![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষের অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতা আমার রক্তে ও মননে। মানুষ ও মানুষের নিরন্তর সংগ্রাম ছাড়া আর কোনো ইতিহাস আমি জানি না। আজন্ম মানুষকে জানি সর্বশ্রেষ্ঠ হিসেবে আর বাকী সব মানি অহেতুক ধুম্রজাল।
কোনো উদ্ভাবক যদি তার উদ্ভাবনটা বাজারজাত করতে চায় তবে সে কার কাছে যাবে? আমি জানতে চাইছি বাংলাদেশে সে কোথায় গেলে টাকা পাবে। এধরনের মানুষের জন্য লিজিং কোম্পানিগুলো বা বিসিক কি অর্থ ও প্রাতিষ্ঠানিক সাহায্য দিয়ে থাকে?
উন্নত দেশে এরকম উদ্ভাবককে হারিকেন নিয়ে খোঁজা হয়। বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় করে বিজ্ঞাপন থাকে: 'আপনার মাথায় কি বড়ো কোনো আইডিয়া আছে? সেটি দিয়ে কি বড় ব্যবসা করা সম্ভব। তবে চলে আসুন আমাদের কাছে।' এসব আইডিয়ার পেছনে টাকা লগি্ন করার জন্য লোকজন বসে থাকে। এদেরকে বলে ভেন্চার ক্যাপিটালিস্ট। বাংলাদেশে লিজিং কোম্পানী ও ব্যাংকগুলোও বড় বড় ভেনচারে টাকা ঢালে। কিন্তু সব মান্ধাতা আমলের ব্যবসায়।
নানারকম উদ্ভাবনকে উৎসাহিত বা এর পেছনে টাকা লগি্ন করার জন্য আমেরিকা-ব্রিটেনে টিভি অনুষ্ঠানও আছে। যেমন আমেরিকায় এবিসি চ্যানেলে এ্যামেরিকান ইনভেন্টর নামে একটি অনুষ্ঠান হয়। এর ওয়েবসাইট হলো: http://abc.go.com/primetime/americaninventor/
ব্রিটেনে বিবিসি দেখায় ড্রাগনস্ ডেন। পাউন্ডের বান্ডিল নিয়ে ডেনের ভেতর বসে থাকেন 5 জন ড্রাগন বা শেঠ। তারা রত্ন চেনেন। উদ্ভাবক তার নতুন উদ্ভাবনার প্রোটোটাইপ নিয়ে এসে তাদের সামনে উপস্থাপন করেন। তারপর ড্রাগনরা নানা প্রশ্ন করেন। যদি কেউ মনে করে যে এই পণ্যটি বাজারে বিক্রি করে মুনাফা করা সম্ভব তবে তারা নতুন কোম্পানির শেয়ার কেনার অফার দেয়। এসব ড্রাগনরা অভিজ্ঞ ভেনচার ক্যাপিটালিস্ট। তারা জানেন কোন জিনিস কিভাবে বেচতে হয়। সেই অভিজ্ঞতা দিয়েই উদ্ভাবককে তারা সাহায্য করেন বাজারে একটি নতুন ব্র্যান্ডকে জনপ্রিয় করে তুলতে।
যাদের মাথায় আইডিয়া কিলবিল করছে তারা আরেকটু উৎসাহের জন্য দেখুন অনুষ্ঠানগুলো। বিবিসির ওয়েবসাইটেই এগুলো আছে। আমি নিশ্চিত এই অনুষ্ঠান আপনার উদ্ভাবনী শক্তিকে অনেক বেশি জাগিয়ে তুলবে। ওয়েবসাইট: http://www.bbc.co.uk/dragonsden/
২| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৬ ভোর ৪:১০
কনফুসিয়াস বলেছেন: ইউরেকা!
৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৬ ভোর ৬:৩৬
অতিথি বলেছেন: হ্যাটস অফ!!
৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৬ সকাল ১১:৫৭
অতিথি বলেছেন: হিমু হুমমম বলেই গুম মেরে গেল। আইডিয়া নিশ্চয়ই হিমুর আছে। কিন্তু যে আইডিয়া বানাবে সেই বাজার করার কথা ভাববে এ কেমন বিড়ম্বনা? আসলেই তাই। মার্কসের সবসময়ই এঙ্গেলসের মত সঙ্গী দরকার।
কনফু যে ইউরেকা বলে লাফ দিলো, কী পেল সে? আইডিয়ার বাগান? খোঁচা দিয়ে কয়েকটা অনুষ্ঠান দেখলেই বুঝা যাবে সৃষ্টিশীল মানুষ তার আইডিয়া আর উদ্ভাবনী ক্ষমতা নিয়ে কিসব আকাশ-পাতাল করছে।
গোপাল হ্যাট খুলেছে কিন্তু এখনও মাথা চুলকে যাচ্ছে। তবে চুলকালে কোনো সমস্যা নেই। যত মাথা চুলকাবেন রাজা ও রাজ্য বাঁচানোর তত ফন্দি বেরুবে।
৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৬ সকাল ১১:৫৯
অতিথি বলেছেন: হু, 5 টাকা দিয়া আইডিয়া কিইন্যা পরে 5 মিলিয়ন পাউন্ডের ব্যবসা করবে। আমার 5 টাকা লসই যাক
৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৬ দুপুর ১২:০৪
অতিথি বলেছেন: চোর, আইডিয়া সরাসরি বেচতে হবে এমন কথা নেই।আপনার আইডিয়া দিয়ে কোম্পানি তৈরি করে তারপর কোম্পানীর 50% এর কম শেয়ার বেচবেন। তাতে নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতে থাকবে।
ডট কমের যুগে কতরকম সাইট নিয়ে মিলিয়ন পাউন্ডের ব্যবসা হচ্ছে। চুরিদারি ছেড়ে নেমে যান..
৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৬ দুপুর ১২:০৬
অতিথি বলেছেন: চিন্তা করে দেখি। ভালো আইডিয়া দিলেন। ফ্রি?
৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৬ দুপুর ১২:১০
অতিথি বলেছেন: ফ্রি -ই দিলাম চোর। অন্তত: আমার ঘরে চুরি করবেন না এই পরোক্ষ লাভের আশা থাকলো মনে মনে।
একটা সাইটে শুধু ছবি থাকবে, শুধু ফটুক...এই আইডিয়া দিয়া ফ্লিকার বানাইয়া কত পয়সা কামাইয়া নিলে তারা। বেচলেই পয়সা।
৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৬ দুপুর ১২:২৫
আলগজাল বলেছেন: এইসব আইডিয়া ফাইডিয়া দিয়ে কী হবে? তার চেয়ে আসেন, রাজাকারদের পাছায় লাথি মারার একটা আইডিয়া নিয়ে আসি।
১০| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৬ দুপুর ১২:৩২
অতিথি বলেছেন: সে অনেক বড় আইডিয়ার বিষয় আলগজাল। সব রাজাকারদের খুঁজে বের করা। তারপর তাদের পাছাগুলো একত্রিক করা। কারা কারা লাথি মারা জন্য পা দেবে। পায়ে জুতা থাকবে, না স্যান্ডেল থাকবে, নাকি খালি পা হবে। লাথি মারা কে উদ্্বোধন করবে, ইত্যাদি নানা কূটকচাল।
তবে প্রথম কথা হলো কেউ তো আর স্বেচ্ছায় লাথি খেতে চাইবে না। সুতরাং লাথি মারা আইডিয়াটাকে ঢেলে সাজাতে হবে।
এই আইডিয়া দিয়ে যদি কিছু অর্থ জোগাড় করতে চান তবে আইডিয়ার মধ্যে তাও যোগ করতে হবে।
নাহ আপত্তি করার কিছু নেই। করেন আপনি চেষ্টা। ফলাফল জানাবেন।
১১| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৬ দুপুর ১২:৪৬
আলগজাল বলেছেন: আইডিয়াটা আমাদের এই ব্লগ থেকেই শুরু হোক।এই ব্লগের চুক্তিটা হলো প্রগতিশীল চিন্তার লেখা। আর যারা চুক্তি ভঙ্গ করবে তারা ছাড়া অন্য সবার ব্যক্তিগত তথ্য ব্লগ গোপন রাখবে। কিন্তু যারা রাজাকার তারা তো প্রতিক্রিয়াশীল কথাবার্তা বলছে। অতএব তারা চুক্তি ভেঙেছে। আসেন, সামহয়ার কে চাপ দিই তাদের নাম ঠিকানা দিতে। এরপর ...
