নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইকরাম এর দুনিয়া

আমার ব্লগঃ http://genesisblogs.com/

মোঃ ইকরাম

নেশা, পেশা সব আইটি কেন্দ্রিক

মোঃ ইকরাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিতর্ক- ১: চাকুরিতে নিয়োগে অভিজ্ঞ বনাম নতুন

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৫১

চাকুরিতে কেন অভিজ্ঞতা চায়, সেটা নিয়ে নতুনদের মধ্যে অনেক আফসোস, অভিযোগের সুর।
যেকোন প্রতিষ্ঠানেই নতুনদের নিতে পারলে আর্থিকভাবে সেই প্রতিষ্ঠান অনেক বেশি লাভবান হবে। সেজন্য যেকোন প্রতিষ্ঠান চায়, নতুনদেরকেই তাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য অপেক্ষাকৃত কম বেতনে নিয়োগ দিতে। কিছুটা শিখিয়ে নিতে হলেও কাজ চলে যাবে। কিন্তু নতুনদের নেওয়ার আগ্রহ থাকলেও প্রতিটা প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন বাজে অভিজ্ঞতার কারনে নতুনদের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।

♦ নতুনদের নিয়ে কিছু বাজে অভিজ্ঞতা শেয়ার করছিঃ
- অফিসে অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ চলে আসে বদ্দ অসময়ে। কিন্তু ক্লায়েন্ট যখনই কাজ দিক, সেটি ডেলিভারি দিয়ে বায়ারের মন রাখতে পারলে পরে আরও অনেক কাজ পেতে সুবিধা হয়। নতুনরা অসময়ে কোন কাজ দিলে খুবই বিরক্ত হয়, এবং তাদেরকে দিয়ে সেকাজটি সহজে করানো সম্ভব হয়না।
অন্যদিকে অভিজ্ঞরা এ বিষয়টির সাথে খুবই অভ্যস্ত। তারা জানে ক্লায়েন্টকে খুশি রাখতে পারলে কোম্পানীর ইনকাম হবে, কোম্পানীর ইনকাম হবে স্টাফ বেনিফেটেড হবে। আর সেজন্য তারা যেকোন সময়ই হোক কাজ করে দেওয়ার চেষ্টা করে।
- আমাদের দেশে অফিসে ঢুকার সময় আছে, বের হওয়ার কোন নির্দিষ্ট সময় নাই। এ বিষয়টি নতুনরা কোনভাবেই মানতে না চাইলেও অভিজ্ঞরা কিংবা পুরানোরা অভ্যস্ত। তাদের এ ব্যাপারে খুব বেশি অভিযোগ থাকেনা।
- অভিজ্ঞরা অফিসের নিয়মকানুনগুলো মেনে চলার চেষ্টা করে এবং নিয়মকানুন পালনে কোন ব্যত্যয় ঘটলে সেটার জন্য অফিস নির্ধারিত শাস্তিকেও (বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শাস্তি হিসেবে সেলারি কাটা হয়) মেনে নেয়।
নতুনরা এটা নিয়ে খুব বেশি হুলস্থুল কান্ড ঘটায়, কিংবা চাকুরি ছেড়ে দেয়।
- অফিস চলার জন্য চেইন অব কমান্ড থাকে। সেই চেইন অব কমান্ড নতুনরা সহজে মানতে চায়না। আর পরিচিত কেউ সিনিয়র পদে থাকলে তারাতো তাকে বন্ধু ভেবেই কাজ করে।
অন্যদিকে অভিজ্ঞরা তাদের সিনিয়র পদে কোন ঘনিষ্ঠ বন্ধু থাকলেও অফিসে ঢুকার পর ভুলে যায় সে তার বন্ধু। অফিসে বাইরে তাকে বন্ধু এবং অফিসে ঢুকার পর তাকে বস হিসেবেই মেনে নেয়। এ চেইন অব কমান্ড মানানো সম্ভব হয়না দেখে অনেকে কাছের আত্নীয় কিংবা বন্ধুকে তার অফিসে নিতে চায়না।
- সকল অফিসের সকল পরিবেশ কিংবা সকল বস নিজের মন মতো হয়না। সকল ধরনের পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিয়েই দুনিয়াতে চলতে হয়। এ বিষয়টি পোড় খাওয়া অভিজ্ঞরা খুব ভালভাবেই জানে এবং মেনে নেয়। নতুনরা সেটা মানতে চায়না। সেজন্য তাদেরকে তখন কমান্ড করা সম্ভব হয়না্।
- অভিজ্ঞরা খুব বেশি অফিসের স্বার্থ দেখার চেষ্টা করে। কারন তারা জানে অফিস বাচলে সে বাচবে। নতুনরা নিজের স্বার্থটাকে আগে প্রায়রিটি দেয়। সেজন্য সর্বোচ্চ সেক্রিফাইস করতে পারেনা।
- বেশিরভাগ নতুনরা শিখতে আগ্রহী কম থাকে। অভিজ্ঞরা ইনকামের চাইতে নিজেকে নিজে আরো বেশি ছাড়িয়ে যেতে চায়।
- নতুনরা হঠাৎ করেই চাকুরি ছেড়ে দেয়। খুব বেশি তাদের ছুটির প্রয়োজন হয়। তাদের সমস্যার অজুহাত এত বেশি শুনতে হয়, যেটাই অনেক বড় ভয় ঢুকিয়ে দেয়, নতুন কাউকে চাকুরিতে নেওয়ার ব্যাপারে।
অভিজ্ঞরা এ বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে অফিস নিয়মকে অবশ্যই পালন করে। তাদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা দেখা যায়না।
নতুনদের এ সমস্যার কারনেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নতুনদের কেউ নিতে চায়না। নতুনরা বিষয়গুলো মাথাতে রেখে নিজেকে পরিবর্তন করতে পারেন।
কারও কোন মতামত থাকলে কমেন্টে জানাতে পারেন। নিজের ওয়্যালে শেয়ার করে রাখুন নিজেকে আপডেট করার জন্য।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৭

