![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রকৌশলী খিজির হত্যা, মাওলানা ফারুকী হত্যা এবং দুই বিদেশী হত্যা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এসব হত্যাকান্ডে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জামায়াতে ইসলামী জড়িত। আইএসের সঙ্গে বাংলাদেশের কোন সম্পর্ক নেই। আন্তর্জাতিক কোন জঙ্গীগোষ্ঠীও দেশে সক্রিয় নয়। বিদেশী জঙ্গী নেই, তবে দেশীয় জঙ্গীদের পৃষ্ঠপোষক জামায়াত ষড়যন্ত্র করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় বানচাল করার অপচেষ্টা করছে। গুপ্তহত্যা, নৈরাজ্য, অপপ্রচারের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামী ও তাদের মিত্রদের দেশবিরোধী নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। জামায়াত ছদ্মনামে ও ছদ্মবেশে দেশে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। অর্থের জোগান দিয়ে হরকাতুল জিহাদ, আনসারউল্লাহ বাংলা টিম, জেএমবি- এসব জঙ্গী সংগঠনের নেপথ্যে রয়েছে জামায়াত-শিবির। জামায়াত জন্মলগ্ন থেকেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ছিল। এখনও তারা একই পন্থা মনে-প্রানে লালন করে। ‘হুকুমতে এলাহি’ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখা জামায়াতের গুরু সৈয়দ আবুল আলা মওদুদী ভারতের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিলেন। পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর উপাধি ‘কায়েদে আযম’কে ব্যঙ্গ করে তিনি ‘কুফুরে আযম’ বলতেন। প্রগতি ও ইসলাম একে অপরের পরিপূরক। অথচ দলটি সাম্প্রদায়িক উস্কানিকমূলক কাজের জন্য নিজেদের আঁতুরঘর পাকিস্তানেই দলটি দুইবার নিষিদ্ধ হয়েছিল। ভারতের শিবসেনা ও বাংলাদেশের জামায়াতের মধ্যে মৌলিক কোন পার্থক্য নেই। তারা মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। জামায়াতের পাপাচারের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রকৃত ইসলামী চিন্তাবিদ, হাক্কানী আলেম ওলামাদের কোন সম্পর্ক নেই। তাদের শ্লোগান সুন্দর কিন্তু মতলব খারাপ। তারা ইসলামের নাম ব্যবহার করে তরুণ মুসলিমদের বিভ্রান্ত করছে। রাষ্ট্রীয় বৈধ কর্তৃপক্ষ ছাড়া কোন ব্যক্তি বা দলের নির্দেশে কারও হত্যা বা মৃত্যুদন্ড ইসলাম সমর্থন করে না। ইসলাম প্রতিরোধে বিশ্বাসী, আগ্রাসনে নয়। মদিনায় অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে মহানবী (সা) তাঁর উম্মতদের এই শিক্ষাই দিয়েছেন। আমাদেরকেও একই শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।
©somewhere in net ltd.