![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনের প্রথমে পেশায় ছিলাম আইনজীবি, সেটা পরিত্যাগ করে হলাম সরকারি চাকুরে। এটার যখন মেয়াদ শেষ হলো, তখন শুরু করলাম লেখা। আর লিখতে গেলে গবেষণা করতে হয়। এখন সেটা নিয়েই আছি। এ পর্যন্ত আমার ৬ টি বই বেরিয়েছে, যার মধ্যে দুটো মুক্তিযুদ্ধের, ১ টি আইনের, ১ টি ইতিহাসের এবং অপরটি আমার রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে। এক সময় বাম রাজনীতি করলেও বর্তমানে আমি আদর্শের দিক থেকে ধর্মনিরপেক্ষ, উদার গনতন্ত্রী, মানবাধিকারে বিশ্বাসী ও ভিন্ন মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
খন্দকার দেলোয়ার তার তীর্যক বিভিন্ন মন্তব্যের জন্য নিন্দিত ও নন্দিত। গতকাল তিনি প্রশ্ন তোলেছেন এবং আহ্বান জানিয়েছেন শেখ মুজিব যে স্বাধীণতা ঘোষণা করেছেন, তার প্রমাণ দিতে। গত দু বছর যাবত আমি নিজেও প্রমাণ খোজ করছি। কিন্তু শেখ মুজিবের স্বাধীনতার ঘোষণার স্বপক্ষে প্রত্যক্ষ কোন প্রমাণ নেই। নীচে ২৫ ও ২৬ মার্চের একটি নিঘন্ট দেয়া গেল।
২৫ মার্চঃ
সন্ধ্যা ৬টা শেখ মুজিব দেখা করেন তারেক আলীর পিতা ও রেহমান সোবহানের সাথে।
সন্ধা ৭টার মধ্যে শেখ মুজিব ২৭ মার্চ আহ্বান করেন হরতাল ও এ বিষয়ে প্রচারপত্র বিলি করেন সর্বত্র। ফজলুল হক মনি সন্ধ্যায়ই চলে যান টুঙ্গিপাড়া।
রাত ৮টায় এইচ.এম. কামরুজ্জামান, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, তাজউদ্দিন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম শেখ মুজিবের সাথে দেখা করে চলে যান যার যার গন্তব্যে।
রাত ৯টায় শেখ কামাল সকলের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যান।
রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে শহরে বিভিন্ন ব্যারিকেডের নিকট পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সাথে শুরু হয় জনগণের মুক্তিযুদ্ধ।
রাত সাড়ে ১০টায় আসেন পূর্ব পাকিস্তান শিপিং কর্পোরেশনের এমডি ক্যাপ্টেন রহমান, নৌবাহিনীর দুজন প্রাক্তন কর্মকর্তা কমান্ডার ফারুক ও লে. মতিউর রহমান।
রাত ১১টায় আসেন সিরাজুল আলম খান, আ.স.ম.আব্দুর রব ও শাজাহান সিরাজ। তারা শেখ মুজিবের সাথে কথা বলে কিছুক্ষণ পর চলে যান।
রাত ১১ টার কিছু পর আসেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ প্রধান আব্দুর রাজ্জাক। তিনি শেখ মুজিবের সাথে সাক্ষাত করে তাঁকে আত্মগোপন করার অনুরোধ জানান।
রাত ১১.৩০ মিনিটে আসেন ঝন্টু (জিয়াউর রহমানের উপদেষ্টা জাকারিয়া চৌধুরীর ভাই)। ঝন্টু শেখ মুজিবকে পাকিস্তানী সৈন্যদের অপারেশন সার্চলাইটের নৃশংস হত্যা ও ধ্বংস যজ্ঞ ঘটানো শুরু করার কথা অবহিত করে। ঝন্টুর বর্ণনা শুনে শেখ মুজিব ‘হাসিনা, রেহানা ও জেলীকে নিয়ে’ ভাড়াকৃত ফ্লাটে চলে যেতে বলেন এবং তারা
৩২নং রোডের বাসা ত্যাগ করে চলে যান।
রাত ১২টায় পাকিস্তানী সৈন্যরা ছড়িয়ে পড়ে ঢাকার সর্বত্র। শুরু হয় তুমুল প্রতিরোধ যুদ্ধ।
২৬ মার্চ রাত ১টায় পাকিস্তানী সৈন্যরা শেখ মুজিবের বাসায় অভিযান শুরু করে এবং আধঘন্টার মধ্যে শেখ মুজিব তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
গ্রেপ্তার হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত শেখ মুজিবের সাথে যাদের দেখা হয়েছিল, তাদের কাউকে শেখ মুজিব বলেন নি যে তিনি স্বাধীনতা ঘোষণার পরিকল্পনা নিয়েছেন বা উদ্যোগ নিয়েছেন বা প্রয়োজন হলে করবেন।
সেক্ষেত্রে দেলোয়ার যে দাবী করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে যারা বিশ্বাস করেন যে শেখ মুজিব সত্যই ২৬ মার্চ স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছিলেন, জাতির ভবিষ্যত প্রজন্মের দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাটানোর জন্য তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ পেশ করা উচিত বলে মনে করি। শেখ মুজিব নিজেও স্বাধীনতা ঘোষণার কোন প্রমাণের বিষয় উল্লেখ করে থাকলে তাও জাতির নিকট প্রকাশ করা উচিত।
এ প্রসঙ্গে আমার একটি অনুসন্ধানী পোস্ট ছিল। কারো কৌতুহল হলে দেখতে পারেন "১৯৭১ সালের ২৫ ও ২৬ মার্চের শ্বাসরুদ্ধকর সাড়ে ৭ ঘন্টা : স্বাধীনতার ঘোষণা ও কতিপয় বিভ্রান্তি
২৯ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:২২
মধুখোর বলেছেন: দারোয়ান বলতে আপনি সম্ভবত সেনাবাহিনীকে বুঝাচ্ছেন। ৭১ সালে সেনাবাহিনী কিন্তু তারা ছিল মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধক্ষেত্রে তারা দারোযানের ভূমিকা পালন করেনি, যুদ্ধ করেছে মাতৃভূমি শত্রুমুক্ত করার জন্য। যুদ্ধক্ষেত্রে আত্মদানের তালিকাটাও তাদের বড়। আর এখানে সেনাবাহিনীর কথা আসছে কেন? আসছে শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা আনুষ্ঠানিকভাব দিয়েছেন কিনা। এ বিষয়ে কোন প্রত্যক্ষ প্রমাণ থাকলে দয়া করে তথ্যসহায়তা প্রদান করুন।
২| ২৯ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১২:২২
বাংলার ছেলে আমি বলেছেন: ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ এর আগে মেজর জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের কতজন মানুষ চিনত বা তিনি তখন কি ধরণের রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করেছিলেন কিংবা তিনি তখন আদৌ কোন রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন কিনা তা সকলের জানা দরকার । জিয়াউর রহমান তখন ছিলেন একজন মেজর । তিনি তৎকালীন সময়ে সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। হঠাৎ করে একজন উড়ে এসে স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন আর অমনি বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেল এই কথা ভাবার এখন কোন অবকাশ নেই। আজ বিএনপি অর্থাৎ মেজর জিয়াউর রহমানের গঠিত দল যতই ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করুক না কেন সত্য কিন্তু সত্যের পথে চলবে । সত্যকে কখনও চেপে রাখা যায় না।
দেলোয়ার সাহেবের জন্যই আজকে বিএনপির এই দশা । নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবির পেছনে দেলোয়ার সাহেবের উল্টাপাল্টা মন্তব্য অনেক কাজ করেছে ।
এই লিংক এ ক্লিক করুন ।
২৯ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:২৬
মধুখোর বলেছেন: আপনি প্রসঙ্গ পাল্টাচ্ছেন। আমরা জানতে চাই শেখ মুজিব সত্যই স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছিলেন কিনা।
৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১২:৩৪
বাংল০০০ বলেছেন: শেখ মুজিব ২৬শে মার্চ রাত ১ টায় পাকিস্থানীদের কাছে আত্মসমর্পন করার পর দেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত তিনি পাকিস্থানের জেলেই ছিলেন । ১৯৭২ সালে দেশে আসেন। স্বাধীনতা ঘোষনা করলেন কখন?
২৯ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:০০
মধুখোর বলেছেন: সেটাই জানতে চাইছি।
৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১২:৪৪
ধ্রুবো বলেছেন: এই সব কি হইতাছে দেশে?
কেউ কবর খুড়ে বের করছে, কেউ ঘোষনা ফোসনা নিয়া মাতামাতি করতাছে, কেউ কেউ একে অপরের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করতাছে....
এগুলান কি কোনো কাজের কাজ হলো? এদিকে দেশের বারোটা বাজতেছে সেদিকে কারও খেয়াল আছে বলে মনে হয় না...
