![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোট একটা ফার্মে কাজ করছি । সৌখিন লেখক । ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করি । পকেটে পয়সা থাকলে এদিক ঘুরে খরচ করে ফেলি । সুনীলের লেখার ভক্ত, শামসুর রাহমানের কবিতা পড়ি। বিদেশী লেখকের মধ্যে ড্যানিয়েল স্টীলের লেখা ভাল লাগে । সবচেয়ে ঘৃণা করি স্বাধীনতার বিরোধী শক্তিকে । একাত্তর আমার সবচেয়ে বড় অহংকার। ইমেইল: [email protected]
গণকণ্ঠ পত্রিকায় ভালবাসার যে গল্প ছাপানো হয়, ওটা কিন্তু আমার সত্যি ঘটনা। একটা স্কুল পড়ুয়া মেয়ের সাথে এক হিরোর মত ছেলের প্রেমের গল্প। কিন্তু গল্পটা কেউ যাতে না বুঝতে পারে এজন্য বেশ খানিকটা বদলে দেয়া হয়। ময়মনসিংহের বদলে ফরিদপুরের একটা গ্রামের কথা বলি। আমার ডাক নাম স্মৃতি। তাকে বদলে করলাম -নির্ঝরা। গল্পের যে হিরো, তার নাম অরণ্য। বাস্তবে অরণ্য হল ভাইয়ার বন্ধু মুশি ভাই।
মুশি ভাই আসলেই হিরোর মত। স্পোর্টি বয়। বর্ষাকালে জিলাস্কুলের মাঠে ফুটবল টুর্নামেন্ট হতো, দাদা গোল কিপার। উনি স্ট্রাইকার। কাদা মেখে ভুত হয়ে দুপুর বেলায় যখন আসতেন। মুশি আর মতি ভাই নিজের বাড়ির মত আমাদের বাসায় ঢুকতেন। আম্মা খুব স্নেহ করতেন দুটো ভাইকে। দুপুরে ভাত খাইয়ে তারপর বাড়ি যেতে দিতেন। মুশি ভাই আমাকে ভালবাসতেন কিনা জানি না তবে আমাকে ডেকে পাঠাতেন যেন আমি কেউই না।
এই স্মৃতি, টিভির রিমোটটা দিয়ে যা তো, টাওয়েল লাগবে। এটা লাগবে। ওটা দে। যেমন আমার সৌরভদা তেমনই এই হিরো। মাঝে মাঝে তো চপ্পল জোড়া আমাকে দিয়ে আনাতো। অথচ আমি দেখতে ছিলাম টুকটুকে পরী। একজন পরীকে স্পঞ্জের স্যান্ডেল আনায় যে তার সঙ্গে কি ভালবাসা হয়? কিন্তু যাবার সময় যখন দরজাটা বন্ধ করে এগিয়ে গেলে , মুশি ভাই এমন করে হাসতেন যে আমার মনে হতো সে আমার হিরো। এরকম ম্যানলি পুরুষ পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি নেই।
আমি এইচএসসি পড়ার সময় পাঠক কর্ণারে গল্পটা ছাপানো হয়। ঘুমাতে পারি নি যখন জানলাম দৈনিকে ওঠা সবাই পড়বে। সংকোচ নিয়ে দাদাকে বললাম ভোরের পত্রিকা আনতে। দাদার আবার মেয়েলি গুণ, পেটে কথা থাকে না, সে পনের মিনিটের মধ্যে আম্মাকে হৈ চৈ করে জানালো যে তার বোনের গল্প ছাপিয়েছে। কিন্তু গল্প তো প্রেমের - আমি যে প্রেম বুঝি এটা সবাই জেনে গেলো। সৌভাগ্যক্রমে আম্মা পড়ালেখে তেমন জানেন না। বিছানায় পত্রিকা বিছিয়ে বানান করে কোরান পাঠের মত গল্পটা কিছু পড়লেন। আমি বুঝলাম তিনি খুশি। তারপর বললেন, মাশাল্লা স্মৃতি, তোর ব্রেন তো সৌদিমামার মত, তোর মামা যদি দেশে থাকলে কতো খুশি হইতো।
