নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলো অন্ধকারে যাই

সময়টা কি করে দেবে সেটা তার অধিকারী জানে, চাইলে পোকায় ধরে নষ্ট কাল ভেসে যাবে যমুনার বানে

স্বদেশ হাসনাইন

ছোট একটা ফার্মে কাজ করছি । সৌখিন লেখক । ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করি । পকেটে পয়সা থাকলে এদিক ঘুরে খরচ করে ফেলি । সুনীলের লেখার ভক্ত, শামসুর রাহমানের কবিতা পড়ি। বিদেশী লেখকের মধ্যে ড্যানিয়েল স্টীলের লেখা ভাল লাগে । সবচেয়ে ঘৃণা করি স্বাধীনতার বিরোধী শক্তিকে । একাত্তর আমার সবচেয়ে বড় অহংকার। ইমেইল: [email protected]

স্বদেশ হাসনাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প: পাপ - ৮ (শেষ)

২৭ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:১৮



স্থান, জয়নগর । নবাবগঞ্জ থেকে ১০ মাইল দুরে । এখানে রাস্তাঘাট ভাল। কিন্তু বাস চলে না। প্রধান বাহন হলুদ টেম্পু আর ম্যাক্সি। জয়নগর বাজার টেম্পুস্ট্যান্ডের উল্টোদিকে “জননী ফার্মেসী”তে সোলায়মান বসে। নিজের দোকান। মা যখন বিছানায় পড়েছিল তখন সে ক্লাস টেনে পড়ে। থানা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে মায়ের এক শুভানুধ্যায়ী কিছু টাকা আর ফার্মেসীর লাইসেন্স যোগাড় করে দিয়েছিলেন।



মৌরিদের বাসা বাজার রোডের কাছেই ছিল । এই ফার্মেসীতে প্রায় প্রতিদিন আসতে হতো । কলিম শেখের একটি ছেলের জন্য আফসোস ছিল। এই আধুনিক সমাজেও ছেলে কে ধরা হয় বংশের বাতি। ব্যাংকের অভিজ্ঞতায় দেখেছে কোন ক্লায়েন্টের ছেলে হলে সে ব্যাংক পর্যন্ত মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে হাজির হয়। মৌরির বাবার সেই ইচ্ছে পূরণ হয়নি। বরং একটি কষ্টকর ঘটনা জানতে পারলো মৌরির কাছে গতকাল।



প্রতিবেশীরা মিসেস কলিমকে বলেছিলো এবার তার ছেলে হবেই। ছেলে হলে নাকি চেহারা কালো হয়। মিসেস কলিম শেখের চেহারা সৌভাগ্যক্রমে কালো দেখাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ হাইপ্রেশারে শঙ্কটাপন্ন হলে ৩৪ সপ্তাহে সিজারিয়ান বাচ্চা হয়। হসপিটালে হাসি ছিলনা, ডাক্তার বললেন, আল্লাহ মা-মেয়ে দুজনকেই সুস্থ রেখেছেন। কিন্তু ড্রাউনিং সিন্ড্রোমের বেবীর অনেক বেশি যত্ন লাগে।



মৌরি বলেছিল, সেই থেকে সোলায়মান ভাই আমাদের বাড়ির অংশ । কখনো ১১ টা কখনো রাত ৩টায় মনি অজ্ঞান হয়ে যেত। আম্মা চিৎকার করে কোরান শরীফ তেলওয়াত করতে থাকতো। কিন্তু যে বাসায় ছেলে নাই, বোঝেনইতো । আব্বা তখন প্রায় পাগল। সোলায়মান ভাই রাত জেগে নিজের কোলে করে বেবিতে থানা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ছুটতো।নিজের হাতে তেল মালিশ করতো হাতে পায়ে। হাসপাতালের বারান্দায় যখন দাড়িয়ে থাকতো, তখন বুঝতে কষ্ট হলো না, উনার মন কত নরম।



মনিকে বাঁচানো যায় নি। কোন এক ভোর বেলায় দেখলাম আমার বোনটি পরম শান্তিতে ঘুমিয়ে। সোলায়মান ভাই নিজের বোনের মত জড়িয়ে ধরে কেঁদেছে। বলেছে, আমার কপাল কেন এমন, যাকে ধরি সেই চলে যায়?



