নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কে কিছু বলা যাবে না। আমার মূল্যায়ন হবে আমার লেখায় আর তা করবে আমার চারপাশের মানুষ

৭ ১ নিশান

দেখি আমি অন্ধ চোখে জগতটাকে

৭ ১ নিশান › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিপোক্রেসি না অন্য কিছু

০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০৬

১ যদি মাথা থেকেই পচন ধরে তাহলে ওষুধ দেবার জায়গা থাকে না। আমাদের দেশের মাথায় পচন ধরেছে। মাঝে মাঝে কিছু বিশেষ বাহিনী দেশের শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করে একটু আধটু পেনিসিলিন দিয়ে দেই। কিন্তু এই মাথাদের কোন লজ্জা বোধ নেই এরা কিছুদিন ভালো থাকে এবং আবার আগের মত পচে যেয়ে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। সেই দুর্গন্ধের এমন ই জোর যা দেশের মুল্লুক পাড়ি দিয়ে বিদেশ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ছে। যার জের ধরে নানা মুনি নানা দেশ থেকে নানা ভাবে দেশের উপর স্প্রে ছড়িয়ে যচ্ছে।

২ কিছুদিন আগে একজন মহান নেতা বললেন যে মসজিদ হচ্ছে ইবাদতের স্থান। আমরা সবাই জানি যে মসজিদ মন্দির, প্যাগোড়া, ও গির্জা প্রার্থনার স্থান। ইসলামে সন্ত্রাসের কোন জায়গা আছে বলে আমি জানি না। যারা ইসলামের নামে সন্ত্রাসী করে বেড়াচ্ছে তাদের শাস্তি হওয়া দরকার। কিন্তু এর মানে এই নয় যে রাস্তায় কুকুরের মত গুলি করে মারতে হবে। রাস্তায় গুলি করে মারা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। শাসক দলের ইচ্ছাই বাইতুল মোকারমের উত্তর গেট বন্ধ করে দেওয়া হল। বলা হল মসজিদ কোন রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু এখন যে সরাসরি সরাসরি রাজনীতির সাথে যুক্ত করা হল । এটা কি হিপোক্রেসি নয়? আজ দেশ এর নেতা ঘোষনা দিলেন যে মসজিদভিত্তিক জামায়াতবিরোধী মঞ্চ গড়বেন আওয়ামীপন্থী ওলামারা। এতে করে কি মসজিদে সরাসরি রাজনীতি ঢুকিয়ে দেওয়া হল না? আমি দেখিনি কোন গ্রামের মসজিদের ইমাম বলেছেন এস জামাত করি বা বিনপি বা আম্লীগ করি। কিন্তু এটা কি হল? এর মাধ্যমে মসজিদ আর ইবাদতের জায়গা থাকল না , হয়ে গেল রাজনৈতিক দলের একটা আস্তানা আদতে। এতদিন মসজিদ ছিল কেবল ইবাদতকারীদের জায়গা এখন থেকে সেটার মুসল্লিরা দু ভাগে ভাগ হয়ে থাকবে। এটা কোন ভাবেই কাম্য ছিল না। সব জায়গা নিয়ে রাজনীতি চলে না বা করা ঠিক না, এটা এক ধরনের হিপোক্রেসি ছাড়া আর কিছু না। যে নিজেদের স্বার্থে যা কিছু হবে তা ভাল আর অন্য কেউ করলে তা হবে আইনের পরিপন্থী, বা শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজ।

৩ এতদিন জানতাম যে নিরাপত্তা বাহিনী এর কাজ দেশের শান্তি বজায় রাখা। কিন্তু এখন দেখতেছি যে নিরাপত্তা বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে ভিন্ন মতের লোক দমন করার জন্য। গণতন্ত্র হচ্ছে সেই স্থান যেখানে নানা মতের মানুষ থাকবে কিন্তু আজ আমাদের দেশে অন্য মতের কিছু বলা খুবই কঠিন ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। আজ দেখলাম নিরাপত্তা বাহিনী সমানে গুলি করে একটা দলের সমাবেশ পণ্ড করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। যারা একসময় পুলিশের কাছে রাস্তায় পিটুনি খেয়ে পড়ে থেকেছে তারাই আজ মন্ত্রী পর্যন্ত হয়ে বসে আছে। সেদিন তারা বলেছি যে নিরাপত্তা বাহিনীর এই রকম ব্যবহার মেনে নেওয়া যায় না এবং নিরাপত্তা বাহিনী রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস করছে। এর জন্য তারা প্রায় ১৭৩ দিনের উপর হরতাল দিয়েছিল। কিন্তু আজ তারা বলছে নিরাপত্তা বাহিনী যা করেছে তা ভালোর জন্য করেছে , আর এখন বিরোধী দল হরতাল দিলে বলছে তারা খারাপ। এটা হিপোক্রেসি ছাড়া আর কিছু নয়। আর এখন যে সব মানুষ ও ক্ষমতাসীনরা এসব এ মদদ দিয়ে যাচ্ছেন অতীত ভুলে তারা সত্যিকার অর্থে হিপোক্রেট। সুদিন সবার ই আসে আর এই কথা রাজনীতিবিদরা ভুলে যান যে তাদের ও একসময় বিরোধী দলে যেতে হবে যেমন ভুলেছিল বেগম জিয়া। সেই একই ভুল বর্তমান শাসক দলের নেতা কর্মীরা করে যাচ্ছে। সময় ই বলে দেবে পর কি হবে?

