নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এবং আমি

ইতিহাসের পেছনে ছুটি তার ভেতরটা দেখবার আশায়

মাহমুদ ইমতিআজ

সবসময় সত্য জানতে আগ্রহী

মাহমুদ ইমতিআজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিয়ন যখন কোটিপতি !!!!!!!!

১৯ শে জুন, ২০১১ রাত ১২:৩৭

নিন্ম আদালতে পিয়নও কোটিপতি



ঢাকা জেলা জজ এবং মহানগর দায়রা জজ, সিএমএম ও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৫০ জনের বেশি সেরেস্তাদার, পেশকার, নাজির, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, জারিকারক, মুদ্রাক্ষরিক, জেনারেল রেকর্ড অফিসার (জিআরও) আছেন, যারা দুর্নীতির মাধ্যমে নামে-বেনামে কোটি-কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোটিপতির এ তালিকা থেকে বাদ যাননি পিয়নরাও।



সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, এসব কর্মচারী একই আদালতে অনেকে ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে কাজ করছেন। দীর্ঘদিন একই আদালতে থাকায় তারা নিজেদের মধ্যে সিন্ডিকেট তৈরি করে লাগাতার দুর্নীতির সুযোগ করে নিয়েছেন। সূত্র আরো জানায়, আদালতগুলোর মধ্যে অর্থঋণ আদালত, ফৌজদারি আদালত ও সিভিল আদালতের কর্মচারীরা বেশি দুর্নীতিপরায়ণ।



এসব কর্মচারী বিভিন্নভাবে বিচারকদেরও দুর্নীতি করতে উৎসাহিত করেন বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত। নিজেদের অবস্থান ঠিক রাখতে তারা ঊর্ধ্বতন নাজির ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে মোটা অংকের টাকা মাসোহারা দেন বলেও অভিযোগ আছে।



জানা গেছে, রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর সেকশনের এ ব্লকের, ৮ নম্বর রোডের ১৯ নম্বর বিশাল বাড়িটি সিএমএম আদালতের সাবেক পিএ (বর্তমানে এও মাদারিপুর চিফ জুডিসিয়াল আদালত) এমএ মালেকের। প্রায় ৩ কাঠা জমির ওপর ২ ইউনিটের ৬ তলা বিল্ডিংয়ের বাড়িটি তিনি করেছেন ৫-৬ বছর আগে। ২০০০ সালের দিকে জমিটি কিনেছেন বলে জানা গেছে। বাড়ির ৩ তলায় তিনি নিজে থাকেন, অন্যতলার ফ্ল্যাটগুলো ভাড়া দিয়েছেন। বাড়ির সামনে তার ৮টি দোকানও রয়েছে। বাড়ি এবং দোকান থেকে মাসে প্রায় দেড় লাখ টাকা ভাড়া পান বলেও সূত্র জানায়। শেয়ারবাজারেও লাখ-লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন বলে জানা গেছে।



এ ব্যাপারে মালেক জানান, ওই বাড়িতে তিনি থাকলেও বাড়িটি তার নিজের নয়, শাশুড়ির, যিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নার্স ছিলেন; হাউজিং থেকে জায়গা বরাদ্দ পেয়ে বাড়িটি করেছেন। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের কথাও অস্বীকার করেন তিনি।



একই আদালতের পেশকার বদি হোসেন। রাজধানীর মগবাজারের আমবাগানের ২৫৪/১ নয়াটোলার ৪ তলা বিল্ডিংটি তার। ওই বাড়িতেই তিনি থাকেন। নিউমার্কেটের নিচতলায় ফারবী নামে একটি শাড়ির দোকান রয়েছে তার। আরেকটি দোকান আছে বসুন্ধরা গার্ডেন সিটিতে। এছাড়াও খুলনায় তার ব্যবসা রয়েছে বলে জানা গেছে।



পেশকার বদি হোসেনকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে বলেনÑ বাড়িটি তার পারিবারিক সূত্রে পাওয়া, দোকানগুলো তার বড় বোনের এবং খুলনায় তার কোনো ব্যবসা নেই। তার বড় মেয়ে এমবিবিএস পাস করেছেন এবং অপর মেয়ে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিতে পড়ছেন বলেও জানান তিনি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আরো বলেন, এ আদালতে অনেক বছর ধরে চাকরি করছেন এমন লোকজনের মধ্যে কমই আছেন, যাদের বাড়ি নেই।