আব্বা উকিল এবং স্বল্পভাষী। ওকালতি জিনিসটা মৌসুমী ব্যবসা। চেম্বারে লোকজন যখন থাকে তো উপচে পড়ে, না থাকলে উনি বেকার। দেখতাম বইপত্র নিয়ে ঝিমাচ্ছেন। আব্বা পলিটিক্স নিয়ে আগ্রহী। মনে হয় না উনি কোন সাহিত্যের পাতা জীবনে ছুঁয়ে দেখেছেন। সেই দিন গল্পটা তিনি ঠিকই পড়লেনই, তার হয়তো কিছু মনে হলো। দুপুরে যেকে বললেন ,
মা, এই সব ঘটনা কি সত্যি? তুই আমার একটি মাত্র কন্যা। আমারে সরাসরি বললে সুবিধা, বাপের মুখ যেনো নষ্ট না হয়।
আব্বা আমাকে এভাবে প্রেমের জন্য জেরা করতে পারেন আমি কল্পনাও করিনি। আমি লজ্জায় মাটিতে মিশে যাচ্ছিলাম। আবার এও সত্যি আমি প্রেমে পড়ে গিয়েছি। দোতলা বাড়ি আমাদের। জানালা খুললে দখিনা বাতাস আসে। আমার তো ইচ্ছে হয় গল্প উপন্যাসের মত একটা ভালবাসা হোক।
মেইনরোডের উপর নিজেদের দোতলা বাড়ির উপর তলায় থাকতাম আমরা। নিচে একটা দর্জির দোকান, কনফেনশনারি আর লন্ড্রী।। ডানদিকে সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় আমাদের বাড়িতে উঠতে হয়। কলাপসিবল গেটের আগে সিঁড়ির দুপাশে অনেকগুলো টব। বাড়ির আদুরে কন্যা বলে আমার সখ বাগান করা। আমি ছোট বেলা থেকেই দোপাটি, বেলি, গাঁদা আর গন্ধরাজের পরিচর্যা করি। নিজ হাতে জল দেই, কলেজ থেকে ফেরা সময় রিকশা থামিয়ে নুড়ি পাথর কিনে নিয়ে এসে টবের চারপাশে সাজিয়ে দেই।
যেদিন গল্পটা ছাপানো হলো তার পরের শনিবার ফুলগাছে পানি দিতে গিয়ে একটা ছোট প্লাস্টিকের ব্যাগ পেলাম। নুড়ি পাথরে আবৃত ব্যাগ। ভিতরে আড়াই ইঞ্চি কাগজের টুকরোয় লেখা "স্মৃতি, তোমাকে আড়াল থেকে বার বার চেয়ে দেখি কেন, আমি কি তোমাকে ভালবাসি?"
আমি ব্যাগটা সরিয়ে চিরকুটটা তুলে কিছুটা বিস্মিত হয়ে যাই। কে এমন করে লিখবে? নিচের লন্ড্রী বা দোকানগুলোর কোন বখাটে ছেলে নয়তো? হাতের লেখাটা কি পরিচিত? কার লেখা? আকারগুলো বাঁকা, ব লিখেছে শুন্যের মত গোল করে। একটা মেয়ে প্রেমের গল্প লেখে, সেখান থেকে যদি ভাবে আমি সস্তা মেয়ে এবং নক করলেই প্রেম করবো। আমার তখন খুব ছোট মনে হয় নিজেকে।
পরক্ষণেই রহস্যের গন্ধ পেয়ে, এবং জীবনে প্রথম প্রেমের প্রস্তাব পেয়ে বুক ধুক ধুক করতে থাকে। সন্ধ্যায় পানি দিতে গিয়ে আমি আবারও লেখা পাই - স্মৃতিমণি, তোমার মাথার চুলগুলো ভীষণ সুন্দর, তোমার কাল চুল প্রজাপতির মত ক্লিপ দিয়ে বাঁধবে। তোমাকে না দেখলে আমার ভাল লাগে না।" লেখাটা পড়ে আমি বুঝতে পারি এটা সুশিক্ষিত কেউ! তারপর দিন পেলাম, স্মৃতি আমার শীতলক্ষা নদী, লাফিয়ে লাফিয়ে ওঠো সিঁড়ি দিয়ে, কি দারুণ বড় হয়ে গেছ তুমি, অনেক ভালবাসি। এমন করে কে আমাকে ডাকতে পারে। আমি খেয়াল করে দেখলাম মুশি ভাইয়া যে কয়দিন বাড়িতে এসেছে ভাইয়ার খোঁজ নিতে। তার চলে যাবার পরই টবে চিঠি পাওয়া যায়। তবে কি মুশি ভাইয়া অরণ্যের গল্পটা বুঝতে পেরে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিচ্ছে? কিন্তু এভাবে কেনো? ভয়ে? সম্মান হারানোর ভয়ে?
