![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাহুবলী -৩ কবে বের হবে এ নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই আমাদের দেশের তরুণ সমাজে।
পাড়া - মহল্লায়, চায়ের কাপের আড্ডায় এখন গল্পের শিরোনাম বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একটাই
" কবে আসবে পরবর্তী মাহেন্দ্রক্ষণ "??
আসবে কি না তা জানিনা তবে
৪০০ লক্ষ ডলার বা ৩২০ কোটি বাংলাদেশী অংকের টাকা যে বাহুবলী -২ নির্মাণেই খরচ হয়েছে তা জানতে বক্স অফিসে আবার নক করতে হবে বলে মনে হয়না।
অথচ দুঃখজনক হলেও সত্যি, সেই দেশেই গড়ে ৩ লাখেরও বেশি শিশু প্রতি বছর মারা যাচ্ছে শুধু"" ক্ষুধার তাড়নায় ""।
৪০০ লক্ষ ডলারের হিসাব কষতে সাধারণ ক্যালকুলেটরের মাথায় আঁটেনা তাই সেকেন্ড স্টেপের ক্যালকুলেটর লাগছে ।
ফাষ্ট এন্ড ফিউরিয়াস -৮ তৈরী করতে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে তা দিয়ে ১০০০ এরও বেশী পরিবার খেয়ে - দেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে দু' বছর না হলেও কমছে কম আঠারো মাস ভালোভাবেই কাটাতে পারতো কিন্ত
দুঃখজনক হলেও সত্যি যে,
আমেরিকাতে প্রতিবছর বহু শিশু মারা যায় শুধু ঐ
"" ক্ষুধার তাড়নায় ""।
আচ্ছা, বুর্জ খলিফা তৈরীতে পৃথিবীতে এমন কিইবা পরিবর্তন এসেছে যা মানুষের একটা বৃহৎ অংশের মাঝে কোন পরিবর্তন আনতে পেরেছে, কি মনে হয় আপনার ??
থাক থাক ভিনদেশের গাল- গল্প এখানেই স্টপ।
চলুন জেনে আসি দেশী তাজা খবর।
মাত্র ৩৪৫০ টাকায় নিজের কোলের সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন দিনাজপুরের যেই মহিলাটি, তাকে বিক্রি করবার কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে যে উত্তরটা এসেছিলো তা হলো,
"" ক্ষুধার তাড়না ""।
নিউজ ফীডে বাহুবলী- ৩ বা ধুম -৪ আসবার খবর যতবার না পড়েছি তার দশভাগের একভাগও পড়িনি সেই হাওরের বানবাসী মানুষদের জন্য কিছু করবার খবর, কেন???
তারা মানুষ না ??
সবধরণের ট্যাক্স আদায় করে আমরা হাত পা ছেড়ে এখন বসে থাকতে চাইছি এই আশায় যে,
যাক গে এখন সরকারেরই দায়িত্ব তাদের কাছে ত্রাণ পৌছানোর।
আপনি যদি নিজে তাদের জন্য কিছু সাহায্য করেন বা এ বিষয়ে কোন উদ্দ্যেগ গ্রহণ করেন তাহলে আপনার আমলনামায় নেকীর পাল্লা কি হালকা হয়ে যাবে
নাকি
আজকে বাহুবলী বা বজরঙ্গী ভাইজানের ভূয়সী প্রশংসা সেইসব অভিনেতাদের বাসায় ভাত জুঁটাবে, কোনটা ঠিক বলে মনে হয় আপনার, ভাই??
আজকে ভাস্কর্য বা মূর্তি তৈরীর মাধ্যমে শোভা বর্ধনের নামে যত অযথা টাকা খরচ করা হচ্ছে তাতে কি এসরাফ বা অযাচিত খরচকারীর তালিকায় নাম তুলবেনা আমাদের??
বেহায়াপনার বাজারে আমাদের চলন এত্তবেশি যে, আমরা মাঝেমাঝে কোনটা প্রকৃত খরচের খাত আর কোনটা যে নয় তারই অঙ্ক কষতে ভুল করে বসি।
এমন মানুষের সংখ্যা আমাদের সমাজে একেবারেই কম নেই , যারা মাসের শুরুতে সিনেপ্লেক্সে সিনেমা দেখতে যাচ্ছেনা কিন্ত
সেই বিত্তবান ব্যক্তিকেই যখন কোন অসহায় ব্যক্তিকে একটু সাহায্য করতে বলা হয় তখন তার পকেট কেটে ফেললেও খুচরা পাঁচ টাকার দুটো কয়েন বের হয় কিনা তা দেখতে দেখতে রীতিমত হয়রান হয়ে যেতে হয়।
তাহলে কিভাবে সম্ভব সবকিছুর ব্যালেন্স করবার যেখানে সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিরা তাদের রব্বে কারিমের দেয়া বিধান যাকাতকেই ঠিক মতো চালু করতে পারলোনা যার মাধ্যমে সবার মাঝে ব্যালেন্স ( অথ্যাৎ ধনীর ধন নষ্টও হবেনা আর গরীব না খেয়েও থাকবেনা) রাখা সম্ভব???
আমরা আজও পারিনি সমতার নীতি তৈরী করতে।
আমরা আজও পারিনি ক্ষুধাতুরদের সংখ্যা কমিয়ে আনতে।
বরং আমরা পেরেছি
জুলুম বাড়াতে,
ক্ষমতার দাপটে সবকিছুতে তুলকালাম ঘটাতে,
বাকস্বাধীনতাকে খর্ব করতে।
কাঠগড়ায় দাঁড়াবার পর এই দু' চার রাকাত নামাজেই পার পাবার চিন্তায় যারা গদ্দীনশীল পীরের বায়আত নিয়ে খুশী আছেন, তাদেরকে বলছি,
(ভাই - বোনেরা একটু অফ যান।)
আজকে যে যার মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়ে নিজের পেট পুরবে তার পেট যে জাহান্নামের আগুনে ভরবে তা আমাদের সমাজের অধিকাংশ সুদখোর, হারাম উপার্জনকারী ব্যক্তিও জানে।
কিন্ত তারপরও মানে কয়জন??
দরকার নিজেদের চিন্তার পরিবর্তনের।
দরকার ধর্মের প্রকৃত চর্চার।
তা না হলে সবাই বাঁচবেন কিভাবে??
উপরে মারা থুথু একসময় নিজের মুখে এসেই পড়ে।
মনমানসিকতা বদলান।
সমাজটাই বদলে যাবে ।
©somewhere in net ltd.