![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি আমি অন্ধ চোখে জগতটাকে
মানুষের মত অদ্ভুত প্রানী আর একটা আছে কিনা এক মাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন। প্রেম জীব জগতের এক চিরাচরিত নিয়ম। প্রতিটা জীবের মধ্যে আছে প্রেম ভালবাসা, রাগ অনুরাগ বিরাগ। মানুষ উন্নত প্রানী বলে তার আবেগের প্রকাশ ও ভাবনাগুলো অনেক বেশী প্রস্ফুটিত। প্রানী জগতে যারা সমাজবদ্ধ জীবন ধারন করে তাদের মধ্য প্রেম এর সম্পর্ক দেখা যায়। আবার কিছু প্রানীরা প্রেম ভালবাসা করে থাকে বছরের কিছু নির্দিষ্ট সময়ে। জীব জগতে একমাত্র মানুষই এই সকল নিয়মের বাইরে এসে প্রেম ভালবাসা ও জীবনের সংজ্ঞা দিতে পেরেছে। মানুষ প্রেম করে সংসার করে ভালবাসায় জড়ায়। মানুষ তার সংগীকে ভালবাসে একদিনের জন্য না বরং ভালবাসে সারা জীবনের জন্য। এই জন্য মানুষের ভালবাসার গভীরতা অনেক বেশী। এখন বাস্তব জীবনের নানা দিক তুলে ধরার সময় এসে গেছে।
ছেলে বা মেয়ের জন্ম ও পরিবারের ভাবনা
সমাজে মানুষ সমাজ বদ্ধ হয়ে বসবাস করে। সমাজে সাধারন বিশেষ করে আমাদের সমাজে ছেলে-মেয়ের মধ্যেই বিয়ে হয়। আমাদের বাংলাদেশের সমাজে পরিবারে একটা মেয়ে জন্ম নিলে মানুষ সেদিন থেকেই মেয়ের বিয়ে নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে থাকে এক সময় এসে সে চিন্তা বাস্তবে রুপ পাই। যে বাবা-মা বা মেয়ে যেভাবেই বলুক না কেন মেয়ের বিয়ে আজো সমাজে এক বিরাট বোঝা। হ্যা মেয়েরা এগিয়েছে অনেক কিন্তু আগের ব্যাপারটা আগের জায়গায় থেকে গেছে। ছেলে শিশুর জন্ম হলে এখনো সব পরিবারে খুশির জোয়ার বয়ে যায় কেননা তাকে বিয়ে দেওয়া লাগবে কিন্তু তার আয় পরিবারের জন্য ব্যয় হবে এটা বাবা-মা ভেবে থাকে। ছেলেকে এখনো অনেক বেশী দাম দেওয়া হয় সে তুলনায় মেয়েকে অত বেশী দাম দেওয়া হয় না পরিবারে হ্যা হতে পারে মেয়ে পরিবারের চোখের মনি কিন্তু সিদ্ধান্ত গ্রহনের বেলায় তার মতামত অনেক সময় গুরুত্ব পাই না। অনেক বাড়িতে পেলেও খুবই ছোট পরিসরে। পরিবার এখনো বিয়ের ব্যাপারে মেয়েদের মতামতের গুরুত্ব দিতে শেখেনি। এখন ২০১৪ সালে এসেও একটা মেয়েকে নিজের পছন্দ মত বিয়ের জন্য পরিবারের সাথে যুদ্ধ ঘোষনা করতে হয়।
