মহাসড়কে উঠে পলক ফেলতেই চমকে গেলাম

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০০

কখনো হিসেব করে খরচ করি নি,

বাড়িতে যাবো, কিনবো বলে নতুন পেয়ালা, জল কিংবা মদ

যেটাই হোক হতো

কিন্তু শূন্য হাতে কেউ সামনে দাঁড়ায়, অসহায়

হাত পাতে, আমিও ফ্লুকে ফ্লুকে বেতনের প্রায়টুকু তার পাত্রে ছাড়ি

অসমাপ্ত সঞ্চয় আমার, সে বাজেটে অর্ধেক পেয়ালা

দোকানে মেলে না, কেউ কিনতেও যেত না স্বপ্নের ভগ্নাংশ

আমি হিসেব করি নি, মদ পাবো কাল,

অথবা কিছুই মিলবে না জানি, আমি এভাবে বেহিসেবি চলি

আজ যেমন পাঁচ মিনিট করে আয়ু কমে যাবে জেনেও ধরিয়েছি বিড়ি

,ধোঁয়ায় খবর আসে প্রমোশন লেটার

দুর্ভিক্ষের জবে চাকুরী বদল হলো, পদোন্নতির পর আমি ভিখিরি হয়েছি



২

মহাসড়কে একা হয়ে গেলাম

যেই মুখো মুখি হলাম, আমার দিকে পলক ফেলতেই চমকে গেছি, এ কী হয়েছে আমার।

বহুদিন নয়, গত পরশু বিকেলেই দেখা। এ তল্লাটে ফুর ফুরে হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। মেঘ জমেনি,

একি হলো তবে মুখে হাসি নেই। রোদ্দুরে পুড়ে যাবার কথা শ্রমিকের, চলতে চলতে

ধূলি কাদায় ম্লান হয়ে যায় ভ্যানচালক। বিস্মিত নিজেকে দেখি

মহাসড়কের মুখে,

সান্ত্বনা দিতে চাই কাকে? অসময়ে যেন সব কিছু মিটালে পূরণ হবে না সব ক্ষতি,

হকার সমিতি দুর্ভাগ্যের সংবাদ বিক্রি করে নি আজ, ভৌতিক কোন অশরীরিও শক্তি দেখাবে না

নতুন বসত বাটি মিসমার করে নি উত্তাল জলহাওয়া, অথচ রাত জেগে চোখে জমেছে কালি

আবার কোথাও যেন দেরি হলে আমার, কেন আমি বলিনি আমাকে আমার কোন তুরঙ্গম ছুটে যায়।

সবদিন আমিই জানি, কোথাও লুকাই না নিজেকে। শুধু মাত্র একবারই এমন হয়েছিল, দেখেও দেখি নি

বৃষ্টির ঠিক পর কাপড়ের ভেজা ছাতার মত গুটিয়ে রেখেছিলাম অবরুদ্ধ করে ঝুল বারান্দার কোণে।



৩

ও তুমি নও, কোন পরদেশী কেউ। ঘ্রাণটা বদলে গেলো। কাল আমি নিজে

এভাবে ভাবতে চাইনি ইন্দু

কাল আমি তোমাকে ভেবে কিছু বলি নি, শহরের কেনা জলে গলা ভেজাই

তটিনী কোথায় পাবো? উত্তরোত্তর মিনারেলে জলেই অভ্যস্ত জিহ্বা, নদী চেয়ে আজীবন

কেনা পানিতেই শেষে রূপা রঙ চাই, কিন্তু সে অভিযোগ তোমার জন্য নয় ইন্দু,

যদিও স্নান শেষে শহরের জল নেমে আসে শব্দ রেখে,

ক্লোরিনের কাঁচি ক্যাচ ক্যাচ করে সুস্বাদু স্বাদ ছেঁটে দেয়, শরীর মুছে নিতে

যতটুকু আছে স্নানঘরে

ফরাসী সৌরভ তাকে ডলে ডলে মোছে,

এরপর প্রতিটি পুরুষ

শুকনো রুমাল, এভাবে অপমানের কথা পড়ে বেসিনের সামনে কেঁদে গেছে যত মেয়ে

অবগত হই তোয়ালে বলেই অনেকটা অভ্যেসের জোরে

আড়ালে থাকা গল্পটা জানে কে কে? যন্ত্রকলসীর পানি ছিটে গেলে

বিরক্ত হয়ে ট্যাপ বলবে,

আবারও এসেছ তাপ পেতে

বেসিনের কিন্তু তাপ নেই,

ও আরেক আতশবাতি

পোড়ে না আঙুল

আঙুল কে মাঝে মাঝে বেড়াতে নিয়ে যাই লাভার আগুন,

ক্রোধান্বিত মানবী

আগুনের খেলা তার চোখে, ভয় দেখালাম মরে যাবো, চলে যাবো বলতেই না কেঁদে জিজ্ঞেস করলো,

কোথায়? কাকে পেলে বিষক্ষয় হয় তোমার? সস্তা রঙ পেতে চাও?

দাবানলের তারিখে আকাশ জুড়ে খিদে,

গরমের খড়ি পেলে রাত্রি হলে বদলে যায়! আমাকে কি তুষারশিশু ভাবো? শুধু খাই খাই,

স্কুলপড়ুয়াদের মত টিফিনে বাদাম বুট ভরে দিলে সাপের খেলা দেখবো

ফেরা সময়, হ্যা, সর্প, ঢোঁড়া সাপ

কামড়ানোর বদলে ছোবল তুললেই আমার দেরী হয় পথে

পরষ্পর ক্রমিক নম্বরে ডাকলাম তাকে,

এসো বিষ দাঁত। আমি আবারও বলি, আমি কিন্তু

ও ভাবে ভাবতে চাই নি।



৪

না, আমি মন্দই থাকিবো, শত ভাগ মন্দ থাকিবো

কথা শুনিতে অনিচ্ছুক সে আমার কথা কিছুতেই

শুনিতে চাহে না,

মনে লয়না চিঠির একখানি বাক্য, খায় না, দায়না,

চোখ মোছে না, গহিন তন্দ্রায় অনিদ্রার স্তুতি করে

ভাল থাকা এরে কয়?

শুনে লও জগৎসংসার

বাবার পুত্র আমি একতরফা সুখের বিরোধী

ওয়াদা করিলাম আদ্যপি দিবাগত রাত্রি হইতে

আমিও মন্দ থাকিবো



--

ড্রাফট ১.২

মানুষেরা নস্ট হতে জানে

হৃদয়ের বাক্য নষ্ট হয় না, বাক্য না হলে আঁকি বুকি থাকে

সবচেয়ে তুচ্ছ সিগ্রেটের কাগজে লেখা ডুডলও

কারো না কারো ভাল লাগবে, আর আমার মত ভুল করে ফেলা

আমি ছাড়া কেউ পারে না

এভাবে নিজেকে স্বগতোক্তির মত গুরুত্ব দিয়ে বোঝালেই হয়

১০ টি +৬/-০