নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইয়াকুব আলি

বল আল্লাহ্‌ এক।

ইয়াকুব আলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মজবুত আর্থিক ভিত্তি নিশ্চিত করতে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম এর মাধ্যমে জাতিগতভাবে সঞ্চয় প্রবণতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরি

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩০

স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঞ্চয় প্রবণতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে একটি সার্কুলার জারি করে। সেখানে বলা হয়, স্কুলের শিক্ষার্থীরা নিজ নামে ব্যাংকে একাউন্ট ওপেন করতে পারবে। এই সার্কুলার বাস্তবায়নে এগিয়ে আসে বিভিন্ন বেসরকারি ও সরকারি ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার অনুসারে স্কুল ব্যাংকিং বা স্টুডেন্ট ব্যাংকিং-এর আওতায় ‘ইয়ং স্টার’ ‘ফিউচার স্টার’… ইত্যাদি উদ্দীপনাসূচক নামে ব্যাংকগুলো চালু করে আকর্ষণীয় স্কিম। অত্যন্ত সহজ শর্তে ওপেন করা শুরু হয় শিক্ষার্থীদের নিজের নামে ব্যাংক একাউন্ট। এই স্কিমের আওতায় যে কোন শিক্ষার্থী এক কপি ছবি, স্কুলের আইডি কার্ড ও নামমাত্র টাকা দিয়ে যে কোন ব্যাংকের যে কোন শাখায় ওপেন করতে পারে সেভিংস ব্যাংক একাউন্ট বা সঞ্চয়ী হিসাব। যে কোন অপ্রাপ্ত বয়সের শিক্ষার্থী মাত্র ৫/১০ টাকা জমা দিয়ে শুরু করতে পারে তার সঞ্চয়ী হিসাব। এই হিসাবে টাকা জমা করা না করার কোন বাধ্য-বাধকতা নেই। সপ্তাহের/মাসের/বছরের যে কোন এক বা একাধিক দিন তার হিসাবে জমা করতে পারে যে কোন পরিমাণ টাকা। এই হিসাব পরিচালনার জন্য কোনরূপ চার্জ নেয় না ব্যাংক। জমাকৃত টাকার উপর শিক্ষার্থীরা পেয়ে থাকে সর্বাধিক হারে মুনাফা বা ইন্টারেস্ট। তদুপরি, ব্যাংকভেদে শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে বা নামমাত্র মূল্যে পেয়ে থাকে জমাবই, চেকবই, ডেবিটকার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং ইত্যাদি সুবিধা। এই হিসাবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা স্বয়ংক্রীয়ভাবে পরিশোধ করতে পারে তাদের স্কুল-কলেজের বেতন-ফি। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার জন্য প্রয়োজনে ব্যাংক থেকে সহজশর্তে নিতে পারে শিক্ষাঋণ। আজকের একটি ছোট্ট ছেলে বা মেয়ে তার স্কুলের টিফিনের টাকা, ঈদ/পূজা, জন্মদিন বা অন্যকোন শুভদিনে প্রাপ্ত উপহারের টাকার কিছু অংশ নিয়মিত সঞ্চয় করতে থাকলে ১৫/২০/২৫ বছরের শিক্ষা জীবন শেষে যেয়ে মোট জমাকৃত টাকা এবং এর লাভসহ হাতে পাবে একটা মোটা অংকের টাকা; যা দিয়ে সে শুরু করতে পারবে ব্যক্তিগত ও জাতীয় উন্নয়নের জন্য আত্মকর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা। আমাদের সচ্ছলতার জন্য, ভবিষ্যেত উজ্জ্ল করার জন্য, মজবুত আর্থিক ভিত্তি নিশ্চিত করার জন্য স্কুল ব্যাংকিং-এর মত কার্যক্রমের মাধ্যমে জাতিগতভাবে সঞ্চয় প্রবণতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরি। দেশ ও জাতির দীর্ঘ মেয়াদি বৃহত্তর স্বার্থে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিবর্গ এখনই এ বিষয়ে সক্রিয় হবেন আশা করি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.