![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত বাংলাদেশ। বলতে গেলে মহামারি। এমন ফ্ল্যাট-বাড়ি পাওয়া যাবে না, যাদের এই রোগ হয় নাই। এ রোগে অনেক বৃদ্ধ-মাঝ বয়সীর জীবন সমাপ্তিও ঘটেছে। শুনেছি এক সচিব নাকি মারা গেছে। আমার পরিচিতদের মধ্যে মারা গেছে ৪ জন। ২ জন মরতে মরতে বেচেছে। ঠিক কত জন এ রোগে মারা গেছে কিংবা কত লোক আক্রান্ত হয়েছে তার সঠিক হিসেব জানা যায়নি। দেশের স্বাথ্যমন্ত্রী নাসিম অবশ্য বলেছে- চিকুনগুনিয়া আতঙ্ক নাকি মিডিয়ার সৃষ্টি। তবে আমার দৃষ্টিতে বরং উল্টো, কারণ চিকুনগুনিয়া যত ভয়াবহ ধরনের অসুখ এবং যত ব্যাপক তা বাংলাদেশের ক্ষতি করেছে, তার তুলনায় মিডিয়া অনেক দেরিতেই সেদিকে দৃষ্টিপাত করেছে।
চিকুনগুনিয়া নিয়ে আমি আগেও পোস্ট দিয়েছি। চিকুনগুনিয়ার জীবাণুর প্যাটেন্ট কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে কয়টি রোগ-জীবণু অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে তার মধ্যে চিকুনগুনিয়া বা CHIKV অন্যতম । (Click This Link)
১৯৮১ সালে ফিদেল ক্যাস্ট্রোকে শিক্ষা দেবার উদ্দেশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিউবাতে চিকনগুনিয়া ভাইরাস টেস্ট করেছিলো। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাবে প্রস্তুত একক স্ট্রেইনের (Single Strain) ভাইরাস। এই জ্বরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নস্ট হয়ে যায়, এমনকি প্যারালাইসিসও হতে পারে। বয়স্ক মানুষের জন্য এ রোগ প্রাণঘাতী। জয়েন্টে ব্যথা হয় যা সারতে অনেকের ২ বছরেরও বেশী সময় লেগে যেতে পারে। এটি মানসিক স্বাস্থ্যের উপর দীর্ঘমেয়াদী এফেক্ট তৈরী করে। এই ভাইরাস নিয়ে পত্রিকায় যখন আমাদের চিকিৎসকগণ লেকচার দেয় " চিন্তিত হবার মত কিছু নয়" তা শুনে আমার বেশ হাসিই পায়।
চিকনগুনিয়া ভাইরাস নিয়েই WHO র একটি রিপোর্ট দেখা যাক
http://www.who.int/…/arbo-v…/other_arboviral_chikungunya/en/
সেখানে এশিয়া ও আফ্রিকার অনেক দেশের নাম উল্লেখ আছে যেখানে চিকন গুনিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে, কিন্তু ইউরোপের কেবল ইটালী ছাড়া আর কোন দেশে হয়নি ( তাও সেটা ট্রাভেলারের কারণে ) আর আমেরিকাতে প্রাদুর্ভাবের রেকর্ড নেই।
চিকুনগুনিয়া প্রথমে দেখা যায় ১৯৫২ সালে আফ্রিকাতে পরে এশিয়াতে ছড়ায়। বাংলাদেশে প্রথম ২০০৮ সালে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে পরে ২০১১ সালে ঢাকার দোহার উপজেলায় আর বর্তমানে ঢাকা সহ দেশব্যাপী।
ইবোলা ভাইরাস প্রথমে সনাক্ত করা হয় ১৯৭০ সালে তাও আফ্রিকাতে।
যিকা ভাইরাস প্রথম সনাক্ত হয় উগান্ডাতে ১৯৪৭ সালে বানরের মধ্যে কিন্তু মানুষের মধ্যে প্রথম দেখা যায় ১৯৫২ সালে।
AIDS ভাইরাসের কথাও আপনাদের জানা আছে। কোন এক সবুজ বানর কোন এক আফ্রিকার কালো মানুষের শরীরের কামড় বসিয়েছিল আর তাতেই নাকি পুরো সেন্ট্রাল আফ্রিকাতে এইডস ছড়িয়ে গেল। ১৯৫৯ সালে আফ্রিকার কঙ্গোর কিনসাসা শহরে একজন মানুষের রক্তে প্রথম এইচ-আই ভি ভাইরাস সনাক্ত হয়। কিন্তু কেউ জানে না সেই ব্যাক্তি কিভাবে আক্রান্ত হয়েছিলো। জেনেটিক গবেষণায় ধরা পরে প্রথম একটি ভাইরাস থেকে এই ইনফেকশন ছড়ায় তাও সেই সময়কাল হচ্ছে ১৯৫০ সালের শুরুর দিকে।
একটা বিষয় লক্ষ্যনীয় যে মানব জাতির জন্য ক্ষতিকর সবগুলো ভাইরাস সনাক্ত হয় ১৯৪৩ সালের পর থেকে। প্রশ্ন হচ্ছে কেন?