সোলায়মানের সততা আর তার দায়িত্ববোধ অনেকক্ষণ ভাবিয়েছে আসাদুজ্জামান কে। সেই বয়সে কি তিনি পারতেন এই রকম বোঝা নিতে? পড়াশোনা করেছেন বাবার পয়সায়। চাইলেই টুর্নামেন্ট খেলা, চাইলেই আড্ডা, চাইলেই সহপাঠি মেয়েদের নিয়ে কবিতা। আহা! এই মফস্বল শহরে আর কয় টাকার ব্যবসা হয়? প্রতিদিন কয় টাকার ওষুধ বিক্রি হয়, আর কত টাকাই নগদ আসে । সে কল্পনায় দেখছে সেই টাকা নিয়ে হাসিমুখে সে বাড়ি ফিরেছে একটি কিশোর, সে শয্যাশায়ী মাকে খুশি করতে বলছে, মা, একটা ভাল খবর আছে। এখন থেকে ডাক্তার মাইনুদ্দিন চাচা প্রতি মঙ্গলবার রোগী দেখবেন বলেছেন । উনার অনেক রোগী। এবার আমাদের আর চিন্তা নাই । মা বলেছে, যাই করিস বাপ, কারো পয়সা মারিস না । গরীব থাকলে থাকবি । আল্লাহ পরকালে ফিরত দিবে । কারো হক মেরে সুখে থাকা যায় না।



আসাদুজ্জামান ভাবছিলেন। মানুষ এত নীচ হয় কি করে। সংসার করে। আবার পরনারীর জন্য স্ত্রীসন্তানকে তুচ্ছ করে। তার দ্বিতীয় সত্তাটি বললো, তুমি আর এমন কি তফাৎ? তোমার মেয়ের জন্মদিন গেছে, তুমি একটি বারও মনে কর নি অথচ এখানে একটা বাচ্চা মেয়ের জন্য দিনের পর দিন জানালায় বসে থাক। নারী সৌন্দর্যের দেখার অজুহাতে কী করনা? লোকমানের মত পরিস্থিতি থাকলেও তোমারও ভদ্রতা কী হতো কে জানে।



সোলায়মান বলেছিল যে তার বাবা মরেনি । তার একটা খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। একদিন সে ফার্মেসীতে বসে ছিল। প্রচুর লোক ছিল। ভিড় ঠেলে একজন সাদাশ্মশ্রুর বৃদ্ধ বলেছিল, আপনিই কি লোকমান হাওলাদারের ছেলে?

-জি

-আমি অনেক খুজে এখানে এসেছি । লোকমান সা'ব আমার পরিচিত । একই গ্লাস ফ্যাক্টরীতে কাজ করতাম । সে এখন খুব অসুস্থ। সোলায়মান একটু স্তব্ধ হয়েছিল।

- খুব খারাপ অসুখ। শরীরে পচন ধরেছে। মনে হয় আয়ু শেষ। আমাকে বলেছে, জয়নগরে খোঁজ করতে। যদি ছেলেটা বেঁচে থাকে তাকে বলো আমি মরার আগে একটি বার দেখতে চাই। তোমার মায়ের নাম কি মায়মুনা? উনি কই?

-জি, উনি তো জান্নাতবাসী

- তোমার বাবা রাতের বেলা চিৎকার করে কান্দে, বড় পাপ করেছি মায়মুনা, বড় পাপ!



বাবা যত অপরাধ করে বাবা বাবাই। তুমি যাও নি? সোলায়মানকে জিজ্ঞেস করতেই সে বললো

- যে লোক সন্তান জন্ম দিয়ে সেই সন্তান রাস্তায় ফেলে চলে যায় সে কীসের বাপ? যে লোক তার নিজের সুখের জন্য সংসারে লাথি দিয়ে চলে যায়, সে তার পাপের ফল সে ভোগ করছে, করুক । লোকটি ঠিকানা দিয়েছিল । কিন্তু যাইনি ।



শুধু প্রশ্ন ছিল উপরওয়ালার কাছে, আমার মায়ের কী পাপ ছিল? সে কী পেয়েছে জীবনে?

