নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ হিসেবে আমি নিকৃষ্ট, তাই নিজের লেখার মধ্য দিয়ে প্রকাশ করতে চাই,, যে আমি ও এই সমাজের ই একজন মানুষ

ইমদাদুল সাহেব

সৃষ্টির অসাধারণ জগতের অতি সাধারণ এক প্রাণী

ইমদাদুল সাহেব › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপেক্ষমাণ ভালবাসা

২১ শে মে, ২০১৬ রাত ১:০১

মেয়েটির ছোটবেলার খেলার সাথী ছিল তার একটা পুতুল, কিন্তু ছেলেটির সাথে দেখা হবার পর সেই পুতুল নিয়ে ও খেলা ছেড়ে দেয় মেয়েটি,ছেলেটি সরকারি চাকরি করতো।।
তাদের সম্পর্কের ১২ বছর পুর্ন হল আজ,কালই তাদের বিয়ে, তাই মেয়েটি চেয়েছিল বিয়ের আগে আরেকবার সেই পুরনো জায়গায় দেখা করতে যেখানে তাদের প্রথম দেখা হয়েছিল,,সেই পুরনো জায়গায় হাই স্কুলে যাওয়ার পথটিতে,,
যেই কথা সেই কাজ,,ফোন করল ছেলেটিকে,, আসতে বলল তাকে,ছেলেটি প্রতিবারের মতই বলার একটু পরই উপস্থিত,,দুজনেই খুশী কাল তাদের বিয়ে, কথা শুরু হল,,অন্যান্য দিনের মতই,অনেক গল্প করল সেই জায়গায়,, সবশেষে মেয়েটি বলল ""দেখো তুমি আমাকে বিয়ে না করলেই সুখী হবে""
এই কথা শুনে ছেলেটি একটু কষ্ট পেলো, বলল কাল বিয়ে আর আজ তুমি এই কথা বলছ,, মেয়েটি বলল তুমি তো জানই আমার অনেক সমস্যা,, তাই আমি চাই না তোমাকে আমার জীবনের সাথে জড়াতে,,
ছেলেটি বলল যাই হোক আমি তোমাকেই ভালবাসি, তোমাকেই বিয়ে করব,,
এই বলে একজন আরেকজন জড়িয়ে ধরল, ওইদিনের পরিসমাপ্তি ঘটল।।
অবশেষে তাদের বিয়ে হল,,
বিয়ের পরপরই ছেলেটি বাস্তবতার সম্মুখীন হল,,
প্রথমত মেয়েটি নিজের শাড়ী কখনো গুছিয়ে পড়তে পারতো না,তাই ছেলেটিকেই তা গুছিয়ে দিতে হত,,
মেয়েটি রান্না ও করতে পারতো না,,তাছাড়া বাইরের খাবার ও খাওয়ার অভ্যাস নেই, যেহেতু ছেলে সরকারি চাকুরীজীবী, তাই তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরত,এসে নিজেই রান্না করত এবং নিজ হাতেই তার বউকে খাইয়ে দিতো।
মেয়েটি এসি গাড়িতে চড়তে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতো না,অন্যদিকে ছেলেটি কখনো রিকশায় চড়তে পারতো না,কিন্তু তবু ও মেয়েটির জন্যই রিকশা চড়তে বাধ্য ছিল, আর মেয়েটি সবসময় ছেলেটির বুকের উপর রাখতো, কিন্তু ছেলেটির সেই সৌভাগ্য হয়নি।।
মেয়েটির বৃষ্টির পানি লাগলেই তার ঠাণ্ডা লেগে যেত,তাই সে কখনো বৃষ্টিতে তার সাথে ভিজতে পারেনি,, তাছায় বজ্রপাত ও অসম্ভব ভয় পেত মেয়েটি,একটু আওয়াজ শুনলেই ছেলেটিকে ভয়ে জড়িয়ে ধরত।
মেয়েটি অন্ধকারকে ও ভয় পেতো, তাই ছেলেটি ঘুমাবার সময় কখনো আলো বন্ধ রাখতে পারতো না,সারারাত মেয়েটির পাশে বসে তাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখতো।।
মেয়েটি মোটেও সাঁতার জানতো না,তবু ও পানি দেখলেই অকারনে ঝাপ দিতো, কারণ সে জানতো যেভাবেই হোক ছেলেটাকে তাকে বাঁচাবে,,
আসলেই মেয়েটার জীবনে অনেক সমস্যা ,তবু ও ছেলেটা নানা রকম ত্যাগ_তিতিক্ষা দিয়েই সেই ভালোবাসার মানুষটির সাথেই জীবন কাটাচ্ছে।।

কিছু কিছু ভালবাসার সম্পর্ক সত্যিই মধুর,, আর কিছু হয় কলঙ্কিত,, সেটা আপনার উপর নির্ভর করে আপনি আপনার সম্পর্কটা কিভাবে নিচ্ছেন।।


ভালো লাগলে যুক্ত হতে পারেন আমার সাথে ফেইসবুকে,
যদি চান তাহলে Click Here

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মে, ২০১৬ সকাল ১০:০১

রংবাজ মাস্তান বলেছেন: আপনার উপর নির্ভর করে আপনি আপনার সম্পর্কটা কিভাবে নিচ্ছেন,
যথার্থ বলছেন

২| ২২ শে মে, ২০১৬ রাত ১২:৩৪

ইমদাদুল সাহেব বলেছেন: হুম সত্যিই কিন্তু তাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.