![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"... জানবে আমি শুধু আমি নই; আমি মানে অন্য কেউ কিংবা প্রতিবিম্ব ..." -------------------------- লেখক নই, তবু মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে হলে ছন্দছাড়া কিছু কথা এলোমেলোভাবে লিখে ফেলি।
আমি তখন ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী। হঠাৎ করে বাবার বদলির অর্ডার আসায় ঠিক হয় মহসীন চাচার বাসায় থেকে পড়াশুনা করবো। মহসীন চাচা আমার গ্রামসূত্রে চাচা। দুই ছেলে চাচার। খুব শখ ছিল একটা মেয়ের। মেয়ে ছিল না বলেই বোধ হয় আমার প্রতি চাচা-চাচীর স্নেহের শেষ ছিল না ।
বিধাতা চাচা-চাচীর শখ অপূর্ণ রাখলেন না। ফুটফুটে একটা মেয়ে হলো।
টুকটুকিটা ভীষণরকম চঞ্চল ছিল। ছোট্ট ছোট্ট পায়ে রূপার নুপুর পায়ে দিয়ে ঘুরে বেড়াতো সারাবাড়ি। নুপুরের টুংটাং আওয়াজে সারাবাড়িতে আশ্চর্য এক পবিত্রতা ছড়িয়ে পড়তো যেন। নিজের লেখা-পড়ার ফাঁকে ফাঁকে মাঝে মাঝে রবিন-রনির লেখা-পড়া দেখিয়ে দিতাম। দুই ভাইকে পড়াতে বসলে সেও চেয়ার নিয়ে টানাটানি শুরু করে দিতো। কখনো কোলে, কখনো কাঁধে নিয়ে বসে পড়াতাম ওদের।
মাস্টার্স পরীক্ষার পরে রেজাল্ট বের হওয়ার মাঝের সময়টুকুতে পাড়ারই একটা কিন্ডারগার্টেন স্কুলে পড়াতাম। আর সাথে এখানে-ওখানে অ্যাপ্লাই করতে থাকলাম চাকরির জন্য। স্কুল থেকে ফেরার পথে প্রায়ই এটা-সেটা নিয়ে আসতাম টুকটুকির জন্য। গুড়ের জিলাপি ছিল ওর ভীষণ প্রিয়।
রেজাল্ট হয়ে যাবার কিছুদিন পরেই একটা বেসরকারী কলেজ থেকে ডাক আসে লেকচারার পদে যোগ দেয়ার জন্য। এই পরিবারটাকে ছেড়ে যেতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। সিলেটে যাবার পর নিয়মিতই যোগাযোগ হত। টুকটুকিটা কয়দিনের মধ্যেই বেশ কথা বলা শিখে গেছে। ফোনে তার কতরকম আবদার! একবার বায়না ধরলো ওর জন্য যেন টিয়া রঙের ফিতে নিয়ে যাই। চাচী প্রায়ই বলতেন কিছুদিন যেন ওনাদের ওখানে গিয়ে থাকি। সে বছরের শীতের ছুটিতে চাচার বাড়ি যাবো ঠিক করলাম। টুকটুকিটার জন্য এক জোড়া টিয়া রঙের ফিতেও কিনেছিলাম।
টুকটুকিটা নিশ্চয়ই কত বড় হয়ে গেছে, আমাকে দেখলে চিনতে পারবে কিনা – চলন্ত ট্রেনের জানালা দিয়ে রাতের প্রকৃতি দেখতে দেখতে এসবই ভাবছিলাম। ট্রেনের এই কামরার বেশিরভাগ যাত্রীই আগের স্টেশনে নেমে গিয়েছে। প্রায় ফাঁকাই হয়ে গেছে। হঠাৎ দেখি পাশের সিটে বছর চারেকের গোলগাল মুখের এক বাচ্চা মেয়ে। কখন এসে বসলো, খেয়াল করিনি তো! মুখটা খুব খুব চেনা চেনা লাগছে। চমকে উঠি, আরে! এ তো টুকটুকি! ও এখানে এলো কথা থেকে?
হতবাক আমাকে ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বলে উঠলো, “এ্যাই, আমাকে চিনতে পারছো না?”
আমি উত্তর দেবার আগেই আবার বললো, “আমার ফিতা নিয়ে এসেছো?”
বিস্ময়ের ঘোর তখনো কাটেনি। অনেকরকম প্রশ্ন ঘুরছে মনের মধ্যে- টুকটুকি এই ট্রেনে কেন? ওরা কি তবে সিলেটে আসছে? আমাকে জানালো না কেন? এসব ভাবতে ভাবতে হ্যান্ডব্যাগ থেকে ফিতেজোড়া বের করলাম টুকটুকিকে পড়িয়ে দিবো বলে। পাশ ফিরে দেখি কেউ নেই। এদিক-সেদিক খোঁজাখুঁজি করতে করতে হাতের সেলফোনের ভাইব্রেশন টের পাই। কল রিসিভ করতেই রবিনের কান্নাভেজা কণ্ঠস্বর , “আপু, আজকে সকালে টুকটুকিটা সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে ... আমাদের টুকটুকিটা আর নেই !”
