![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইয়াসমিন আক্তার ইতি। আমি asst. officer at https://www.mylighthost.com/. Thanks for the read.
ডেডিকেটেড সার্ভার এর কথা শুনলে সবাই মনে করে হয়ত অনেক জটিল কিছু। আসলে,ভয়কে জয় করাই সাহসী মানুষের কাজ। আর তাই ডেডিকেটেড সার্ভার নিয়ে সমস্ত ভয়কে আজ আমরা জয় করে নেব। চলুন তাহলে এবার ডেডিকেটেড সার্ভার নিয়ে আলোচনা করি।
ডেডিকেটেড সার্ভার কি?:- ডেডিকেটেড সার্ভার নিয়ে সমস্ত ভয় দূর করতে গেলে আগে আমাদের জানতে হবে ডেডিকেটেড সার্ভার কি? Dediceted server হল নিজস্ব সম্পদের মত । এটা আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী ব্যাবহার করতে পারবেন।আপনি যেমন আপনার কম্পিউটার এ মাদার বোর্ড, Ram, HDD, processor ইত্যাদি নিজের পছন্দ মত ব্যাবহার করেন। ঠিক তেমনি ডেডিকেটেড সার্ভার ও ব্যাবহার করতে পারবেন।শুধু পার্থক্য হল Computer আপনি নিজে ব্যবহার করতে পারেন, আর Server সবাই ব্যবহার করতে পারে তাও আবার যে কোন জায়গা থেকে, শুধু তার জন্য লাগে Bandwidth connection আর একটা (Real IP Address) । যার মাধ্যমে যে কোন জায়গা থেকে Access করে আপনার প্রয়োজনীয় কাজ করে নিতে পারেন। কি বন্ধুরা এবার বুঝতে পারলেন তো dedicated server কি, আর কি ভাবে এইটা ব্যবহার করা যায় । পড়তে থাকুন পরে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
ডেডিকেটেড সার্ভার কাদের জন্য প্রয়োজন:- মনে করুন ১ টা গ্রুপ এ ১০ জন মানুষ আছে । তাদের প্রত্যেকের চিন্তা ধারা আলাদা। কেউ চাই চাকুরী করে জীবিকা নির্বাহ করতে, কেউ চাই টিউশনি করে জীবিকা নির্বাহ করতে, আবার কেউ চাই নিজেই একজন কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা হতে। যরা নিজেরাই একজন কোম্পানির মালিক হতে চাই তাদের জন্যই ডেডিকেটেড সার্ভার। ডেডিকেটেড সার্ভার কিনে অনলাইনে খুব সহজে ব্যবসা করা যায়।
যে কোন কাজ হঠাৎ করে করলে তাতে ফল ভালো হয় না। কথায় আছে ভাবিয়া করিও কাজ,করিয়া ভাবিয় না । তাই আপনাকে ডেডিকেটেড সার্ভার কেনার পূর্বে কিছু বিষয় নিয়ে চিন্তা ভাবনা করেতে হবে। আসুন এবার সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করি।
ডেডিকেটেড সার্ভার কিভাবে কাজ করে? :- ওয়েব সাইট এর রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য ডেডিকেটেড সার্ভার ব্যাবহার করা হয়। খরচ কমানর জন্য hosting ব্যাবহারকারীরা নিজেদের মাঝে ভাগাভাগি করে সার্ভার ব্যাবহার করে। সার্ভার ভাগাভাগি করে ব্যাবহারের ফলে নিরাপত্তা বাবস্থা ও visitor loading speed যেন কমে না যায় যায় সেই দিকটা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ডেডিকেটেড সার্ভার ব্যাবহার করা হয়। ডেডিকেটেড সার্ভারের সুবিধাগুলি উন্নত কর্মক্ষমতা, উন্নত নিরাপত্তা এবং উন্নত নিয়ন্ত্রণ বাবস্থা।
ডেডিকেটেড সার্ভারের বৈশিষ্ট্য:- এক নজরে ডেডিকেটেড সার্ভারের বৈশিষ্ট্য দেখে নিই।
ডেডিকেটেড সার্ভারের দাম বেশি।
CPU বাবস্থা উন্নতমানের হয়।
RAM এ space বেশি থাকে।
Disk space বেশি থাকে।
উন্নতমানের internet connection speed থাকে।
ইউনিক ip অ্যাড্রেস থাকে।
নিজের পছন্দ অনুযায়ী সফটওয়্যার install করা যায়।
ডেডিকেটেড সার্ভার এর সুবিধা:- অন্যান্য সার্ভারের চেয়ে ডেডিকেটেড সার্ভারে বেশি সুবিধা পাওয়া যায়। technical কোন সমস্যা হলে নিজের ইচ্ছা মত সমাধান করা যায়। ডেডিকেটেড সার্ভার ব্যাবহারের ফলে আপনি নিজেই অনলাইনে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
নির্ভরযোগ্যতা :- ডেডিকেটেড সার্ভিস ব্যাবহারের ফলে আপনার নির্ভরযোগ্যতা কেমন হবে তা নিশ্চিত করে নিতে হবে।ডেডিকেটেড সার্ভারটা কারোর সাথে ভাগাভাগি করতে হবে কিনা জেনে নিতে হবে। আপনার সার্ভিসটি চলমান কিনা জেনে রাখতে হবে।
