![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সম্প্রতি দেশে কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসব হত্যাকাণ্ডের পর আইএস সম্পৃক্ততার কথা প্রচার করা হয়েছে, যা মূলত উদ্দেশ্যমূলক। এর নেপথ্যে রয়েছে একটা সংঘবদ্ধ চক্র। আইএস যেহেতু ভয়ঙ্কর জঙ্গীপনার সঙ্গে সম্পৃক্ত কাজেই ঐ নাম ব্যবহার করে ফায়দা লোটার অপচেষ্টা চলছে। ইতোপূর্বে দেশব্যাপী জেএমবির যে তৎপরতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল তা সরকারী কঠোর পদক্ষেপে বড় ধরনের হোঁচট খাওয়ার পর এরা আন্ডার গ্রাউন্ডে চলে যায়। কিন্তু ভিতরে ভিতরে এরা সংগঠিত হওয়ার তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। এরই ফল এসব রহস্যজনক হত্যাকান্ড। যার মধ্যে দুই বিদেশী নাগরিক হত্যা বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। জেএমবির এসব সদস্য ঘটনা ঘটানোর পর আইএসের নামে তা চালিয়ে দিতেও তৎপর রয়েছে। গোয়েন্দারা ইতোমধ্যে অনেকটাই নিশ্চিত যে দেশের অভ্যন্তর থেকেই এসব করা হচ্ছে। আর আইএস নামে প্রচারও ভুয়া। নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন জেএমবি সরকারের কড়া পদক্ষেপের কারণে বেশ কিছুদিন আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকার পথ বেছে নিতে বাধ্য হলেও এখন আবার কিছুটা সক্রিয় হয়ে মাঠে নেমেছে। ইতোমধ্যে জেএমবির কয়েক সদস্য ধরাও পড়েছে। চট্টগ্রামে সংগঠনের এক সামরিক কমান্ডার নিজের গ্রেনেড বিস্ফোরণে প্রাণও হারিয়েছে। এদের কাছ থেকে বেশকিছু অস্ত্রশস্ত্র, গ্রেনেড, গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক আন্দোলনে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে সুবিধা করতে না পেরে বিএনপি ও জামায়াতের সহযোগিতায় জেএমবি সদস্যরা মাঠে নামার সাহস করেছে এবং এর পাশাপাশি এদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা দিচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্রে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এদের উদ্দেশ্য হল সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ এবং দেশের ভাবমূর্তি বহির্বিশ্বে বিনষ্ট করা। দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে সরকারকে বিপদে ফেলা। এসকল কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত থাকে তারা আর যাই হোক দেশের যে ভালো চায় না তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। আসুন এদেরকে আমরা পরিহার করি।দেশের উন্নয়নে সরকারের সাথে সাথে ব্যক্তি উদ্যোগকে সমর্থন জানাই।
©somewhere in net ltd.