এখানে বলে রাখা ভাল মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টের সময় প্রথম ১৯৪৩ সালে বায়োলজিক্যাল যুদ্ধাস্ত্রের প্রোগ্রাম হাতে নেয়া হয় এবং ম্যারিল্যান্ডের ক্যাম্প ডেট্রিক এলাকায় US Army Chemical Corp. থেকে কাজ শুরু হয়।
বাংলাদেশেও যে জীবাণু অস্ত্রের প্রয়োগ ঘটবে না এটা বলা যায় না। সম্ভবত: চিকুনগুনিয়া তার অন্যতম প্রথম দৃষ্টি। হয়ত খুব শিঘ্রই চিকুনগুনিয়ার ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়ে বাংলাদেশে একটা বিরাট মার্কেট সৃষ্টি করবে সম্রাজ্যবাদীরা।
এখন বাচার উপায় কি ?
প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিউর। আবার মশা দমনকে শুধু প্রিভেনশন ভাববেন না। কারণ চিকুনগুনিয়া মশা দিয়ে এসেছে, তাই সব জীবাণু অস্ত্র মশা দিয়ে আসবে এমনটা ভাবা ঠিক নয়।
প্রিভেনশনের সবচেয়ে সহজ তত্ত্ব শিখিয়ে দেবো ???
ধরুন আপনার এক শত্রু আছে। আপনি জানেন সে আপনাকে পেলে মেরে ফেলবে বা ক্ষতি করবে। এখন সে যদি আপনাকে একটা মিষ্টি দেয়, আপনি খাবেন ? এক গ্লাস শরবত দেয় আপনি খাবেন ? খাবেন না। ভাববেন নিশ্চিত খাবারে বিষ আছে। একটা কাপড় দিলে ভাববেন, নিশ্চিত কাপড়ে ক্ষতিকারক কিছু লাগিয়ে দিয়েছে যাতে আমার রোগ হবে। এভাবে সব কিছুকেই সন্দেহের চোখে দেখবেন। ভালো কিছু দিলেও সেটা সন্দেহ দিয়ে ঝালাই করে নিবেন। ঝালাই করার সুযোগ না থাকলে বাদ দিবেন। এটাই আসলে রিয়েল প্রিভেনশন।
আমেরিকার এখন বড় হাতিয়ার ভারত। বাংলাদেশে যাই মার্কিন ক্ষতি ঢুকবে, নিশ্চিত ভারতের ভায়া হয়েই ঢুকবে। আর ভারত তো বিভিন্ন ভাবে বাংলাদেশে ঢুকছে। জনগণ দিয়ে ঢুকছে, খাবার দিয়ে ঢুকছে, কাপড় দিয়ে ঢুকছে, গরু দিয়ে ঢুকছে। সব কিছুকেই সন্দেহ করুন। চোখে চোখে রাখুন। হুমায়ুন আজাদ বলেছিলো- `পাকিস্তানীরা যদি গোলাপ ফুল নিয়েও আসে আমি তাদের বিশ্বাস করি না‘‘। এই তত্ত্বটা শুধু আপনি ভারতীয় ও বাংলাদেশে তাদের দালালদের উপর প্রয়োগ করুন। সবাই যদি এমন করতে পারে, তবে এই সন্দেহটুকুই পুরো জাতিকে অনেক আগাম ক্ষতি থেকে বাচিয়ে দেবে, আমি নিশ্চিত।
২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৩৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
দেশের কি পরিমাণ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন?
৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৫৪
মেমননীয় বলেছেন: এদেশে কোন কিছুরই সঠিক ডাটা রাখা হয় না, তাই সঠিক সংখ্যা পাওয়া যায়না।
তবে, ঢাকার এমন ফ্ল্যাট বা বাড়ি পাওয়া যাবে না, যেখানে এই রোগ হয় নাই।
এটাই সহজ পরিসংখ্যান, বাকী টুকু অনুমান করে নিন।
৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫
খন্দকার সানাউল ইসলাম তিতাস বলেছেন: সত্য তুলে ধরেছেন!
৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৩০
ভাবুক কবি বলেছেন: দারুণ কিছু সত্য নিয়ে সময় উপযোগী পোস্ট।
৬| ১৩ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:০৪
বারিধারা বলেছেন: কোন প্রস্তুতি নিয়েই চিকুনগুনিয়া ঠেকানো যায়না। যার হবার, তার হবেই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৩৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
মনে হচ্ছে, ব্লগারেরা অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন?