নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইকরাম এর দুনিয়া

আমার ব্লগঃ http://genesisblogs.com/

মোঃ ইকরাম

নেশা, পেশা সব আইটি কেন্দ্রিক

মোঃ ইকরাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আউটসোর্সিংয়ের কাজে গ্রাফিক্স ডিজাইন, গ্রাফিক্স প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আউটসোর্সিং

০৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৫২

যেসব ডিজানার আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে তাদের জন্য প্রথম পছন্দের আউটসোর্সিং কাজ হচ্ছে ডিজাইন প্রতিযোগিতাতে অংশগ্রহন করা। ওডেস্ক কিংবা এধরনের ওয়েবসাইট অর্থাৎ যেসব ওয়েবসাইটে বিড করে কাজ জোগাড় করতে হয়, যেসব জায়গাতে আমার কাজ করার আগ্রহ একটু কম।



কেন আমি গ্রাফিক্স প্রতিযোগিতাতে অংশগ্রহন করে আউটসোর্সিং কাজ করি?



১) আউটসোর্সিংয়ে যারা নতুন তাদের জন্য বিড করে কাজ পাওয়াটা অনেক কষ্টসাধ্য ব্যপার। কিন্তু গ্রাফিক্স প্রতিযোগিতাগুলোতে নতুন হিসেবেও কাজের ক্ষেত্রে কোন প্রতিবন্ধকতা নাই।



২)এখানে প্রোফাইল ১০০% করা কিংবা পরীক্ষা দেয়ার কোন ঝামেলা নাই।



৩)এখানে কোন কাজে বিড করা কিংবা ইন্টারভিউ দেয়ার ঝামেলা নাই।



৪) এখানে প্রোফাইল ফিডব্যাকের কোন ব্যাপার নাই। এজন্য কে নতুন কিংবা কে পুরানো গ্রাফিক্স ডিজাইনার সেটা বোঝার কোন উপায় নাই। সুতরাং আপনি নতুন হলেও সেটা কোন সমস্যা না।



৫) অন্যদের কাজ সবার সামনে উন্মুক্ত, সেজন্য অন্যদের ডিজাইন দেখে নিজে কিছু শেখা যায় এবং ডিজাইন আইডিয়া পাওয়া যায়।যা একজন ডিজাইনারকে আরো ভাল ডিজাইনার হতে সহয়তা করে।



৬) এবার যদি আসেন ইনকামের ব্যাপারে, যেটা আমাদের মূল টার্গেট, সেটা হিসেব করলেও প্রতিযোগিতা করার সাইটগুলো বেস্ট। আমি যদি একটা লোগো ডিজাইনের কাজ করি ওডেস্কে, তাহলে আমি মাত্র ২০-৫০ ডলার আয় করতে পারব। কিন্তু প্রতিযোগিতার সাইটগুলোতে শুধুমাত্র একটা লোগো ডিজাইনের জন্য পাওয়া যায় ৩০০ ডলার, অনেক সময় তার চাইতেও বেশি।



এবার আমার পরিচিত কিছু গ্রাফিকস প্রতিযোগিতার ওয়েবসাইটের নাম এখানে উল্লেখ করতে চাই।



99designs.com, freelancer.com/contest/, designcrowd.com, zazzle.com



এগুলো সবচাইতে জনপ্রিয় কয়েকটি সাইটের নাম। তাছাড়া আরো অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে শুধুমাত্র গ্রাফিকস সম্পর্কিত প্রতিযোগিতা হয়।এসব প্রতিযোগিতায় জিততে পারলেই কেবল অর্থ পাওয়া যায়, নতুবা নয়।



প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্য কিছু টিপস রয়েছে। আমার অভিজ্ঞতা অনুযায়ি সেগুলো এখানে শেয়ার করলাম।

১। নতুন প্রতিযোগি হলে কম বাজেটের প্রতিযোগিতাতে অংশগ্রহণ করুন। এখানে প্রতিযোগি কম থাকে। সেজন্য জেতার সম্ভাবনা কিছুটা বেশি থাকে। প্রথম দিকে ২-৩ টা জিতলে নিজের কনফিডেন্ট বাড়বে।



২। প্রথম প্রতিযোগিতাতে সফলতা না আসা পযন্ত ধৈর্য্য ধরে কাজ করে যেতে হবে।



৩। যে প্রতিযোগিতাগুলো গ্যারান্টিড না , সেগুলোর রেটিং কত শতাংশ আছে , সেদিকেও খেয়াল করবেন। কন্টেস্ট হোল্ডারকে যদি বেশি একটিভ মনে না হয় তখন সে কন্টেস্ট এড়িয়ে চলা বুদ্ধিমানের কাজ!

৪। প্রতিযোগিতার বিস্তারিত খুব ভালভাবে আগে পড়ে দেখবেন।যদি ভালভাবে না বুঝেন তাহলে অন্য ডিজাইনারদের কাজগুলো দেখেন, তাহলে হয়ত ক্লায়েন্ট চাহিদা বুঝতে পারবেন।

৫। গ্রাফিকস প্রতিযোগিতার সবচাইতে মজার বিষয় হলো অন্যদের ডিজাইনগুলো দেখতে পারবেন। কন্টেস্ট চলাকালীন সময়ে সেগুলোতে কন্টেস্ট হোল্ডারের ফিডব্যাক দেখতে পারবেন। সেজন্য তার রুচি সম্পর্কে ভাল একটা আইডিয়া পাবেন।



৬। ডিজাইন সাবমিট করার পর কন্টেস্ট হোল্ডার রেটিং বা ফিডব্যাক দিলে তা অনুযায়ী দ্রুত প্রয়োজনীয় সকল সংশোধন/পরিবর্ধন যা লাগে করে আবার সাবমিট করবেন।



৭। কখনো অন্যের ডিজাইন নকল করবেননা, তাতে করে সংশ্লিষ্ট কন্টেস্টে অযোগ্য হিসেবে ঘোষনাসহ সেই ওয়েবসাইটে আপনার একাউন্ট সাসপেন্ড হয়ে যেতে পারে।

৮। জিততে না পারলে মন খারাপ করার কিছুই নাই। কারন সবার রুচি একরকম না। চেষ্টা চালিয়ে যান ভালভাবে। তাতে আপনার কাজের মান ধীরে ধীরে বাড়বে। তাছাড়া কন্টেস্ট না জিতলেও ভাগ্য সহায় হলে আপনার ডিজাইনগুলো বিক্রি হতে পারে সেখান থেকেও।



কারো যদি আরো কোন টিপস থাকে তাহলে সেটা এখানে শেয়ার করতে পারেন। আর যারা গ্রাফিকসের কাজ পারেননা কিন্তু এ লেখা পড়ার পর হয়ত অনেকের গ্রাফিক্স এর কাজ শেখার আগ্রহ তৈরি হতে পারে। তাদের অনলাইনে বসে শেখার জন্য নিচের লিংকটা দিচ্ছি। আশা করি অনেক কিছু সেখান থেকে শিখতে পারবেন।

http://creativeit-inst.com/learning_center.php



সবশেষে এখানে নতুন গ্রাফিকস ডিজাইনারদের জন্য কিছু টিপস শেয়ার করলাম। ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউটের প্রধান মনির স্যারের মতে ৩টি ধাপ অনুসরণ করলে পরিপূর্ণ গ্রাফিকস ডিজাইনার হওয়া যায়।ধাপগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।



১ম ধাপঃ অন্যকোন ভাল ডিজাইনকে হুবহু তৈরি করতে হবে এবং এরকম কমপক্ষে ১০০টি ডিজাইন তৈরি করতে হবে।



এ ধাপে গ্রাফিক্স সফটওয়্যারের সকল টুলসের ব্যবহার সম্পর্কে অভিজ্ঞতা বাড়বে।



২য় ধাপঃ এ ধাপে অনেকগুলো ডিজাইন থেকে আইডিয়া নিয়ে নতুন ডিজাইন তৈরি করতে হবে। এরকম ৫০টা প্রজেক্ট করতে হবে।



এধাপের পর ডিজাইন সম্পর্কে অভিজ্ঞতা বাড়বে।



৩য় ধাপঃ এবার আপনি নিজেই ডিজাইনার। সুতরাং এ ধাপে আপনি আপনার নিজের ক্রিয়েটিভিটি কাজে লাগিয়ে ডিজাইন শুরু করতে পারেন।



এ ধাপগুলো অনুসরণকরার পরও যদি কারও কোন সহযোগিতার প্রয়োজন হয়, তাহলে ফেসবুকের নিচের গ্রুপে যেকোন সময় প্রশ্ন করতে পারেন।



https://www.facebook.com/groups/creativeit/

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.