নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইমান ছাড়া এত্তেবা হয়না, এত্তেবা ছাড়া মত্তাবেইন হওয়া যায়না।

যাফর

ইমান ছাড়া ইত্তেবা হয়না, ইত্তেবা ছাড়া মত্তাবেইন হওয়া যায়না।

যাফর › বিস্তারিত পোস্টঃ

''আত্মার মাগফিরাত'' না ''নফসের মাগফিরাত"।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০

ফেসবুক এ লেখাটি পড়ে ভাল লাগল তাই আপনাদের সাথে শেয়ার কারলাম।



''আত্মার মাগফিরাত'' না ''নফসের মাগফিরাত কোনটা বলা উচিত ..??

(একটি বিশ্লেষণধর্মী ব্যতিক্রমী লেখা)

মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান ইন্তেকাল করেছেন । আজকে তার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হবে । কিন্তু লক্ষনীয় বিষয় যে পুরোদেশবাসী সহো গণমাধ্যম ও ফেসবুক ও ইন্টারনেটের সব সাইডে লাখো কোটি মানুষ মহামান্য রাষ্ট্রপতির ''রুহের(আত্মার) মাগফিরাত'' কামনা করিতেছে। শুধু মহামান্য রাষ্ট্রপতির ক্ষেত্রে নয় বরং মানুষ মারা গেলে প্রায়ই দেখি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। আসলে ''রুহের মাগফিরাত'' চাইতে হবে না ''নফসের(জীবনের) মাগফিরাত'' চাইতে হবে, তা আমাদের অবশ্যই জানা উচিত। মাগফিরাত মানে ভুল-ত্রুটি ক্ষমা প্রার্থনা করা। কোরআন-হাদিস , সুফিবাদ, আধ্যাত্তবাদ ও আউলিয়াদের জীবনী হতে যতটুকু আমি অধম বুঝতে পেরেছি - তা হলো রুহের(আত্মার) মাগফিরাত(ক্ষমা) প্রার্থনা করা যায় না । যতদুর জানি 'রুহু' অর্থাত 'আত্মা' বা Soul এর কোনো 'মৃত্যু' নেই | যাহার 'মৃত্যু' নাই তাহার 'মাগফেরাত' কি করে হয়? এজন্য আল্লাহ পাক বলেন- ওয়া নাফাখতু ফীহি মির রুহী । অর্থ: আমি উহাতে (মানবের মাঝে) আমার রুহ ফতকার করে দিয়েছি। (সুরা সোয়াদ. আয়াত-৭২) রুহ আল্লাহর নির্দেশ। যে রুহ বা আত্মা আল্লাহর তাজাল্লী বা আদেশ তার ভুল-ত্রুটি কি কের হয় ? তাই ''আত্মার মাগফিরাত'' মানে আত্মার ভুল ত্রুটি ক্ষমা প্রার্থনা করা যা অসম্ভব কারণ আল্লাহর আদেশের কোন ভুল হয় না। রুহ আল্লাহ হতে মানবের মধ্যে এসেছে এবং তার কাছেই আমার ফিরে যাবে। এজন্য কোরআন আবার বলছে- ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন । অর্থ আমরা তার কাছ থেকে এসেছি আবার আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব। তাই রুহের মাগফিরাত চাওয়া অনুচিত।

তাহলে কি মানুষ মরে না ? বা তার মাগফিরাত কামনা করা যাবে না ? মানুষ মরে । কি মরে ? মানুষের নফস(জীবন, মন) মরে যায়। এজন্য কোরআন বলছে- কুল্লু নাফসিন জায়কাতুল মউত। অর্থ: প্রত্যেক নফস(জীবন) ই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। সুতরাং নফস মরে যায় কিন্তু মানুষের রুহ(আত্মা) মরে না। সুতরাং মানুষের মাগফিরাত কামনা করা যাবে তবে তা হতে হবে মৃত ব্যক্তির ''নফসের মাগফিরাত''। জীবন বা নফসের ভুল-ত্রুটির কারণে রুহ বা আত্মা পরজগতে (পরকালে) শান্তি বা অশান্তি পায়। রুহ মানুষের মধ্যে আল্লাহর প্রতিনিধি হিসাবে দেওয়া হয়েছে । তাই রুহের নিজস্ব কোন ভুল-ত্রুটি নেই । তা না হলে পরম দয়াময় আল্লাহকেই ভুল ধরা হয় যা অসম্ভব। তাই মানুষের ইন্তেকালের পরে তার জীবন বা নফস এই পৃথিবীতে অবস্থান কালে যে ভুল-ত্রুটি করেছে তার মাগফিরাত বা ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। আশা করি আমরা একটু হলেও বুঝতে পেরেছি - মানুষের মৃত্যুর পরে তার নফসের মাগফিরাত কামনা করতে হবে কিন্তু রুহের মাগফিরাত কামনা করা যাবে না। যদিও দুনিয়ার বড় বড় আলেম, জ্ঞানীগুনি, গবেষকরা প্রায়ই এই ভুলটি করে থাকে। বস্তুবাদী এই শ্রেণীর জ্ঞানীগুনি প্রায়ই কোরআনে বর্ণিত নফস(জীবন) এবং রুহকে এক করে ফেলে যদিও তা সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সত্য উপলব্ধি করার তৌফিক দিন। আমীন।

লেখক : মোহাম্মদ তফিজ উদ্দিন কাদেরী

তাং- ২১/০৩/২০১৩ । ৭ চৈত্র ১৪১৯ । ৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৩৪।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.