব্রেক আসে যখন তিনি অপরাধ জগতের অন্যতম কুখ্যাত নাম ছোটা রাজনের স্ত্রী নিখালজে সুজেটের নিউজ করেন। এভাবেই একাধিক অপরাধী অথবা পুলিশ কর্মীর ‘এক্সক্লুসিভ’নিউজ প্রকাশ করে সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে তরতর করে ওপরে উঠছিলেন জিগনা ভোরা। ক্যারিয়ারের সূর্বণ সময়ে থাকলেও জিগনার থেকে সাংবাদিক খ্যাতিতে এগিয়ে ছিলেন মিড ডে পত্রিকার সাংবাদিক জ্যোতির্ময় দে।
তবে জিগনার ক্যারিয়ারের তাল কাটল ২০১১ সালে সাংবাদিক জ্যোতির্ময় দে খুন হওয়ার পর। ততদিনে ক্রাইম রিপোর্টার হিসেবে জিগনা সংবাদ জগতে রীতিমতো আলোচিত এক নাম। নানান কারণে জ্যোতির্ময় হত্যার দায় গিয়ে পড়ল তাঁর ওপর। হত্যকারী সন্দেহে জিগনা ভোরাকে গ্রেফতার করা হয়। ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সফল সময়ে গ্রেফতার হন জিগনা। সেই সময় এই ঘটনা গোটা ভারত তোলপাড় করে ফেলেছিল।
সত্য এই ঘটনা অবলম্বনে তৈরি সিরিজটি ইতোমধ্যে দর্শক মহলে বেশ আলোচিত হয়েছে। ওয়েবসিরিজটি রিলিজ হওয়ার পর তরতর করে বাড়ছে আইএমডিবি রেটিং। পাশাপাশি অভিনয় শিল্পীদের মুন্সিয়ানায় মুগ্ধ দর্শক। যেখানে প্রধান চরিত্রে অর্থ্যাৎ জিগনা ভোরার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন করিশ্মা তান্না (জাগ্রুতি পাঠক), এশিয়ান এজ সংবাদপত্রে এডিটর হিসেবে মোহাম্মদ জিসান আইয়ুব (ইমরান সিদ্দিকী) আর ‘মিড ডে’ পত্রিকার সাংবাদিক জ্যোতির্ময় দের ভূমিকায় রয়েছেন প্রসেনজিৎ (জয়দেব সেন)।
ক্রাইম রিপোর্টারে হিসেবে জাগ্রুতি পাঠক ও জয়দেব সেনের মধ্যে বেশ প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যায়। যদিও সেক্ষেত্রে জয়দেব সেন অনেকটা এগিয়ে। পেশাগত কারণে দুজনের মধ্যে কিছুটা রেষারেষি ছিলই। যার কারণে জয়দেব সেন খুন হলে ফেঁসে যায় জাগ্রুতি।
প্রত্যেকটা পর্ব এমন জায়গা শেষ হয় যেখান থেকে রহস্যের জালে আটকে পড়বেন দর্শক। টানটান উত্তেজনা নিয়েই শেষ হয় প্রত্যেক পর্ব। ক্রাইম রিপোর্টার হিসেবে জাগ্রুতি পাঠকের ডেডিকেশন ছিলো শিক্ষা নেওয়ার মতো ঘটনা। খুব অল্প সময়ে নিজ যোগ্যতায় ব্যুরো চিফ হয়ে যান জাগ্রুতি। সফলতার সঙ্গে সঙ্গে শত্রু বাড়তে থাকে। ঈর্ষারও পাত্র হন। এশিয়ান এজ সংবাদপত্রে এডিটর ইমরান সিদ্দিকী চরিত্রায়ণ ছিলো বিশ্বাস করার মতো। সাংবাদিকতার প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ, রাজনৈতিক ও মালিক পক্ষের চাপ সত্ত্বেও একজন সত্যিকারের লিডার হিসেবে দেখা গেছে তাঁকে। জাগ্রুতি পাঠক জেলে গেলে সম্পাদক হিসেবে জাগ্রুতির পক্ষাবলম্বন করেন। তবে সরকারি বিজ্ঞাপন কমে যাওয়ায় মালিকপক্ষের চাপে চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন ইমরান। তখন ‘নাথিং অ্যান্ড নো ওয়ান ইজ অ্যাভাব দ্য বিজনে ‘ মালিকপক্ষের এমন বক্তব্যে চরম বাস্তবতার রূপায়ন ফুটে ওঠে। এদিকে সম্পাদকের চেয়ারে বসে নতুন সম্পাদক। যিনি জাগ্রুতি জেলে যাওযার পর ব্যুরো চিফ এর দায়িত্ব পেয়েছিলেন। প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো পরিচালনার একটা ধারণাও এখানে স্পষ্ট বোঝা যায়।
তবে নানা গ্যাঁড়াকলে এরই মধ্যে জাগ্রুতির জেলে কেটে যায় দীর্ঘ সাতটা বছর। রাজনীতি, পুলিশ ও মাফিয়া জগতের সম্মিলিত চক্রান্তে জীবন থেকে হারিয়ে যায় জাগ্রুতির সুন্দর সময়। অবশেষে মুক্তি পায় তবে ভুলতে পারেন না তাঁর জীবনের ঘটে যাওয়া এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। যা ভোলা যায়ও না
১৬ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৪
ধ্রুব বাদল বলেছেন: হুম, দেখতে পারেন।
২| ১৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই দেখব।
১৬ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৪
ধ্রুব বাদল বলেছেন: আশাকরি আপনার ভালো লাগবে রাজীব ভাই।
৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৪৭
সোহানী বলেছেন: দেখবো। আপনার রিভিউ পড়ে আগ্রহী হলাম।
৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৫৬
ডার্ক ম্যান বলেছেন: জাগৃতি একসময় নিজেকে সুপার ভাবতে শুরু করে। তারপর জেলখানায় থাকতে থাকতে তার হুঁশ ফেরে
০৯ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:১৭
ধ্রুব বাদল বলেছেন: হ্যাঁ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:০৪
শাওন আহমাদ বলেছেন: দেখার আগ্রহ জন্মালো।