নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাহিদুর রহমান মাসুদ

সবকিছুই চুকিয়ে গেছে গালিব! বাকি আছে শুধু মৃত্যু!!

জাহিদুর রহমান মাসুদ

সর্বস্বত্ত লেখকের

জাহিদুর রহমান মাসুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলো কি অসাংবিধানীক ও বৈষম্যমূলক নয়?

০৯ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১:৫৬

মাদ্রাসা শিক্ষার বিপক্ষে বা বন্ধ করার জন্য কথা বলেন এমন বুদ্ধিজীবী বা ব্যক্তির সংখ্যা দেশে অসংখ্য। প্রতিথযশা বুদ্ধিজীবীদের এ নিয়ে বিভিন্ন সভা, সেমিনার, পত্রিকা বা টেলিভিশনের টকশোগুলো প্রায়ই মতামত দিতে দেখা যায়। ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেও এ মাদ্রাসা শিক্ষার বিরোধী। আমার মতে এ শিক্ষা ব্যক্তিকে সাম্প্রদায়িক, অবৈজ্ঞানীক, যুক্তিহীন ও পশ্চাতমুখী করে। আপনি যদি এ পোস্টের শেষে উল্লেখিত রিলেটেড পোস্টগুলো পড়ার মতো ধৈর্য্য রাখেন তাহলে এ বিষয়ে আমার অবস্থান নিয়ে আপনার কোন সন্দেহ থাকার কথা নয়। তবে এ মাদ্রাসা শিক্ষার বাইরেও আমাদের দেশে ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষাব্যবস্থা (বিশেষ করে প্রাইমারী পর্যায়ে) চালু আছে যা মাদ্রাসা শিক্ষার মতোই সম্পূর্ণ অসাংবিধানীক এবং বৈষম্যমূলক। কিন্তু আমাদের মহান বুদ্ধিজীবী বা সংবাদ মাধ্যমগুলোকে এ নিয়ে তেমন কথা বলতে শুনা যায় না। তাঁদের প্রতি সর্বোচ্চ দেখানোর পরেও আমাকে বলতে হয় তাঁদের এ নীরবতার কারণ সম্ভবতো তাঁরা নিজেরাও এ শিক্ষাব্যবস্থার সুবিধাভোগী।



বাংলাদেশের যেকোন ব্যবস্থায় সংবিধানের প্রাধান্য স্বীকৃত। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের প্রথম ভাগের ৭নং অনুচ্ছেদের ১ ও ২ ধারায় সংবিধানের প্রাধান্য সম্পর্কে সুষ্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। ৭নং অনুচ্ছেদের ২নং ধারায় বলা আছে, "জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তিরূপে এই সংবিধান প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন এবং অন্যকোন আইন যদি এই সংবিধানের সহিত অসমঞ্জস হয়, তাহা হইলে সেই আইনের অসামঞ্জস্যপূর্ণ, ততখানি বাতিল হইবে।" অর্থাৎ এটা সুস্পষ্ট যে, সংবিধানে উল্লেখিত ব্যবস্থার বাইরে যেকোন কার্যক্রম বা আইন বাতিলযোগ্য। সংবিধানকে সমুন্নত রাখার এখতিয়ার সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের। সুপ্রিম কোর্ট পার্লামেন্টের কোন আইনও বাতিল করার অধিকার রাখেন যদি তা সংবিধানে উল্লেখিত জনগণের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী হয়।



সংবিধানের দ্বিতীয়ভাগের (রাষ্ট্রপরিচালনার মূলনীতি) ১৭ (ক) অনুচ্ছেদে বলা আছে, " রাষ্ট্র একই পদ্ধতির গণমুখী ও সার্বজননীন শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য এবং আইনের দ্বারা নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত সকল বালক-বালিকাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।" এখানে আইনের দ্বারা নির্ধারিত স্তর বলতে আমরা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত প্রাইমারী শিক্ষাব্যবস্থাকে বুঝব। সংবিধানের উক্ত অনুচ্ছেদ মোতাবেক এটা স্পষ্ট যে, এই প্রাইমারী শিক্ষা ব্যবস্থা হবে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত এবং অবৈতনিক। তদুপরি এ শিক্ষাব্যবস্থা হবে দেশের সকল বালক-বালিকার জন্য একই পদ্ধতির এবং বাধ্যতামূলক।