১২| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৬ দুপুর ১২:৫৪
অতিথি বলেছেন: প্রিয় আলগজাল,
চাপাচাপি করাটা উত্তম আইডিয়ার লক্ষণ না। এগুলো রাজনৈতিক দলের কাজ।
আরো ভালো আইডিয়া বের করেন। যাতে স্বেচ্ছায় লাত্থি খাওয়ার জন্য পাছা আগায়া দেয়।
চেষ্টা করেন, মাথা খাটান, হয়ে যাবে।
১৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৬ রাত ৯:২৮
অতিথি বলেছেন: ধন্যবাদ শোমচৌ এটা নিয়ে লেখার জন্যে। আমারও কিছু স্বপ্ন আছে এবং সেটি দেশেই করার ইচ্ছা আছে । তাই অপেক্ষায় আছি দেশে এরকম সুযোগ কবে পাওয়া যাবে।
১৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৬ রাত ১১:১৫
কালপুরুষ বলেছেন: একবার সিঙ্গাপুরে কিছু মুনসীগঞ্জের স্পেশাল টাইপের আলুনিয়ে গেছিলাম মার্কেটিং-এর উদ্দ্যেশে। অমন হাই কোয়ালিটি আলু খোদ মুনসীগঞ্জেও কম জমিতে চাষ হয়। এক্সপোর্টের উপরে যদি কোন কোয়ালিটি থাকে তেমন আলু। আমরা (তিন বন্ধু) খুব আশাবাদী ছিলাম এই আলুর মার্কেটিং এর ব্যাপারে। যাই হোক সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের হাইকমিশনার ভদ্রলোক আমাদের পূর্ব পরিচিত। ওনার সাহায্য চাইলাম মার্কেটিং এর ব্যাপারে। ওনার কাছে Sample রেখে এলাম 5 কেজি আলু বিভিন্ন পার্টিকে দেখানোর জন্য। হোটেল থেকে ফোনের মাধ্যমে খোঁজ খবর নেই কোন পার্টি পেলেন কিনা। জানালেন এখনও তেমন Interested Partyপাওয়াা যায়নি। পেলে জানাবেন। দেেেশ ফেরার আগে ভদ্রলোক আমাদের বাসায় দাওয়াত দিলেন। ডিনারে দেখি আমাদের সেই আলু দিয়ে বীফ রান্না করা। খেয়ে এবং আকারে বুঝতে পারলাম এগুলো আমাদের সেই Sample আলু। কি আর বলবো। আমরা মুখ চাওয়া চাওয়ী করে কোন রকমে ডিনার সেড়ে চলে এলাম। এই হলো আমাদের আইডিয়া বিক্রি।
১৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৬ রাত ১১:২৬
অতিথি বলেছেন: কালপুরুষ অর্থনৈতিক কূটনীতি বাংলাদেশ এখনও শেখেনি। ঐ কূটনীতিক সিঙ্গাপুরের ব্যবসামহলের সাথে যোগাযোগও রাখেন না। সুতরাং তার কাছে আলুরেখে আপনারা যে ডিনারে ভাগে পেয়েছেন সেই বেশি।
তবে এখন ইন্টারনেটের যুগ। এরকম কোনো পণ্য বিক্রি করার জন্য যোগাযোগ মোটেও কঠিন কাজ নয়। মুনিসগঞ্জের হস্তশিল্পও বিদেশে যাচ্ছে।
যদিও এখানে আইডিয়া নিয়ে কথা হচ্ছিল, তবু আপনার কাজে লাগতে পারে তাই বলে রাখি যে কোনো দেশে যদি পণ্য বিক্রির চেষ্টা করেন তবে আপনার প্রথম কাজ হবে সেদেশের ইমপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন বা এ ধরনের প্রতিষ্ঠান/সমিতির সাথে যোগাযোগ করা। সেখানে আপনি কোন ধরণের জিনিস আমদানিতে আগ্রহী কোন প্রতিষ্ঠান আছে তার একটা তালিকা পাবেন। এসব প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করতে থাকলে ধীরে ধীরে উপায় বের হবে।
১৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০০৬ রাত ৩:১২
অতিথি বলেছেন: কালপুরুষ ভাইয়া,
১৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০০৬ ভোর ৫:৫০
কালপুরুষ বলেছেন: শোমচৌ,
ধন্যবাদ। আপনার সুন্দর ধারণার জন্য। তবে আমি যে সময়কার কথা বলছিলাম তা হলো 1987 সালের শেষ দিকে। বুঝতেই পারছেন তখন ইন্টারনেট প্রসার লাভ করে নাই। বিশ্ব বানিজ্য তখন মেইল অর্ডার, এলসি এবং ইয়োলো পেজেই সীমাবদ্ধ। ইদানিংকার সময় হলে কোন ভদ্রলোককে ধরার চেয়ে কোন প্রতিষ্ঠানকে বা এ্যাসোসিয়েশনকে ধরা অনেক ভাল। ইন্টারনেট তো আছেই।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে আগস্ট, ২০০৬ রাত ২:১৭
হিমু বলেছেন: হুমমমমমমমমমমমমমমম।