![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রামিসার সাথে আমার প্রথম দেখা বিদ্যাপীঠের পিছনের টঙ দোকানে।
টঙের ভিতরের দিকে বসে সে ধূমপান করছিলো আরো দশটা ছেলের সাথে। তার দুই বান্ধবী পাশে বসে থাকলেও তারা শুধু চা' তেই সন্তষ্ট ছিলো।
গত মঙ্গলবার আমার এক সহপাঠী ঐ মেয়েটা সম্পর্কে বললো যে, মানুষ যে কখন বদলে যেতে পারে তা সম্ভবত সে নিজেও জানেনা।
বললাম কেন??
ও বললো,
ঐ যে রামিসার কথা মনে আছে যাকে টঙ এ সিগারেট টানতে দেখেছিলি, সামনে তাকিয়ে দেখ ও হেঁটে যাচ্ছে।
আমি দেখলাম, কুঁচকুঁচে কালো বোরকা পরিহিতা এক মেয়ে বাহিরে বের হচ্ছে।
তিনমাস আগের রামিসা আর আজকের রামিসা...... ।
নাবিলা ( ছদ্ননাম) যখন তার এক্স বয়ফ্রেন্ডকে ছেড়ে নতুন দেহসুখ দেবার ক্লায়েন্টের খোঁজে ছিলো, হুট করে একদিন হুমায়রার সাথে পরিচিত হয়।
একদিন , দুই দিন পেরিয়ে আজ নাবিলা এক অন্যরুপী মেয়ে যার সালাম শুনলেও যেকোন মানুষের দীল কেঁপে উঠবে এমনকি তাকে যথেষ্ট সমীহ করতে একপ্রকার বাধ্যই হবে তারা।
কেন??
আজকের নাবিলা আর সেই নাবিলা নেই বরং পুরোদন্তর আধুনিক এক শিক্ষিতা প্রকৃত মুসলিম মেয়ে হয়ে গেছে যার কাছে এখন কুরআন, হাদীস থেকে জীবন চলার পাথেয় বের করতেই ভালো লাগে, আর কিছু নয়।
শফিক এক সময় এক মেয়ের সাথে রিলেশন করতো।
আট বছরের রিলেশন কোন এক ঠুঁনকো কারণে ভেঙ্গে যাওয়ার সাথে সাথে সে সুইসাইড করতে চেষ্টা করে।
হুট করে বাবা দেখে ফেলায় এযাত্রায় রক্ষা পায়।
পরে নেশার জগতে পদার্পণ করলেও হাসান ( তার ক্লাসমেট) কে সবকিছুই বলে ও।
আজ শফিক মুখভর্তি দাঁড়ি নিয়ে যখন এশার নামাজে দাঁড়ায় তখন আশেপাশের মুসুল্লীরা একটি স্নিগ্ধ , মিষ্টি গন্ধের উৎস খুঁজতে থাকে।
দাঁড়ি ভিজিয়ে কাঁদতে থাকা শফিককে দেখে কে বলবে যে, এই ছেলে ঠিক আটমাস আগে জীবনটাকে শেষ করে ফেলতে চেয়েছিলো।
এরকম ভুরিভুরি বদলে যাবার গল্প আমরা সবাই কমবেশী জানি।
রুপকথার মতো মনে হলেও এসব যে সমাজে অহরহ ঘটছে, এটাকে কোনভাবেই অস্বীকার করবার উপায় নেই।
এদের জীবনটাকে বদলে দেবার জন্য হয়তো কারো একটা কথাই যথেষ্ঠ ছিলো যা তাকে নতুন করে জীবন সম্পর্কে ভাবতে বাধ্য করেছে।
স্বপ্নালু দুটি চোখ দিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছে ।
কুরআনটাকে হাতে নিয়েছে।
হাদিসগুলো জানতে শুরু করেছে।
এগুলোই কি তার জীবনের জিয়নকাঠি নয়??
হ্যাঁ, আমরা পাপী তাই বলে ক্ষমাশীল প্রভু তার কৃপা বা ক্ষমার দুয়ার ভিড়িয়ে দেননি বা বন্ধও করে দেননি।
বরং তার আহবান তো এমনও হতে পারে যে,
( বান্দা, পাপ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেলেও চলে আসিস। আমার ক্ষমার দূয়ার বন্ধ হয়ে যায়নি ))) ।
হ্যাঁ, তিনি আজও ডাকবেন শেষ রজনীতে।
চাইলে ক্ষমা চেয়ে নিতে পারেন।
এভাবেই মানুষ বদলে যাচ্ছে।
বহু মানুষ বদলে যাচ্ছে আপনার আশেপাশেই।
তাহলে আপনি কেন নন??.
আপনি বদলাচ্ছেন না কেন??
সমাজটাকে বদলাতে তো নিজেদের বদলাতে হবে।
তাই,
চলুন না বদলে যাই।
মনমানসিকতা বদলান।
সমাজটাই বদলে যাবে ।
©somewhere in net ltd.