আমি যেন আর কিছু শুনতে পারছিলাম না। তখনও আমার হাতে ধরা ছিল টুকটুকির টিয়া রঙের ফিতেটা।
// স্বদেশ হাসনাইনের গল্পে মন্তব্য //
২৭ শে মে, ২০১২ রাত ৯:০৬
দূরদ্বীপবাসিনী_ বলেছেন: এরা তো আসেই মায়ার জালে বন্দী করতে, তাই না!
২| ২৭ শে মে, ২০১২ রাত ৮:২৩
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: লেখার আবেগটা পুরোপুরি স্পর্শ করেছে । বাপরে এই না হল লেখার যাদু !
২৭ শে মে, ২০১২ রাত ৯:০৭
দূরদ্বীপবাসিনী_ বলেছেন: অজস্র শুভকামনা আপনার জন্য।
৩| ২৭ শে মে, ২০১২ রাত ৮:৩৩
নীল-দর্পণ বলেছেন: টুকটুকিটা একবারও বুজলোনা সবার কত ভালবাসা ওর জন্যে। সবভালবাসা উপেক্ষা করে এভাবে চলে যেতে পারলো!
লেখাটা দারুন লেগেছে
২৭ শে মে, ২০১২ রাত ৯:০৯
দূরদ্বীপবাসিনী_ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ নীলু!
অনেক ভালো থেকো সবসময়।
৪| ২৭ শে মে, ২০১২ রাত ৮:৩৬
ত্রাতুল বলেছেন: আমার একটা কাজিন আছে নাম টুলটুলি।
২৭ শে মে, ২০১২ রাত ৯:১০
দূরদ্বীপবাসিনী_ বলেছেন: আমি খুব আদরের এক ছোট বোনকে টুকটুকি বলে ডাকি।
৫| ২৭ শে মে, ২০১২ রাত ৮:৫২
বড় বিলাই বলেছেন: মায়া বাড়াতেই কি আসে এরা?
২৭ শে মে, ২০১২ রাত ৯:১১
দূরদ্বীপবাসিনী_ বলেছেন: তা-ই মনে হয়, আপু! এরা আসে , মায়া বাড়ায় আর একদিন হুট করে চলে যায়।
৬| ২৭ শে মে, ২০১২ রাত ৯:১৭
আহাদিল বলেছেন: এত্ত ছোট্ট একটা লেখায় এমন গভীর আবেগ ছড়িয়ে দেয়া যায়, গল্পটা না পড়লে অজানা থেকে যেত!
শুভ রাত, পিচকি!
ভালো থেকো অনেক!
২৭ শে মে, ২০১২ রাত ১১:৩২
দূরদ্বীপবাসিনী_ বলেছেন: আপনিও ভালো থেকেন আপু।
৭| ২৭ শে মে, ২০১২ রাত ৯:২২
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: অদ্ভুত! খুব কাছের মানুষদের মৃত্যু মানুষ কি টের পাই ভ্রমের মধ্য দিয়ে! কি জানি!
২৭ শে মে, ২০১২ রাত ১১:৩২
দূরদ্বীপবাসিনী_ বলেছেন: আমিও তাই ভাবি মাঝে মাঝে।
৮| ২৭ শে মে, ২০১২ রাত ১০:১৩
কালীদাস বলেছেন: লেখা ভাল হৈছে
২৭ শে মে, ২০১২ রাত ১১:৩৩
দূরদ্বীপবাসিনী_ বলেছেন: ধন্যবাদ।
আছেন কেমন?
৯| ২৭ শে মে, ২০১২ রাত ১০:৫৪
সায়েম মুন বলেছেন: লেখা অনেক টাচি। হুট করে একটা হোচট খেলাম।
আশা রাখি ভাল আছো। ভাল থেকো।
২৭ শে মে, ২০১২ রাত ১১:৩৩
দূরদ্বীপবাসিনী_ বলেছেন: ভালো আছি ভাইজান।
আপনিও ভালো থেকেন।
১০| ২৭ শে মে, ২০১২ রাত ১১:২৪
দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন:
মাঝামাঝি পড়ার পরেই মনে হলো শেষে অঘটন একটা হবে!
২৭ শে মে, ২০১২ রাত ১১:৩৭
দূরদ্বীপবাসিনী_ বলেছেন:
হুম।
১১| ২৭ শে মে, ২০১২ রাত ১১:৪৯
ভিয়েনাস বলেছেন: হৃদয় স্পর্শী লেখা...