আমার যে বড় মা, যে চরমদু:খে পৃথিবী থেকে চলে গেল তার কী পাপ ছিল? আর এই যে আমি, এখনো লোকে নাক সিটকায় বেজন্মা বেশ্যার বাচ্চা বলে আমার কী পাপ ।



আমার যদি পাপ না থাকতো তবে কেন মৌরির বাসায় এমন ব্যবহার পাই।



সোলায়মানের সঙ্গে মৌরির সম্পর্কের কিছুদিনের মধ্যেই তার মা টের পেয়েছিল ।কলিম শেখ এত ক্ষুব্ধ হয়েছিল যে গাদ্দার, নিমহারাম, লোভী, রাস্তার ছেলে হয়ে আস্পর্ধা ..ইত্যাদি বলে গালি দিয়েছিল। মৌরির গায়ে হাতও তুলেছিল । এর পরই জয়নগর থেকে বাড়ি বদল করে মৌরিকে এখানকার স্কুলে ভর্তি করে দেন।



আসাদুজ্জামান মনে হয় দুজনের সম্পর্কটা মেনে নিচ্ছিলেন। তিনি গতকাল সোলায়মানকে মুরুব্বীয়ানা ভঙ্গীতে বলেছিলেন,

- মৌরি এখনো অনেক ছোট। আমি এমন কিছুতে সাহায্য করতে পারবো না যাতে তার ক্ষতি হয়। তবে কী কারণে এসেছ বললে সুবিধা হয়।

-আঙ্কেল, মৌরি আপনাকে বিশ্বাস করে। তার ইচ্ছা আপনার কাছ থেকে আমাদের দুজনের সম্পর্কের সম্ভাবনা জানা।

সোলায়মান, একটু সতর্ক ভাবে দেখলো। মৌরি নেই আশেপাশে। তার পর হঠাৎ তার হাত চেপে বললো

-আমি রাশিফলে বিশ্বাস করিনা । কিন্তু এসেছি একটা আশায় । আপনি একটা কথা রাখবেন?

- কী, আসাদুজ্জামান ঠিক বুঝে উঠতে পারেন নি।

- মৌরিকে একটা মিথ্যে বলবেন । বলবেন আপনি আমার হাত দেখেছেন । আমার রাশির সাথে তার বিশাল গড়মিল। দু’জনের সম্পর্ক হলে ভয়ানক বিপদ হবে। অনেক কঠিন ফাড়া । আপনাকে সে অনেক বিশ্বাস করে । আপনার কথা সে শুনবে ।

মৌরি আমার মায়ের মত সরল। সে আমার জন্য অনেক ফিল করে। লুকিয়ে আমার ফার্মেসীতে খাবার দিয়ে আসে। ভাঙা গলায় বলতে থাকলো, আঙ্কেল, আমার রক্তে চরিত্রহীন লোকমান হাওলাদার আছে। যদি আমার ভুল হয়!

মেয়েটার অনেক গুণ, অনেক মায়া। তার অনেক বড় ঘরে বিয়ে হোক। একটা বেশ্যার ছেলে, একটা দোকানদারের বউ সে কেন হবে?



আমি স্পষ্ট কিছু বলিনি। সোলায়মান চলে গেছে । মৌরি লুকানো থেকে উঠে এসে বললো, ভাইয়া, কী দেখলেন?

আসাদুজ্জামান ধীরস্থিরভাবে বললেন, আজকে না, অনেক কথা, কাল সময় করে বলবো ।



পরদিন ব্যাঙ্কে অনেক কাজ করতে হলো। টাকা জালিয়াতির রহস্য উদঘাটিত হয়েছে । একজন পুরানো কর্মকর্তা পয়সা খেয়ে এ ধরনের কাজে সহায়তা করেছে একাধিক বার । বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় - পাঁচ ওয়াক্ত নামাজী লোক । পুলিশ এসে এরেষ্ট করে নিয়ে গেছে ।



বিকেলে ফিরছিলেন । দেখলেন মৌরি মাঠের পাশে দাড়িয়ে। সে হয়তো অপেক্ষা করছে গতকালের খবরটা জানার জন্য ।

আসাদুজ্জামান কথা এড়াতে চাইলেন,

-পড়াশোনা কেমন চলছে?

-ভাইয়া, বেশি ভাল না । মৌরি ঠোট চেপে হাসছিল । এই কয়দিনে সে বন্ধুর মত সহজ হয়ে গেছে । আসাদুজ্জামান হেসে বললেন,

-আমি একটা মজার জিনিস খেয়াল করেছি তোমার আম্মা আর তুমি – তোমরা দুজনেই আমাকে ভাই ডাকছ । হা হা । তুমি আমাকে বরং আঙ্কেলই বলো ।

- আজকে রাতে আমি তোমাদের বাসায় যাব । দুপুরে তোমার চাচীর সঙ্গে কথা হয়েছে । এই ছুটিতে ঢাকায় আমাদের বাসায় তোমাদের দাওয়াত । গল্প করা যাবে । এক সঙ্গে সবাই মিলে ফ্যান্টাসী কিংডমে বেড়াতে যাব । আমার বাচ্চারা তোমাদের পেলে দারুণ খুশি হবে ।









পর্ব ১: Click This Link

পর্ব ২: Click This Link

পর্ব ৩: Click This Link

পর্ব ৪: Click This Link

পর্ব ৫: Click This Link

পর্ব ৬: Click This Link

পর্ব ৭: Click This Link

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:২৬

আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন: সবকয়টা পর্বই ভালো লাগলো ভাইডি.......

