![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পরিবারের সামর্থ্য থাকার পরও ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দেওয়ার পর থেকেই নিজের ইনকাম নিজে করে সেটা দিয়েই নিজের সব খরচ চালাতাম। একসময় সকাল-দুপুরের খাবারের ব্যবস্থাও নিজের ইনকাম থেকেই করতাম।
♦ এর পিছনে কারণ ছিলো দুটি:
- নিজের ইনকাম করে ইনকাম করার কষ্টটা অনুভব করা।
- একদম টেনশন ফ্রি লাইফ যাতে লিড করতে না হয়। জীবনের চ্যালেঞ্জগুলো অনুভব করতে চেয়েছি।
মনে আছে, একবার ঈদে পকেট খালি ছিলো। পুরানো কাপড় যেটা আলমারিতে ভাজ করা থাকে, সেটি পড়ে ঈদের ড্রেস হিসেবে চালিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু ছেড়া স্যান্ডেল পড়েতো ঈদ করা যাবেনা। কিন্তু তারপরও এটার টাকাও আমি বাবামার কাছ থেকে নিবোনা। নিজে ইনকাম করে কিনতে পারিনি, সেজন্য সেই ঈদে ঘর থেকে বাইরেই যাইনি।
এভাবে নিজের উপর অত্যাচার করেই নিজেকে প্রস্তুত করেছি। এ চ্যালেঞ্জে অনেকবার ব্যর্থ হয়েছি, সেটাতে হতাশ হইনি, বরং শিক্ষা নিয়েছি। সেজন্য আবার উঠে দাড়াতে পেরেছি। অনেক বিপদে যেটা আপনারা ৩৫-৪০বছরে এসে পড়বেন, সেটি আমি ১৬-২৫ বছরের মধ্যেই ইচ্ছা করে পড়েছি। সেই বিপদগুলো মোকাবেলা করেই নিজেকে বিপদে মাথা ঠিক রাখা শিখিয়েছি। অনেক টাকা খরচ করে (সম্পূর্ণ নিজের ইনকামের টাকা) অনেক উদ্যোগ নিয়ে অনেক ব্যর্থ হয়ে টাকা নষ্ট করেছি। সেখানে হতাশ হইনি, বরং জীবনের রিয়েলিটি সম্পর্কে ধারনা নিয়েছি। আজকে আমার যতটুকু সফলতা, সব সেগুলোর জন্যই হয়েছে।
♦ আজকে চলতে গিয়ে তরুনদের অনেকটুকু ভবিষ্যতে আন্দাজ করতে পারি:
ক) আমি বর্তমানে যাদেরকেই দেখি একদম কম বয়সেই পড়ালেখাকে ঠিক রেখে নিজের খরচ নিজে চালানোর জন্য চেষ্টা করে, ব্যর্থ হয়, তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত দেখতে পারি। নিজের অতীত তখন চোখের সামনে ভেসে উঠে।
খ) অনেককে দেখতে পাই, চলতে গিয়ে হোচট খেয়েই হতাশ হয়ে পড়ছে। সেই হোচট খাওয়া নিয়েই বেশি অ্যানালাইস করে সময় নষ্ট করছে, মনে করছে যেন, একটা হোচট তার লাইফকে পুরোই ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাদের জন্য আফসোস হয়, তারা বুঝছেনা, এ হোচট তাদের জীবনের জন্য অনেক বড় পাওয়া। এত বড় পাওয়াটাকে তারা হেলায় নষ্ট করে ফেলছে দুইভাবে:
- ব্যর্থ হলেই সব শেষ মনে করে সরে আসতেছে। খুব বেশি বিষয়টা নিয়ে ভাবছে।
- নিজের ব্যর্থতার জন্য নিজেকে দোষারোপ না করে, নিজের ভুলটা খুজে বের করার চেষ্টা না করে অন্যকে দোষারোপ করছে।
গ) যাদেরকে দেখি জীবন নিয়ে কোন চিন্তা নাই। খাওয়ার ব্যবস্থা আর থাকার ব্যবস্থাতো কেউ করে দিচ্ছেই, কিসের চিন্তা আর। তাদের ভবিষ্যত দেখতে পাই। দু:শ্চিন্তাগ্রস্থ, হতাশাগ্রস্থ, জীবনকে অভিশপ্ত ভাবা একটা ভবিষ্যত। বর্তমানের মাত্র ৩-৪বছরের সাময়িক দু:শ্চিন্তামুক্ত , আনন্দের লাইফ সারাজীবনের অভিশাপ নিয়ে আসে।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৫
কালীদাস বলেছেন:
পোস্ট করেছি: ৪৬টি
মন্তব্য করেছি: ১০টি
মন্তব্য পেয়েছি: ৯৭টি
ব্লগ লিখেছি: ৩ বছর ৭ মাস
অনুসরণ করছি: ০ জন
অনুসরণ করছে: ১৪ জন
অন্যের পোস্টে আজ পর্যন্ত একবার কমেন্ট করেছেন। কাজেই আপনার ব্লগে ইন্টাএকশনের আশায় আসা এই ৯৭জনের মধ্যে আজ পর্যন্ত ৯জনের হয়ট সৌভাগ্য হয়েছে আপনার রিপ্লাই পাওয়ার।
এত ভাব নিয়া কম্যুনিটি ব্লগিং হয় না ভাইজান। ফেসবুক সেলিব্রিটি হওয়ার আর কম্যনিটি ব্লগিং আর পার্সোনাল ব্লগে লেখা এক জিনিষ না।