![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোট একটা ফার্মে কাজ করছি । সৌখিন লেখক । ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করি । পকেটে পয়সা থাকলে এদিক ঘুরে খরচ করে ফেলি । সুনীলের লেখার ভক্ত, শামসুর রাহমানের কবিতা পড়ি। বিদেশী লেখকের মধ্যে ড্যানিয়েল স্টীলের লেখা ভাল লাগে । সবচেয়ে ঘৃণা করি স্বাধীনতার বিরোধী শক্তিকে । একাত্তর আমার সবচেয়ে বড় অহংকার। ইমেইল: [email protected]
ক্যাটস এন্ড ডগস রেইন মাথায় নিয়ে বেরিয়ে পড়লো প্রবাল। অফিসে মাফ নেই একটা বিদেশী ব্যাটারী কোম্পানীর ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সে।
কিছুটা বৃষ্টি তাকে ভিজিয়ে দেয়। ছাতাটা ধনুকের মত টান করে তার পর মৃদু শব্দ করে মেলে দেয় উপরে। বৃষ্টি তখন শাপলা ফুলের মত পেখম ছড়িয়ে নামতে থাকে চারপাশ দিয়ে। কার্নিশে কাক বসে আছে। মানুষের মতই কাকদের ভিজতে ইচ্ছে হয়। গবেষণা করলে নিশ্চয়ই আরো নতুন নতুন প্রানী আবিষ্কার হবে যারা মানুষের সাথে মিল। কাকদের কি রোদ ভাল লাগে? প্রবালের লাগে । বর্ষার দিনগুলো শুধু সমস্যাই বাড়ায়। অলস মানুষগুলো ঘরে থাকে বলে জানলা ধরে বৃষ্টির প্রশংসা করে। তনু বলে,
তোর মত নন রোম্যান্টিক মানুষের সাথে চলি এটা শুধুই কপালের দোষ।
কেন? আমাকে জানিস কম করে হলেও সাত বছর। জেনে শুনেই তো কাঠ খোট্টার সঙ্গে ফ্রেন্ডশীপ।
ফ্রেন্ডের আবার বাছ বিচার কি। তুই তো আমার ফিয়াসে না।
না, তা না, কিন্তু...প্রবাল বোকা বনে যায় নিজের প্রশ্নে।
তনু জানে প্রবালের মন রনির মত সফট না। রনির সাথে যখন প্রেম ছিল তখন রাজ্যের কার্ড পেয়েছে, চিঠি পেয়েছে । ভালবাসার একেকটা চিঠি ঘন চিনির মত। শত বার পড়লেও সুখটা কমে না। রনি এখন শুধুই চিঠি। ভাবতে অবাক লাগে, রনির ফ্রেন্ড প্রবাল সেই থেকে রয়ে গেছে। তাদের মাথায় অন্য কিছু সহজে ঢোকে না।
প্রবাল, তুই এমন কিসিমের ক্যান? মেঘ গোধূলি, বন পর্বত ভাল লাগে না।জ্যোৎস্নাও ভাললাগে না। চাঁদের গায়ের পূর্নিমা, বুঝলাম তোর সাইন্সের পাথরের উপগ্রহ ওটা কিন্তু যখন জ্যোৎস্নার গরিমা ঘাসের ডগায় রূপার মত রং জুড়ে দেয় সেটা সুন্দর বলতে কি অসুবিধা। তুই আমার প্রেমিক না। নাইলে কবে সাইজ করে ফেলতাম।
প্রবাল অফিসে ঢুকছে যখন তার মাথায় দিনের কাজের হিসাব। তনু ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ভার্সিটি যায় নি। ছাদের উপর যে ঘরটা সেখানে ভিজে টই টই হয়ে তোয়ালে দিয়ে নিজেকে মুছছে। লম্বা চুল শুকাতে গুন গুন গান করছে।
দু বছরের তফাৎ হলেও আজকে তনু পড়াশোনাতেই। আর প্রবাল ছাত্রজীবন শেষ করে অফিসে ব্যস্ত। তনুর সাথে যোগাযোগে ভাটা পড়ে গেছে ইদানিং। ছুটির দিন আড্ডা হয় কবিরের ক্যাফেতে। ঢাকার বাইরে যেতে হয় প্রবালের। যখন সেটাও কমে যায়।
ঘুড়ির সুতো দুরত্বৃ বাড়তে দিলে একসময় আকাশে হোচট খায়। বৃষ্টির দিন না, পূর্নিমার গল্পও ছিল না কিন্তু সে দিন ঘুম ভেঙেই তনুর বিয়ের খবরটা ন্যাপথলিনের ঘ্রানের মত দমবন্ধ করে দেয়। অফিসের সব কাজ ছিন্ন করে বুকে একটা অস্বস্থি জমে থাকে প্রবালের।
রিং করবে?