২৭ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:৩৫

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: ধন্যবাদ ।

২| ২৭ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:৩১

আজমান আন্দালিব বলেছেন: ভাল লেগেছে। মাঝে মাঝে সংলাপ গুলোতে কিছুটা খটকা লেগেছে। কার সংলাপ বুঝতে কিছুটা বিভ্রান্তি। তারপরও সুন্দর হয়েছে।
শিরোনামে লেখা গল্প- পাপ-৮ (শেষ)
গল্পের শেষে...চলবে।

আরও চলবে?
চলুক। ভালোই লাগছে।

২৭ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:৫৭

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: সংলাপগুলো একটু ঠিক করে দিলাম । একটানা লিখে গেছি ।হয়তো আরো এডিট লাগবে । নিচের চলবে টা ভুল ছিল । এটা শেষ - আরেকটা শুরু করছি শিগগির ।

২৮ শে জুন, ২০১০ রাত ১২:৩৮

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: পুরোটা বদলে দিলাম । দেখতে পারেন এবার কেমন হয়েছে।

৩| ২৭ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:৪০

সাদিক সাদাত বলেছেন: অনেক ভাল লাগল। সম্পর্কের সংগা প্রতিনিয়তই পরিবর্তিত হয়। :)

২৭ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:৫৫

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন । আপনি ভাল পাঠক সন্দেহ নেই ।

৪| ২৭ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:১৪

একজন সৈকত বলেছেন:
এক নিঃশ্বাসে ২-৮ পর্ব পড়লাম।
অসাধারণ!
যদিও মৌরি-সোলায়মানের সম্পর্কের পরিনতি জানতে মন্চায়! :)

২৭ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:৫১

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৫| ২৭ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:২৬

মেঘলা মানুষ বলেছেন: লেখা ভাল লাগল, ৮ পর্ব না করে ৫ বা ৬ করতেও পারতেন।

আরো লেখা পাবো - এই আশা থাকল।

২৭ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:৫৩

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: হ্যা । সরাসরি টাইপ করে লিখে ফেলি । একটু বেশি বড় টেক্সকে সামুর এডিটরে খুব স্লো হয়ে যায় আমার কম্পিউটারে । অনিচ্ছা সত্বেও বেশি পর্ব হয়ে গেছে ।

পড়েছেন, মন্তব্য করেছেন । এক বড় পাওনা আমার ।

৬| ২৭ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:৪৩

রক্তিম কৃষ্ণচূড়া বলেছেন: পড়তে পড়তে মনে হলো হঠাৎই যেন শেষ হয়ে গেলো । আরো অল্প কিছু চললে বোধ হয় খারাপ হতো না ।

নতুন লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।

২৭ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:৫৫

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । আপনাদের ধৈর্য ধরে পাঠ এবং মন্তব্য এক অন্যরকম আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা ।

৭| ২৭ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:০৯

সুরঞ্জনা বলেছেন: আপনার কাছে শুধু একটি অনুরোধ করবো, আপনি লেখা চালিয়ে যাবেন। আপনার লেখা আমরা পড়তে চাই। অনেক শুভকামনা।

২৭ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:৪৭

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: সুরঞ্জনা । আরেকটি গল্পের বিষয় মাথায় ঘুরছে । শিগগির পাবেন । অনেক কৃতজ্ঞতা ।

৮| ২৭ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:২০

চয়নিকা বলেছেন: ভালো লাগল

২৮ শে জুন, ২০১০ রাত ১২:১৩

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯| ২৮ শে জুন, ২০১০ রাত ১২:১৭

খেপচুরিয়াস বলেছেন: এত বড় গল্প X( তাও আবার পাপ নিয়ে। পৃথিবীতে খালি পাপ আর পাপ তাও আপনাদের সাধ মেটেনা X( গল্পের সারমর্ম বলুন, দেখি পড়া যায় কিনা।

২৮ শে জুন, ২০১০ রাত ১:১৯

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: সারমর্ম কে কী বোঝে এই আগ্রহে বসে আছি । সময় করে পড়বেন আশা করি।

১০| ২৮ শে জুন, ২০১০ সকাল ৯:২২

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
ভালো লাগলো.........

