![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নির্বাচন কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ কাজ রেখে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে স্বস্ত্রীক ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। এমনকি তার সঙ্গে সমুদ্রবিলাসে ব্যস্ত আছেন ইসির গুরুত্বপূর্ন পদে বসা কয়েক কর্মকর্তা। বছরের শুরুতই সিইসির ‘কুয়াকাট পরিদর্শনের’ সমালোচনা করেছেন খোদ নির্বাচন কমিশনারা। শুধূ তাই নয়, সিইসির সমুদ্রবিলাস যাপনকে কেন্দ্র কুয়াকাটায় আয়োজন ছিল ভুরি ভোজের। ভোজে ছিলেন কমিশন ও প্রশাসনের অন্তত ৮০ জনের কর্মকর্তা। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে।
একজন নির্বাচন কমিশনার এ বিষয়ে ােভ প্রকাশ করে বলেন, সময়টা কুয়াকাটা বেড়ানোর জন্য নয়? আমাদের হাতে অনেক কাজ। কাজের স্তুপ জমে আছে। সিইসি পুরো সপ্তাহটাই কুয়াকাটায় পার করে দিলেন। এখন আগামী সপ্তাহে আমিও ছুটি নিয়ে নেব। এরকম হলে কাজ এগুবে কীভাবে।
জানা গেছে, গত রোববার থেকে কমিশনের আরো চার কর্মকর্তাকে নিয়ে তিনি সমুদ্রবিলাসে ব্যাস্ত আছেন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের নির্বাচনোত্তর মুল্যায়ন ও একটি কর্মশালার দোহায় দিয়ে সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ এবং কমিশনের কয়েকজন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা এ দীর্ঘ সফর হালাল করে নিয়েছেন।
পটুয়াখালী জেলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেন, সিইসি স্যার একটি কর্মশালা উপল্েয রোববার কুয়াকাটায় এসেছেন। তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে কুয়াকাটায় সূর্যদয় এবং সূর্যাস্ত দেখছেন। থার্টিফাস্ট নাইটেও তিনি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ছিলেন। ওখানে ইলিশ মাছ দিয়ে খাওয়া দাওয়া সেরেছেন।
বৃহস্পতিবার তিনি অফিস করতে পারেন। কাল ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ করার দিন। কিন্তু সিইসি না থাকায় এ বিষয়ে কোন প্রচারনা বা কোন সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার পর্যন্ত নিতে পারেনি কমিশন।
উল্লেখ্য, কুয়াকাটা সফরে ৩১ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনোত্তর মুল্যায়ন, পাচঁ বছর মেয়াদী কৌশলগত পরিকল্পনা ও দুই বছর মেয়াদী কর্ম পরিকল্পনা বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালার উদ্ভোধনের কর্মসূচি ছিল। কুয়াকাটা পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সে এ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। এরআগে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ঢাকায় এই কর্মসূচি হওয়ার কথা থাকলেও বেড়ানোর জন্য তা নিয়ে যাওয়া হয় কুয়াকাটায়।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫২
শূন্য পথিক বলেছেন: