নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইকরাম এর দুনিয়া

আমার ব্লগঃ http://genesisblogs.com/

মোঃ ইকরাম

নেশা, পেশা সব আইটি কেন্দ্রিক

মোঃ ইকরাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধুমপান করা মানে, টাকা দিয়ে মৃত্যুকে কেনা

২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৪২

আমার গর্ব, আমি কখনও ধুমপান করিনা। আমার গর্ব কখনও অ্যালকোহল পান করিনা। এমনকি কখনও অ্যানর্জি ড্রিংকসও পান করিনি। যেযুগে ধুমপান করেনা, এরকম মানুষ পাওয়া প্রায় দুঃসাধ্য, যে যুগে, মেয়েরার পযন্ত ধুমপান করে, সেযুগে জন্ম হয়েও আমি কখনও ফান করেও একাজগুলো করিনি। সুতরাং গর্ব করতেই পারি। যারা ধুমপান করে তাদেরকেও অনুরোধ করব, এটি যাতে ছেড়ে দেয়।



আমরা সবাই জানি ধুমপান মানবদেহের অনেক ক্ষতি করে। কিন্তু যা জানিনা, তা হলো ঠিক কিভাবে ক্ষতিটা করে। সেটি নিয়েই আজকে আমার এ পোস্ট।







ধুমপান কখনও একদিনে কাউকে ধ্বংস করে দেয় না। যত দিন যাবে, যত বয়স বাড়বে তত এর ক্ষতির দিকগুলো দেখা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিবছর প্রায় ৫.৫ ট্রিলিয়ন সিগারেট তৈরি করা হয় আর প্রায় ১.১ বিলিয়ন মানুষ সিগারেট বা ধুমপান করছে। এর মধ্যে প্রতি ১০০ জনে এশিয়ায় প্রায় শতকরা ৪৪ ভাগ পুরুষ ও ৪ ভাগ মহিলা সিগারেট বা ধুমপান করেন। ইউরোপে নারীদের সিগারেট বা ধুমপান করার হার বেশি প্রায় শতকরা ৪৬ ভাগ পুরুষ ও ২৬ ভাগ মহিলা। আমেরিকায় এটি প্রায় ৩৫ ও ২২ ভাগ। কিন্তু পশ্চিম মহাসাগরীয় অঞ্চলে সিগারেট বা ধুমপান মহামারির মত। প্রায় ৬০ ভাগ পুরুষ ও ৮ ভাগ নারী ধুমপানে আসক্ত।



মানবদেহে ধুমপানের ক্ষতিকর দিক



১. ধুমপানের কারণে ফুসফুসে ক্যান্সার হয়।



২. হার্ট এটাক ও স্ট্রোক ঘটায়।



৩. ধমনীতে (করনারি আর্টারি) ব্লকেজ তৈরি করে। তখন এনজিওপ্লাস্টি করে আর্টারিতে রিং পরাতে হয়, এই রিং ১০ বছরের মতন থাকে। এরপর অবস্থার উন্নতি না হলে বাইপাস সার্জারি (ওপেন হার্ট) করানো ছাড়া কোনো উপায় থাকে না।



৪. দিনে ২০টি সিগারেট খাওয়া স্মোকার প্রতি বছর প্রায় ১ কাপ পরিমান আলকাতরা ধোঁয়ার সাথে ভেতরে নেয়। এই পরিমান আলকাতরা ফুসফুসে ঝুল সৃষ্টি করে আবৃত করে রাখে।



৫. কার্বন মনোক্সাইড আমাদের পেশী, টিস্যু ও ব্রেনের অক্সিজেনকে নিঃশেষ করে দেয়। এসব টিস্যুকে অক্সিজেনেটেড রাখতে ফলে হার্টকে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয় । ফলে একসময় দেহের বায়ু প্রবেশপথ ফুলে ওঠে ও শেষে দেখা যায় ফুসফুসে কম বাতাস প্রবেশ করে।



৬. ধুমপানের কারনে ফুসফুসে ‘এমফাইসেমা’ সৃষ্টি করে। ‘এমফাইসেমা’ হলে ধীরে ধীরে ফুসফুস পঁচে যায়। ‘এমফাইসেমা’ রোগীর যখন তখন ব্রংকাইটিস হয়ে থাকে। যেকোনো সময় হার্ট কিংবা ফুসফুসের স্পন্দন বন্ধ করে দিতে পারে।



৭. গর্ভাবস্থায় স্মোকিং করলে ঘনঘন গর্ভপাত, জন্মের আগেই বাচ্চার মৃত্যু হতে পারে, আর বাচ্চার যদি জন্ম হয়ও দেখা যায় সেই বাচ্চা কম ওজন নিয়ে বা অপরিণত অবস্থায় জন্মগ্রহন করে।



৮. এছাড়া ধুমপান মুখে বাজে গন্ধ সৃষ্টি করে। দাঁতের ও মাড়ির ক্ষয় ঘটায়।



৯. ধুমপানের কারণে শরীরের ত্বকে অক্সিজেন কম আসে, ফলে অল্প বয়সে বৃদ্ধদের মত রুক্ষ্য ত্বকের সৃষ্টি হয়। এমনকি কম অক্সিজেনের কারণে অঙ্গে পঁচন দেখা দিলে শেষ পর্যন্ত তা কেটে ফেলা ছাড়া উপায় থাকে না।



১০. হাড়ের ক্ষয় ঘটায়। মেয়েদের ক্ষেত্রে এটি আরো মারাত্মক। কেননা মেয়েরা এমনিতেই অস্টিওপরেসিসে ভোগে বেশি, তার উপর ধুমপায়ী মেয়েরা ১০-১৫% বেশি এ রোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকিতে পড়ে।



১১. পাকস্থলীর ক্যান্সার বা আলসার, কিডনি, অগ্ন্যাশয়, ব্লাডারের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।



সুতরাং দেখা যাচ্ছে, যেই ধুমপানের জন্য ১০০টাকা খরচ করে আসলে আমরা প্রতিদিন নিজের মৃত্যুকে কিনে নিচ্ছি। তাই আশাকরি সচেতন হয়ে এই ভয়ংকনর ধুমপান ছেড়ে দিতে উদ্যোগী হব। যেই টাকা খরচ করছেন মৃত্যু কেনার জন্য, সেই টাকা দিয়ে ভাল কিছু খাওয়া শুরু করেন।



পোস্টটি শেয়ার করে সবাইকে সচেতন করবেন , আশা করি।

আমার ব্লগে প্রথম প্রকাশিত।

লিংকঃ http://genesisblogs.com/health-2/3915

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:১১

কাজের কথা বলেছেন: কোন কিছুই যখন করে না, ভাই বাইচা আছেন ক্যান?


;) ;) ;) ;) ;) ;)

২| ২২ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫০

হেডস্যার বলেছেন:
চোরায় না শুনে ধর্মের কাহিনী।
যে ধুমপান করার সে করবেই তাকে যতই ভয় দেখান না কেন !!

যেমন আমি। :-P

৩| ২২ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৭

ঢাকাবাসী বলেছেন:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.