৩০ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ১০:৫৩
মধুখোর বলেছেন: দেশের বারটা বাজতেছে, এটা নূতন কোন কথা নয়।
৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১২:৪৫
িময়াজী বলেছেন: ২৬ মার্চের পূর্বের অথবা পরের কোনো ভাষনই প্রমান করে না যে , শেখ মুজিব স্বাধীনতা ঘোষনা করেছেন।
৩০ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ১০:৫৬
মধুখোর বলেছেন: আমার সন্ধান মূলত ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথ তলায় স্বাধীনতার যে ইশতেহার পাঠ হল, সেখানে উল্লেখ আছে যে শেখ মুজিব যথাযথভাবে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছেন ২৬ মার্চ। আমি তার বস্ত নিষ্ঠ প্রমাণের অনুসন্ধান করছি।
৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১২:৫৭
কথক পলাশ বলেছেন: বালি তপ্ত সূর্যেরও অধিক
৩১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১১:০৬
মধুখোর বলেছেন: অন্ধকারে ঢিল দিয়েছেন।
৭| ২৯ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:০৪
বাংলার ছেলে আমি বলেছেন: ভাই মিয়াজী আপনি কি বঙ্গবন্ধু কে চিনেন । জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় কতটি ভাষণ দিয়েছেন আপনি জানেন । ভাই ইতিহাস চাইলেই বিকৃত করা যায় কিন্তু সত্য সবাই জানে ।
আপনার জন্য কিছু রেফারেন্স দিলাম । এগুলো কালেক্ট করে পড়ে নিবেন । আশা করি আপনার ভুল ধারণাগুলো দূর হবে ।
১.দৈনিক সংবাদ- ৮ জুন ১৯৭২ ।
২.বাংলাদেশের সমাজ বিপ্লবে বঙ্গবন্ধুর দর্শন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ঢাকা, ১৯৭৯, পৃস্ঠা-৪৪,১৫৫,১৫৬ । উল্লেখ্য তখন জিয়াউর রহমান জীবিত ছিলেন ।
৩. ১৯৭২ সালের ২৬শে মার্চ দৈনিক বাংলা [অধুনালুপ্ত] তে জিয়াউর রহমান একটি সাক্ষাতকার দিয়েছিলেন । ঐ সাক্ষাতকারটি পড়লে আপনার ভুল ধারণা দূর হবে ।
২৯ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ২:৩১
মধুখোর বলেছেন: মিয়াজী আপনার প্রশ্নের উত্তর দিলে ভাল। তবে আমরা শেখ মুজিবকে চিনি। তিনি গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ায় সেরেস্তাদার শেখ লুৎফুর রহমানের ৪মেয়ে ও ২পুত্রের মধ্যে তৃতীয় সন্তান। শেখ মুজিব ১৯২০ সালের ১৭ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কতিপয় সেনা কর্মকর্তার অভূত্থানে নিহত হন।
আপনি বারে বারেই জিয়াউর রহমানের প্রসঙ্গ টানছেন কেন? আমরা শেখ মুজিবের স্বাধীনতা ঘোষণার প্রমান অনুসন্ধান করছি, জিয়াউর রহমানের নয়। আমরা জানতে চাই ১৯৭১ সালে ১৭ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণায় "....Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, the undisputed leader of 75 million of people of Bangladesh in due fulfillment of the legitimate right of self-determination of the people of Bangladesh, duly made declaration of independence at Dacca on March 26, 1971" উল্লেখিত অংশ বাস্তবিক কিনা।
৮| ২৯ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৫৭
আমি বীরবল বলেছেন: আমরা জানতে চাই শেখ মুজিব সত্যই স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছিলেন কিনা।
৯| ২৯ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ২:৩১
লড়াকু বলেছেন: পাজামা ঢিলা দেলোয়ারকে মাইনাস।
১০| ২৯ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:০৮
কথক পলাশ বলেছেন: স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা 'বেলাল মোহাম্মদ' এঁর সাক্ষাৎকার
৩০ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:২৩
মধুখোর বলেছেন: বেলাল মোহাম্মদ ২৫ ও ২৬ তারিখ রাতের কোন কিছু সম্বন্ধে অবহিত নন। তিনি যা জানেন তা হল কালুর ঘাট বেতার কেন্দ্রের। আর বেলাল মোহাম্মদ স্বাধীন বাংলা বেতার -এর প্রতিষ্টাতা এটা নূতন শুনলাম। ২৬ মার্চ সকাল বেলা থেকে বাকী ইতিহাস পরিস্কার।
১১| ২৯ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:১৪
দিদুমিয়া বলেছেন: শেখ মুজিব ২৬শে মার্চ রাত ১ টায় পাকিস্থানীদের কাছে আত্মসমর্পন করার পর দেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত তিনি পাকিস্থানের জেলেই ছিলেন । ১৯৭২ সালে দেশে আসেন। স্বাধীনতা ঘোষনা করলেন কখন?
৩০ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:২৫
মধুখোর বলেছেন: কখন ঘোষণা করলেন তার বস্তনিষ্ঠ প্রমাণের অনুসন্ধানের জন্যই এ পোস্ট। আমার অনুসন্ধানে শেখ মুজিব আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষনা করেছেন বলে বস্তনিষ্ঠ প্রমাণ পাইনি।
১২| ২৯ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:১৬
বাংলার ছেলে আমি বলেছেন: ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারই আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা করে । এই ঘোষণা হচ্ছে Proclamation of Independence বা স্বাধীনতার সনদ । এই সনদের ৬ষ্ঠ প্যারায় বলা হয়েছেঃ ''যেহেতু উল্লেখিত বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের জন্য উভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগনের আত্ননিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন । এবং বাংলাদেশের অখন্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্যে উদাত্ত আহ্বান জানান''
এতে কি প্রমানিত হয় যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতার ঘোষক । উল্লেখ্য জিয়াউর রহমান তখন জীবিত ছিলেন এবং তিনি তার জীবদ্দশায় কখনও এর বিরোধীতা করেননি।
৩০ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:২৭
মধুখোর বলেছেন: জিয়াউর রহমান কি বলেছিলেন সেটা আমাদের বিবেচ্য বিষয় নয়। আমাদের বিবেচ্য বিষয় হল তাজউদ্দিন প্রমুখ এপ্রিলের ১৭ তারিখ যে উল্লেখ করলেন ২৬ মার্চ শেখ মুজিব যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন, তার বস্তনিষ্ঠ প্রমাণ।
১৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:২০
রংধনুর সাত রঙ বলেছেন: স্বাধিনতার একমাত্র ঘোষক শহীদ জিয়া।
৩১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১১:০৭
মধুখোর বলেছেন: আমি এ প্রসঙ্গে এখন কোন মন্তব্য করতে চাই না।
১৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:৩৬
জাতি জানতে চায় বলেছেন: সে পবনের বাপ হলেও যথার্থ বলছে! মুজিবুর স্বাধীনতা ঘোষনা যদি আগেই করে থাকতেন, তাহলে এত পাকি হানাদারের বাংলাদেশে আগমন ঘটত না, বাঙালী সেনা অফিসাররাও অবরুদ্ধ হতেন না, আর এত বেশি ম্যাসাকারও হতো না! মুজিবুর যদি পরিস্কারভাবে স্বাধীনতার ঘোষনা দিতেন, তাহলে তার এক ঘোষনায় বাংলাদেশে অবস্থিত বাঙালী সেনা-অফিসাররা ও আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা আরো সুসংগঠিতভাবে তাদের পজিশন নিতে পারতেন! তার স্বাধীনতার ঘোষনার অভাবের কারনেই একজন অপরিচিত জিয়ার আবির্ভাব ঘটায়, যিনি সাহস নিয়ে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন! হ্যা, তিনি বঙ্গবন্ধুর নামে ঘোষনা দিয়েছিলেন, কারন তিনি অপরিচিত! এটাই ছিলো স্বাধীন বাংলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন বুদ্ধিবৃত্তিক সিদ্ধান্ত, যেটা সেসময় মুজিবুরের কাছ থেকে পাওয়া যায় নাই! জিয়া শাসক হিসেবেও মুজিবুরের থেকে কয়েকশগুন যোগ্য ছিলেন যেটা খোদ আলীগাররাও অস্বীকার করতে পারে না! তিনি দেশকে চোরের খনি থেকে উদ্ধার করেন, মৌলিক উন্নয়নে তার সিদ্ধান্ত গুলো ছিলো অসাধারন!!
১৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১০:৪৪
সামদ বলেছেন: শহীদ জিয়াকে বেতার কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ছিলেন যিনি সেই বেলাল মোহাম্মদের সাক্ষাৎকার শুনতে পারেন -
ভিডিও ১
ভিডিও ২
ভিডিও ৩
বিডিনিউজ
৩০ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:৫৬
মধুখোর বলেছেন: বেলাল মোহাম্মদ ২৫ ও ২৬ তারিখ রাতের কোন ঘটনার স্বাক্ষী নন। তার লিখিত বইগুলো আমি পড়েছি। এখন স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়ার পর তার কথাবার্তা বদলে যাচ্ছে। যাই হোক আমাদের আলোচনায় বেলাল মোহাম্মদের সাক্ষাৎকারে কোন গুরুত্ব নেই।
১৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১০:৪৭
সামদ বলেছেন:
ওনার পরিচয়:
জনাব বেলাল মোহাম্মদ চট্টগ্রামের কালুরঘাটে ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের স্থপতি - যেখান থেকে শহীদ জিয়া তাঁর ঐতিহাসিক ঘোষনা দেন।
১৭| ৩০ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৩:৪২
লুৎফুল কাদের বলেছেন: শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক.
১৮| ৩০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৫:০৪
রাগ ইমন বলেছেন: স্বাধীনতা ঘোষণা বলতে আপনারা কি বুঝেন আগে সেইটা পরিষ্কার করেন ।
একটা সর্ব সম্মত দলিল?
মানুষের স্বাধীনতার উপলব্ধি?
মানুষের কানে শোনা শব্দ?
মানুষের চোখে দেখা কোন লেখা?
কোন অডিও রেকর্ড ?
কোন সরকারী দলিল?
ঠিক কোনটাকে স্বাধীনতার ঘোষণা বলে আপনি মানেন , আগে সেইটা পরিষ্কার করেন। ডিফাইন করেন। এইটা সবার আগে জরুরী ।
----------------------
যেমন ধরেন , আমি একটা খুব সিম্পল প্রশ্ন করলাম , আপনার পরিচয় কি?
এইটার উত্তর হইতে পারে,
১। আপনার নাম।
২। আপনার জাতি পরিচয়
৩। আপনার নাগরিকত্ব
৪। আপনার চামড়ার রঙ
৫। আপনার বৈজ্ঞানিক নাম
৬। আপনার বংশের নাম
৭। আপনার দাঁতের ছাপ
৮। আপনার আঙুলের ছাপ
৯। আপনার রেটিনার ছাপ
১০। আপনার জেনেটিক কোড
এইটার ভিতরে কোনটা আপনার জন্য সবচেয়ে জরুরী পরিচয় ? কোনটা আপনি সবচেয়ে কমন বা স্ট্যান্ডার্ড বলে মানেন? কেনই বা মানেন ?
তার মানে সিম্পল প্রশ্নটা আর সিম্পল থাকছে না , তাই না?
আমাকেই ডিফাইন করে দিতে হবে , স্বাধীনতার ঘোষণা বলতে আমি কি বুঝি , আপনি কি বুঝেন , কোনটা আপনার কাছে গ্রহনযোগ্য । সুতরাং, আগে নিজে মাথা ঠিক করে উত্তর দেন ,
স্বাধীনতার ঘোষণা বলতে আপনি আসলে কি বুঝেন বা মানেন ? এবং কেন?
৩০ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:৪৮
মধুখোর বলেছেন: স্বাধীনতার ঘোষণা সাধারণতঃ কোন প্রতিনিধি পরিষদ ঘোষণা করে থাকে, অথবা কোন ফরমান বা আইন দ্বারা ঘোসণা হয়ে থাকে। কেবল ব্যাক্তি উদ্যোগে স্বাধীনতার ঘোষণার নজীর বিশ্বে আছে বলে আমার জানা নাই। বাংলাদেশের সংবিধানে ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ তারিখের স্বাধীনতার সনদ বা ঘোষনায় উল্লেখ করা হয়, "....Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, the undisputed leader of 75 million of people of Bangladesh in due fulfilment of the legitimate right of self-determination of the people of Bangladesh, duly made declaration of independence at Dacca on March 26, 1971" এ ঘোষণা আমাদের সংবিধানের অঙ্গ ও ভিত্তি। আমার দেখার বিষয় duly made declaration of independence একজন ইতিহাসের গবেষকের দৃষ্টিতে কতটুকু বস্তনিষ্ঠ ছিল। সেদিন কূটনৈতিক গ্রহণযোগ্যতার জন্য তাজউদ্দিন ঐ স্বাধীনতার ঘোষণার উল্লেখ করেছিলেন কিনা যা এখন আইনের ভিত্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে, এর ঐতিহাসিক ভিত্তি কতটুকু।
আপনি অনুগ্রহপুর্বক ব্লগে প্রদত্ত আমার অপর একটা পোস্টের লিংক অনুগ্রহ করে দেখতে পারেন।
১৯| ৩০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৫:১১
সাজিদ বলেছেন: রাগ ইমন আপনি আমার এই কমেন্ট ডিলিট করে দিলে খুশি হব।
৩০ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:০১
মধুখোর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার শুভবু্দ্ধির জন্য। আমি আপনার অনুরোধ মত আপনার মন্তব্য ডিলিট করলাম।
২০| ৩০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৫:১৭
রাগ ইমন বলেছেন: হায় হায় , আমি এই মন্তব্য কেমনে মুছবো রে ভাই?
এইটা ত আমার পোস্ট না । :-& :-&
দেলুর পুস্টে আসা খুবই বিপদজনক দেখা যাইতেছে , দেলুর সংস্পর্শে দেলুরিয়া হইতে পারে , সাধু সাবধান!
৩১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১১:১৮
মধুখোর বলেছেন: আমি মুছে দিয়েছি।
২১| ৩০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৬:১৮
সাজিদ বলেছেন: দেলোয়ার হোসেনকে নিয়ে যখন কথা আসলো তখন কিছু বলি। ২০০৬ সালের দিকে সিংগাপুরে এক আত্নিয়াকে নিয়ে এনইউএইচে হার্ট চেকাপ করাতে গিয়েছিলাম। উনি আবার কট্টর আওয়ামি সমর্থক। তাই আমি একটু অস্বস্টিতে ছিলাম। বেশ কয়েক ঘন্টা একসাথে ছিলাম। উনাকে বেশ হতাশ মনে হয়েছিল দেশের অবস্হা নিয়ে। একা একা বসে থাকা ঐ মানুষটাকে বয়সের ভারে ন্যুজ একটু বদরাগী মনে হয়েছিল। কোনভাবেই দুর্নীতিগ্রস্হ চকচকে মনে হয় নি। এর আগেও দুর থেকে দেখেছি ৯৬/৯৭ এর দিকে চট্টগ্রামে। একটা স্যান্ডেল পরে চলে এসেছেন। তার সন্তানদের কুকর্মের জন্য তাকে পুরোপুরি দোষারোম করাটা একধরনের রাজনৈতিক চাল। আর বাংলাদেশে দেলোয়ার হোসেনের মত কোন নেতা যিনি এতবার সংসদ সদস্য হয়েছেন, তিনি যদি দূর্নীতি করেন সংসদের কেন্টিনের টাকা নিয়ে কিছু করতে হয় না। এসব টিন চুরী, শাড়ী চুরী, প্লেট চুরির কাহীনি হলো বাংলাদেশের নষ্ট রাজনীতির কালচার।
মতিয়া চৌঃ স্বামী জ্বনাব বজলুর রহমানের স্মরনসভায় তার একটি ঘটনা নিয়ে সবাই যে ভাষায় কথা বলে। আমরা সবাইতো বুড়া/বুড়ি হব। থাক আর বললাম না। তবে ১/১১ এর পর দেলোয়ার এবং জিল্লুর রহমান যে ভুমিকা পাল করেছে তা না হলে মইন হতো প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশের পারভেজ মোশারফ এবং ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ হতো আরেকটা পাকিস্তান।
৩১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১১:২৩
মধুখোর বলেছেন: সংসদের তহবিল থেকে নিজেদের খরপোশ, অথিতি এবং এলাকার লোকদের আপ্যায়ন, নিজের বাপের জন্য মিলাদমহফিলসহ নানা ধরণের ব্যয় বাংলাদেশ হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত সকল হুইপ, চিফ হুইপরা করে আসছেন।
২২| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১১:২২
টেকনলজী বলেছেন: স্বাধীনতার ঘোষণা দিছিলো টিক্কাখান
২৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১১:৫২
জাতি জানতে চায় বলেছেন: রাগ ইমন@ একটা বিষয়কে এত জটিলভাবে চিন্তা করাটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত, যখন কিনা পরিস্থিতিই এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেয়?! ২৫শে মার্চ পর্যন্ত মুজিবুরের স্বাধীনতা বলতে দেশের মানুষের শোষন থেকে মুক্তি পাওয়াকেই বুঝাচ্ছিলো শুধু!! সত্যি বলতে সেসময়েও জনগনের অধিকাংশই স্বাধীনতার থেকে ক্ষমতা হস্তান্তরের দিকেই বেশি ছিলো!! ২৫শে মার্চের কাল রাতের ধাক্কায় মানুষ তখন কিছুটা কিংকর্ত্যবিমূঢ় ছিলো, যে তাদের ঠিক কোন পথে এগুনো উচিত! তাদের কাছে কোন মেসেজও ছিলো না যে তারা সে অনুযায়ী অগ্রসর হবে!! এসময় যে একটা দিক নির্দেশনার আওয়াজের দরকার ছিলো, সেটাই জিয়া পরদিন চট্টগ্রাম থেকে করেন!! অবশ্য সেই আওয়াজেরও তেমন কোন মূল্য থাকতো না, যদি বঙ্গবন্ধুর নাম না আসত!!
আর দেলোয়ারকে যেভাবেই হোক তার ছেলেদের কৃতকর্মের দায়ের একটা অংশ নিতেই হবে, কারন পবনদের কর্মকান্ড অনেক আগে থেকেই চলছিলো আর এ ব্যাপারে দেলোয়ারের তেমন কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় নাই!! তবে রাজনীতিতে ব্যক্তি দেলোয়ারের আলাদা অবস্থান আছে, আর সেটা অনেক রাজনীতিবিদদের কাছে শিক্ষনীয়, বিশেষ করে বিগত কয়েক বছরে তার রাজনৈতিক কর্মকান্ড সত্যিই অনেক পজিটিভ!! তাকে অনেক কঠিন কথাই বলতে শুনা যায় যেটা দূর্নীতিপরায়ন রাজনীতিবিদদের পক্ষে সম্ভব নয়!!
০১ লা এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৪
মধুখোর বলেছেন: আপনার মন্তব্যের ১ম অংশ খুবই চমৎকার লাগল। ধন্যবাদ। অন্য বিষয়ে আমার ইন্টারেস্ট নাই।
২৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১১:৫৪
আইরিন সুলতানা বলেছেন:
আপনি পুরো পোস্টে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ এড়িয়ে গেছেন । যারা ইতিহাসবিদ এবং ইতিহাসকে ম্যানিপুলেট করতে আগ্রহী না, তারা ৭ই মার্চকে খুবই তাৎপর্যের সাথে দেখেন। ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ একটি কমপ্লিট প্যাকেজ । কী কারণে ?
মীর শওকত আলী এই ৭ই মার্চের ভাষণ নিয়ে চমৎকার কিছু বক্তব্য দিয়েছিলেন টেলিভীষনে।
কিছু পাঞ্চিং উক্তি খেয়াল করে দেখুন -
"এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম"
--- এর অর্থ আমাদের লক্ষ্য কিন্তু নির্ধারিত হয়ে গেছে এবং এতে জনগণও সম্পৃক্ত হয়ে গেছে পূর্ণ সমর্থনে এবং আমরা যে স্বাধীন জাতিস্বত্ত্বা কড়ায়-গণ্ডায় বুঝে নিতে চাই তার সুষ্পষ্ট ঘোষনা দেয়া হচ্ছে।
"ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোলো...তোমাদের যার যা আছে তা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ো "
--- আমাদের লক্ষ্য ইতিমধ্যে নির্ধারিত। সংগ্রাম/যুদ্ধের আহ্বান হয়ে গেছে। এবার যুদ্ধের প্রস্তুতি, কৌশল কিভাবে হবে তার নির্দেশনা বহন করছে এই উক্তি।
"আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি ...."
--এটা চূড়ান্ত আদেশ। যদি বঙ্গবন্ধু আবারো যুদ্ধের আহ্বান করতে অসমর্থ হন, তবুও বাঙালি যেন এই সংগ্রাম অটুট রাখে।
এইরকম একটি ভাষণকে এমনিতেই ঐতিহাসিক বলা হয়না কিন্তু। এবং এই ভাষণটিই একটি সয়ংসম্পূর্ণ দলিল ।
স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে কথা বলতে গেলে, ৭ই মার্চের ভাষণকে এড়িয়ে কোন আলোচনাতেই আসলে সম্পূর্ণ নয়, সঠিকও নয়।
০১ লা এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৭
মধুখোর বলেছেন: ৭ মার্চের ভাষণকে স্বাধীনতার ঘোষণা হিসাবে নিলে, তাতে আমারও সমর্থন থাকবে, যদিও ঐ সভায় টেকনিক্যাল কারণে তিনি ভাষণের শেষে 'জয় পাকিস্তান' বলে ছিলেন।
২৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:১৮
আইরিন সুলতানা বলেছেন: ২৬ মার্চ রাত ১টায় পাকিস্তানী সৈন্যরা শেখ মুজিবের বাসায় অভিযান শুরু করে এবং আধঘন্টার মধ্যে শেখ মুজিব তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
গ্রেপ্তার হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত শেখ মুজিবের সাথে যাদের দেখা হয়েছিল, তাদের কাউকে শেখ মুজিব বলেন নি যে তিনি স্বাধীনতা ঘোষণার পরিকল্পনা নিয়েছেন বা উদ্যোগ নিয়েছেন বা প্রয়োজন হলে করবেন।
-----------
দেলোয়ার সাহেব যে কখন কী বলেন তা তিনি নিজেই জানেননা ! কিংবা উনি অনেক খারাপ ছাত্র,
ইতিহাস স্বচক্ষে দেখার পরও, ঘটনা দেখার পরও ঘটনা মনে রাখতে পারেন না !
শেখ মুজিব ২৫শে মার্চ মধ্যরাতের পর, (অর্থ্যাৎ ২৬শে মার্চের রাত) ১:৩০ টার দিকে বন্দী হন।
২৬শে মার্চে এম.এ.হান্নান রেডিও তে প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র পাঠ করেন। এই ঘোষনা পত্রটি বঙ্গবন্ধুর স্বাক্ষরিত ছিল এবং এতে তারিখ উল্লেখ ছিল ২৫শে মার্চ ১৯৭১ ।
ঘোষণাপত্রটির শুরুতেই বলা ছিল, "আজ বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও স্বার্বভৌম রাষ্ট্র।... ... ..."
পরবর্তীতে এই ঘোষণাপত্রটি বাংলা করেন ডঃ মনজুলা আনোয়ার। চট্টগ্রামের কিছু ছাত্র ঠিক করে এই ঘোষনাটি আগ্রবাদ রেডিও স্টেশন থেকেও প্রচার করা উচিৎ। কিন্তু এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাভে ব্যর্থ হয় তারা।
তারা কালুরঘাট ব্রীজ এলাকার নিকটবর্তী হয়, যারা জিয়াউর রহমানের আওতায় ছিল। বাঙালি সেনরা রেডিও স্টেশন পাহারা দেয়, ইঞ্জিনিয়াররা প্রচারনার সার্বিক ব্যবস্থা তত্বাবধান করে এবং জিয়াউর রহমান ঘোষনা পাঠ করেন।
০১ লা এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৪
মধুখোর বলেছেন: আপনার কথা অনেকটা সঠিক। একটা শব্দের তাৎপর্য গভীরভাবে উপলব্ধী করার জন্য অনুরোধ করছি। যে ঘোষণাটি গিয়েছিল তাতে গিয়েছিল টেলিগ্রাফের মাধ্যমে শেখ মুজিবের নামে। শেখ মুজিবের নামে ও শেখ মুজিবের স্বাক্ষরে দুইটি শব্দের ব্যবধান অনেক বেশী। শেখ মুজিব প্রত্যক্ষভাবে কার নিকট টেলিগ্রামটা হস্তান্তর করেছিলেন, সেটা জানলে, দয়া করে প্রকাশ করুন।
২৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৮
আমি এবং আঁধার বলেছেন: ১. জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান ও
২. জিয়ার ভাষণ নিয়ে নিচের পোস্টটি দেখতে পারেন-
ভিন্ন জানলা দিয়ে দেখা
০২ রা এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:১৯
মধুখোর বলেছেন: লিংকটা দেখেছি। ধন্যবাদ। আমার আগের মন্তব্যে ভুল থাকায় সেটা মুছে দিলাম। মুছে দিলাম আপনার পরবর্তী মন্তব্যও।
২৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:১৭
রাগ ইমন বলেছেন: আপনি ৭ই মার্চের ভাষণ নিজের কানে শুনেছেন , নিজের চোখে দেখেছেন দাবী করছেন কিন্তু স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে জন্মগ্রহণকারী আইরিন সুলতানাকে এসে আপনাকে মনে করিয়ে দিতে হচ্ছে ৭ই মার্চের ভাষণেই কার্যত স্বাধীনতা ঘোষণা হয়ে গেছে ! আপনি নিজে থেকে বুঝতে পারেন নাই!
-------------------------
আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা । আব্বুদের ছাত্র সংগঠন ( প্রতিষ্ঠিত কোন দলের ছাত্র সংগঠন নয় , স্বতন্ত্র) ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করলে তিনি নিজের মুখে আব্বুদেরকে বলেন, ৬ দফা টফা কিছুই না । একটাই দফা , আর তা হলো স্বাধীনতা । লক্ষ্য করুণ , সালটা ১৯৬৬ , ১৯৭১ এর অনেক আগের কথা ।
------------------
বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য তখন থেকেই মানুষ আস্তে আস্তে সংগঠিত হচ্ছিলো । যার জন্য আব্বু সহ প্রচুর তরুণের মাথার উপর হুলিয়া জারি হয় । আপনি " জাতি জানতে চায়" এর মনগড়া অপন্যাস পরে মুগ্ধ হয়ে গেলেন কি করে?
অধিকাংশ মানুষ " স্বাধীন রাষ্ট্র না চাইলে খামোখা পতাকা বানাবে কেন?" আর সেইটা উত্তোলন করার ঝুঁকিই বা নেবে কেন?
আপনি নিজে হয়ত চান নাই স্বাধীনতা । কিন্তু ইতিহাসের প্রতিটা রেকর্ড বলছে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ স্বাধীনতার মাধ্যমেই মুক্তি চেয়েছে , প্রাদেশিক শাসনের মাধ্যমে নয় । শেষ যে কয়টা মানুষ এর মনে দ্বিধা ছিলো সেইটাও ২৫শে মার্চের গণহত্যার পরে কেটে যায় । তাহলে প্রাদেশিক শাসনের সমর্থক আর বাকি থাকলো কোথায়? এক রাজাকার, আল বদর, আল শামস ছাড়া?
৭ই মার্চ সারা বাংলাদেশ টের পেলো স্বাধীনতা ঘোষণা হয়ে গেছে আর একলা আপনিই বুঝলেন না? যে দলিলের কথা আপনি বলতে চাইলেন, ৭ই মার্চ এ কোন দলিল করে কোন ফরমাল ঘোষণা দেওয়া সম্ভব হয় নাই । এবং তার পরের দিন গুলোতেও বাংলাদেশ আইনত পাকিস্তানের অংশই ছিলো ঠিক এই কারণেই । কিন্তু ২৫শে মার্চের গণহত্যার সাথে সাথে এই যোগসূত্র অফিসিয়ালি ছিন্ন করা হয় শেখ মুজিবের আহবানের মধ্য দিয়ে । এখানে ইচ্ছা করে জল ঘোলা করছেন কারা , এত বোঝাই যায় !
the undisputed leader of 75 million of people of Bangladesh in due fulfilment of the legitimate right of self-determination of the people of Bangladesh,
বাক্যটা আবার পড়েন। সাড়ে সাত কোটি মানুষ যাকে নেতা , পিতা , ঘোষক বলে স্বীকৃতি দেবে সেইটাই ধ্রুব সত্য। ব্যক্তিগত ভাবে মুজিবকে অপছন্দ করলেও এইখানে কিচ্ছু করার নেই। এইটা একটা ঐতিহাসিক সত্য। যেমন, আমি যতই অপছন্দ করি না কেন, খালেদা বাংলাদেশের ১ম মহিলা প্রধানমন্ত্রী । এইটাকে অস্বীকার করার কিছু নাই।
তাহলে , এত বিতর্ক কেন?
জিয়াউর রহমানের আগেই কালুর ঘাটে অন্যেরা শেখ মুজিবের পক্ষে স্বাধীনতার অফিসিয়াল ঘোষনাটি পাঠ করেন। এইটা ঐ সময় যারা কালুর ঘাটে উপস্থিত ছিলেন তাদের সাক্ষ্য । এইখানে তিনটি ব্যাপার মুখ্য।
১। ঘোষণায় কার নেতৃত্ব রয়েছে?
২। কার কন্ঠ রয়েছে ?
৩। ঘোষণাটি কাদের জন্য হয়েছে?
৩য় প্রশ্নের উত্তর হলো , বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্য । দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর , ঐ সময় কালুর ঘাটে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি । আর ১ম প্রশ্নের উত্তর?
অবশ্যই শেখ মুজিবর রহমান ।
জিয়াউর রহমান কি নিজের নামে ঘোষণা দিয়েছিলেন?
ইতিহাসে উল্লেখ আছে একবার শেখ মুজিবের নাম ছাড়া বলেছিলেন কিন্তু সাথেই সাথেই এই "ভুল"কে ঠিক করা হয় । কিন্তু কেন এইটা ভুল? কেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার মতন একটা ঐতিহাসিক ঘোষণার ঘোষক হওয়ার পূর্ণ সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বেলাল, হান্নান কিংবা জিয়া ঐ সময় নিজেদেরকে " আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি ।" বলে অমর হওয়ার চান্সটা নিলেন না?
কারণ তারা সকলেই জানতেন, " বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি জনতা এবং বাইরের বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ ও বিভিন্ন সরকারের কাছে অখ্যাত , অপরিচিত এই বেলাল, হান্নান, জিয়ার ব্যক্তিত্বের , বক্তব্যের কানাকড়ি মূল্যও নাই।"
সাড়ে সাত কোটি মানুষের সমর্থন না থাকলে শেখ মুজিবের নামে স্বাধীনতা ঘোষণা করেও কোন লাভ হইত না । এই ঘোষণা পাত্তা পাইত না।
এইটাই হলো আসল কথা । আমি আজকে পার্বত্য চট্টগ্রামে গিয়ে একটা জুম্ম ল্যান্ডের স্বাধীনতা ঘোষণা করে দিতে পারি। কিন্তু এতে দেশ ও বিশ্ববাসীর সমর্থন না থাকলে আমার ঠিকানা নিশ্চিতভাবেই পাগলা গারদ নয়ত জেল।
পয়েন্টা তাই শারীরিক ভাবে উপস্থিতির নয় , পয়েন্ট হইলো কাকে দেশবাসী নেতা হিসেবে , ঘোষক হিসেবে , পিতা হিসেবে ১৯৭১ সালে মেনে নিয়েছে ।
------------------------------
সম্পূর্ণ রেসকোর্স ময়দান বুঝলো , জয় পাকিস্তান বলে গ্রেফতার এড়ানো হয়েছে কৌশলে , যাতে পাকিস্তান সরকার দেশদ্রোহী মামলা করতে না পারে , আপনি নিজেও সেই টেকনিকাল কারণটা বুঝেছেন । তাহলে সেই কৌশল নিয়ে অপপ্রচারের চেষ্টা কেন?
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল, আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি ------------- এই সব শব্দের অর্থ ও গুরুত্ব যা সারা দেশবাসী বুঝে নিয়েছে সেইখানে দুইটা টেকনিকাল শব্দ কিছুতেই কোন দিক নির্দেশক হইতে পারে না । যাদের বিশ্বাসের পূজার বেদীতে এই " জয় পাকিস্তান" অতিরিক্ত গুরুত্ব নিয়ে জ্বল জ্বল করছে তারা মনে প্রাণে পাকিস্তানের প্রেমিক, তাই ঘুরে ফিরে ঐটাই চোখে পড়ে।
-----------------------------
শেখ মুজিবের স্বাধীনতা ঘোষণার প্রমান দাবী করেছেন দেলোয়ার। শুধু এই কারণেই দেলোয়ারকে সারা জীবনের জন্য বেজন্মা , বরাহ বলে গালি দেওয়া যায় । এই কারণে তার বয়স ও বৃদ্ধত্ব দিয়ে কোন মাফ পাওয়া যাবে না । খুব স্পষ্ট ভাবেই জেনে শুনে দেলোয়ার নোংরামি করছেন । এইটাই সত্য ।
১৯৭১ সালে কালুর ঘাটে জিয়া কন্ঠ দিয়েছিলেন কিনা?
হ্যাঁ , দিয়েছিলেন । এইটা নিয়ে বিতর্ক করার কিছু নাই।
কিন্তু সেই ঘোষণা নামক গানটির মূল রচয়িতা কে?
শেখ মুজিবর রহমান ।
রবীন্দ্রনাথের লেখা গানে রেজোয়ানা চৌধুরী বন্যা কন্ঠ দিলে সেইটা রেজোয়ানাসঙ্গীত হয়ে যায় না , ঐটা রবীন্দ্রসঙ্গীতই থাকে । এখন আপনারা রেজোয়ানাকে রবীন্দ্রনাথের চেয়ে শ্রেষ্ঠ কন্ঠশিল্পী বলে দাবী করতেই পারেন ।
কিন্তু তাতে রেজোয়ানার মাহাত্ম্য বাড়ে না , বরং বন্যাভক্তদের ছোটলোকিপনা প্রকট হয়ে ধরা দেয়।
---------------------------
জাতি জানতে চায় ,
২৫শে মার্চ পর্যন্ত মুজিবুরের স্বাধীনতা বলতে দেশের মানুষের শোষন থেকে মুক্তি পাওয়াকেই বুঝাচ্ছিলো শুধু!! সত্যি বলতে সেসময়েও জনগনের অধিকাংশই স্বাধীনতার থেকে ক্ষমতা হস্তান্তরের দিকেই বেশি ছিলো!! ২৫শে মার্চের কাল রাতের ধাক্কায় মানুষ তখন কিছুটা কিংকর্ত্যবিমূঢ় ছিলো, যে তাদের ঠিক কোন পথে এগুনো উচিত! তাদের কাছে কোন মেসেজও ছিলো না যে তারা সে অনুযায়ী অগ্রসর হবে!! এসময় যে একটা দিক নির্দেশনার আওয়াজের দরকার ছিলো, সেটাই জিয়া পরদিন চট্টগ্রাম থেকে করেন!! অবশ্য সেই আওয়াজেরও তেমন কোন মূল্য থাকতো না, যদি বঙ্গবন্ধুর নাম না আসত!!
আপনি এই ফিকশন কয় ছিলিম গাঞ্জা খেয়ে লিখেছেন ?
ছাগলামী করার আর জায়গা পান না , তাই না?
পশ্চিম পাকিস্তানের সরকার আলোচনার নামে সময় ক্ষেপনের পাশাপাশি ট্রুপ ও আর্মস ডেপ্লয় করছে , এইটা টের পেয়ে প্রচুর বাঙ্গালী অফিসার ১৯৭১ সালের জানুয়ারী , ফেব্রুয়ারী থেকেই ছুটি নিয়ে বা পালিয়ে দেশে চলে আসতে থাকেন করাচী থেকে । এর ভিতর আমার বাবা একজন । একমাত্র উদ্দেশ্য দেশে যুদ্ধ শুরু হলে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া ।
১৯৫৮ সাল থেকে যশোর , রাজশাহী , নওগা , চট্টগ্রাম , দিনাজপুর , মেহেরপুর , খুলনা ইত্যাদি এলাকায় রাজনৈতিক যোগাযোগ রাখা ও সচেতন থাকার কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের আপামর মানুষের রাজনৈতিক অবস্থান তাঁর ভালোই জানা ছিলো । ১৯৭১ এর পরে যারা বই লিখেছেন । এখনো যারা বেঁচে আছেন , যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন , তারা সকলেই বার বার জানান দিচ্ছেন যে অধিকাংশ মানুষ ভিতরে ভিতরে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিলো । মানুষ বুঝে গিয়েছিলো পশ্চিম পাকিস্তান মরে গেলেও ক্ষমতা ছাড়বে না । কার্যত দুইটা দেশ আলাদাই হয়ে গিয়েছিলো ( আওয়ামী লীগ পশ্চিম পাকিস্তানে একটাও সিট জিতে নাই , কেমনে হয়?)
" যার যা আছে নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ো । ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি--" এই সব কিছুই নির্দেশ করে মানুষ প্রস্তুত ছিলো ।
৭ই মার্চের ভাষণের পরে অনেক প্রত্যক্ষদর্শীর ক্ষোভ ছিলো মুজিব কেন " সরাসরি, অফিসিয়ালি" স্বাধীনতা ঘোষণা করলেন না । এইটা প্রমান করে মানুষ স্বাধীনতা চাইছিলো।
উপরের লাইন গুলো শুনে মরা লাশ ছাড়া সকলেই বুঝে নিয়েছিলো কি নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে । আপনার " ২৫শে মার্চের কাল রাতের ধাক্কায় মানুষ তখন কিছুটা কিংকর্ত্যবিমূঢ় ছিলো, যে তাদের ঠিক কোন পথে এগুনো উচিত! তাদের কাছে কোন মেসেজও ছিলো না যে তারা সে অনুযায়ী অগ্রসর হবে!" এইটা তাই মরা লাশ কিংবা রাম ছাগলের পক্ষেই ফিল করা সম্ভব।
মানুষ যুদ্ধের জন্য এতটাই প্রস্তুত ছিলো হঠাৎ আকাশ থেকে টপাকাইয়া পড়া জিয়ার কষ্ঠস্বর যেইটা কিনা মাত্র ১ কিলোমিটার পর্যন্ত শোনা গিয়েছিলো , আচ্ছা না হয় ধরে নিলাম ১০ কিলোমিটার , তার বাইরে প্রায় সাত কোটি মানুষ কিছুই না শুনে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলো ।
জিয়ার কন্ঠস্বরই যদি এত "দিক নির্দেশনাদায়ী হয়ে থাকে " তাহলের দেশের দূর দূর প্রান্তে মানুষ এই মহান " ঘোষণা খান নাযেল হইছে" না শুনেই , না জেনেই কেমনে যুদ্ধ শুরু করেদিলো?
হঠাৎ কেউ ঘোষণা দিলেই যদি মানুষ যুদ্ধে ঝাপাইতে পারে তাইলে বেলাল , হান্নানকেও ঘোষক দাবী করলাম । জিয়া সেকেন্ড কিংবা থার্ড প্লেস পাইতে পারেন। ডাঃ মনজুলা আনোয়ারকে অনুবাদক ঘোষক হিসেবে দাবী করলাম।
এই সব রামছাগলীয় অপপ্রচার চালানোর আগে একটু মনে রাখবেন যে ১৯৭১ সালের সকলেই মরে যান নাই । আপনাদের এই সব গাঞ্জা র বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হতে যাচ্ছে ।
০২ রা এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৩৯
মধুখোর বলেছেন: আপনার সুদীর্ঘ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। জিয়াউর রহমানের প্রসঙ্গ এ পোস্টে টানব না। আপনি আমার এই লিংকটা দয়া করে একটু দেখুনঃ ১৯৭১ সালের ২৫ ও ২৬ মার্চের শ্বাসরুদ্ধকর সাড়ে ৭ ঘন্টা : স্বাধীনতার ঘোষণা ও কতিপয় বিভ্রান্তি
এটা সত্য যে ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে শেখ মুজিব ব্যতীত স্বাধীণতার ঘোষণা বিশ্বে গ্রহণযোগ্য হত না। সেজন্যই তাজউদ্দিন স্বাধীনতার সনদে শেখ মুজিব কর্তৃক ২৬ মার্চ যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করার কথা উল্লেখ করেছিলেন। কূটনৈতিক দিক দিয়ে সেটা ছিল বাস্তবতা, তবে ঐতিহাসিক দিক দিয়ে শেখ মুজিব কর্তৃক ২৬ মার্চ যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণার প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া যায় না।
সংকটের কারণ হচ্ছে একদল ঐতিহাসিক ও গবেষক বলছেন যে ৭ মার্চের ভাষণেই শেখ মুজিব সব বলে দিয়েছিলেন, তার আর কোন ঘোষণার প্রয়োজন ছিল না । আবার এরাই এক সময় বলছেন বাগান থেকে শেখ মুজিবের রেকর্ডকৃত স্বাধীনতার ঘোষণা ২৫ মার্চ প্রচারিত হয়েছে, কেউ আবার বলছেন না না, শেখ মুজিবের বাসাতেই ট্রান্স মিটার ছিল। সেখান থেকে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। আবার বলছেন শেখ মুজিবের অত্যন্ত বিশ্বস্ত এক ব্যক্তির (শেখ মুজিব এ ব্যাক্তির নাম কখনো প্রকাশ করেন নি) মাধ্যমে তিনি চট্টগ্রামে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রেরণ করেছেন। ফলে দেখা দিয়েছে বিভ্রান্তি।
২৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৩৬
সুধাসদন বলেছেন: মুজিব স্বাধীনতা ঘোষণা করলে ২৭ মার্চ হরতাল ডেকেছিলেন কেন?
০২ রা এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৪২
মধুখোর বলেছেন: এটাও একটা গুরুতর প্রশ্ন। ২৫ মার্চ রাতে শুধু ঐ হরতাল ডাকা হয় নি, বিদেশী সাংবাদিকদেরকেও ঐ কর্মসূচীর ইশতেহার দেয়া হয়েছিল।
২৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৪৫
রাগ ইমন বলেছেন: একজন প্রত্যক্ষদর্শীর স্মৃতিচারণ
তো তাজ্জবের ব্যাপার হ'ল সে রাতে (২৫শে মার্চ, ১৯৭১) কোন কুকুরের কান্না শোনা যায়নি। চারিদিকে শুনশান। বোধ হয় কান্নার সুরে এতই অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম যে, ওটাই হয়ে উঠেছিল ঘুমপাড়ানি গান।
খুব ভোরে উঠে পড়লাম। আমাদের বাড়িটা ছিল ডুপ্লেক্স (পোষ্টাল এড্রেস: ২২৭ সিডিএ রেসিডেন্সিয়াল এরিয়া, আগ্রাবাদ, চিটাগং। তখন সড়ক নম্বর ছিলনা)। দোতলায় সব ক'টা শোবার ঘর আর নীচ তলায় বসার ঘর, খাবার ঘর, রান্না ঘর আর অতিথি ঘর। মুখ হাত ধুয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামছি - সুলতান চাচার ভরাট গলা, একটু উত্তেজিত "চুদানীজঝিরে............" । বসার ঘর দিয়ে চাচার গলা অনুসরন করে লনে বেরিয়ে এলাম। বাবা আর সুলতান চাচা একটা কাগজ দেখছেন। কাগজটার রং হলদেটে। অনেকদিন রেখে দিলে কাগজের যে রং হয়। সুলতান চাচা ছিলেন নিরক্ষর। কাগজটা পেয়েই বাবার কাছে ছুটে এসেছেন, কি লেখা জানতে, যদিও ঘটনা তিনি জেনেই এসেছেন। বাবার হাতের কাগজটির ওপর আমি ঝুঁকে পরলাম। ইংরেজীতে লেখা দু'টি প্যারাগ্রাফ। আজ কিছুই মনে নেই কি লেখা ছিল সে কাগজে তবে একটি বাক্যাংশ স্মৃতিতে এখনো জ্বলজ্বল করে: "Bengalees are fighting the enemy with great courage for an independent Bangladesh". কাগজটার প্রথম বাক্যের বাংলা ছিল সম্ভবত: "আজ বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র"। আমার গায়ের লোম সব খাড়া হয়ে গেল। মাথা বোঁ বোঁ করে ঘুতে লাগলো-সেই করে বাবা মা শিখিয়েছিলেন বাংগালী জাতীয়তাবাদের কথা, আমাদের শোষনের কথা, বন্চনার কথা, অক্ষরজ্ঞান দানের আগে। মনে পড়ে গেল বুয়েটে থাকা কালীন কাক ঢাকা ভোরে বাবার ঘুম থেকে জাগিয়ে দেবার কথা, শীত শীত ভোরে খালি পায়ে শহীদ মিনারে বাবা-মার মাঝখানে থেকে ফুল দেয়া, আপোষ না সংগ্রাম-সংগ্রাম সংগ্রাম, জয় বাংলা বাংলার জয়...............মনে পড়ে গেল অবাংগালীদের করুনার দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকানো- মনে পড়ে গেল আমাদের ফৌজদারহাটের ড্রিল স্টাফের হুংকার: " বাংলা বোলনে সে সাস নিকাল দেগা" ,... অন্তর গেয়ে উঠলো মাত্র পাঁচ দিন আগে স্বজন, সখা, সুহৃদের গাওয়া গানটি' "আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি"। আপনাদের কারো মনে আছে কি প্রথম বড় হয়ে ওঠার প্রমানের সময়কার অনুভূতিটি? আমি তখনো বড় হয়ে উঠিনি কিন্তু সেই অসহ্য সুখ, অপ্রাকৃত ভাললাগা, স্বর্গীয় আনন্দ আমি বড় হয়ে ওঠার আগেই পেয়েছিলাম।
আমার শোনা ভাষাগুলোর মধ্যে পান্জাবীর পরই মনে চাঁটগাইয়্যা ভাষা সবচেয়ে সমৃদ্ধ- মনের ঝাল মেটানোর জন্য। "ওৎতুর মা........" বলতে পারার সংগে সংগে রাগ অর্ধেকটা নেমে যায়। সুলতান চাচার অবিশ্রান্ত গালিগালাজ আমাকে বাস্তবে ফিরিয়ে আনে। সেটা ছিল বার্তাটির বংগানুবাদ শোনার পর তাঁর তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া। আমার সেটা মুখস্ত আছে কিন্তু এখানে প্রকাশ করলে রাগীমন, দূঃখিত, রাগ ইমন আমাকে খেয়ে ফেলবেন।
চাচার সাথে একাধিকবার জহুর আহমদ চৌধুরী (স্বাধীন বাংলাদেশে পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রক তাঁর অধীনে ছিল। সেটা ছিল একটা বাস্তব কৌতুক। তাঁর বাড়ি ভর্তি ছিল অসংখ্য আত্মজ, আত্মজা দিয়ে), এম আর সিদ্দিকী (আংগুলে গোনা বাংগালী শিল্পপতিদের একজন, বিশিষ্ট শিল্পপতি এ কে খানের মেয়ের জামাই, রেনেঁস ব্যান্ডের বোগীর বাবা) ও হান্নান-মান্নানের কথা হয়েছে। এম আর সিদিকী তাঁকে যেতে অনুরোধ করেছেন। হলদেটে কাগজটা নিয়ে তিনি চলে গেলেন। ঐ কাগজটাই ছিল ইপিআরের মাধ্যমে পাঠানো বংগবন্ধুর ওঅরলেস মেসেজ। তখন বলতাম-টেলিগ্রাম।
বেতারে স্বাধীনতার ঘোষনা (যাদের ইচ্ছে "ঘোষনার" জায়গায় "পাঠ" পড়ার জন্যে সবিনয়ে অনুরোধ করছি)
আশিকুল ভাই (ওয়াপদার ইনজিনিয়ার, ২৬ শে মার্চই তাকে শেষ দেখি) এর সাথে আমার দেখা হয়েছিল আমার স্নাইপটাকে খাবার দেবার পর পরই। উনি যাচ্ছিলেন কালুর ঘাট। ওঁর সাথে ডাঃ আনোয়ার আর ডাঃ মন্জুলা আনোয়ার(সরকারক) আর রেখা আপা (কাজী হোসনে আরা, রেডিও পাকিস্তান চট্টগ্রামের ঘোষিকা)কেও দেখেছি। এব্যাপারে আমি পরে আলাদাভাবে লিখছি।
২৬ তারিখ দুপুর থেকেই রেডিও পাকিস্তান চট্টগ্রাম খুলে রাখা হয়েছিল বাসার রেডিওগ্রামে ফুল ভল্যুমে। সারাদিন কিছু শুনেছি বলে মনে পড়ছেনা। সন্ধ্যার পর শুনতে পাই "স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র...."। কিছুক্ষন পর একটা ভারী গমগমে গলা সকালে দেখা আমার ইংরেজী টেলিগ্রামটির বাংলা অনুবাদ পড়ে শোনায়। কে পড়েছিল মনে নেই। পরদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত কখনো মিহি সুরে, কখনো কাঁপা কাঁপা গলায় আবার কখনো বা "ভাইয়েরা আমার স্টাইলে" স্বাধীনতা ঘোষনার বাংলা অনুবাদ শুনে যেতে থাকি। ২৭ তারিখ সন্ধ্যার পর প্রথম শুনি " I, Major Ziaur Rahman, on behalf of Bangabondhu Sheikh Mujibur Rahman..............." সবাই সেটা শুনেছেন, আগে আর পরে। আমার কাছে, ২৪ ঘন্টার মধ্যে শোনা ৮/১০টি স্বাধীনতা ঘোষনার মধ্যে সেটাই সবচে' ইমপ্রেসিভ লেগেছিল। মেজর জিয়াউর রহমানের ঘোষনা শেষ হবার কিছুক্ষন পর এশার আজান শুনেছিলাম বলে স্পষ্ট মনে পড়ে।
অস্ত্র নিয়ে সমবেত হবার আহবান
২৭শে মার্চ (তারিখ একদিন এদিক ওদিক হতে পারে) রেডিওতে সবাইকে আহবান জানানো হয় যার কাছে যে অস্ত্র আছে তাই নিয়ে লাল দিঘি/নেয়াজ স্টেডিয়ামে হাজির হ'তে। কিছুক্ষন পর সে আহবান বাতিল করা হয়।
৩০| ০১ লা এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৫১
রাগ ইমন বলেছেন: ইদানিং খেয়াল করলাম ৭ই মার্চ , ২৬/২৭শে মার্চ , ১০ই এপ্রিল ১৯৭১ - ইত্যাদি তারিখ গুলোকে পরস্পর বিরোধী হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার খুউউউব চেষ্টা চলছে।
মূলত এইটা হইলো বর্তমান প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করা ও বিভক্ত করার চেষ্টা । মানুষ আউল ফাউল জিনিস নিয়ে ব্যস্ত থাকুক, তাহলে যুদ্ধাপরাধের বিচার মনে হয় হবে না টাইপ।
কিন্তু এইসব করে কোনই লাভ নাই।
১৯৭১ থেকে ১৯৭২ সালে যাকে দেশবাসী যে ভাবে মূল্যায়ন করেছে , স্বাধীনতার ডাক, ঘোষণা , পাঠ - আব জাব - সবই মেনে নিতে রাজি আমরা । এইগুলা বিতর্ক করার কোন প্রয়োজন নাই । আজকের জন্য এই গুলা কোন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুই না ।
আজকের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু যুদ্ধাপরাধের বিচার হবেই ।
তারপর একে একে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হত্যার বিচার হবে ।
প্রতিরক্ষা বাহিনীতে শত শত মুক্তিযোদ্ধা অফিসার হত্যার বিচার হবে।
ধাপে ধাপে সমস্ত হত্যার বিচার হবে।
০২ রা এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৯:০৮
মধুখোর বলেছেন: এটা অন্য প্রসঙ্গ।
৩১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৯:২৩
বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত বলেছেন: @রাগ ইমন:
৭২-৭৫ রক্ষীবাহিনী দিয়া ৭০ হাজার মুক্তি যোদ্বা ও বিরোধী দলীয় নেতা কর্মী ও সিরাজ শিকদার হত্যার ব্যাপরে আপনার অরুচির কারনটা কী.........
