নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিজয়ের এ মাসে সর্বক্ষেত্রে সেরা উপহার হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের বই।
- বিজয়ের মাসে, স্কূল পড়ুয়া সন্তানের জন্য সেরা উপহার মুক্তিযুদ্ধের বই
- বিজয়ের মাসে, কারও জন্মদিনে সেরা উপহার মুক্তিযুদ্ধের বই
- বিজয়ের মাসে, বিয়ের দাওয়াতে সেরা উপহার মুক্তিযুদ্ধের বই
- বিজয়ের মাসে, নিজের স্টডেন্টের জন্য সেরা উপহার মুক্তিযুদ্ধের বই
- বিজয়ের মাসে, কাছের বন্ধুর জন্য সেরা উপহার মুক্তিযুদ্ধের বই
আমার নিজের পড়া সেরা ৫ টি বইয়ের নাম শেয়ার করছি, যেগুলো না পড়লে অনেক কিছু অজানা থেকে যেতো।
১৯৭১ : ভেতরে বাইরে,
লেখকঃ এ কে খন্দকার বীর উত্তম
ইতিহাস রচনার দুটি উৎস: একটি হচ্ছে দলিল-দস্তাবেজ, আর অন্যটি হলো অংশগ্রহণকারী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান বা তাদের স্মৃতিকথা।
এ কে খন্দকার বীর উত্তম স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রায় সব নীতিনির্ধারণী কর্মকাণ্ডে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। খুব কাছে থেকে যুদ্ধের সফলতা ও ব্যর্থতাগুলাকে অবলোকন করেন। তিনি যুদ্ধ পরিচালনায় মাঠপর্যায় থেকে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত কী কী সীমাবদ্ধতা ছিল, তা-ও তিনি জানতেন। তিনি যে অবস্থানে থেকে যুদ্ধকে পর্যবেক্ষণ করেছিলেন, তা অন্য অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয়নি। সে অভিজ্ঞতার আলােকেই লিখেছেন ১৯৭১: ভেতরে বাইরে। বইটি মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাক্রমের বর্ণনা নয়, এতে পাওয়া যাবে যুদ্ধের নীতিনির্ধারণী বিষয় এবং তার সফলতা, ব্যর্থতা ও সীমাবদ্ধতা-সম্পর্কিত বেশ কিছু মূল্যবান তথ্য । প্রচলিত মত ও আবেগের উর্ধ্বে থেকে বাস্তবতা আর নথিপত্রের ভিত্তিতে বিষয়গুলাকে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছেন লেখক । এমন কিছু বিষয়েরও উল্লেখ আছে বইটিতে, যা নিয়ে এর আগে বিশেষ কেউ আলোচনা করেননি। লেখকের নিজের অভিজ্ঞতার সঙ্গে প্রাসঙ্গিক নথিপত্রের সমর্থন বইটির নির্ভরযােগ্যতা বাড়িয়েছে।
যদিও বইটিতে কিছু বিতর্কিত মন্তব্য রয়েছে, যেমন - ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ সম্পর্কে তিনি বলেছেন - এই ভাষণের শেষ শব্দ ছিল ‘জয় পাকিস্তান’। পরে এটা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা আলোচনার জন্ম হয়।
তারপর ও আমি বলব মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যারা বুঝতে চান, যারা বাংলাদেশের ইতিহাস লিখতে চান, তাদের জন্য এই বইটি অবশ্যই পড়া উচিত।
বইটি অনলাইনে অর্ডার লিংকঃ view this link
একাত্তরের দিনগুলি
লেখকঃ জাহানারা ইমাম।
একাত্তরের দিনগুলি বাংলাদেশি কথাসাহিত্যিক জাহানারা ইমাম রচিত একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বই। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৮৬ সালের ফেব্রয়ারি মাসে।
