নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এবং আমি

ইতিহাসের পেছনে ছুটি তার ভেতরটা দেখবার আশায়

মাহমুদ ইমতিআজ

সবসময় সত্য জানতে আগ্রহী

মাহমুদ ইমতিআজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুলিশের পক্ষে সাফাই গাইলেন যুবলীগ নেতা আরিফ : কোম্পানীগঞ্জে কিশোর মিলন হত্যা

১১ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:৩৭

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার টেকের বাজারে ২৮ জুলাই সকালে পুলিশের গাড়ি থেকে মিলনকে ছিনিয়ে নিয়ে উত্তেজিত জনতা গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে। পুলিশ ভ্যান থেকে গণপিটুনির জন্য মিলনকে নামিয়ে দেয়নিÑ গতকাল এডিশনাল ডিআইজি বিশ্বাস আফজাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন তদন্তকারী দলের সামনে এভাবেই পুলিশের পক্ষে সাফাই গেয়ে নতুন কথা শোনালেন যুবলীগ নেতা মাহবুবুর রহমান আরিফ।



তিনি বলেন, ডাকাতের গুলিতে রিকশা চালক মাসুদ নিহত হলেও মিডিয়া সে বিষয়টি তুলে আনছে না। ডাকাতের অত্যাচারে অতিষ্ঠ জনতা যখন ডাকাত (মিলন) মেরে ফেলল তখন তার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এলাকাবাসীর পক্ষে যুবলীগ নেতা একাই কথা বলেছেন। এডিশনাল ডিআইজি এ সময় আরিফের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বলেন, হত্যা-হত্যাই। তা সে ডাকাত হোক কিংবা ভালো মানুষ হোক। সব হত্যার একই শাস্তি।



এদিকে নিহত মিলনের মায়ের দাখিল করা পিটিশনটি কোম্পানীগঞ্জ থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার রাতে তা রেকর্ড করেছে কোম্পানীগঞ্জ থানা (মামলা নং-০৪)। মামলায় জামাল উদ্দিন মেম্বার ও নিজাম উদ্দিন মানিককে আসামি করা হয়েছে।



কিশোর মিলন হত্যার ঘটনায় গতকাল দ্বিতীয়বারের মতো ঘটনাস্থল তদন্তে আসেন এডিশনাল ডিআইজি বিশ্বাস আফজাল হোসেন। এর আগে তিনি কোম্পানীগঞ্জ থানার অভিযুক্ত চার পুলিশকে পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।



নোয়াখালীর পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ হাযারী আমাদের সময়কে বলেন, কোম্পানীগঞ্জ থানার প্রত্যাহারকৃত ওসি মো. রফিক উল্যাহ, এসআই আকরাম উদ্দিন শেখ ও দুই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।



নিহত মিলন ডাকাত ছিল কিনাÑ এমন প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, পুলিশের খাতায় মিলনের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই।



দুপুরে তদন্তকারী দল চরকাঁকড়ার আমিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে মিলনের খালাতো বোন চুমকি ও তার পরিবারের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এ সময় স্কুলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন মিলনকে ডাকাত প্রমাণ করার জন্য গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে চেষ্টা করেন। মিলন হত্যা মামলার দ্বিতীয় আসামী নিজাম উদ্দিন মানিকের স্ত্রী সংরক্ষিত ইউপি সদস্য ফেরদৌস আরা মায়া ও ৯নং ওয়ার্ড সদস্য মো. হানিফ সবুজ বলেন, ডাকাত মিলনকে বলে মনে হওয়ায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছিল।



তদন্তকারী দল গতকাল চর ফকিরা গ্রামে মিলনের মা কহিনুর বেগমের সঙ্গে দেখা করেন। এডিশনাল ডিআইজি এসময় ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষিদের দৃষ্টান্তকমূলক শাস্তির আশ্বাস দেন।



এদিকে টেকের বাজার ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকাবাসী বলেন, নিহত মিলনকে ডাকাত প্রমাণ করতে পারলে হত্যা মামলা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। এলাকায় বর্তমানে এমন প্রচারণাই চলছে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১:০৩

দিদুমিয়া বলেছেন: Click This Link

২| ১১ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ১০:৪২

অলস শরীফ বলেছেন: কোনও বিচার হবে না দুদিনের নাটক তারপর গায়েব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.