| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১
অনেক দিন সিগারেট ছেড়েছি
ফুসফুসের বিদ্রোহে
শ্বাসকষ্ট বড় কষ্ট যার হয় সে বোঝে
কিন্তু আমি সিগারেট ছেড়েছি বলে সিগারেটের দোকান উঠে যায়নি
নানা কাজে পান সিগারেটের দোকানে তো যেতেই হয়
চেয়ে দেখি থরে থরে সাজানো সিগারেটের প্যাকেট
কালে ভদ্রে আমিও হঠাৎ সিগারেটের দাম জানতে চাই
যেহেতু অনেক দিন ছেড়েছি তাই দাম শুনে চমকে ওঠার ভান করি
দিতে বলি পাঁচটা সিগারেট
দোকানী ছেলেটি দেয় আর বড় বড় চোখ করে বলে
আপনি না সিগারেট ছেড়ে দিয়েছিলেন!
সেই সিগারেট বাড়িতে নিয়ে আসি, বইয়ের সেলফে গুঁজে রাখি
এবং অবশ্যই ধরা পড়ি স্ত্রীর কাছে
বাঙালি মধ্যবিত্ত গৃহকত্তা সকলেই জ্ঞানী পুরুষ হন
আমি বাদ যাই কেন
স্ত্রীকে বোঝাতে তাই বেশি সময় লাগে না
জর্দাপানে তাঁরও অভিনিবেশ বেশ গাঢ়
একটা স্ত্রীকে দিয়ে নিজে একটা নিজে ধরিয়ে
চায়ের টেবিলে বসে আলাপ জুড়ি
বিগত জীবনের ভুলে ভরা কথা বলি;
বলতে গিয়ে নিজের কাছেই কেমন যেন ধরা পড়ি
তবু সে নিঃসঙ্গের সঙ্গী; কত বিফল বিশুষ্ক রাত পার করতে
সিগারেটই তো ছিল ভরসা, আর কে ছিল
শুষ্কমুখের দু’একজন বন্ধু ছাড়া
অথচ ভিতুর ডিম আমি, সি ও পি ডি’র ভয়ে সিগারেট ছেড়ে
খুব নাকি ভালো আছি!
২
অনেক দিন সাদা মদ ছেড়েছি
পরিজন বিদ্রোহ করেছিল
সবাই বলেছিলো সুগার আছে যখন
তখন অল্পস্বল্প হুইস্কি খাও
সেই থেকে সুবোধ খোকার মতো হুইস্কি ই খাই
হুইস্কি কোথায় আর সাদা মদ কোথায়
জনসমক্ষে বলতে নেই
কানে কানে বললে বলতেই হয় সাদা মদ সোনা হলে হুইস্কি চান্দি
কেউ যাতে না শুনে
জীবনে সাদা মদের ভূমিকা নিয়ে ভাষণ দিই মনে মনে
একদিন ম্যারাপ বাঁধা কালো কৌতুকের জীবন থেকে ঘুরে ঘুরে
আমরা তো সাদা মদের গোপন দরজাতেই পৌঁছেছিলাম
বন্ধুর বাকি খাতার সুবাদে মিলেছিল এক বোতল সফেদ কেদার প্রসাদ
প্রায়ান্ধকার কুঠুরি সাদামদ নিরাভরণ
জ্বরের ঘোরে সে এখন শুধু স্বপ্নে আসে।
জীবন তার শোধ একদিন ঠিক তুলে নেয়
এটা আমার কথা নয়, আমি এসব মনার বচন বিশ্বাস করি না
অসুখ হলেই দোষ সিগারেট আর মদের
অসুখ হলেই জীবন যাপনের গলিঘুঁজিতে মানুষের উঁকি মারা স্বভাব
আমাদের প্রাতঃস্মরণীয়রা অনেকেই আফিম খেতেন
আফিম ভালো না খারাপ তা আমরা বলার কে !!!
@রাজা সরকার।

©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩০
ছায়া আলো বলেছেন: আমি তোমার সেই নোংরা স্রোতে কখনো গা ভাসাইনি
আমি তোমার সেই নোংরা স্রোতে কখনো গা ভাসাইনি, যদিও চাইলে ভাসাতে পারতাম। তুমি হয়তো বুঝতে পারো না, কিন্তু আমার কাছে এটি কেবল একটা শারীরিক কাজ ছিল না—এটি ছিল অনুভূতি, মর্যাদা এবং অন্তরের সীমারেখা রক্ষা করার প্রতীক। তুমি যেমন দুশ্চিন্তা ছাড়া দু’নৌকায় পা রাখো এবং নিজেকে উদ্দাম যৌবনের লালসামিটায় মেখে তোলে, আমি সেই অগ্নিময় স্রোতে কখনো প্রবেশ করি নি। তুমি স্বচ্ছন্দে নিজেকে ছড়িয়ে দাও, নিজের লালসামিটা রঙিন করে ওঠো, কিন্তু আমি জানি, সেই নোংরা স্রোতের জল কতটা ভয়ঙ্কর এবং অগভীর।
সম্পূর্ণ লেখাটি পড়তে এখানে ভিজিট করুন