সংবিধানে সকল বালক-বালিকার জন্য বাধ্যতামূলক অবৈতনিক শিক্ষার কথা বলা হলেও দেশে সরকার পরিচালিত অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা ছাড়াও মাদ্রাসা শিক্ষা ও ইংরেজি মিডিয়ামের শিক্ষা প্রচলিত। আমাদের বুদ্ধিজীবীরা পশ্চাদপদ মাদ্রাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও এ সমস্ত ইংরেজি মিডিয়ামের স্কুলের ব্যাপারে একেবারেই নীরব। যদিও দুটো ব্যবস্থাই একই দোষে দুষ্ট। এর কারণ একটাই তাঁরা নিজেরাও এ শিক্ষাব্যবস্থার সুবিধাভোগী। আপনি যদি খুঁজ নেন তাহলে দেখবেন এসব বুদ্ধিজীবীদের সন্তানেরা বেশিরভাগই ইংরেজি মিডিয়ামের ছাত্র। দেশের ধনীব্যক্তির সন্তানদের কেউই অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষার ধারে-কাছেও ঘেষেনা। সরকারি প্রাথমিক শিক্ষার দৈন্যদশার জন্য এর প্রতি দেশের বুদ্ধিজীবী আর প্রতাপশালী ব্যক্তিদের অনীহা আর উদাসীনতাই দায়ী।



দেশের প্রাথমিক শিক্ষা আবশ্যিকভাবে সকলের জন্য সার্বজনীন হওয়া আবশ্যক। ব্যক্তির সামর্থ্য এখানে কোন বিবেচ্য বিষয় নয়। বিবেচ্য হচ্ছে রাষ্ট্রীয় সাম্য, প্রগতি ও ঐক্য। শিশুর শিক্ষাগ্রহণের প্রক্রিয়া এমন হওয়া উচিত যাতে দেশের সমস্ত শিশু নিজেদের একই পরিবারের অংশ মনে করে। শিশু যাতে এটা বুঝতে না পারে যে, অভিভাবদের অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে সে বঞ্চিত বা সুবিধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। সর্বোপরি শিশুর শিক্ষা হবে মাতৃভাষা, দেশীয় সংস্কৃতি, দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে আশ্রয় করে, যা তাঁকে দেশপ্রেমে উদ্বুত্ত করবে। আমার বলতে কোন দ্বিধা বা সন্দেহ নেই যে, মাদ্রাসা শিক্ষার মতো ইংরেজি মিডিয়ামের স্কুলগুলোতে এ বিষয়গুলোর কমতি রয়েছে।



দেশের সংবিধানকে সমুন্নত রাখা এবং জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব দেশের বিচারবিভাগের উপর ন্যাস্ত। আপনি খেয়াল করলে দেখবেন যে, সুপ্রিমকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে বা কারো রিটের প্রেক্ষিতে মৌলিক অধিকার বা সংবিধানের লংঘন সম্পর্কে সময়ে সময়ে বিভিন্ন রুল জারি করেন। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় দেশের অতি প্রয়োজনীয় এ প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় সংবিধানের সুষ্পষ্ট লংঘন হওয়া সত্ত্বেও সুপ্রিমকোর্ট-কে এ বিষয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে কিছু বলতে দেখা যায় না। সংবিধানের এ লংগন সম্পর্কে যে সুপ্রিমকোর্ট বা মাননীয় বিচারপতিগণ অবহিত নন তা কিন্তু নয়। তারপরেও এ বিষয়ে তাঁরা নীরব। সম্ভবতো তাঁরা নিজেরাও এ ব্যবস্থার সুবিধাভোগী। সম্ভবতো তাঁদের সন্তানেরাও এ ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে শিক্ষা লাভ করছেন। হায়! মোর দুর্ভাগা দেশ।



----------------------------------------------------------------------------------

Related Post: ১.(Click This Link), ২. (Click This Link), ৩. (Click This Link)

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +২/-৮

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১:৫৮

শিশির ভেজা ভোর বলেছেন: তুই একটা উন্নত মানের খাসি

০৯ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:০৯

জাহিদুর রহমান মাসুদ বলেছেন: আয়নায় নিজের চেহারাটা যেমন দেখবেন তেমনই বলার কোন দরকার আছে?

২| ০৯ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:০৪

জাহিদুর রহমান মাসুদ বলেছেন: সামহোয়ারে ব্লগিংয়ের একটি প্রধান কারণ এটি ইউজার ফ্রেন্ডলি। আমি যেহেতু টেকনিক্যালি অতো উন্নত নয় তাই এখানে ব্লগিং করে স্বস্তি পেতাম। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে এখানে আজব আজব সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি। বিষয়টি বিরক্তিকর।

এনিয়ে এ লেখাটি তিনবার পোস্ট করলাম। প্রথমবার পোস্ট করার পর নিজের পোস্টে নিজেই মন্তব্য করতে পারছিলম না। তাই রিপোস্ট করলাম। পরবর্তীতে যখন পোস্ট করি তখন এটি আমার ব্লগের পাতাতে দেখা যাচ্ছিল কিন্তু প্রথম পাতায় দেখা যাচ্ছিল না। তাই তৃতীয়বার রিপোস্ট করলাম।

প্রথমবার পোস্ট করার পর রন্টি চৌধুরী বলেছিলেন যে, এমন কোন কথা নেই যে, রাষ্ট্র একাই শিক্ষার ব্যবস্থা করবে। জনাব চৌধুরী যদি ৭ নং অনুচ্ছেদেটি ঠিকভাবে পড়েন তাহলে দেখবেন সেখানে স্পষ্ট লেখা আছে রাষ্ট্র সকল বালক-বালিকার (নিশ্চিতভাবে দেশের সকল শিশুর) একই পদ্ধতির (শুধুমাত্র একটি মাধ্যম) অবৈতনিক বাধ্যতামুলক (রাষ্ট্রের জন্য) শিক্ষার প্রবর্তন করবে।

আমার মনে হয় জনাব চৌধুরী অনুচ্ছেদটি ঠিকভাবে পড়েননি।

৩| ০৯ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:১৬

গডফাদার০২ বলেছেন: আপনি ব্যাপার টা বুঝেন ই নাই। রাষ্টের দায়ীত্ব হলো সকল শিশুর ব্যাসিক শিক্ষার ব্যাবস্থা করা একং সে জন্য ইনফ্রাস্ট্রাকচার রেডি করা। সেরকম রাষ্টের দায়ি্ত্ব হলো সকল নাগরিকের ব্যাসিক চিকিৎসা নিশ্চিৎ করা। কিন্তু সরকার এসব ব্যবস্থা করার মানে এই নয় যে রাষ্টের সব নাগরীক কে এ বাধ্যতামুলক ভাবে এ সুবিধা গ্রহন করতে হবে। যে কারনে দেখবেন পৃথিবীর যে কোন দেশেই সরকারী ব্যবস্থার পাশাপাশি প্যারালাল শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে এবং কোথাও কোন আবাল এগুলোকে অসাংবিধানিক বলে চিল্লায় না।

০৯ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:৩২

জাহিদুর রহমান মাসুদ বলেছেন: " রাষ্ট্র একই পদ্ধতির গণমুখী ও সার্বজননীন শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য এবং আইনের দ্বারা নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত সকল বালক-বালিকাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।"

এখানে নির্ধারিত স্তর কথাটার দিকে মনোযোগ দেন। এর অর্থ হচ্ছে শিক্ষার একটি বিশেষ পর্যায় পর্যন্ত তা একই পদ্ধতির, সার্বজনীন এবং রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত অবৈতনীক হবে। একটা বিশেষ পর্যায়ের পরে আপনি যেকোন মাধ্যমের শিক্ষা বা পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।

অঃটঃ ভাষার একটু মার্জিত ব্যবহার করলে আপনার আবালত্বটা কমবে, বাড়বেনা।

৪| ০৯ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:২০

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: প্রথমেই আন্তরিক ধন্যবাদ এই রকম একটা বিষয় নিয়ে লেখার জন্য।

আমাদের দেশে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের নামে যেগুলো চলছে, সেটা মূলত ধনী মানুষদের স্কুল। অধুনা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল নামেও আরেক ধরনের বাংলা ইংলিশ মিশ্রিত খিচুড়ি স্কুল তৈরি হয়েছে। এই সব স্কুলগুলোর মধ্যে খুব ভালো পড়াশোনা হয় এই রকম স্কুলের সংখ্যা হতে গোনা। বেশির ভাগ স্কুলই একেকটা কোচিং সেন্টার ছাড়া আর কিছু নয়। শিক্ষকরা খুব কম বেতন পান। অথচ ছাত্র বেতন খুবই চড়া। মূলত পোশাক আশাক, গাড়ি এবং অন্যান্য ভাবভঙ্গি করে অভিভাবকদের কাছ থেকে মোটা টাকা হাতিয়ে নেয়াই এদের উদ্দেশ্য।
মাদ্রাসা শিক্ষার মতো এই স্কুলগুলোও নিষিদ্ধ হওয়া উচিত।
কিন্তু সরকারী স্কুলের সংখ্যা বৃদ্ধি না করে এটা কি করা সম্ভব ? তাছাড়া সরকারী স্কুলের সুযোগ সুবিধা ও ছাত্র ছাত্রী ধারণ ক্ষমতাও বাড়ানো দরকার।

০৯ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:৩৭

জাহিদুর রহমান মাসুদ বলেছেন: সরকারি ব্যবস্থাটা তখনই উন্নত হবে যখন সরকার এবং প্রভাবশালীদের সন্তানেরা একই পদ্ধতির শিখ্ষা গ্রহণ করতে বাধ্য থাকবে। বাধ্য হয়েই তাঁরা ব্যবস্থাটির উন্নতির চেষ্টা করবে। এ অবস্থায় যেহেতু সংশ্লিষ্টরা ভুক্তভোগী নয় তাই এর প্রতি তাঁরা মনোযোগী হবে তেমনটি আশা করার কোন সুযোগ দেখছিনা। তাই প্রয়োজন প্রাইমারী লেভেলে একই পদ্ধতির রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত শিক্ষা।

৫| ০৯ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:২৩

গডফাদার০২ বলেছেন: ও আরেকটা কথা, ২য় মাইনাস টা আমার।

০৯ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:৩৩

জাহিদুর রহমান মাসুদ বলেছেন: মাইনাস প্লাসের হিসাব করিনা।

৬| ০৯ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:৩৫

শিশির ভেজা ভোর বলেছেন: যে বা যারা মাদ্রাসা শিক্ষা বন্ধ করতে চান তাদের মরার পর জানাযার নামাজ খানা কাকে দিয়া পড়াইবেন একটু জানতে চাই।

০৯ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:৪৯

জাহিদুর রহমান মাসুদ বলেছেন: মুফতী সাহেব, পায়জামার গিট্টা ছুইটা গেছে। একডু টাইট কইরা বান্ধেন।

৭| ০৯ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:৩৯

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আপনার লেখার মূল সুরের সঙ্গে একমত। একই ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা হওয়া উচিত।

০৯ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:৪৭

জাহিদুর রহমান মাসুদ বলেছেন: একটি নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত (প্রাইমারী লেভেল) শিক্ষা একই পদ্ধতির হওয়া উচিত। সংবিধানে সে কথাই বলা হয়েছে। মাধ্যমিক বা উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ভিন্ন মাধ্যম ভিন্ন পদ্ধতি থাকতে পারে।

লেখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৮| ০৯ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:৫৩

ধানশালিক বলেছেন: এটা সত্যি যে কি নির্বোধ কখনোই মানুষ হবে না। না হলে, এই ধরনের পোস্টে কেই মাইনাস দেয় >??????

৯| ০৯ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৩:০২

দেশপ্রেমিক বাঙ্গালি বলেছেন: ভাই আমি কিন্তু খুব একটা ধার্মিক টাইপের কেউ না । ইংরেজী মাধ্যম নিয়ে আপাতত কিছু বলতে চাচ্ছিনা । তবে আপনারা যারা মাদ্রাসা শিক্খার বিপক্খে তাদের জন্য কিছু বলবো । বাংলাদেশে এখনো কিন্তু মুসলিমের সংখ্যা বেশি । ইসলামে কিন্তু এই মাদ্রাসা শিক্খার প্রতি উত্‍সাহীত করা হয়েছে বলা চলে । প্রত্যেকটা মানুষেরই তার নিজ নিজ ধর্মচর্চার অধিকার রয়েছে । এই অধিকার কেড়ে নেওয়ার অধিকার কোন রাষ্ট্রের নেই । হোক সে মুসলিম বা অমুসলিম রাষ্ট্র । বাংলাদেশের সংবিধানে মাদ্রাসা শিক্খার কথা বলা হয়নি ঠিকই কিন্তু এই মানবাধিকার, ধর্মচর্চার অধিকার লঙ্ঘণ করাটাকেও কিন্তু নিষিদ্ধ করা হয়েছে । একটা লাইনে বলেছেন মাদ্রাসা শিক্খায় মানুষকে অবৈগ্গানিক, সাম্প্রদায়িক, পশ্চাত্‍মুখী ও যুক্তিহীন করে গড়ে তোলা হয় । ভাই আমি কোনকালে মাদ্রাসায় পড়িনি । তবে এটুকু জানি সাধারণ শিক্খাব্যবস্থার ন্যায় মাদ্রাসা শিক্খা ব্যবস্থায় সমান হারে গ্যান বিগ্গান চর্চা করানো হয় । আর সাম্প্রদায়ীকতা ? এটাকে শুধু মাদ্রাসার উপর চাপিয়ে দিলেন না ? সাম্প্রদায়ীকতা সবার মনের ব্যাপার । এটাকে কারো শিখিয়ে দেওয়া লাগে না । একটা অমুসলিম তো মাদ্রাসাতে পড়েনা । আপনি কি তবে বলবেন তাদের কেউই সাম্প্রদায়ীক নয় ? (অনিচ্ছাক্রিত বানান ভুলের জন্য দুঃখিত)

০৯ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৩:১৯

জাহিদুর রহমান মাসুদ বলেছেন: মাদ্রাসা শিক্ষা বিষয়ে আমার আগের লেখাগুলিতে বলেছি। তাই এ বিষয়ে আলোচনায় তেমন উৎসাহ বোধ করছিলাম না।

দেখুন ধর্ম আর রাষ্ট্র দুটো ভিন্ন জিনিস। রাষ্ট্র হচ্ছে অভিভাবকত্বের চূড়ান্ত পর্যায়। তাঁর দৃষ্টিতে সবাই সমান। তাই রাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য হচ্ছে এমন এক আবহ সৃষ্টি করা যাতে প্রত্যেক নাগরিক বুঝতে পারে এই ব্যবস্থা তাঁর। আমি নিশ্চি প্রচলিত ধর্মগুলোর মাধ্যমে এই আবহ সৃষ্টি সম্ভব নয়।

আপনি আপনার ধর্ম নিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা চান। ভাল কথা। এখন অন্য ধর্মের লোকজনও যদি তাঁর ধর্মের আলোকে সাজাতে চান তাহলে রাষ্ট্রের অবস্থাটা কোন পর্যায়ে ঠেকবে তা কি বুঝতে পারছেন? সর্বত্রই কি একটা বিশৃংখল অবস্থা সৃষ্টি হবেনা?

আরেকটি কথা, মাদ্রাসার শিক্ষার ফলাফল আপনি নিশ্চয় এতোদিনে টের পাওয়ার কথা। আপনি চরমপন্থী এই জেএমবির সদস্য বা আত্মঘাতী বোমাবাজদের ইতিহাস পর্যালোচনা করেন তবে দেখতে পাবেন তাঁরা বেশিরভাগই মাদ্রাসার ছাত্র। এটা কি মাদ্রাসা শিক্ষার ব্যর্থতা প্রকাশ করেনা?

১০| ০৯ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৩:১০

গডফাদার০২ বলেছেন: " রাষ্ট্র একই পদ্ধতির গণমুখী ও সার্বজননীন শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য এবং আইনের দ্বারা নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত সকল বালক-বালিকাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।"

কে করবেন: রাষ্ট্র
কি করবেন: একই পদ্ধতির গণমুখী ও সার্বজননীন শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য এবং আইনের দ্বারা নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত সকল বালক-বালিকাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা

আপনার সাথে কোন রকম দ্বিমত নাই। রাষ্ট্রের এটা করা উচিৎ।

বাস্তবতা হলো, দেশে এখনই রাস্ট্রচালিত দ্বীমুখি শিক্ষা ব্যাবস্থা চলছে. মাদ্রাসা এবং স্কুল, সুতরাং সরকার তার নীতি প্রথমেই ভান্গছে, ঠিক কিনা?


এবার বলেন, যদি কোন অবিভাবক তার সন্তানের জন্য প্রচলিত শিক্ষার বাইরে একটু বেশি শিক্ষিত করতে চান, তাহলে সেই অবিভাবক কে আপনি কি বলবেন? সন্তানের মন্গল কামনার জন্য অপরাধি?

আমি আবারও বলছি, সরকার এর কাজ হলো একটা নির্দিষ্ট লেভেল পর্যন্ত সকল শিশু যেন সুশিক্ষা পায়, সেটা নিশ্চিৎ করা, সেটা শিশু কিভাবে পেলো
সেটা নয়। যে কারনে কমিউনিটি স্কুল এর পাশাপাশি সব দেশেই অল্টারনেটিভ স্কুলিং আছে এমনকি হোম স্কুলিং ও বৈধ। শিশুর শিক্ষা ঠিক মত হচ্ছে কিনা সেটা দেখার জন্য সোশ্যাল অফিস ঠাকবে, যারা শিশুকে দেয়া শিক্ষার গুনগত মান নিশ্চিৎ করবে, শিশু কোন স্কুলে গেলো সেটা নয়।

০৯ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৩২

জাহিদুর রহমান মাসুদ বলেছেন: আপনার এ মন্তব্যের আলোকে এটা ধরে নিতে পারি যে, পূর্ববর্তী ৩নং কমেন্টে উক্ত, আপনি ব্যাপার টা বুঝেন ই নাই। বক্তব্য থেবে বের হয়ে আসছেন।

আপনি বলেছেন, বাস্তবতা হলো, দেশে এখনই রাস্ট্রচালিত দ্বীমুখি শিক্ষা ব্যাবস্থা চলছে. মাদ্রাসা এবং স্কুল, সুতরাং সরকার তার নীতি প্রথমেই ভান্গছে, ঠিক কিনা?

চরম সত্যিকথা। রাষ্ট্র যদি সংবিধানের আলোকে শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলত তাহলে আমার এ পোস্টের কোন কার্যকারিতা থাকতনা। রাষ্ট্র করছেনা বলেই বলা। মাদ্রাসা শিক্ষা বন্ধ করার কথা বললেও তা হয়নি কারণ ধর্মীয় অনুভুতি ভোটের রাজনীতিতে একটি বিরাট ফ্যাক্টর। ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষাও চলছে কারণ রাষ্ট্রের কর্ণধারের সন্তানেরা এ শিক্ষার সুবিধাভোগী। এখন সংবিধানকে সমুন্নত রাখার দায়িত্ব সর্বোচ্চ বিচারালয়ের। এই প্রতিষ্ঠানও নীরব।

আপনি বলেছেন, এবার বলেন, যদি কোন অবিভাবক তার সন্তানের জন্য প্রচলিত শিক্ষার বাইরে একটু বেশি শিক্ষিত করতে চান, তাহলে সেই অবিভাবক কে আপনি কি বলবেন? সন্তানের মন্গল কামনার জন্য অপরাধি?

না,অবশ্যই না। পারিবারিকভাবে তিনি তা করতেই পারেন। তবে আলাদা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নয়। একটা নির্দিষ্ট স্তর পর্যন্ত সেটা রাষ্ট্রের আওতাধীন।

সর্বোপরি, রাষ্ট্রের মাধ্যমে যদি সবার জন্য সার্বজনীন শিক্ষা চালু করা যায় তাহলে শিক্ষার নামে যে বাণিজ্য চলছে তা বন্ধ হবে।

১১| ০৯ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৩৬

শিশির ভেজা ভোর বলেছেন: আপনি চরমপন্থী এই জেএমবির সদস্য বা আত্মঘাতী বোমাবাজদের ইতিহাস পর্যালোচনা করেন তবে দেখতে পাবেন তাঁরা বেশিরভাগই মাদ্রাসার ছাত্র। এটা কি মাদ্রাসা শিক্ষার ব্যর্থতা প্রকাশ করেন.......................................।।
তারমানে গলা ব্যথা হইলে আপনি গলা কেটে ফেলেন?
এতটা বলদ মানুষ কেমনে হয় বুজি না।
আর আমার প্রশ্নের আন্সার না দিয়া একটু মজা করলেন,ভালো.........আপ্নাগো মত বুদ্দুজিবি আছে বল্লাই দেশ এখন ডিজিটাল

০৯ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৪৬

জাহিদুর রহমান মাসুদ বলেছেন: আপনার এক নম্বর কমেন্টটাই প্রমাণ করে আপনি কোন লেভেলের। আমি লেভেল বিবেচনায় রিপ্লাই দেই।

ফাউ আলাপ না কইরা তাড়াতাড়ি দৌড়ান। তারা মিয়ার বাড়ির মিলাদ শেষ হইয়া যাইতাছে। দেরি হইলে জিলাপী, বাতাসার ভাগ পাইবেন না।

১২| ০৯ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:০৩

দেশপ্রেমিক বাঙ্গালি বলেছেন: আপনি জেএমবির সাথে মাদ্রাসা শিক্খার যোগসূত্র আনতে চাইছেন । অতো বড়ো বিতর্কে জড়ানোর সাহস আমার নেই ।
শুধু একটা উদাহরণ দিব ।
কোন এক শ্রেণীকক্খে ৫টা ছাত্র আছে যারা খুবই বেয়াদব । খোঁজ নিয়ে দেখা গেল তাদের সবার বাবাই শিক্খক । আর তখন থেকে ওই স্কুলে প্রচার হয়ে গেল শিক্খকদের ছেলেগুলা সবই বেয়াদব হয় । ওরা ছেলেমেয়ে মানুষ করতে পারেনা । আবার এই সুযোগে কিছু সাধারণ বাবার সন্তানও শিক্খক বাবার নাম নিয়ে বেয়াদবী শুরু করে দিল । অর্থাত্‍ গোটা শিক্খক জাতটাই তখন সমালোচনার পাত্র হওয়া শুরু করলো ।

জাস্ট এটুকুই বলবো । অনেকটা মামুলি আর শিশুসুলভ উদাহরণ দিলাম । বোঝার দায়িত্ব আপনার ।

০৯ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:২৪

জাহিদুর রহমান মাসুদ বলেছেন: শিশুসুলভ উদাহরণ না দিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রদের জেএমবি হওয়ার কারণ খুঁজেন, তাহলে মাদ্রাসার ছাত্র ও দেশ উপকৃত হবে।

কি কারণে আপনার মনে হয় তারা বোমাবাজ হচ্ছে? আপনার কি মনে হয়না কোথাও গলদ আছে?

আমার মতে এ গলদটা শিক্ষাব্যবস্থার। আপনার মতে?

১৩| ০৯ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:০৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: দেখুন ধর্ম আর রাষ্ট্র দুটো ভিন্ন জিনিস। রাষ্ট্র হচ্ছে অভিভাবকত্বের চূড়ান্ত পর্যায়। তাঁর দৃষ্টিতে সবাই সমান। তাই রাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য হচ্ছে এমন এক আবহ সৃষ্টি করা যাতে প্রত্যেক নাগরিক বুঝতে পারে এই ব্যবস্থা তাঁর। আমি নিশ্চি প্রচলিত ধর্মগুলোর মাধ্যমে এই আবহ সৃষ্টি সম্ভব নয়।

আপনার এই কথাটা পড়ে বোঝা গেল, অন্তত ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে আপনার মৌলিক ধারণাই নাই। যারা আল্লাহ এবং ইসলামে বিশ্বাস স্থাপন করেছেন তাদের এটা মানতে হবে, ইসলাম হল পুর্ণাংগ জীবন বিধান, রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, পারিবারিক এবং ব্যাক্তিগত সহ আর যত পর্যায় থাকতে পারে সব পর্যায়ে এবং কেয়ামতের আগ পর্যন্ত সকল সময়ের জন্য।

ইসলামী রাষ্ট্রের কাঠামোতে অমুসলিমদের শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস এবং তাদের ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করার সুযোগ আছে।

কিছু বলার আগে সেটা আগে বুঝে নেয়া জরুরী।

আর আপনার পোস্টের ইংলিশ মিডিয়াম এর ব্যাপারটায় একটা কথাই বলি, আমাদের দেশে যেভাবে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলো চলছে সেটা হল একটা অপসংস্কৃতির চর্চা আর উচ্চ বিত্তের ফ্যাশন। এই অপসস্কৃতির উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ আরোপ জরুরী যাতে সেখানে মেধাবী নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত ছাত্ররাও পড়তে পারে এবং দেশী সস্কৃতিতে বড় হয়।

০৯ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:১৯

জাহিদুর রহমান মাসুদ বলেছেন: "আপনার এই কথাটা পড়ে বোঝা গেল, অন্তত ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে আপনার মৌলিক ধারণাই নাই। যারা আল্লাহ এবং ইসলামে বিশ্বাস স্থাপন করেছেন তাদের এটা মানতে হবে, ইসলাম হল পুর্ণাংগ জীবন বিধান, রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, পারিবারিক এবং ব্যাক্তিগত সহ আর যত পর্যায় থাকতে পারে সব পর্যায়ে এবং কেয়ামতের আগ পর্যন্ত সকল সময়ের জন্য।"

আপনার মতো একটা লোকের কমেন্টের জবাব দেওয়ার কোন যৌক্তিকতা নাই।

তবে পরবর্তীতে "কিছু বলার আগে সেটা আগে বুঝে নেয়া জরুরী।"
এ কথাটার প্রেক্ষিতে কিছু বলা দরকার।

একবারে সত্যি করে বলবেন, আপনি কি মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত? আপনের সন্তানরা কি কেউ মাদ্রাসায় যায়, না যাবে?

তবে ভাই, আপনার ফটুক দেইখা কিন্তু মনে হয়না আপনি মাদ্রাসার ছাত্র। যদি আপনি বা আপনার সন্তানদের কেউ মাদ্রাসায় না যান বা পাঠানোর কোন ইচ্ছা না থাকে তাহলে ইসলাম সম্পর্কে এতোকিছু জেনে আপনার কি লাভ হলো? আর এই মাদ্রাসা শিক্ষার প্রতি এতো মায়াকান্না করেন করেন কেন যেখানে আপনি নিজেই এই শিক্ষায় শিক্ষিত নন। আপনার সন্তানকে এই শিক্ষায় পাঠচ্ছেন না।


১৪| ০৯ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৩৫

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: ১৭) এর (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনে/মাধ্যমের শিক্ষা ব্যবস্থা অবৈধ।
এ বিষয়ে জনস্বার্থে যে কেউ রিট করতে পারে।

০৯ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৩৯

জাহিদুর রহমান মাসুদ বলেছেন: সুপ্রিম কোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়েও রুল জারি করতে পারেন। সংবিধান সমুন্নত রাখার ও জনগণের মৌলিক তথা সাংবিধানীক অধিকার রক্ষার দায়িত্ব সুপ্রিম কোর্টের।

১৫| ০৯ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৫:৫৪

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: সুয়োমোটো রুল জারি নির্ভর করে বিচারকের উপর। যদি কো ঘটনাক্রমে বিষয়টি কোন বিচারকের দৃষ্টিগোচর হয় এবং তিনি যদি আগ্রহী হন, তবেই এধরনের রুল আশা করা যায়।
নাগরিকদেরই এগিয়ে আসা উচিৎ সংবিধান সমুন্নত রাখতে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.