গন্ধরাজের টবে এরকম চিরকুট পেতাম প্রতিদিন। অনেক বার চেষ্টা করেও ধরতে পারি না কে চিঠি দিয়ে যায়। আমি একসময় বুঝতে পারি এটা দেয়া হয় রাতে। রাতের বেলা কলাপসিবল গেইট বন্ধ থাকে। যে কেউই টবে এসে ঢুকিয়ে নেমে যেতে পারে। মুশি ভাই এসেছিল শেষ যেদিন সেদিনও তার হাসিটা দেখেছি, আমার দিকে তার একটা আকর্ষণ আছে সেটা জানি। সব মেয়েই বোঝে তার দিকে মুগ্ধ হয়ে থাকা ছেলে কে! কিন্তু তিনি এমন করে আমাকে চোরের মত লিখছেন এটা মানাতেই পারছিলাম না। আমার ইচ্ছে হয় সে আমাকে মুখ ফুটে বলুক। তারপর নিজের হাতে চিঠিটা দিক। এরকম প্রস্তাবনা বড্ড কাপুরোষিত লাগে।
মুশি ভাই ছাড়া আর কে হতে পারে এটা? আব্বার চেম্বারে একজন চিকনগড়নের যুবক আসতেন। নাম জগন্নাথ। দু বার সিঁড়ি বেড়ে উঠছি, আমি খুব খেয়াল করেছি তার চোখগুলো। আমাকে খুব সতর্ক ভাবে খেয়াল করেছেন। আমি দেখতে সুন্দরী। একা পেলে পুরুষ সুন্দরী অসুন্দরী সবাইকে মুগ্ধ হয়ে দেখে। তরুণরা বরং ভালো, একটা মার্জিত দৃষ্টি থাকে, তবে মাঝবয়স পার হলে পুরুষদের চোখে এমন কদাকার দৃষ্টি থাকে যেন মেয়ে মানেই চর্বচোষ্যলেহ্য খাবার। এই দু সপ্তাহে ম্যাটেরনাল কাজি ফিরু ও এসেছে। ফিরু আমাকে পছন্দ করুক কিন্তু ওর ঘাড়ে দুটো মাথা নেই যে আমাকে প্রপোজ করবে। কারণ সে আম্মাকে যমের মত ভয় পায়। আম্মার ঘনিষ্ট বান্ধবী আছেন কয়েকজন যাদের ছেলেরা আমার সমবয়সী বা কিছু বড়। তাদের কথাও ভেবেছি। রনি, শফিকুল ভাই, মোহাইমেন, হৃদ্য, প্রবালদা, যতু কারো কথাই বাদ দিলাম না। অনেকেই আসলেও আমি জানি কে আমাকে কিভাবে দেখে।
যেটা হোক মুশি ভাই যেদিনই যায় সেদিনই আমি চিঠি পেয়ে যাই বিকেলে। চারকোন রুলটানা কাগজে লেখা চিঠি। এত এত চিঠি পেয়ে যাই। কোনটাই আমি ফেলি না। আমার ভাল লাগে কেউ আমাকে এত কেয়ার করে। তবে রহস্যের একটা আন্দাজ করে নেই, হাতের লেখা যে মুশি ভাইয়ের। আমি গোয়েন্দা হয়ে মনযোগে সবার হাতের লেখা দেখি।
এভাবে এইচএসসি টেস্ট পরীক্ষার ফল দিয়েছে যে দিন। মনটা বড় খারাপ আমার। ম্যাথে খারাপ করেছি।আমি খুব চাইতাম আব্বা বলুক মুশি ভাই আমাকে পড়াবেন। কিন্তু মুশি ভাইয়া তখন ট্রেডিং ফার্মে পার্টটাইম কাজ শুরু করেছেন। আমি জানালায় একা বসে কাঁদছিলাম। আব্বা আগেই বলেছেন, পড়াশোনায় অমনযোগী হলে বিয়ে দিয়ে দেয়াই ভাল। যখন খুব বেশি অস্থির হঠাৎ দৈববাণীর মত মুশি ভাই এসে হাসি। আমি যেন জানতাম বিকেলে টবে নতুন একটা চিরকুট পাবো। পেলামও, স্মৃতিমণি, তোমার মন আজ খারাপ। জোনো মেঘের আড়ালে সূর্য লুকিয়ে থাকে। ভাল সময় আবারও ফিরে। তোমাকে অনেক ভালবাসি।"
ফুলি আন্টির বিয়ের সময় কি হয়েছিল বলি। আমি ময়ুরকণ্ঠী রঙের শাড়ী পড়েছিলাম। আয়নায় নিজেকে কত বার দেখেছি। নিজেকে রূপবতী ভেবে অহংকারের মত সুন্দর কিছু নেই। সে রাতে সুন্দর দুটো লাইন পেলাম টবে, সেই নীল রঙের কালিতে, রুলটানা কাগজে - স্মৃতির কণা, তোমাকে নূপুরের মত লাগছে, রুপার নূপুর যেমন ঝল মল করে বাজে। মিষ্টি শব্দ ছড়িয়ে যায় চারদিকে! তোমাকে ভালবাসি
