ধর্ষণ করবো না তো কি করবো.......... ?

১৯ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:৪২

ধর্ষণ করবো না তো কি করবো.......... ?
রাতে বয়ফ্রেন্ডের সাথে ও সিনেমা দেখতে যায় কেন??
কথাগুলো জেলে বসে বলেছিলো মুকেশ নামক এক ব্যক্তি যিনি নির্ভয়া নামক এক মেয়েকে তার পাঁচ সহযোগী নিয়ে গণধর্ষণ করেছিলো।

দাপুটে ধনীর আদুরণীয়া গিন্নী যখন ( কাজের মেয়েদের একআধটু এসব সামলেই চলতে হয়। তাদের এসব হ্যারেজমেন্টের কথা এতো বলে বেড়াতে হয় না।) বেয়াহার মতো এসব বলে, তখন নারী হিসেবে সম্মান পাবার যতটুকু অধিকার তার থাকার কথা, তার সবটুকুই অন্য কেউ হরণ করে তাকে দেখিয়ে যাক যে,
বিকৃত শারিরীক নির্যাতনের জ্বালা কতটুকু!!!!
এসবই আজ হরহামেশা ঘটছে।
Specific কাকে দোষ দেবেন??
সেই মেয়েটিকে, যে আজ victim??
সে ধর্ষককে, যে আজ যৌন জ্বালা মেটালো??
নাকি সেই অবহেলাকারীকে, যে নিজে এসবেই অভ্যস্ত হওয়ায় অন্যের ক্ষেত্রে তা কেয়ারই করে না??
নাকি এসবই যার ধ্যান জ্ঞান, যে ক্ষমতার দাপটে প্রতিদিন নিত্যনতুন সম্ভোগ খুঁজে বেড়ায়, তাকে ????
কাকে একতরফা বিসমিল্লাহ বলেই দোষী সাব্যস্ত করবেন??

নারী যদি তার প্রকৃত কাজ কি তা ভুলে গিয়ে লাগামহীন চলাফেরাকেই আধুনিকতা হিসেবে মনে করে থাকে এবং বল্গাহীন জীবন - যাপনকে নিজেদের স্বাধীনতা বলে বিবেচিত করে থাকে, তাহলে তাদেরকে আরো আরো ধর্ষিত হবার অগ্রীম শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখলাম।

নিজেদের বর্ধিংশু শক্তির অপব্যবহার রোধ করতে শুধু নারীরাই নিজেদেরকে আবৃত করবে আর পুরুষরা সারাক্ষণ বিভিন্নভাবে তাদেরকে হ্যারেজমেন্ট করে একাজে বাধ্য করবে এমনটি যদি হয়ে থাকে , তাহলে তো বলতেই হয় যে,
অপাত্রে কোন কিছু পাত্রস্ত্র করলে তার শাস্তি একটু ভিন্ন আঙ্গিকেই পাওয়া উচিত। এই যেমন : কারো কারো জননেন্দ্রিয় কেটে দেয়া, পুড়িয়ে দেয়া বা অন্যকোন উপায় অবলম্বন করা ।

কারণ আইনের প্রয়োগ হবার প্রসিডিউর যে লম্বা, তাতে ন্যায়বিচার পাবার আগে আবারো সেই মেয়েটি যে ধর্ষিতা হবেনা তার গ্যারান্টোর আমাদের সমাজে কেউ আছে কিনা তা খুঁজতে আমাদের অনন্ত ভাইকে আরেকবার " খোঁজ - the search " বানাতে বলতে হবে।

আর ঐ কিছু ফেমিনিষ্ট ছাড়া আর কেউই সেই মহিলাকে সমর্থন দিবে বলে মনে হয়না, যার কাছে তার জরায়ুটাই পবিত্র রাখা দরকার বলে মনে হয় অথচ তার অধঃস্তনদের ব্যাপারে সে সবসময় নাক ছিঁটকায়।
ভারতীয় আদালত মুকেশের সেই বিখ্যাত কেসে নারীকে ঘরমুখী হবার প্রতি জোর আবেদন জানিয়েছে।
আর আমাদের সমাজ নারী জাতির জন্য নতুন নতুন পদের সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়াচ্ছে, যেগুলো তাদের আরো বেশি হ্যারেজমেন্টের শিকার হবার সম্ভবনাময় ক্ষেত্র।
গুটি কয়েক প্রফেশন ছাড়া অন্যসব প্রফেশনে নারীদের থাকবার প্রয়োজনীয়তা কতটুকু তা আরো কয়েকবার ভেবে দেখা দরকার কারণ
আজকাল সামান্য এক গাড়ির বিজ্ঞাপন দিতে গেলেও একজন স্বল্প বসনা লাস্যময়ী নারীকে উপস্থাপন করতে হয় অথচ এক্ষেত্রে আমাদের বেশ্যামন এতটুকুও ভীত - সন্ত্রস্ত হয়না বরং ঐ দু' একটা রেপের ঘটনায় দু'চারটে লাফ দেবার অভ্যাস যাদের, তাদেরকেই দেখা যায় যে, রাতের বেলায় ঐ মেয়েটাকেই কলগার্ল হিসেবে পেতে চায়। ( বেশ্যামন যে....)
শেষ জমানায় মহিলারা বেশি বেশি বাহিরে কাজ করবে - একটা হাদিসের সারমর্মের ভয়াবহতা আজ সর্বত্র বিরাজমান হওয়ায় তা দীলে কি কাপন ধরিয়ে দিচ্ছেনা আমাদের নাকি বিবেককে বিক্রি করে দেয়া শেষ হয়ে গেছে ভাইয়া, আপুরা??

কি সাবলীল ভাষায় মুকেশ তার জবানবন্দী দিয়েছিলো অথচ এটাই আজকের রেপিষ্টদের সবচেয়ে শালীন ভাষা বলে মনে করা দরকার কারণ এর চেয়েও ভয়ানক অস্বাভাবিক কথা হয়তো খুব ঠান্ডা গলায় কেউ বলছে বলে শুনতে হবে কিছুদিন বাদে, যখন সে খুব মজা নিয়ে রসিয়ে রসিয়ে এসব বলবে, যদি আমরা এখনি পরিবর্তিত না হই।

সার্বজনীন পরিবর্তন দরকার।
আর একটাও অসহায়ত্বের চিৎকার না শুনতে চাইলে সর্বপ্রথম প্রত্যেকের নিজেদেরকে বদলাতে হবে।
আমাদের বেশ্যা মনকে দমন করতে হবে।
সৃষ্টিকর্তা রাব্বুল আলামীনের বিধিবিধানকে কার্যকর করতে হবেই হবে এমনটি মনে করত নিজেদেরকে ঢেলে সাজাতে হবে।
সমাজের রন্ধে রন্ধে এসব জলজ্যান্ত পর্ণ actor + actress দের সুপথে ফিরিয়ে আনবার চেষ্টারত থাকতে হবে।

চলুন না বদলে যাই।

মনমানসিকতা বদলান।
সমাজটাই বদলে যাবে।

০ টি +০/-০