পাজামার গিঁটে টান পড়বো এই ভয়ে........???
৩২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৬
আইরিন সুলতানা বলেছেন:
আপনি ৭১ সালে ৭ই মার্চের ভাষণে উপস্থিত ছিলেন জেনে একটু অবাক হলাম। ...এই অর্থে যে, আপনি যেহেতু ওই সময়টা অবলোকন করেছেন, শুধুমাত্র এই কারণে দেলোয়ারের এই রকম "খারাপ ছাত্র" মার্কা প্রশ্ন নিয়ে আপনার এমন "দূর্বল ছাত্র" মার্কা পোস্ট দেয়াটা বেক্ষাপ্পা লাগছে এখন । তবে ইতিহাস ম্যানিপুলেশনের উদ্দেশ্য থাকলে অবশ্য ভিন্ন কথা ।
"জয় পাকিস্তান" একটি কন্সপিরেসী থিওরী পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। খুব ইন্টারেস্টিং।
যারা এটা দাবি করেন, যেমন আপনি, যে বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণে এমন বলেছেন, তারা এখন পর্যন্ত এমন কোন তথ্য প্রমাণ তুলে আনতে পারেননি। তথ্য প্রমাণ বলতে ভিডিও-অডিও'র কথা বলছি। তবে এদের মধ্যে থেকে কেউ কেউ দাবি করেন যে,
তারা সেই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন,
নয়তো রেডিও শুনেছেন,
নয়তো অন্য কারো রেফারেন্স টানেন
একটা ডিসক্লেইমার দিয়ে নেই, আমি ৭ই মার্চের ভাষণে উপস্থিত ছিলাম না। এবার যেটা বলতে চাই তা হলো, এই মুহূর্তে তথ্য-প্রমাণ ছাড়া কেবল সাধারণ জ্ঞান-বুদ্ধিতে এভাবে ভেবে দেখি -
সে সময় বাংলার মানুষ পাকিস্থানীদের প্রতি ভয়াবহ বীতশ্রদ্ধ ছিল। অপর দিকে বঙ্গবন্ধুর এক আঙ্গুলের ইশারার জন্য বাঙালিরা মুখিয়ে থাকতো।
৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের প্রতিটি শব্দের বিপরীতে বাঙালিদের সমর্থন ধ্বনিত হচ্ছিল। এতো বিশাল এক জনসভায়, বিশেষত জনগণের মানসিক স্রোত যেমনটা ছিল তখন, ওই মুহূর্তে 'জয় পাকিস্থান' বলার মত বোকামি তো কোন আনাড়ি বক্তাও করবেনা। কারণ তাতে তাৎক্ষনিক জনসভাতেই হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৭ই মার্চের ভাষণের শেষে, বঙ্গবন্ধু যখন বলেন, "জয় বাংলা", ঠিক তার পরপরই জনতা একই কথা প্রতিধ্বনিত করে সমস্বরে। এখন ওই রকম একটা টগবগে মুহূর্তে যদি "জয় পাকিস্তান" বলা হয়, তাহলে আর আপনাকে-আমাকে ৩৯-৪০ বছর পরে ব্লগে বসে আলোচনা করা লাগতো না এই নিয়ে, ওই ময়দানে জনগনই তাৎক্ষনিক বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দিতো। যদি তা না জানায়, তাহলে বরং এই কন্সপিরেসীকে আরেকটু উসকে দেয়া যেতে পারে, তাহলে নিশ্চয়ই সেই ভাষণে উপস্থিত জনগণের কণ্ঠেও প্রতিধ্বনিত হয়েছিল, "জয় পাকিস্থান" !!!!!!!!!!!!!
এখন একটু তথ্য-প্রমাণ নিয়ে কথা বলা যাক ।
খুব সম্ভবত হাবিবুর রহমান হলেন এই কন্সপিরেসী থিওরীর আবিস্কারক। এই হাবিবুর রহমান বাংলাদেশে গোলাম আযমের নাগরিকত্ব বৈধতা প্রণয়ন করেন। তবে তিনি কিন্তু "জয় পাকিস্তান" বলেন নি। তিনি বলেছিলেন যে, বঙ্গবন্ধু ভাষণ শেষে "জিয়ে পাকিস্তান" বলেছিলেন।
এই প্রপাগান্ডাটি যে স্ববিরোধী তা বলতে গিয়ে আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী পরিস্কার জানিয়েছেন, প্রথমত বঙ্ঙ্গবন্ধু এধরনের কিছু একদমই বলেননি, এবং দ্বিতীয়ত যদি ধরেই নিতে হয় যে বঙ্গবন্ধু এমন কিছু বলেছিলেন তাহলে তিনি "জিয়ে পাকিস্তান" না বলে "জয় পাকিস্তান" বলতেন।
এখানে একটা কথা উল্লেখ করা জরুরী। এই কন্সপিরেসীর মধ্যেও আবার বিভিন্ন ভার্সন আছে। যেমন, জিয়ে পাকিস্তান, জয় পাকিস্তান এবং পাকিস্তান জিন্দাবাদ। একেকজন একেকটা দাবি করে থাকেন। এবং এরাও নিজ কানে শোনা, নিজ চোখে দেখা জাতীয় দাবি করে থাকেন। খুব ভালো যে, জয় বাংলা বলা হয়েছে এটা নিয়ে দ্বিমত নেই। তবে এখন জানা দরকার যারা নিজ কানে শুনেছেন, তারা আসলে কোনটা শুনেছেন - জিয়ে পাকিস্তান ? জয় পাকিস্তান ? নাকি পাকিস্তান জিন্দাবাদ ?
কেউ কেউ যেমন দাবি করেন যে তারা নিজে শুনেছেন, বিপরীতে কিন্তু এমন অজস্র তথ্য-বক্তব্য আছে, যারা সুষ্পষ্ট করে জানাচ্ছেন যে, এমন কিছু তারা শোনেননি।
কোন এক ব্লগে পড়েছিলাম, একজন ব্লগার বলেছিলেন যে, তার বাবা সেই ভাষণের সরাসরি রেকর্ড করেছিলেন, ফলে সেই রেকর্ড শুনতে শুনতেই তিনি বড় হয়েছেন, এবং সেই রেকর্ড "পাকিস্তান জিন্দাবাদ" জাতীয় কোন স্লোগান তিনি শোনেননি।
একজন জানিয়েছিলেন, তিনি অনেক পুরনো একটি ভিএইচএস -এ এই ভাষণ দেখেছিলেন,শুনেছিলেন। এবং জয় বাংলা বলার পর বঙ্গবন্ধু মাইক্রোফোনের সামনে থেকে সরে যান।
ঠিক এখানটায় এসে কেউ কেউ বলেন, এরপরও বঙ্গবন্ধু আরো কথা চালিয়ে চান।
শফিক আহমেদ নামে একজন একটি মন্তব্যে জানিয়েছিলেন যে, এর পূর্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে, ১৫ই অগাষ্টে বিটিভিতে প্রচারিত অনুষ্ঠানগুলো তার সংগ্রহে রেকর্ড করা রয়েছে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের সম্পূর্ণ ভাষণটি রয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন। তিনি জানান, আমরা যে গতানুগতিক অংশটি পর্যন্ত জানি, অর্থ্যাৎ "....এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা" এরপর সামান্য বিরতীতে শেখ মুজিব মঞ্চে আবারো ফিরে আসেন। (তারমানে জয় বাংলার পর জয় পাকিস্তান/জিয়ে পাকিস্তান/পাকিস্তান জিন্দাবাদ জাতীয় কোন স্লোগানের অস্তিত্ব তখন পর্যন্ত নেই)এবং ডায়াসের সামনে থেকে এগিয়ে মঞ্চের সামনে চলে আসেন। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি আরো কিছু আবেগঘন কথা বলেন ...যা অনেকটা এরকম -
"আপনাদের সাথে কোনদিন বেঈমানি করিনাই...আমাকে জেল দিয়ে, ফাঁসি দিয়েও ভুলাতে পারে নাই...এই রেসকোর্সেই আপনারা আমাকে একদিন মুক্ত করে এনেছিলেন, সেদিন বলেছিলাম, জীবন দিয়ে হলেও আমি আপনাদের বিশ্বাসের মর্যাদা রাখবো, আমি জীবন দিতে প্রস্তুত"
.............. এরপর বঙ্গবন্ধু ভাষণের সমাপ্তি টানেন এইভাবে -
"আমাদের সভা এইখানে সমাপ্ত, আসসালামু আলাইকুম"
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:৫২
মধুখোর বলেছেন: ওই মুহূর্তে 'জয় পাকিস্থান' বলার মত বোকামি তো কোন আনাড়ি বক্তাও করবেনা। ------------------------------------------------------------------------------
আপনার এই মন্তব্যের প্রসঙ্গে বলছি, চোখের কাছে একটি আঙুল থাকলে পাহাড় আড়াল হয়ে যায়। আমার মত সাধারণ লোকের কথা বাদই দিলাম। প্রখ্যাত সাংবাদিক নির্মল সেন রচিত ''আমার জীবনে একাত্তরের যুদ্ধ'' প্রকাশক বর্তমান সময়, ঢাকা২০০৯ এর ১১ পৃষ্ঠা দেখুন। তিনি লিখেছেন, "আমি জনসভার সামনের সারিতে বসেছিলাম। আমি স্পস্ট শুনেছি, শেখ সাহেব জয় পাকিস্তান বলেছিলেন।
৩৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২০
আইরিন সুলতানা বলেছেন: আমি তো ভাই আগেই ডিসক্লেইমার দিয়ে দিয়েছি। আমি কেবল ৭ই মার্চে রেসকোর্স ময়দানে নয় একাত্তর সালে দুনিয়াতেই অনুপস্থিত ছিলাম ফলে আমাকে নির্ভর করতে হয় আপনাদেরই বক্তব্যের সত্য-মিথ্যার উপর।
যাই হোক, এ প্রসংগে নির্মল সেনের বক্তব্যই পড়ছিলাম । শেখ মুজিবের জয় পাকিস্তান নিয়ে নির্মল সেনের নিজের বিশ্লেষণটি দেখুন এবার -
" ... এবং আমার মতে, সেদিন জয় পাকিস্তান বলে শেখ সাহেব সঠিক কাজ করেছিলেন। একজন বিজ্ঞ রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। ৭ মার্চের ভাষণ সম্পর্কে আমি একটি ভিন্ন কথা শুনেছি। বিশেষ করে বামপন্থী মহল এটা বলেছে। তারা সমালোচনা করেছে, শেখ সাহেব স্বাধীনতা ঘোষণা দিলেন না কেন? আবার একই মুখে বলেছেন শেখ সাহেব বুর্জোয়া নেতা। তিনি কিছুতেই স্বাধীনতা ঘোষণা দিতে পারেন না। আমার মত হচ্ছে, জয় পাকিস্তান না বলে কোনো উপায় ছিল না। তখনো আলোচনা শেষ হয়নি। ক’দিন পর ইয়াহিয়াদের সঙ্গে আলোচনা করার কথা। একটি লোকও স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত নয়। সেদিন যদি জয় পাকিস্তান না বলে শুধু ‘জয় বাংলা’ বলতেন এবং স্বাধীনতার ঘোষণা দিতেন তাহলে ইয়াহিয়া বাহিনী মারমুখী আক্রমণ করত। লাখ লাখ লোক প্রাণ হারাতো। তখন এই মহলটিই বলত জনতাকে কোনো প্রস্তুত না করে এ ধরনের স্বাধীনতা ঘোষণা বালখিল্যতা। এ জন্যই অসংখ্য লোকের প্রাণহানি হয়েছে এবং এর জন্যই শেখ মুজিবের বিচার হওয়া উচিত।..."
নির্মল সেনের বক্তব্য থেকে আংশিক দুটো লাইন তুলে তাকে হাতিয়াড় রূপে ব্যবহার করে নেতিবাচক প্রচারনা চালানোর আগে খোদ নির্মল সেনেরই পুরো বক্তব্য পড়ে দেখলে ভালো হতো।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:৫৬
মধুখোর বলেছেন: আমি কেবল প্রাসঙ্গিক অংশ উল্লেখ করেছি। এটা দোষের নয়। শেখ মুজিব জয় পাকিস্তান বলায় আমার কোন আপত্তির কথা আমি বলিনি। জয় পাকিস্তান সম্বন্ধে নির্মল সেনের ব্যাখ্যার সাথে আমিও একমত। তবে কেউ কেউ এটা অস্বীকার করেন দেখে খারাপ লাগে।
৩৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৪:৪৮
জাতি জানতে চায় বলেছেন: অফ টপিকঃ বঙ্গবন্ধু নিজেও তো পাজামা পরিধান করতেন! তাহলে জনসমূখে কোন কারনে যদি তার পাজামার ফিতে আলগা হয়ে যেত, তাহলে কি দেলোয়ারের মতই তাকে কথা শুনতে হতো??!!
৩৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৫:১২
টেকনলজী বলেছেন: এই সেই ওয়ারল্যাস মেসেজের অনুলিপি, মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে গিয়া অরিজিনালটা দেইখা আইসো
৩৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৬:০৬
স্তব্ধতা' বলেছেন: আপনিই স্বীকার করছেন ৭ই মার্চে শেখ মুজিব এর স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া হয়ে গেছে কিন্তু তিনি শেষে বলেছেন 'জিয়ে/জয় পাকিস্তান' / 'পাকিস্তান জিন্দাবাদ'।এটাই কি তাকে স্বাধীনতার ঘোষক বলতে না পারাটার পেছনে প্রধান অন্তরায়? তার এই ভাষণটিকে নানান দিক থেকে পলিটিক্যাল/টেকনিক্যাল/লীডারশীপ নানান বিবেচনায় ইতহিাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।সেই মূহুর্তে 'জয় পাকিস্তান' বলে (আমি শুনিনি) টেকনিক্যালী উনি সঠিক কাজটাই করেছেন, যদি বলে থাকেন।তখনও পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে আলোচনা চলছে, ন্যাশনাল এ্যাসেম্বলী বাকি, এই অবস্থায় পাকিস্তানের নাগরিক হিসেবে 'জয় বাংলা' না বলে 'জয় পাকিস্তান' বলাটা টেকনিক্যালী যুদ্ধপূর্ব শেখমুজিবের রাজনৈতিক দূরদশীতাই প্রমান করে।আর তার স্বাধীনতার ডাকের ঘোষনাপত্র পাঠ করেই যদি জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক হয়ে যান, তবে আমাদের টিভি/রেডিও ঘোষক ঘোষিকারা অনেক কিছু্রই ঘোষক/ঘোষিকা!!!জিয়ার বলা 'অন বিহাফ অফ শেখ মুজিবুর রহমান' শব্দগুলো বোধ হয় একেবারেই তাৎপর্যহীন।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:১৮
মধুখোর বলেছেন: আপনি একজন গবেষক হিসাবে প্রবাসে আছেন বলেই জানি। ফলে প্রতিপাদ্য বলতে যা বুঝায় তা আমার চেয়ে আপনার বেশী জানার কথা। এখানে প্রতিপাদ্য হচ্ছে ২৬ মার্চ রাতে শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন কিন। দেলোয়ার তারই প্রমাণ চেয়েছেন। ১৭ এপ্রিল মুজিব নগরে স্বাধীনতার ঘোষনায় উল্লেখ করা হয়েছে যে ২৬ মার্চ শেখ মুজিব যথাযথভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। আর সেজন্যই প্রশ্ন উঠছে ঐ দিন তিনি সত্যি সত্যি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন কিনা।
ব্যাক্তিগতভাবে আমার সিদ্ধান্ত যে শেখ মুজিব ৭ মার্চের ভাষণে টেকনিক্যাল কারণে ভাষণ শেষে জয়পাকিস্তান বলেছিলেন। তবে ঐ ভাষণই ছিল জাতির প্রতি শেষ নির্দেশনা। ৭ই মার্চের ভাষণকে অনেক আওয়ামীপন্থি বুদ্ধিজীবি স্বাধীনতার ঘোষণা হিসাবে আখ্যাযিত করেন। এ অভিমতের সাথে আমার তেমন দ্বিমত নেই। তবে যখন বলা হয় ২৬ মার্চ রাতের প্রথম প্রহরেও তিনি স্বাধীনতার ঘোষনা প্রকৃতই দিয়েছিলেন, তখন প্রমাণের দাবী উঠা দোষের নয়।
৩৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৬:১৮
াহো বলেছেন: শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন,
যেহেতু উল্লিখিত বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের জন্য উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান; এবং
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
মুজিবনগর, বাংলাদেশ
তারিখ: ১০ এপ্রিল ১৯৭১
--------------------------------------------------
২৫শে মার্চ মাঝরাতে ইয়াহিয়া খান তার রক্তলোলুপ সাঁজোয়া বাহিনীকে বাংলাদেশের নিরস্থ মানুষের ওপর লেলিয়ে দিয়ে যে নরহত্যাযজ্ঞের শুরু করেন তা প্রতিরোধ করবার আহ্বান জানিয়ে আমাদের প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
১১ই এপ্রিল ১৯৭১ বাংলাদেশবাসীর উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দীন আহমদের বেতার ভাষণ।
---------------------------------------------------------------------
২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষনার বিষয়ে ১৯৭১ সালের আন্তর্জাতিক নিউজ-মিডিয়া
LEADER OF REBELS IN EAST PAKISTAN REPORTED SEIZED; Sheik Mijib Arrested After a Broadcast Proclaiming Region's Independence DACCA CURFEW EASED Troops Said to Be Gaining in Fighting in Cities -Heavy Losses Seen
The Pakistan radio announced today that Sheik Mujibur Rahman, the nationalist leader of East Pakistan, had been arrested only hours after he had proclaimed his region independent and after open rebellion was reported in several cities in the East.
New York Times - Mar 27, 1971
Click This Link
“The rebel leader Sheikh Mujib arrested.” The paper also added—“The radio Pakistan has declared that, Sheikh Mujib was arrested from his residence, within one hour after he declared the independence of Bangladesh.” (The Evening News, March 26, 1971: Headline news)
“The independence war has begun in East Pakistan. Pakistani soldiers started to crush Bangalee’s independence movement under the leadership of Sheikh Mujib. President Yahya Khan declared Sheikh Mujib the traitor of Pakistan. The declaration of the independent Bangladesh, in the name of Sheikh Mujib, came from a radio station named: “Voice of Bangladesh”. The radio also has issues an order to all Bangalees to follow orders only from the Sheikh Mujib, the leader of the independence.” (The Guardian- March 27, 1971)
“The leader of independence Sheikh Mujib has declared independence of Bangladesh and severe battle is in progress in the eastern part of Pakistan. President Yahya Khan has banned Awami League political party, declared Sheikh Mujib as the traitor of Pakistan and vowed to punish Sheikh Mujib for his crime. ” (The Times of London, March 27, 1971)
৩৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৩১
শারিফ বলেছেন: শেখ মুজিব স্বাধীনতের ঘোষনা করছে এই কথাটা এক মাত্র পাগল ছাড়া কেও বলবেনা।
যদি ঘোষনা করেই থাকতেন তাহলে ২৭মার্চ হরতাল ডাকতেন না।
সেচ্ছায় পাকি দের হাতে ধরাদিতেন না।
মুজিব ঘোষক প্রমান থাকলে হাম্বালীগ কবেই প্রকাশ করে দিত অপেক্ষা থাকতনা।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১২:১৮
নট ডিফাইন বলেছেন: দারোয়ান ইদানীং নিজেরে বাড়ীর মালিক ভাবতাছে, শালার কই যাই?