সার্ভার ম্যানেজমেন্ট:- সার্ভার ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। জেনে নিতে হবে আপনাকে প্রতিমাসে পেমেন্ট করতে হবে কিনা বা advance পেমেন্ট করতে হবে কিনা। আপনাকে ব্যাকআপ stroage কেমন দিবে, বা ব্যাকআপ stroage এর পেমেন্ট কেমন করতে হবে এ বিষয় গুলো জানতে হবে।
নেটওয়ার্ক আপটাইমঃ- যে কোম্পানির কাছ থেকে আপনি ডেডিকেটেড সার্ভার টা কিনবেন তারা কেমন আপটাইম দিবে সে বিষয় টা জেনে রাখা খুবই জরুরি। অনেক কোম্পানি 99.99% আপটাইম গ্যারান্টি দেয়। এর মানে হলে আপনার ওয়েব সাইটটা প্রতিদিন 8.6 সেকেন্ড ডাউঁন টাইম থাকবে। মনে করুন, আপনি অনলাইনে একটা ওয়েব সাইট এ ভিজিট করতে গেলেন তো দেখলেন সাইটটা access করছে না।পরে হয়ত ওই ওয়েব সাইটটাতে আপনি আর ভিজিট করতে আগ্রহ অনুভব করবেন না। ঠিক তেমনি আপটাইম গ্যারান্টি সার্ভিস ভালো না দিলে আপনার ওয়েব সাইট এর ভিজিটর কমে যাবে এতে আপনার ব্যবসা ক্ষতি হবে।
অপারেটিং সিস্টেম সাপোর্ট :- আপনার পছন্দের কোম্পানি অপারেটিং সিস্টেম সাপোর্ট কেমন দিবে তা নির্ধারণ করে নিতে হবে। লিনাক্স বা অন্য কোন সিস্টেম এর জন্য কোন চার্জ নেওয়া হয় কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে। অপারেটিং সিস্টেম সাধারণত ডেডিকেটেড সার্ভার প্লান এর উপর নির্ভর করে ।তাই আপনাকে সিস্টেম সাপোর্ট এর কথাটা ভাবতে হবে।
ব্যান্ডউইথ :- আপনি ব্যান্ডউইথ সার্ভিসটা কেমন পাবেন সেটা কিন্তু মূল একটা বিষয়। কারণ আপনার ওয়েব সাইটটা অনলাইনে একটিভ দেখানোর জন্য ব্যান্ডউইথ এর প্রয়োজন। আপনার ওয়েব সাইটটা যদি অনলাইনে একটিভ না থাকে তাহলে আপনি সার্ভার কিনে কি করবেন?এতে আপনার সাইট থেকে ভিজিটর কমে যাবে। তাই আপনাকে ব্যান্ডউইথ এর কথা মাথায় রাখতে হবে।
ই-মেইল সুবিধা:- অনেক সময় সাইটে স্প্যাম জনিত সমস্যা দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে আপনার পছন্দের কোম্পানি কেমন ইমেইল সুবিধা দিবে সেই বিষয়টা জেনে রাখতে হবে।
নিরাপত্তা বাবস্থা :- সার্ভিস এ কেমন নিরাপত্তা পাবেন সে বিষয়টা খেয়াল রাখতে হবে। আপনার ডাটা সেন্টার এ এ অবস্থিত ডেডিকেটেড সার্ভারগুলি কেমন সুরক্ষিত আছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। সার্ভার জনিত কোন সমস্যা হলে, কেমন সমাধান দিবে সেটা জানতে হবে।
পরিসেবা :- আপনি প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা ও বছরে ৩৬৫ দিন পরিসেবা পাবেন কিনা জানতে হবে। যে কোন প্রকার ত্রুটিতে তারা কেমন সেবা প্রদান করবে এটা নিশ্চিত হতে হবে।
আজ অনেক কথায় হল। ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। লেখিকা ইয়াসমিন আক্তার ইতি। MyLightHost এর সহকারী কর্মকর্তা।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৪
আক্তার ইতি বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাল লাগল
পোষ্টে +++
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৪
আক্তার ইতি বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫
স্রাঞ্জি সে বলেছেন:
অনেক ঝামেলার কড়চা।
পোস্টে +++
৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: আইটি রিলেটেট ব্যাপার গুলো আমি কম বুঝি।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৫
আক্তার ইতি বলেছেন: চেষ্টা করতে থাকুন। ধন্যবাদ ।
৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩
ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: ভালো লিখেছেন আপু। এসব সম্পর্কে আমার ধারণা খুবই কম।
৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২০
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
দারুন পোস্ট ।
বাসা বাড়িতে অনেকেই ডেডিকেটেড লাইন নেয় । সেগুলো আমার মনে হয় না যে ডেটিকেটেড ।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।