ভাবুক কবি বলেছেন: তবে সবকিছু মেনে নিলেও কি আজকাল নতুনরা চাকুরী পায়!!?
আমার মতে উত্তরঃ না।
কেননা চাকুরীটা সেই পরিচিত না হলেও এখন পাওয়া যায়না।

তবে সব মিলিয়ে শিখলাম নতুন হিসেবেই

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০৪

মোঃ ইকরাম বলেছেন: আমি আমার প্রজেক্টে গত মাসে ৪২জন নতুনকে চাকুরিতে নিলাম।

২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৯

শামীম সরদার নিশু বলেছেন: ্নতুনদের ক্ষেত্রে চাকুরী পাওয়ার জন্য মামু, খালু আর পকেট গরম থাকা চাই :P

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০৫

মোঃ ইকরাম বলেছেন: আমি আমার প্রজেক্টে গত মাসে ৪২জন নতুনকে চাকুরিতে নিলাম... কেউতো টাকা দিলোনা।

৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আফশোস্, আপনি এখনও যুগের সাথে তাল মিলাতে পারেন নি। আপনি বর্তমান সময়ের ট্রেনটা মিসড করছেন।

৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪১

ভাবুক কবি বলেছেন: কিন্তু আমরা অনেক খুঁজেও যে ভাল কিছু পাইনা।
কিছু শিখতে চাই,
কিছু জানতে চাই,
কিছু জানাতে চাই এবং গড়তে চাই নিজের সুন্দর ভবিষ্যৎ।

৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৩

আহা রুবন বলেছেন: সহমত। আমি আগামি কাল বাড়ি যাব। বাড়ি গেলে অন্তত দুই চারজন ধরবে চাকরির জন্য। খুব সম্ভব আমি দেখব বলে আর দেখব না। এদিকে আমার কাছে (আমি মার্কেটিং-এ ছিলাম বলে এক্স কলিগরা যোগাযোগ করে। আবার যেহেতু বর্তমানে একজন পরিবেশক তাই প্রায়ই কর্মির খোঁজ করে সবাই।) রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলায় পাঁচ/ছয় জন ছেলেকে চেয়েছিল। একজনকে মাত্র দিতে পেরেছি' আরেকজনকে দিয়েছিলাম কিছু না বলে পালিয়েছে। অভিজ্ঞতা বড়ই বিশ্রী!

বর্তমান যুবকদের খুব বাজে একটা দোষ এরা বড় ভাইদের সঙ্গে, আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে না। অথচ রেফারেন্সেই চাকরি হয়। আমরা স্কুলে থাকা অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বড় ভাইয়েরা গ্রামে এলে পিছু পিছু ঘুরতাম--তারা নানা পরামর্শ দিতেন, অনেক কিছু জানতাম, ভাল একটা সম্পর্ক হত। আর এখন ছোটরা আমাদের সামনে ভাব নেয় যে তোমাদের চেয়ে আমরা কম কিসে! কখনও তারা আগ বাড়িয়ে কথা বলে না। সালাম দেয়া তো দূরে কথা! যে কারণে আমরা চাকরি সম্পর্কে একটা ধারণা পূর্বেই পেয়ে যেতাম, মাঝে মাঝে সহযোগিতাও। যেটা বর্তমানের তরুণরা পায় না। এরা সম্পর্ক বাড়ানোর চেষ্টা না করে ফেসবুকে বুঁদ হয়ে থাকে!

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৮

মোঃ ইকরাম বলেছেন: ঠিক,,, অনেক গুরুত্বপূর্ন ছিলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.