নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Ekhtiak Ebna Ahsan Efat

ভালো মন ছাড়া মানুষ আর স্বাদহীন ইলিশ মাছ একই কথা

ইখতিয়াক ইবনে আহসান ইফাত

আমি আমার সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না। আমার পরিচিতরা জানতে পারে।

ইখতিয়াক ইবনে আহসান ইফাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

আহমেদ সাহেব ও লটারি

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭

আহমেদ সাহেব অঙান হয়ে পড়ে আছেন। তার হাতে একটা পত্রিকা শক্ত করে ধরা। তাকে উঠানোর জন্য নানা রকম পদ্ধতির অবলম্বন করা হচ্ছে। কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। সিনেমার অঙান না, সেরাম অঙান। কয়েকবার পানির ছিটাও দেয়া হলো। কাজের কাজ কিছুই হলো না। এর পিছনে অবশ্য এক করুন ঘটনা আছে।



২দিন আগের ঘটনা,

আহমেদ সাহেব পত্রিকা নিয়ে বসেছেন। আজ লটারির ড্র ছাপানোর কথা। ১০টাকার লটারি কিনেছিলেন। ১ম পুরষ্কার ১ কোটি টাকা, ২য় ১০ লাখ, ৩য় ১ লাখ। সাথে আরো কিছু হাবিজাবি পুরষ্কার। পত্রিকার পুরোটা খুজে দেখলেন, কোথাও ড্রর কথা চোখে পড়ল না। হয়তো মিস করছেন ভেবে আরেকবার খোজা আরম্ভ করলেন। আরে এইতো, ১৩ নাম্বার পেজের নিচে ছাপা হয়েছে। লটারির টিকেটটা হাতে নিয়ে শেষ পুরষ্কার থেকে মিলাতে শুরু করলেন। প্রথম থেকে মিলানো শুরু করে বোকারা। ১৫তম থেকে ৪র্থ কোনটার সাথেই মিলছে না। ধূর. মনে হয় মিলবেই না। এবার ২য় আর ৩য় টা দেখলেন, এটাও মিলল না। ১ম টার দিকে তাকালেন। ১৩৪৬৭৯২..... পাঁচ। আরে, মিলে গেছে। প্রথমে বিশ্বাসই হলো না। আরো কয়েকবার মিলিয়ে দেখলেন। না ঠিকই আছে। তিনি এখন কোটি টাকার মালিক। এই টাকা দিয়ে তিনি কি কি করবেন সেই স্বপ্ন গুলো চোখে ভাসতে শুরু করলো। আরেকবার লটারির টিকেট টার দিকে তাকালেন। এটাই তার স্বপ্নের টিকেট, কোটি টাকার ধন, জীবনের অমূল্য রতন। হঠাত্‍ করে তার স্বরে পেপে করে উঠলো মোবাইলটা। ফোনটা হাতে নিলেন বসের কল। ধূর, এই বেটা এই সময়ে কল দিলো কেন।



আহমেদঃ হ্যালো স্যার।

বসঃ আহমেদ তুমি কই? অফিসে আসছো না কেন? এত লেট কেন?

আহমেদঃ স্যার, আজ আসতে পারবো না। একটা জরুরি কাজ আছে।

বসঃ হোয়াট! তুমি ইদানিং অনেক অফিস মিস দিচ্ছো। আজকে না এলে চাকরি নট করে দিব।

রেগে গিয়ে বলল আহমেদঃ আরে যা যা। তোর ঐ ২০ হাজার টাকার চাকরি কোন গাধায় করে। তুই আর কি চাকরি নট করবি? আমিই নট করে দিলাম। আর তোর দরকার হলে আমার কাছ থেকে একমাসের বেতন নিয়ে যাস। যতসব গরিব মিসকিন!

বসঃ হোয়াট! ইডিয়েট। তোমার চাকরি নট। ডিসমিস।



ফোনটা কেটে দিলো আহমেদ। দরকার নেই এই চাকরির। সে নিজেই এখন কোটি পতি। হঠাত্‍ তার পাওনাদারদের কথা মনে পড়লো। অনেক জ্বালিয়েছে এরা। এদের জ্বালায় অনেকদিন বাথরুমেও লুকিয়ে ছিলেন। সব পাওনাদারকে ফোন করে আগামি মাসে আসতে বললেন। সব দেনা পাওনা মিটিয়ে দিবেন। লাগলে তারা কিছু ধারও নিতে পারে তার কাছ থেকে। কোটি টাকা দিয়ে কি কি করবেন, তা নিয়ে ভাবতে লাগলেন। একটা ফ্লাট কিনবেন। গাড়ি হবে। ভালো জামাকাপড়, খাবার দাবার। বউটাকেও চেন্জ করতে পারলে মন্দ হতো না। আফসোস। এইসব ভাবতে ভাবতেই সেইদিন এবং তার পরের দিন পার করে দিলেন। তার পরেরদিন পেপার হাতে নিয়ে পড়ছেন। সব ঘটনাই আজকে মজার লাগছে। হত্যা ঘটনা পড়ে ভাবলেন মৃতের আত্নীয়দের ২০ হাজার টাকা দেওয়া যায়। একটা মেয়ের পড়া শুনা টাকার অভাবে বন্ধ, একে পড়াশুনার জন্য কিছু টাকা দিলে ক্ষতি কি। ইফাত নামের নিরিহ বাচ্চাটা টাকার অভাবে নেট চালাতে পারছে না, একেও কিছু টাকা দেওয়া যায়। এভাবে প্রায় সব পাতা পড়ে ফেললেন। পড়তে পড়তে শেষ পাতায় একটা বিঙ্গপ্তি চোখে পড়লো। বিঙ্গপ্তি পড়তে না পড়তেই আহমদ সাহেব অঙান।



বিঙ্গপ্তিটায় লেখা ছিলঃ

১ দিন পূর্বে অমুক তুমুক লটারির যে ড্র প্রকাশ করা হয়েছিল, তার প্রথম পুরষ্কারের টিকেট নাম্বারটা ভূল ছাপা হয়েছিল। শেষ ডিজিটটা আসলে পাঁচের বদল ৬ হবে। অনিচ্ছাকৃত এ ভূলের জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: চালিয়ে যান লেখা । চেষ্টা করতে থাকেন । ধন্যবাদ।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:১৬

ইখতিয়াক ইবনে আহসান ইফাত বলেছেন: চেষ্টা করছি ভাই। ধন্যবাদ

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪

হেডস্যার বলেছেন:
আম ছালা সব গেল

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:১৭

ইখতিয়াক ইবনে আহসান ইফাত বলেছেন: সাপ ও মরলো না, লাঠিও ভাংলো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.