আরো লেখার অপেক্ষায়।
শুভকামনা রইলো স্বদেশ।

২৮ শে জুন, ২০১০ সকাল ৯:২৭

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: সুলতানা শিরীন সাজি, মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা । ভাল থাকবেন ।

১১| ২৮ শে জুন, ২০১০ সকাল ১০:০১

নৈশচারী বলেছেন: সুন্দর গল্পের সুন্দর সমাপ্তি! লেখাটার ফ্লোটা এত সাবলীল যে এতগুলো পর্ব হবার কারণে পড়তে একটুও খারাপ লাগেনি,বা আগ্রহে ভাটা পড়েনি! এটাই এই গল্পটার সবচেয়ে বড় সাফল্য! বাস্তবের খুবই কাছাকাছি একটা গল্প! খুব ভালো লাগলো পড়ে! অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা লেখা উপহার দেয়ার জন্য! এরকম গল্প আরো আসুক সামনে!

২৮ শে জুন, ২০১০ সকাল ১০:২২

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন:
কাউকে উত্সাহ দেয়ার জন্য এর চেয়ে ভাল কোন মন্তব্য হতে পারে না । খন্ড খন্ড পোস্টে ধৈর্য নিয়ে পড়েছেন বলে কৃতজ্ঞ ।

১২| ২৮ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৪৩

অমিত চক্রবর্তী বলেছেন: আমি কখনোই কন্টিনিউড পোস্ট শেষ না হবার আগে পড়া শুরু করি না এবঙ একটা সত্যি কথা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমি কন্টিনিউড পোস্ট পড়িই না। কিন্তু গল্পটির প্রথম পর্ব পড়েই অনেক আগ্রহ তৈরি হয়েছিলো।এর ফলশ্রুতিতে আজ ২ থেকে ৮ পড়লাম।আপনার এই গল্পে ভাষার স্বতঃস্ফূর্ততা ও চরিত্র বিল্ড আপ অনেক ভালো লেগেছে।ডায়ালোগ এর ক্ষেত্রে আরেকটু যত্নবান হলে বোধহয় আরো ভালো লাগতো।তবে এটা নিতান্তই ব্যাক্তিগত মতামত।

আপনি লিখুন আরো।

২৮ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:২০

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: দাদা । আপনার মন্তব্যের গুরুত্ব অনেক। বিরাট প্রাপ্তি । দুর্বল দিকগুলো চোখে দেখিয়ে দেয়, সেটা পরের লেখায় কাজে লাগানো যাবে।

সময়ের অভাবে ভাল পড়ার সুযোগ কমে যাচ্ছে । সুতরাং এখানে কেই স্পেসিফিক ভুল চোখে ধরিয়ে দিলেই সেটাই তাৎক্ষণিক উন্নতির উপায়।

দশা হয়েছে খলিফার দরবারে ময়লা বৃষ্টির পানি উপহার নিয়ে আসা লোকটির মত । নিজে অনেকপরে টের পাই ভুল গুলো।

১৩| ২৮ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:০৪

অমিত চক্রবর্তী বলেছেন: আমি নিজের মতামত বলেছি এবঙ তা বলেছি নিজস্ব চিন্তার স্বাপেক্ষে।আমার যে বিষয়টি চোখে পড়েছে তা হচ্ছে সংলাপ হয়তো কিছু জায়গায় সামান্য গতি হারিয়েছে।এটা অন্য কারো ক্ষেত্রে মনে না হওয়াই স্বাভাবিক এবঙ এটা লিখাটির মেধাকে কোনভাবেই হ্যারাস করে নি। আমি কখনোই পাঠপ্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে একেবারে নির্দিষ্ট কোন লাইন বা অনুচ্ছেদ পয়েন্ট আউট করি না। আপনার লিখার সাথে সাথে এই ব্যাপারগুলো এমনিই বদলে যাবে, আরো থিতু হতে থাকবে।এটা পয়েন্ট আউট করার কিছু নয় এটা লিখার ন্যাচারাল গ্রোথেরই এক একটা স্টেপ।কাজেই আমি নির্দিষ্ট করে কোন জায়গার কথা বলব না।