৪ কিছুদিন ধরে শুনে যাচ্ছি যে জামাতীরা দেশ জুড়ে সংখ্যা লুঘুদের বাড়ি ঘর, জ্বালিয়ে দিয়েছে, শহীদ মিনার ভেংগে ফেলতেছে। শুনে খুবই খারাপ লাগল যে এটা কোন ধরনের কাজ যে, আমাদের জাতীয় চেতনার উপর আঘাত হেনে তারা রাজনীতি করতে চাই। কিন্তু আমার মনে একটা প্রশ্ন ছিল যে জামাতিরা কি এতই বোকা যে এই সময় এই ধরনের কাজ করবে? যা তাদের বিপক্ষে যাবে। কেন যনি মনে হচ্ছিল যে কোন না কোন একটা গোষ্ঠী সুবিধা নিতে চাচ্ছে রাতের অন্ধকারে? আর আজ সেটাই সত্যি হয়ে দেখা দিল। সরকারী দলের এক নেতা ধরা পড়েছে জনতার হাতে শহীদ মিনার ভেংগে পালানোর সময়। ধরা না পড়লে শিওর দোষ হত অন্য কারো, কাদের হত তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর বেশির ভাগ ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে রাতের অন্ধকারে যাতে অন্যদের উপর দোষ চাপান যায়। দারুন খেলায় মেতে উঠেছে শাসক দল? এর থেকে কৌতুক কিছু হতে পারে না যে, ওই যুবলীগ কর্মী কে নিরাপত্তা বাহিনী ধরে নিয়ে গেলেও পরে পাগল বলে ছেড়ে দিয়েছে, ওসি সাহেব কি পাগলের ডাক্তার যে তিনি এমন একটা কর্মে লিপ্ত হবার পর ও ওই ব্যক্তিকে পাগল বলে বাঁচাবার চেষ্টার অংশ হিসাবে ছেড়ে দিয়েছেন। সে নাকি আবার সভাপতি পদের মানুষ। তাহলে প্রশ্ন একজন পাগল কি করে সভাপতি হয়? না শহীদ মিনার ভেঙ্গেই সে পাগল হয়ে গেছে? মটর সাইকেলে আসার সময় পাগল ছিল না কিন্তু শহীদ মিনার ভাংবার পর পাগল হয়ে গেল? আমরা কি ভুদায় যে এসব দেখেও কিছু শিখি না। কেউ পদ্মা লূট করে হয় দেশ প্রেমিক আর কেউ শহীদ মিনার ভেঙ্গে হয় পাগল। আর এসব যারা বিশ্বাস করে এখন ও দল কানা হয়ে অন্যের সমালোচানায় মত্ত হয় তারা ১০০% হিপোক্রেট। আসলে মন্দির , শহীদ মিনার পুরানা শকুন যতটা না ভেঙ্গেছে তার চেয়ে সুবিধা বাদীরা রাতের আধারে নষ্ট করে অন্যের উপর দোষ চাপাতে ব্যস্ত? ধরা পড়ে গেলে পাগল আরো কত কি হয়ে যাবে। আমরা কিছু বললেই হয়ে যাব ছাগু আর নব্য রাজাকার। সত্যিই এসব হিপোক্রেসি দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি।

৪ আমাদের দেশের মানবাধিকারের ধ্বজাধারী এক রোবট আছে যে কোন কাজের না কিন্তু কথা বলায় খুব ওস্তাদ, তার চোখে পানি এসে যায়, তিনি অনেক কথা বলেন অনেক আশ্বাস দেন কিন্তু তিনি যে খুবই দুর্বল চিত্তের একজন রোবট বা চাবি দেওয়া পুতুল তার প্রমান তিনি করে দিয়েছেন । র্যা বের গুলিতে লিমন পা হারালে তিনি কেঁদে কেটে সাগর হয়ে গেলেন। কত নাটক করে দেখালেন , কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে গত কিছুদিনে ১০০ এর উপর মানুষ মারা গেল অথচ তিনি কিছু বললেন ও না। তার আসলে অপদে থাকার কোন যোগ্যতা আছে বলে মনে হয় না। মানবাধিকার নিয়ে কাজ করতে গেলে দল মত নিয়ে ভাবলে চলে না। মানবাধিকার সবার জন্য সমান। যুদ্ধের সময় ও দু পক্ষের আহত সেনাদের নিয়ে কাজ করে রেডক্রস তারা দেশ দেখে না দেখে না কে বৈধ বা কে অবৈধ, তারা দেখে কে আহত, কে হত। কিন্তু তিনি দেখলেন যে এরা বিক্ষোভকারি আর তা সরকারের বিরুদ্ধে তাই কিছু বললেন না ? তার কোন নৈতিক সাহস নেই । হিপোক্রেসির একটা সীমা থাকা দরকার, কিন্তু এখন দেখতেছি যে আমাদের দেশের রাজনীতি বিদদের কোন সীমা তো নেই এমন কি যারা বুলি বেঁচে খাই তাদের ও হিপোক্রেসির কোন সিমা নেই। এর পর যদি তিনি কোনদিন কোন কিছু ব্যাপারে মানবাধিকারের কথা বলে সেটা হবে হিপোক্রেসির নামান্তর মাত্র।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১৬

৭ ১ নিশান বলেছেন: আমি কিন্তু এই লেখার ফলে ছাগু হয়ে গেলাম মনে হয়

২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩৬

অহেতুক অকারণ বলেছেন: যাক আপনি আগেই বলেছেন, আপনি কেউ না, অন্তত আমার মতো অহেতুক অকারণ তো অবশ্যই নয়। :D

৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪৬

তুহিন আল মামুন বলেছেন: প্রতিবাদ
বিদ্র:ঃ এই লেখার জন্য সামহোয়ারইন ব্লগ এ আমার অ্যাকাউন্টটি স্থগিত করা হয়েছে অথবা বাতিল করা হয়েছে । ১৪ দিন স্থগিত থাকার কথা থাকলেও্ এখনো খুলে নি ।

থাবা বাবার মৃত্যুতে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে শোকাহত । তার এই অকাল মৃত্যু কোন ভাবেই কাম্য নয় । আমি কিছু ক্ষণ আগে থাবা বাবা এর পেইজ ওপেন করেছিলাম । এবং সেখানে তার একটি পোস্টে কমেন্টস করতে চাইলাম কিন্তু পারলাম না, আমার কমেন্ট লেখার জন্য যতটুকু সময় লেগেছে এর মধ্যেই তার সেই পোস্টটি ডিলিট করা হয়েছে । আমাকে কমেন্টসও করতে দিল না ।
আমি মনে করি মডুর উচিত হবে না তার পোস্ট গুলো ডিলিট করা । কারন এর মাধ্যমে সে তার চিন্তা চেতনা কে সবার মাঝে বিলিয়ে দিতে চেয়েছেন । আমি তার একটি লেখা পড়ে যতটুকু বুঝেছি তিনি একটু নাস্তিক টাইপের ছিলেন ।
আর অনেকেই হয়তো ধারণা করেছেন যে এই কারণেই তাকে খুন করা হয়েছে । কিন্তু যারা হত্য করেছে তার নিশ্চয় জানে না যে প্রত্যেক হত্যাই জঘন্য ।

আর প্রয়াত থাবা বাবা কে বলতে চাই- যদি তার অত্মা অবিনশ্বর হয়,- আমার মতে নাস্তিকতা মানে হলো কোন ধর্মকে কুটুক্তি করা নয়, এক্ষেত্রে বিশেষ কোন ধর্মকেতো নয়ই । যখন ধর্মীয় সমালোচনা হবে তখন তা হতে হবে সকল ধর্মের সামালোচনা । বিশেষ কোন ধর্মকে উদ্দেশ্য করেতো নয়ই ।

আমি থাবা বাবার জন্য দোয়া প্রর্থনা করছি আমার সৃষ্টি কর্তার কছে । যাতে তিনি তাকে ক্ষমা করে দেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.