ঢাকার চতুর্থ সহকারী জজ আদালতের সেরেস্তাদার ফখরুল ইসলাম কাজলের রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর উত্তর রায়েরবাগে (দোতলা মসজিদ রোড) রয়েছে ২ ইউনিটের ৬ তলার ফ্লাট বাড়ি। ওই রোডের ১৪ নম্বর বাড়ির পাশেই এর অবস্থান। আশপাশের অন্যান্য বাড়ির হোল্ডিং নম্বর থাকলেও তার বাড়ির কোনো হোল্ডিং নম্বর পাওয়া যায়নি। রাজধানীর শনির আখড়ার প্রধান সড়ক থেকে বাঁ দিকে তাকালে বাড়িটি নজরে পড়বে। বাড়ি ছাড়াও নামে-বেনামে তার অনেক ভূসম্পত্তি রয়েছে বলেও সূত্র জানায়। অভিযোগ খণ্ডন করে ফখরুল ইসলাম কাজলও জানিয়েছেন, বাড়িটি তিনি পারিবারিক সূত্রে পেয়েছেন।



জেলা জজ আদালতের পেশকার রশিদ ভূঁইয়ার নারায়ণগঞ্জের তারাব পৌরসভার উত্তর রূপসিতে ২টি ২ তলা বাড়ি রয়েছে। এছাড়া একই এলাকায় প্রায় দেড় বিঘার ওপর একটি বাগান বাড়িও আছে তার। এছাড়াও নামে-বেনামে তার অনেক টাকার সম্পদ রয়েছে বলে সূত্র জানায়।



এ ব্যাপারে রশিদ ভূঁইয়া জানান, তার একটি মাত্র বাড়ি রয়েছে। বাড়িসহ অন্যান্য সম্পদ তার পারিবারিক সূত্রে পাওয়া। ঢাকায় কষ্ট করে তিনি ভাড়াবাড়িতে থাকেন। তার এক ছেলে ব্রাক ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করে বর্তমানে গ্রামীণফোনে চাকরিরত। এক মেয়ে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়ছে।



এছাড়াও অর্থঋণ আদালতের সেরেস্তাদার আহাম্মদ আলী, সেরেস্তাদার মো. লোদী, পিয়ন কামাল, আলমগীর, সিএমএম আদালতের পেশকার রহিম নেয়াজ, পিয়ন মোফাজ্জেল, সফিক, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পেশকার বজলুর রহমান, রাশেদ দেওয়ান, মোজাম্মেল হোসেন, হাসিবুর রহমান মাসুদ, জেলা জজ আদালতের দর্পন, নাজির সুবল সাহা রায়, বাকির হোসেন মৃধা, পরিবেশ আপিল আদালতের পেশকার সামসুজ্জামান, জারিকারক রহমান, ৭ নম্বর বিশেষ ট্রাইবুনালের পিয়ন নাইমুদ্দিন দুর্নীতির মাধ্যমে প্রচুর অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।



অন্যদিকে ঢাকা সিএমএম আদালতের জিআর শাখায় জিআরও দৌলত মুন্সী ও জিআরও সহকারীরাও ব্যাপক দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছেন বলে জানা গেছে। এখানে দুর্নীতির মাত্রা এত বেশি যে, ১ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিয়ে এসব পদে বদলি হয়ে আসতে হয়।



[বি.দ্র: সব নাম পরিবর্তন করে উল্লিখিত]

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুন, ২০১১ রাত ১২:৪৩

ভুদাই বলেছেন: আমাদের ব্লগেও এক পিওন("স" দিয়ে নাম শুরু) তার মনিবের টাকা মেরে এখন কম্পিউটারের দোকান দিয়েছে।

১৯ শে জুন, ২০১১ রাত ১২:৫৪

মাহমুদ ইমতিআজ বলেছেন: তাইলে হে্ও একদিন কোটিপতি হইব।

২| ১৯ শে জুন, ২০১১ রাত ১২:৫৫

শিবলী নোমান বলেছেন: আমাদের ব্লগেও একটা পিয়ন আছে,যেকিনা জাতে উঠতে চায়

৩| ১৯ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:১৬

নািজয়া বলেছেন: ভাইয়া দারুন তথ্য।সবগুলো তথ্য কি সঠিক?

২৬ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:৪৬

মাহমুদ ইমতিআজ বলেছেন: আলবত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.