তনু!
তনু ফোন ধরে কিন্তু তেমন কোন উত্তর দেয় না। বলে কি হয়েছে তোর? তুই বিয়ের কথাটা আরো আগে বলতি?
নির্বিকার তনু, ক্যান? কি হতো? একটি বারও তোর মুখে শুনি নি সে কথা।
আমার নতুন জব। বিয়ের জন্য নিদেন পক্ষে কিছু প্রস্তুতি তো চাই। আগে থেকেই সব বলে কি হতো?
রাখ তো, তোর সাথে ফ্রেন্ডশীপ তো থাকবেই..
এ সময় ফোনে তনুকে এভাবে বলা যাবে না। কথাগুলো পুরনো বইয়ের ডায়লগ। বন্ধুত্ব বন্ধুত্বই তাকে প্রেম বলে ভাবাটা একধরণের লোভ। কিন্তু তনুর কাছেও সে কি শুধুই বন্ধু ছিল? ও কি ভালবাসার কথা ভাবতে পারতো না? সে বরং বাসায় বিয়েটা পিছিয়ে দিতে পারতো, অপেক্ষা করতে পারতো।
সে ফোন তুলে বললো, তনু, ফ্রি আছিস, থাকলে জেনিতে দুপুরে খাই এক সাথে। তনুর আসতে চাইলো না প্রথমে। শেষে রাজী হলো। অফিস ডে তে দুুপুরে খাওয়া একটু নতুন ঘটনাই। সময় সুযোগে কথা হতো। এভাবে দেখা হবার মত কারণও ছিল না।
প্রবাল কেমন চেতনাবিহীন মানুষ হয়ে গেছে। বহুতল রেস্টুরেণ্ট থেকে লিফটে নেমে আসছিল যখন হঠাৎ তনুকে বিস্মিত করে প্রবাল আঁকড়ে ধরে তাকে। দ্রুত কিছু বলে বসে, অপ্রস্তুত চুমু খেয়ে বসে তার ঠোঁটে। দ্রুত ব্রেক কষা গাড়ির মত চুমুটা ঠোটের বদলে গালে গিয়ে স্থান পায়।
তনু কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারে না। তারপরই লিফট অন্য তলায় এসে থামে ..ছিটকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তারা।
প্রবাল চিরকালই বন্ধু হয়ে থেকেছে। বন্ধুত্ব আর ভালবাসার একটা পাঁচিল থাকে। সেই উঁচু পাঁচিলে কৃষ্ণচূড়ার একটা গাছ বড় হয়েছে কবে! আজকে সেই বৃক্ষ ঝুঁকে পড়ছে ভালবাসার রাজ্যে। মেইনরোডে পাশাপাশি হাটে তার। পাশের ঘড়ির দোকানে ঢং ঢং ঘণ্টা বাজে। খুব কি দেরী হয়ে গেছে তাদের?
-
ড্রাফট ১.০
অনুশীলন/ আনকমন কিছু না, লঘু গল্প
২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৩০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাল লাগা রইল। +++
৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫০
সায়েম মুন বলেছেন: বন্ধুত্ব আর ভালবাসার একটা পাঁচিল থাকে। সেই উঁচু পাঁচিলে কৃষ্ণচূড়ার একটা গাছ বড় হয়েছে কবে! আজকে সেই বৃক্ষ ঝুঁকে পড়ছে ভালবাসার রাজ্যে। মেইনরোডে পাশাপাশি হাটে তার। পাশের ঘড়ির দোকানে ঢং ঢং ঘণ্টা বাজে। খুব কি দেরী হয়ে গেছে তাদের?
---------গল্প বেশ লাগলো। শেষের কথা গুলো বেশ!
৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: লঘু গল্পে লঘু ভালো লাগা।
৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০৯
টুম্পা মনি বলেছেন: ভালো লেগেছে।
ঈদ মোবারক।
৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫
ফালতু বালক বলেছেন: সায়েম মুন বলেছেন: বন্ধুত্ব আর ভালবাসার একটা পাঁচিল থাকে। সেই উঁচু পাঁচিলে কৃষ্ণচূড়ার একটা গাছ বড় হয়েছে কবে! আজকে সেই বৃক্ষ ঝুঁকে পড়ছে ভালবাসার রাজ্যে। মেইনরোডে পাশাপাশি হাটে তার। পাশের ঘড়ির দোকানে ঢং ঢং ঘণ্টা বাজে। খুব কি দেরী হয়ে গেছে তাদের?
---------গল্প বেশ লাগলো। শেষের কথা গুলো বেশ! আমার ও
ঈদ মোবারক, আগাম।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৯
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: