![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যখন দুজনের সপ্ন এক রেখায় আকা ছিল.. আজ বড্ড দূরে সরে গেছি... আমি তোমার সেই ইমু সোনা...
রহিম বাদশাহর আজকে মনটা খুব খারাপ হয়, নতুন ইটা ভাঙ্গা মেশিন বলে আসব। সবাই বলতেছে চাকরী থাকে কিনা কি জানি!ও একমনে ইটা ভাংতে থাকে, হাতের নিচে ইটগুলো ছিন্ন ভিন্ন হয় হাতুড়ির বাড়িতে। যেন তার স্বপ্নও ছিন্ন ভিন্ন হতে থাকে এভাবেই। এই ত সেদিনের কথা রেলস্টেশনের পাশে খালি জায়গাতে আরক আলি মাতব্বর একটা ইটা ভাঙ্গার ব্যবসা দিব, তারে কইল “ বাদশা তুই ইটা ভাঙ্গবি না ছাতা ধরবি?"
মানুষরে তোষআমদ করার খায়েশ নাই আর পুরুষ মানুষ কি আর মাতবরের পিছন পিছন ছাতা নিয়ে ঘুরব তাই ইটা ভাঙ্গাই সই। সেই থেকে এই বাংলা ইটা ভাঙ্গারিতে ওর কাজ শুরু, রোদ বৃষ্টি ঝড় কোন কিছুই বাধা মানত না এই রহিম বাদশার। কতদিন রাতেও কাজ করছে তার ইয়ত্তা নাই, কালকেই মাল ডেলিভারি দেওয়া লাগব তাই রাত জাইগা ইটা ভাঙ্গ! আর কেউ না থাকলেও রহিম বাদশাহ আছে, কোম্পানির মালিক আরক আলি কইত রহিম তুই ত ইস্পাতে গড়া! ওর বুকটা দুই হাত ফুইলা যাইত। কতবার গ্রামীণ ভাঙ্গারি আর এ কে তালীয় লেদ মেশিনের লোকরা ওরে লোভ দেখাইল, সে ত বাংলা ইটা ভাঙ্গা ছাড়ে নাই। সময়ের সাথে মালিকানা বদলায়ে ভুলিয়া কোম্পানি আইসা সব ভুইলা গেছে! নতুন মালিক আইসেই ইটা বেচনের জন্য আলাদা লোক রাখচে।ছাতা ধরণির সাথে সাথে দুইজন পা টিপুনি রাখছে, এদের বেতন বলে তাদের চেয়ে বেশি।এদিকে কোম্পানির বলে লাভ নাই, ইটা ভাঙ্গা কম বেচা হইলে বলে ইটা ভাঙ্গা ঠিক মত হয়নি তাই বেচা যাচ্ছে না।
এরাই ফুসলায়ে নতুন ইটা ভাঙ্গা মেশিন আন্তেছে হাওয়া কুম্পানি থেকে, মেশিন বলে ফ্রি দিব পরে লাভ থেকে শোধ হবে। মাঝখান থেকে ওদের চাকরী গেল আরকি!
আজকে ভোরে এসে ওরা কাজ শুরু করবে দেখল কুনি আর ইসা মিয়ার হাতুড়ি কাইরা নিল ওদের বলে চাকরী নাই। ওরা সকলে প্রতিবাদ করতেই দেখে তারপরের দিন পেটোয়া সুমু কে নিয়োগ দেয়া হোল, বেটা বলে আগে পুলিশের পেটোয়া বাহিনীতে চাকরী করত। আজ বিকেলে ওরা সব একসাথ হয়, এইভাবে চলতে পারে না। কিছুদিন আগে বলে গ্রামীণ ভাঙ্গারিতেও এমন হইছিল, শ্রমিকরা সবাই একসাথে চেপে ধরতে ওদের আবার কাজ ফিরায়ে দিছে। বাদশাহ মিয়া আজ সিদ্ধান্ত নেয় সবাইরে নিয়া একসাথে প্রতিবাদ করবে। নতুন মালিকের লোক পাশা মিয়া যতই ভয় দেখাক ওরা ভয় পায়না, ওদের রক্তের উপর দিয়ে এই কোম্পানি এক সময় চলছে। আজ তারাই আছুৎ! ওদের ধৈর্যের বাধ ভেঙ্গে যায়,সবাই ঠিক করে এর প্রতিবাদ করবে, সম্মিলিত প্রতিবাদ!চুন্নু, মনু কায়েস আর চাকরী হারা ইসা মিয়ারাও যোগ দেয় প্রতিবাদ সমাবেশে, তাদের বুকে আজ প্রতিবাদের আগুন। এই প্রতিবাদ অন্যয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ!!
**এই গল্পটি শুধুই গল্প মাত্র, কোন বর্তমান পরিস্থিতির সাথে মিলে গেলে তা নিতান্ত কাকতালীয় ব্যপার।
২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৫
আনু মোল্লাহ বলেছেন: বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এই সব প্রতিবাদ আর কাজে দেয় না।
গল্পের জন্য ধন্যবাদ জানাই
৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩২
বিজন রয় বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
++++
৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪০
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: প্রযুক্তির খারাপ দিকের মধ্যে এটা একটা।
ভালই লিখেছেন
৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৫০
আহসানের ব্লগ বলেছেন:
৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:২৭
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: জনতার সুসংহত প্রতিবাদ মারাত্মক!
৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫
জনৈক অচম ভুত বলেছেন: রহিম বাদশাহদের প্রতিবাদে কি আর কাজ হয়?
৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার লিখায় মন্তব্য করতেই লগ ইন করলাম ।
৯| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২১
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ভাল লিখেছেন। তবে দেখা যাক, ওরা কতটুকু সফল হয়।
১০| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: জীবনের গল্প +।
১১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৪
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ভালো মন্দ পৃষ্ঠার এপিঠওপিঠ। একটা দিক দেখলাম গল্পে। ভালো লেগেছে।
১২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৬
অগ্নি সারথি বলেছেন: হিম বাদশাহদের প্রতিবাদে সহমর্মিতা রয়েছে কিন্তু প্রতিবাদ করে কয়দিন? প্রযুক্তি মানুষের জায়গা ঠিকই একদিন পুরো দখলে নিয়ে নিবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৯
মুদ্দাকির বলেছেন: কারো কিছুই করার নাই।