নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এহসানুল হক হোসেন

এহসানুল হক হোসেন

অন্ধকার ঘনীভূত, তবু স্বপ্ন দেখি, কারণ আমি জানি অগণিত আলোর পথযাত্রী বাড়ছে অগোচরে.....

এহসানুল হক হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মৃতিচারণ ★

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১৮





কৈশোরের অনেক স্মৃতিই আজো উঁকি দেয় মনে। জানালায় তাকিয়ে আকাশ দেখি আর ভাবি কৈশোরটা আসলেই সুখের ছিলো। সারাদিন ঘুরে বেড়ানো, খেলাধুলা কতকি.......

আজ সেই দিনগুলো খুবই মনে পড়ে।



প্রতি বছরই বন্ধুরা সবাই মিলে ফুটবল কিনতাম। আমার স্পষ্ট মনে আছে তখন আমরা ক্লাস নাইনে পড়ি। একটা ভালো বল কিনার জন্যে বন্ধুরা সবাই মিলে ধান কাটলাম মাঠে.....। বল কিনার জন্যে বাড়ি থেকে হেটে চলে গেলাম ভৈরব! তখন ৪৫০টাকা দিয়ে একটা বল কিনলাম।

ডিয়ার বল! বল কিনে কি আনন্দ! সবাই মিল আবার হেটেই ফিরলাম বাড়িতে।

বাড়ি ফিরে যেন সময় কাটছে না! কখন বিকেল হবে? অপেক্ষা করছিলাম। হঠাৎ দেখি বন্ধুরা বল নিয়ে নেমে গেছে মাঠে আর ডাকছে সবাই আসার জন্যে। দিলাম দৌড়.......



ফুটবলে আমি তেমন পারদর্শী নয়।

আমাদের মাঝে যারা খুব ভালো ভেলতো তাদের মধ্যে শুভ, কামাল, নুরে আলম, অন্যতম।

নুরে আলম অনেক ভালো খেলতো।

আর কামালে যে স্ট্যামিনা! সারা মাঠতো ওর দখলে!! শুভও খেলতো দারুন! তবে যেটা না বললেই নয়, যেটা আমার জন্যে চিরন্তন সত্য সেটা হলো অন্য কোনো টিমের সাথে খেলা থাকলে মাঠে নামার সুযোগ আমার থাকতো না বললেই চলে! আমি সুযোগ পেয়েছি কম! মাঝে মাঝে সুযোগ পেলেই ভাগ্যবান মনে করতাম। তবে মন খারাপ হতো না কোন দিন।



মৌসুমের প্রথম ফুটবল ম্যাচ খেলবো আজ কি আনন্দ! ম্যান ভাগ করা হয়েগেছে। আমার দলে ছিলো কামাল, নুরে আলম, মন্টু......

আর বিপক্ষ দলেও ছিলো অনেক ভালো প্লেয়ার। তাদের মধ্যে মিজান সে দলের গোলরক্ষক।

খেলা চলছে.......



হঠাৎ করে আমাদের দল পেয়ে গেলো পেনাল্টি কিক এর সুযোগ!

কামাল কিক করার দায়িত্ব দিলো আমাকে, তবে গোল করতে হবেই!

আমি ঠিক করলাম বছরের প্রথম ম্যাচে প্রথম গোল!

যে করেই হোক গোল করবোই!

দলকে জয়ী করবো এই চিন্তা। অন্য দিকে মিজান গোলরক্ষক, গোল হতে দিবেনা সে!

কিক করার মুহুর্ত। আমি কয়েক পা পিছন থেকে একটু দৌড়ে এসে দিলাম কিক.........।

মিজান ধরার জন্যে লাফিয়ে হাত বাড়ালো।



দুর্ভাগ্য আমার! এবং দুর্ভাগ্য মিজানের!



বল মিজানের নিয়ন্ত্রনে ছিলো না ঠিক। তবে বল লেগে ছিলো ডান হাতের কব্জির একটু নিচে। ছিটকে পিছনে পড়লো মিজান। বল গোলে ডুকলো কিনা খেয়াল করিনি, দৌড়ে গিয়ে মিজানকে ধরলাম। মিজান চিৎকার করছে... আমারও কান্না চলে এলো....

হাতটা মিজানের ভেঙ্গে গেছে!

সবাই ওকে ধরে বাড়ি নিয়ে গেলাম।

ঐদিনের মতো খেলা এখানেই শেষ।

দুদিন পর মিজান কে দেখতে গেলাম

কি যে কষ্ট লাগলো,

নিজেকে অনেক অপরাধী মনে হলো।

মিজানের পাশে গিয়ে বসলাম ভয়ে ভয়ে..

ওর সাথে অনেকক্ষণ সময় দিয়ে ফিরলাম আমি খেলার মাঠে!

ঐবছর মিজান আর খেলেনি।

এর পরের বছর ঠিকই আবার নেমেছে সে খেলার মাঠে!



এরপরের বছরের ঘটনা! তখনআমরা ক্লাস টেনে। প্রতি বিকেলেই জমতো খেলা। মাঝে মাঝেই পাশের গ্রামের সাথে খেলা থাকতো। এক বিকেলে শ্রীনগরের সাথে খেলা। মাঠে নামলাম আমরা। খেলা চলছে। বল নিয়ে ছুটছি আমরা। গোলপোস্টের কাছাকাছি কিক করার জন্যে প্রস্তুত। হঠাৎ যেন কয়েক জনের সাথে ধাক্কা। পড়ে গেলাম আমি।উঠে দাড়ালাম কষ্ট করে। কিন্তু আর খেলা সম্ভব নয়। ডান পায়ের হাটুতে লেগেছে খুব। হাটু ঘুরেগেছে একটু!

ভাইয়ের কাধে ভর করে ফিরলাম বাড়ি।

ভাগ্যিস পা টা ভাঙ্গেনি!

দীর্ঘ দিন পর আবার স্বাভাবিক হাটতে পেড়ে খেলার ইচ্ছে হচ্ছে খুব। দৌড়ালাম মাঠে....



কি মজা! সবাই আবার এক সাথে মাঠে!!!

এখন সবাই একসাথে হলেও, মাঠে আর একসাথে হয়ে উঠেনা!!!



সেই দিনগুলো.....

সেই দুরন্তপনা, সেই বন্ধু, সেই খেলার মাঠ আজও খুব মনে পড়ে.........





এহসানুল হক হোসেন

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২৮

এন ইউ এমিল বলেছেন: সেই দিন গুলো এখন কেবলই স্বপ্ন :(

২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:১৪

ফারদীন নিশ্চিন্ত বলেছেন: সেই দিনগুলো আজ আর নেই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.