আমি অন্যমনস্ক হয়ে চিরকুটটা আমার গালে বুলিয়ে যাই। মনে হয় কেউ আমাকে গালে আদর দিয়ে যায়। এত এত চিঠি, কেন সে আমাকে তার পরিচয় দেয় না! সেই গোলগোল অক্ষর, বাঁকা আকার। আমার কি উত্তর দেয়া উচিত। মেয়েদের অনেক কিছু ভাবতে হয়। যে মানুষকে আমি দেখি নি তাকে উত্তর দিলে যদি বিপদ হয়। হতে পারে সে বয়স্ক কেউ। হতে পারে কেউ মজা করছে। আব্বা নিজেই যদি আমাকে পরীক্ষা করার জন্য এমন করে। শেষটা ইম্পোসিবল, কিন্তু মেয়ে হলে পদে পদে সতর্ক থাকা বাঞ্ছনীয়।
একটা অদ্ভুত ব্যাপার হলো আমি কখনোই দুটো চিঠি পাইনি কোন দিন। আর সবগুলো চিঠিতে শেষে লেখা থাকতো। তোমাকে ভালবাসি অনেক। আমি একদিন শুধু পেলাম। আমার শরীর ভাল নেই স্মৃতি। তুমি যদি আমার কপালে একটু হাত রাখতে। তোমাকে ভালবাসি।
আমার শুনে খুব মায়া হলো। আমি তো তার শরীরে হাত রাখতে চাই্। কিন্তু এক অশরীরি চিঠি লেখকের মাথায় কেমন করে হাত রাখি। আমার খুব জেদ হয়েছিল, গলির মোড়ের বখাটে ছেলেরা কত ভাবে ভালবাসার প্রকাশ ঘটায় কেনো টবে লিখে চলে যাবেন তিনি? আমাকে কিসের এতো ভয়?
আমার এইচএসসি পরীক্ষার শুরু হলো। ঘরের জানলা খুলে দিয়েছি। প্রচণ্ড গরমে ঘামছি। কারেন্ট নেই কিন্তু ব্যাটারীর পাখিটা ডেকে উঠলো। আম্মা বললো, স্মৃতি দেখতো কে? আমি পড়ছি। পারবো না। আম্মা নিজেই উঠে গেলে, তারপর বললেন মুশি আসছিলো সৌরভের খোঁজে ।কি লিখে গেছে দেখতো মা, আমি কেমন চমকে যাই মুশি ভাইয়ের চিঠি! বাংলায় লেখা চিঠি?
আম্মার হাত থেকে চিঠিটা ছিনিয়ে নিয়ে পড়ি - এ কেমন হাতের লেখা ভাইয়ার। ঝক ঝকে অক্ষর. ব গুলো ত্রিভূজের মত, লম্বা সুঠাম শরীরের মতই তার আকারগুলো। মেনে নিয়েছি তিনি নীল কালির কলমটা হারিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু লেখাগুলো কাগজের উপর তুলির মত স্পর্শ করে অপরিচিত হয়ে গেছে। আমি যন্ত্রের মত পড়লাম, সৌরভ, কলেজের সার্টিফিকেটের অরিজিনালটা তুলতে হবে। আমি তোর সঙ্গে যাবো।
আমি সবগুলো অক্ষর মনযোগ দিয়ে খুঁজছি যদি একটা বাঁকা টান পাই। আমার মন ভার হয়, হতাশার বৃষ্টিতে মন ছেয়ে যায়। দীর্ঘশ্বাস ফেলতেই আম্মার বললো কি রে খারাপ কিছু লিখেছে? আমি বললাম না, মা। কাগজপত্র নিয়েই।
-
ড্রাফট ১.০
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫১
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: আপনি অনেক ভাল পাঠক। আমার কাছে এই রহস্যটুকুই ভাল লাগছিল। উত্তরটা এমন হতে পারে মুশি অন্য কাউকে দিয়ে লেখায়, অথবা অন্য কেউ...
২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৯
একজনা বলেছেন: প্রতীক্ষা একটু ভালোবাসার।
হঠাৎ অসমাপ্তি। শেষ হইয়াও হইলনা শেষ। অতৃপ্তি রয়ে গেল। আরো বাড়ানো যেত। কিংবা আরেকটা পর্ব হতে পারে।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৩৯
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: এটাকে বাড়াতে চেয়েছি..আমার কাছে বারবারই মনে হলো থাকুক।
রেখে দিলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৩
মেহবুবা বলেছেন: শেষটা কেন এমন করে লিখেছেন ? কে দিত তাহলে চিরকুট ?
এমন রহস্য কেন করলেন মুশিকে নিয়ে ?