বইটি ব্যক্তিগত দিনলিপি আকারে লেখা, যার শুরু ১৯৭১ সালের ১ মার্চ এবং সমাপ্তি সেই বছরের ১৭ ডিসেম্বর। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ঢাকা শহরের অবস্থা ও গেরিলা তৎপরতার বাস্তব চিত্র এতে উঠে এসেছে। বইটিতে তার সন্তান শফি ইমাম রুমী অন্যতম প্রধান চরিত্র হিসেবে দেখা দেয়।
বইটি নিয়ে নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ এর মন্তব্যঃ
ঘটনা ঘটে যাচ্ছে, তিনি দেখছেন। কিন্তু দেখছেন দূর থেকে। যদিও এই গল্প একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত গল্প। জননীর তীব্র শোক ও বেদনার গল্প। নিজের গল্প দূর থেকে দেখতে পারেন তাঁরাই, যাঁরা বড় শিল্পী। গভীর আবেগকে সংযত করবার জন্য প্রযোজন হয় একটি পাষাণ হৃদয়ের। সত্যিকার শিল্পীদের হৃদয় হয় পাথরের, নয়ত এত দুঃখকে তাঁরা কোথায় ধারণ করবেন? জাহানারা ইমাম হৃদয়কে পাথর করে লিখলেন তাঁর ডায়রি। কী অসম্ভব আন্তরিকতার সঙ্গেই না তাঁর গল্প বলে গেছেন। সেই গল্প তাঁর একার থাকেনি। কোন এক অলৌকিক উপায়ে হয়ে গেছে আমাদের সবার গল্প।
— হুমায়ূন আহমেদ, বিচিত্রা
বইটি অনলাইনে অর্ডার লিংকঃ view this link
আমি বীরাঙ্গনা বলছি
লেখকঃ অধ্যাপক নীলিমা ইব্রাহিম
বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র রূপে পাওয়ার জন্য আমাদের জাতিকে বিরাট মূল্য দিতে হয়েছে। অগনিত নারী, পুরুষ ও শিশুর প্রাণ এবং বিপুল সম্পদের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এই রাষ্ট্র। যারা সাধারণ মানুষ, দেশ ত্যাগ করে ভারতে যায়নি, অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেনি, তারাও মুক্তিযোদ্ধাদের আহার ও আশ্রয় দিয়ে প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছে।
যুদ্ধকালে নির্যাতিতা কিছু নারীর মর্মান্তিক কাহিনী, উপরের বইটিতে বর্ণিত হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পরেই, ১৯৭২ সালে, বঙ্গবন্ধু সরকার পরম মহানুভবতায় এই নারীদের বীরাঙ্গনা' বলে ঘোষনা করেন এবং স্বাধীনতা অর্জনে তাদের অবদানের স্বীকৃতি দেন। নানাভাবে সরকার তাদেরকে আর সবার মতো মর্যাদাবান মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন।
আমাদের সমাজ কিন্তু যথেষ্ট উদার মানসিকতার অধিকারী নয়। নানা রকম সংস্কার ও কুসংস্কার এবং ঔচিত্য-অনৌচিত্যের প্রশ্নকে আড়াল করে সামাজিক নিষ্ঠুরতাকে কেবল প্রশ্রয় নয়, প্রাধান্য দেয়। এই বৈরী বাস্তবতায় অধ্যাপক নীলিমা ইব্রাহিম সমাজকল্যাণের মনোভাব নিয়ে সাহসের সঙ্গে রচনা করেছেন ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি বইটি । তিনি সরেজমিনে তদন্ত করে তথ্য নির্নয় করেছেন। এবং বীরাঙ্গনাদের অন্তর্জালা তাদেরই জবানিতে সুন্দর ভাষায় প্রকাশ করেছেন।
বইটি অনলাইনে অর্ডার লিংকঃ view this link
একাত্তরের ডায়েরী
লেখকঃ সুফিয়া কামাল
কবি সুফিয়া কামাল ছিলেন মনন ও সৃজনশীলতায় অগ্রগামী নারী। যে সময়ে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন, নিজের সহজাত জ্ঞান ও মেধা দিয়ে সেই সময়কে অতিক্রম করেছিলেন এগিয়ে থাকা মানুষের শাণিত বোধে। যে বয়সে মানুষের বিবেচনা ও অভিজ্ঞতার সঞ্চয় হয় সে বয়সে তাঁর সময়কে তিনি উৎসর্গ করেছিলেন মানব কল্যাণের প্রয়োজনে। তাঁর রচিত ‘একাত্তরের ডায়েরী’ গ্রন্থ এই বিবেচনার সবটুকু প্রেরণা থেকে রচিত। ডায়েরির শুরু হয়ে ডিসেম্বর ৩০, ১৯৭০ তারিখে। শেষ হয়েছে ডিসেম্বর ৩১, শুক্রবার। পুরো এক বছর সময়। তবে প্রতিদিনের প্রতিদিনের দিনলিপি নয়। মাঝে মাঝে কিন্তু কিছু তারিখ বাদ দিয়ে লিখেছেন।