২৮ শে মে, ২০১২ সকাল ৮:৪৮
দূরদ্বীপবাসিনী_ বলেছেন: ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা।
১২| ২৮ শে মে, ২০১২ রাত ১:৪৬
তেরো বলেছেন: কেনো এমন হয় ?
২৮ শে মে, ২০১২ সকাল ৮:৫০
দূরদ্বীপবাসিনী_ বলেছেন: কি জানি!
১৩| ২৮ শে মে, ২০১২ রাত ২:০৭
মুনসী১৬১২ বলেছেন: হৃদয় ছুঁযে গেল
২৮ শে মে, ২০১২ সকাল ৮:৫০
দূরদ্বীপবাসিনী_ বলেছেন: ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
১৪| ২৮ শে মে, ২০১২ রাত ৩:৩৫
রাতুল_শাহ বলেছেন:
সায়েম মুন বলেছেন: লেখা অনেক টাচি। হুট করে একটা হোচট খেলাম।
আমিও..।
গল্প হোক আর সত্যই হোক ..............এটা হৃদয় ছুঁয়ে গেছে
২৮ শে মে, ২০১২ সকাল ৮:৫০
দূরদ্বীপবাসিনী_ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকবেন।
১৫| ২৮ শে মে, ২০১২ সকাল ৭:০২
কালীদাস বলেছেন: দৌড়ায়া মরতাছি
আপনে কিরাম?
২৮ শে মে, ২০১২ সকাল ৮:৫২
দূরদ্বীপবাসিনী_ বলেছেন: দৌড়ের উপর ছিলাম। দম নিতেসি। :-<
১৬| ২৮ শে মে, ২০১২ সকাল ৯:৫২
এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: lots of emotion in your writing..feeling the pain of losing a "Tuktuki"..valo laglo
২৮ শে মে, ২০১২ বিকাল ৩:১১
দূরদ্বীপবাসিনী_ বলেছেন: থ্যাঙ্কস।
১৭| ২৮ শে মে, ২০১২ সকাল ৯:৫৩
ঘুমন্ত আমি বলেছেন: হঠাত্ করে ধাক্কা খাওয়ার মতো লেখা ।সুন্দর এবং আবেগী লেখা ।
২৮ শে মে, ২০১২ বিকাল ৩:১৮
দূরদ্বীপবাসিনী_ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১৮| ২৮ শে মে, ২০১২ বিকাল ৫:৪৮
মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: দারুণ, আপু।
০৫ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৩:৫০
দূরদ্বীপবাসিনী_ বলেছেন: থ্যাঙ্কস, আপু!
১৯| ২৯ শে মে, ২০১২ ভোর ৪:০৮
মিরাজ is বলেছেন:
০৫ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৩:৫৯
দূরদ্বীপবাসিনী_ বলেছেন:
২০| ৩১ শে মে, ২০১২ দুপুর ২:৪৩
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন:
অসাধারণ, দূরদ্বীপবাসিনী...
আগেই বলেছি ব্লগে কমেন্টের উত্তরে
০৫ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৪:০০
দূরদ্বীপবাসিনী_ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
(কমেন্টের ঘরে জানাতে পারিনি, এখন জানিয়ে দিলাম। )
২১| ০২ রা জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩০
জলঝিরি বলেছেন:
+++
০৫ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৪:০৩
দূরদ্বীপবাসিনী_ বলেছেন: ধন্যবাদ , প্লাসের জন্য।
২২| ০২ রা জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৮
বৃষ্টিধারা বলেছেন: অনেক ভালো লাগা ...
০৫ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৪:০৪
দূরদ্বীপবাসিনী_ বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৩| ০২ রা জুন, ২০১২ রাত ৯:৪৬
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: গল্প না সত্যি?? মন খারাপ করে দিয়ে গেল...
০৫ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৪:০৬
দূরদ্বীপবাসিনী_ বলেছেন: গল্প।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
২৪| ০৩ রা জুন, ২০১২ দুপুর ২:০২
এম চৌধুরী বলেছেন: :'( আহারে!
০৫ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৪:০৮
দূরদ্বীপবাসিনী_ বলেছেন: হুম।
২৫| ০৫ ই জুন, ২০১২ সকাল ৮:৩৬
প্রিন্সর বলেছেন:
০৫ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৪:১৩
দূরদ্বীপবাসিনী_ বলেছেন:
২৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:৩৪
বশিষ্ঠ বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে মে, ২০১২ রাত ৮:১৩
সরলতা বলেছেন: গল্প না সত্যি বুঝতে পারছিনা আসলেই!
তখনও আমার হাতে ধরা ছিল টুকটুকির টিয়া রঙের ফিতেটা।
--এই লাইনটাই অদ্ভুত। মায়া লাগে।