নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইয়াকুব আলি

বল আল্লাহ্‌ এক।

ইয়াকুব আলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসমতা দূর করে উন্নয়নের সুফল নিশ্চিতের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন সম্ভব

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৩

ধ্বংসের তিন অশ্বারোহী (দুর্নীতি, অযোগ্য আমলাতন্ত্র ও সামরিক অভ্যুত্থান) পক্ষপাতমূলকভাবে তৃতীয় বিশ্বের আকাশে বিচরণ করছে। মূলত এদের কারণেই তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় উন্নয়ন/অগ্রগতি অর্জন করতে পারছে না। এ তিনটি উপসর্গের সঙ্গে সুষম বণ্টনের অভাবকেও উন্নয়নের পথে একটি বড় ধরনের প্রতিবন্ধক হিসেবে দেখা যেতে পারে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আমরা এ উপসর্গগুলোর প্রত্যক্ষ উপস্থিতি লক্ষ্য করি। মুক্তিযুদ্ধের প্রধান লক্ষ্য ছিল দুর্নীতিমুক্ত স্বনির্ভর দেশ গড়ে তোলা। স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলাদেশ যখন অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় শামিল হতে যাচ্ছিল তখন দুর্নীতিও দুষ্টক্ষতের মতো বেড়ে উঠছিল। ১৯৭৫ সালের মধ্য আগস্টের অনাকাঙ্ক্ষিত রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে কালো মেঘের ছায়া নেমে আসে। সামরিক শাসনামলে দেশে দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার ঘটে।পরবর্তী সময়ে দেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রবর্তিত হলেও আমরা এখনও দুর্নীতির বিষবাষ্প থেকে নিজেদের মুক্ত করতে পারিনি। এছাড়া উন্নয়নের সুফল ন্যায্যতা অনুযায়ী সবার জন্য নিশ্চিত করতে পারিনি। ফলে বিত্ত-বৈভবের ব্যবধান দ্রুত বেড়েই চলেছে। এক সময় আমরা পাকিস্তানি ২২ পরিবারের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। এদের সবাই ছিলেন কোটিপতি। এখন আমাদের দেশে কোটিপতির সংখ্যা ৮০ হাজারেরও বেশি। এদের কারও কারও সম্পদের পরিমাণ অবিশ্বাস্য রকম বেশি। বিশ্বব্যাংকের রেটিং অনুযায়ী, বাংলাদেশ সম্প্রতি মধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি লাভ করেছে। এ অর্জনের জন্য আমাদের দীর্ঘ ৪৪ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। নিুম্নআয়ের দেশের কাতার থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে পারা যে কোনো দেশের জন্যই অত্যন্ত মর্যাদার বিষয়। আমরা সেই মর্যাদার অধিকারী হয়েছি। কিন্তু মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার গৌরব ক্ষণিকেই ম্লান হয়ে যেতে পারে, যদি আমরা সুষম বণ্টন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে না পারি। এছাড়া দারিদ্র্যবিমোচন করতে না পারলে কোনো অর্জনই সত্যিকারার্থে সুফল দিতে পারে না। সুষম বণ্টনব্যবস্থা নিশ্চিত এবং প্রতি বছর শ্রমবাজারে যোগ হওয়া নতুন মুখগুলোর কর্মসংস্থান করা না গেলে কোনোভাবেই কার্যকর ও স্থিতিশীল উন্নয়ন প্রক্রিয়া গতিশীল হতে পারে না। জাতীয়ভাবে বর্তমানে দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ২২ শতাংশের মতো। এক দশক আগেও এটা ছিল ৪০ শতাংশের কাছাকাছি। সুতরাং শতাংশের হিসাবে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা অনেক হ্রাস পেয়েছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.