![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৬ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে ছয়টি বেড নিয়ে বার্ন বিভাগ চালু করেন দেশের প্রথম প্লাস্টিক সার্জন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। অধ্যাপক সামন্ত লালের চেষ্টায় ২০০৩ সালে সেটি ৫০ বেডের পূর্ণাঙ্গ ইউনিট হিসেবে কাজ শুরু করে। ২০১০ সালের ৩ জুন পুরান ঢাকার নিমতলীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১২৭ জনের মৃত্যুর পর বার্ন ইউনিটের সক্ষমতা আরও বাড়ানোর বিষয়টি গুরুত্ব পায়। এ ইউনিটের বেড বেড়ে প্রথমে ১০০ ও পরে ৩০০ হয়। বার্ন ইউনিটের সক্ষমতা আরও বাড়ানোর বিষয়টির গুরুত্ব যে কতটুকু ২০১৪ সালে যারা অগ্নিদগ্ধ হয়েছিল এবং এতে প্রত্যক্ষদর্শীরা সাক্ষী হয়ে আছে আজও। এ শুধু প্রয়োজনই নয় সময়ের দাবী। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট’ নামের এই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার জন্য থাকবে ৫০০ শয্যার হাসপাতালে। চাঁনখারপুলে ১ দশমিক ৭৬ একর জমিতে এই ইনস্টিটিউট নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৩৪ কোটি টাকা। এখন থেকে দেশেই এখন বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের পুরনো বিল্ডিংগুলো অত্যন্ত আধুনিক এবং উন্নত যুগোপযোগী প্রযুক্তি সম্পন্ন হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ নির্মাণ করবে সরকার। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে হাসপাতালের নির্মান কাজ শেষ করবে সরকার। রাজধানীর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন সচিবালয় রোডে দেশের প্রথম ‘শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি’ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনের মাধ্যমে বাস্তবায়নের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বর্তমানে বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিষয়ে স্নাতকোত্তর এবং মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস এ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) এফসিপিএস ডিগ্রি দিলেও সেই উচ্চ শিক্ষার সুযোগ খুবই সীমিত। নতুন এই ইনস্টিটিউটের যাত্রা শুরু হলে প্রতিবছর গড়ে ১০ থেকে ১২ জন চিকিৎসক এ বিষয়ে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাবেন। অগ্নিদগ্ধ মানুষকে বাঁচানোর ক্ষেত্রে বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে।
©somewhere in net ltd.