বইটি অনলাইনে অর্ডার লিংকঃ view this link
দেয়াল
লেখকঃ হুমায়ুন আহমেদ
হুমায়ূন আহমেদের অবর্তমানে তার উপন্যাস দেয়াল প্রকাশিত হয়েছে।
যে সময়কে উপজীব্য করা হয়েছে ‘দেয়াল’-এ, তা একটি সদ্যস্বাধীন জাতির ভাগ্যকাশের চরম অনিশ্চয়তার কাল। উপন্যাসের কিছু চরিত্র বাস্তব থেকে নেওয়া, নাম-ধাম সবই বাস্তব, ঘটনা-পরস্পরাও বাস্তবেরই অংশ। লেখক যেহেতু উপন্যাস লিখেছেন, তাই আছে কিছু কাল্পনিক চরিত্র। গল্প আবর্তিত হয়েছে এদের ঘিরেও ।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে খন্দকার মোশতাক আহমেদ জড়িত ছিলেন বলে মামলার সাক্ষ্য প্রমাণে উঠে এসেছে। কিন্তু মোশতাক আহমেদ কিছুই জানতেন না, এমনটাই তুলে ধরা হয়েছে ঐ উপন্যাসে।
এ বিষয়টি নিয়ে এক সময় প্রচুর বিতর্কের সৃষ্টি হয়। সেই কারনেই মূলত আমার মধ্যে এ বইটি পড়ার আগ্রহটা জন্ম নিয়েছিলো।
বইটি অনলাইনে অর্ডার লিংকঃ view this link
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২০
মোঃ ইকরাম বলেছেন: না ভাই নাই।
২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
দেয়াল ছাড়া বাকি গুলো ঠিক আছে ।
দেয়াল হচ্ছে অন্যতম বিতর্কিত বই ।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২১
মোঃ ইকরাম বলেছেন: রাইট। যদিও পরের এডিশনে অনেক কিছুই মুছে দিয়েছে।
৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো পোষ্ট।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২২
মোঃ ইকরাম বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য। আশা করি এ ধরনের ভালো পোস্টগুলো শেয়ার করেছেন।
৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৬
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ভালো লাগলো।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২২
মোঃ ইকরাম বলেছেন: কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ। কমেন্ট পেলে আরও ভাল ভাল লেখার উৎসাহ বেড়ে যায়।
৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৫
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: সেরা বইয়ের মধ্যে দেয়াল ঠিক মানায় না, বই মোটা হলেই ওজনদার হয় না। দেয়ালের চেয়ে ১৯৭১ আরও গভীর। মাহমুদুল হকের খেলাঘর পড়ে দেখেন।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০০
মোঃ ইকরাম বলেছেন: ধন্যবাদ পরামর্শের জন্য। ওই বইটাও পড়ে দেখবো।
৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৯
আলমগীর কাইজার বলেছেন: সুন্দর বইগুলো।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০১
মোঃ ইকরাম বলেছেন: ভাল লাগলে পোস্টটি শেয়ার করবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সুন্দর শ্লোগান !!
মুক্তি যুদ্ধ নিয়ে আপনার লেখা
কোন বই আছে কি ?