শুভরাত।।

২৮ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:২১

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: ধন্যবাদ । দাদা । আমারও নিজেরও একই জিনিস মনে হয় । বিশুদ্ধ এবং গুণগত মানের জন্য সতর্ক হওয়ার চাওয়ার চেয়ে স্বাভাবিক লেখার আনন্দটা কন্টিনিউ করি।

ভাল থাকবেন।

১৪| ২৯ শে জুন, ২০১০ সকাল ৮:৩৪

অন্ধ আগন্তুক বলেছেন: বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা আমার নেই, কিন্তু পুরোমাত্রায় আছে ভালো লাগা প্রকাশের ক্ষমতা।

ভালো লাগা সূচক বিশেষণগুলোয় নিঃশেষিত এমন চমৎকার সব লেখার সংস্পর্শে এসে। এমন গতিময় গদ্যরেখা সহজে দেখা যায় না।

আপনার লেখনী অসম্ভব শার্প ! আমার খুব ভালো লেগেছে। আর গল্পের ট্র্যাক যেভাবে পাল্টালো সেটাও ঈর্ষণীয় ।
মধ্যবয়সীর জবানে নিজের লালসাবোধকে ছাপিয়ে সত্যিকারের মানবিক সম্পর্কের উপলব্ধি- অসাধারণ !

ধন্যবাদ হাসনাইন, এমন চমৎকার একটা গল্প লেখার জন্য !

শুভকামনা নিরন্তর ।

২৯ শে জুন, ২০১০ সকাল ৯:৪৬

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন:
খুবই পজিটিভ ভাবে দেখেছেন। এমন মন্তব্য যে কোন ব্লগারের জন্য সামনে এগিয়ে যাবার টনিকের মত!

১৫| ২৯ শে জুন, ২০১০ সকাল ১১:৩২

রাজসোহান বলেছেন: চমত্কার একটা সিরিজ শেষ করলাম , অসাধারণ লিখেছেন । এভাবেই বুঝি সম্পর্ক পরিবর্তিত হয় !

২৯ শে জুন, ২০১০ সকাল ১১:৪৬

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১৬| ২৯ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৮

আমি উঠে এসেছি সৎকারবিহীন বলেছেন:
চমৎকার, যদিও গতকালই পড়ে শেষ করেছিলাম; গুছিয়ে মন্তব্য দেয়ার সময় পাই নাই ব্যস্ততার কারণে।

মূল চরিত্রটাকে ঘিরে গল্পটা বেশ শক্তপোক্তভাবে গড়ে উঠেছে, আপনার বর্ণনাভঙ্গীটা দারুণ তাই ষ্টোরিলাইনটা গ্রিপিং। আলাদা আলাদা পর্বে দিলেও আমার আগ্রহ কমে যায় নি। সবশেষে একটা চমৎকার গল্প পড়া হল...


সম্ভবত ১ম পর্বেই একটা অনুরোধ করেছিলাম যে শেষে এসে সবগুলো পর্ব একসাথে দেয়ার জন্য, ভবিষ্যত পাঠকদের যাতে সুবিধা হয়। এটা অবশ্যই একান্ত ব্যক্তিগত একটা মতামত, সিরিয়াসলি নেবার দরকার নেই।

২৯ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩০

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: সবগুলো পর্ব এক করে গতকাল পোষ্ট দিয়েছিলাম। সামুর বোধ হয় সাইজের লিমিটেশন আছে। পুরোটা আসে না । কেটে যায় ।

দেখি পিডিএফ বা ডকুমন্ট বানানো যায় কিনা ।

১৭| ৩০ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:১০

জুন বলেছেন: হাসনাইন আমি মুগ্ধ হোলাম আপনার লেখা পড়ে।সোলায়মান কে একজন মহৎ চরিত্রে দেখিয়েছেন আমিও তাই চাইছিলাম, সে যেন সাধারন না হয়।
অপূর্ব ভালোলাগার একটা লেখা ব্লগে পড়লাম।
শেষ করলেন কি !!

৩০ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:১৯

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন:

একমত। গল্পে আসাদুজ্জামানের সম্পর্কের টার্নিংটার জন্য সোলাইমানের গ্রহণযোগ্যতার বিকল্প ছিলনা।

১৮| ০৫ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৫৬

সত্যবাদী মনোবট বলেছেন:
পড়তে পড়তে ঠাশ..... ভাবছিলাম আরও আছে।
ভালো লাগলো গল্পটা। অন্তরটা কে আমরা কেউ দেখি না সবাই বাহ্যিকটাই দেখি click here

২৯ শে মার্চ, ২০১১ সকাল ৯:৫২

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.