![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"ধর্মনিরপেক্ষ" মিডিয়ার দুইটা ব্রেকিং নিউজ দিয়ে কথা শুরু করি।
.
২০০০ সালের দিকের ইয়াং জেনারেশান যারা বিদেশী মিউজিকের খবরাখবর রাখতেন, তারা লিংকিন পার্কের মেটাল - রক আর র্যাপের ফিউশানে মাথা দোলায়নি এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তাদের ভোকালিস্ট চেস্টার বেনিংটন মারা গেছেন। বয়স ছিল মাত্র ৪১। সুইসাইডাল কেইস। দীর্ঘদিন ধরে এলকোহল - ড্রাগসের পেরেশানিতে ছিলেন। মজার ব্যাপার হল, তিনি আত্নহত্যার লেসনটা নিয়েছিলেন আরেক মিউজিশিয়ানের কাছে যিনি (ক্রিস কর্ণেল) গত মে মাসে সুইসাইড করেছেন।
.
তাহসান - মিথিলা। অভিনয় আর সঙ্গীত দুই দিকেই সব্যসাচী এই দম্পতির ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। এক দশকের অধিক সময় ধরে সংসার। তাদের একটা মেয়ে সন্তানও ছিল।
.
.
সদ্য গ্রাজুয়েট শেষ করা একজন ছেলে কী চায়? রিটায়ারমেন্টের পরে নিজের একটা বাড়ি থাকবে। গাড়ি থাকবে। সুনসান নীরবতায় জীবনের শেষ সময়গুলো আরামে থাকবেন। এর জন্যেই তো সব মেহনত! বেনিংটন কিন্তু ৪১ বছর বয়সে এর চেয়েও বেশি উপার্জন করেছিলেন। এর পাশাপাশি পেয়েছেন সারা পৃথিবীর অনেক মানুষের ভালোবাসা।
.
"কাছে আসার সাহসী গল্পের" সবচেয়ে সফল নায়ক তাহসান অনেক মেয়ের কাছে মিছেমিছি অভিনয়ছলে আসলেও আসল স্ত্রীর কাছ থেকে সরে গেছেন। আমজনতা আর পাতি সেলিব্রিটির কাছে এরকম দম্পতির "কেমিস্ট্রি" বরাবরই ঈর্ষনীয়। লিভিং লিজেন্ড। কিন্তু তারপরেও শেষের শুরুটা আর টিকে নি। কত রমণী তাহসানকে হাজব্যান্ড হিসেবে পেতে ভিখারিনীর মত তাকিয়ে থাকত একটা সময়! মিথিলার কেন বিয়ে হয়ে গেল এজন্য কত ছেলে উপোস করেছে!
.
দেশের বা দেশের বাহিরের এই মানুষগুলোর জীবনে কিছুর অভাব ছিল না। অন্তত আমরা যেসব উপকরণের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করি। নিজের ইচ্ছায় নিষিদ্ধ কাজকেও সিদ্ধ করে নিই - তার প্রতিটা জিনিস এদের নখদর্পণে থাকার পরেও জীবনের শেষটা হয় ডিপ্রেশান দিয়ে। ডিভোর্স দিয়ে। সুইসাইড দিয়ে। আচ্ছা ভাই, কখনও কি শুনেছেন "হকপন্থী" কোন হুজুর গলায় ফাঁস লাগিয়ছেন? আমি শুনি নি।
.
মানুষ এলকোহলে কেন এডিক্টেড হয়? প্লে লিস্টে একটার পর একটা মিউজিক কেন চেইঞ্জ করে? সহজ উত্তর : দু:খ ভুলে থাকতে। সমস্যাটা এখানেই। দু:খটা আসলে কিসের সেটাই এদের জানা নেই। কারণ সম্মান, ক্ষমতা এবং অর্থ এর তিনটেই এদের কমতি নেই।
.
অভাবটা আসলে বস্তুর বাহিরে অন্যকিছু। দুনিয়ার সবকিছুর মালিক হয়ে গেলেও এই শূণ্যতা থেকেই যাবে। সেটা হল আল্লাহকে না পাওয়ার বেদনা। আল্লাহকে অন্তরে ধারণ না করতে পারার দু:খটা। কেবল আল্লাহর স্মরণ দ্বারা মুমিনের অন্তর প্রশান্ত হয়। সেজন্য আমরা দেখি না কোন হুজুর মনের দু:খ ভুলতে এশার নামাজের পরে মদের বারে ঢোক ঢোক করে মদ গিলছেন। বাসায় বউ রেখে একের পর এক মেয়ের সাথে ফ্লার্টিং করছেন। একটার পর একটা সিগারেট ধরাচ্ছেন। নিজের বউকে অন্য লোকের সাথে সরল বিশ্বাসে ছেড়ে দিয়েছেন। পরে যখন বিশ্বাস ভাঙলো তখন তালাকনামা পাঠাচ্ছেন।
.
যারা কেবল দুনিয়ার পিছনে ছুটে আল্লাহ তাদের দুনিয়া দিতেও পারেন নাও পারেন। দিলে একদম ভালোমত ভরে দেন। যাতে গলা উপচে পরে। কিন্তু একটা জিনিস কেড়ে নেন। সেটা হল মনের শান্তি। আল্লাহ যেখান থেকে তার রহমত তুলে নেন সেখানে শয়তান রাজ্য স্থাপন করে। আর আল্লাহর কাছে আখিরাত চাইলে আল্লাহ আখিরাতের নিয়ামত দেন। মনে শান্তি দেন। যে কারণে নিতান্ত ডাল ভাত খেয়েও আরামের ঘুম আসে। আল্লাহ খুশি হয়ে দুনিয়াও ঢেলে দিতে পারেন। যদিও সেটা মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল না।
@ মিসবাহ মাহিন
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩
ফেল কড়ি মাখ তেল বলেছেন: ব্লগে আসেন কি অনলাইন পেপার নেট থেকে লেখা কপি পেস্ট করার জন্য নাকি? নিজের মগযে কি কিছু নাই?