প্রেম ছেলে ও মেয়ে ও পরিবারের অবস্থানঃ আমাদের সমাজ এখন গোপনে অনেক বেশী এগিয়ে গেছে এখন প্রেমের শরীরী রুপ পেয়েছে বর্তমান সময়ের প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্য। পূর্বে অনেক আগেই বিয়ে হত বলে শরীর মূখ্য ভুমিকায় আসত না। এখন একটা ছেলে –মেয়ে প্রেম করে সংসারে যেতে যেতে গড়ে ২৭ বছর পার করে দেয় এই দীর্ঘ সময় শরীরকে বসিয়ে রাখাও কঠিন। তাই দেখা যায় প্রেমিক জুটিদের ভিতরে ৫/৭ বছরে মন বিনিময়ের সাথে সাথে দেহ বিনিময় হয় অসংখ্য বার।
আমাদের সমাজে বাড়িতে ছেলেকে বড় করে দেখা হয়। আর ছেলে যদি হয় বদমেজাজী তাহলে তো কথায় নেই , সবাই তাকে রাগানোর বদলে তাকে ঠান্ডা করআর চেষ্টা করে সে ভুল কোন কিছু করলেও। ছেলে প্রেম করলে বাড়িতে খুব বেশী সমস্যা হয়েছে এটা দেখা যায় না। বাড়ির বাবা –মা গাই গুই করে মেনে নেই। ছেলের পছন্দ বলে কথা, যদিও ছেলেদের বাবা মা যে তাদের নিয়ে কোন স্বপ্ন দেখে না সেটা নয় কিন্তু ছেলের চাপে বা যে কোন কারনেই হোক মেনে নেয় সম্পর্কে । অনেক সময় দেখা যায় মেয়ে যোগ্য হয় আবার অনেক সময় দেখা যায় মেয়ে সামাজিক বা অর্থনৈতিক ভাবে ছেলের পরিবারের সাথে মেলে না কিন্তু তার পরো ছেলের মতকেই মেনে নেওয়া হয়।
এর বিপরীত অবস্থান মেয়েদের প্রেমের ব্যাপারে। প্রতিটা মেয়ের বাবা-মা এর স্বপ্ন থাকে তার মেয়েকে নিজের মত করে বিয়ে দেবার। এজন্য যখন মেয়ের প্রেমের কথা জানতে পারে তখন মেয়ের বাবা-মা , বিশেষ করে বাবা রেগে আগুন হয়ে পড়ে কেন প্রেম করেছ, কি জন্য করা লাগবে? আমি মেনে নিতে পারব না, নানা কথা বার্তা। এ ছেলে ভাল না ফ্যামিলি ভাল না, এর থেকে ভাল ছেলে আমাদের কাছে আছে। মেয়ের মা অনেক সময় মেয়ের পাশে থাকে কেননা মা মেয়ের উপর রাগ করে থাকতে পারে না এজন্য। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে বাবা মেনে নিলেও মা মেনে নেয় না। আবার কিছু ক্ষেত্রে মা-বাবা দুজনই গররাজি হয়ে পড়ে। এজন্য আমাদের সমাজে একটা মেয়ে প্রেম করে অধিকাংশ সময়ে ঝামেলার ভিতর পড়ে। একই বাবা-মা একই ঘর কিন্তু মেয়ের বেলায় আচারনগত পার্থক্য অনেক বেশী। ছেলে বাড়ির পীর তার সব কিছু হালাল। আর মেয়ে বাড়ির সন্মান, সে প্রেম করলে বাবা-মার জাত চলে যাবে বা গঙ্গার পানি শুকিয়ে যাবে , আমাদের বাবা-মায়ের ধারনা ঠিক এই জায়গায় এসে আটকে গেছে। ছেলে যদি যোগ্যও হয় তারপরো মেয়ের জামায় হিসাবে তাকে মেনে নেওয়া যাবে না। বাবা-মা ধনুক ভাংগা পন করে বসে। কি সমাজ ? কি ব্যবহার ? কি আচার? এই ধরনের বৈষম্য আমাদের সমাজে সমস্যা তৈরি করে চলেছে প্রতিদিন। প্রতিটা বাড়িতে একই ঘটনা ঘটে চলেছে নীরবে। এই ব্যাপারগুলো সামনে আনতে মানুষ লজ্জা পাই যেখানে জীবনের প্রশ্ন সেখানে লজ্জার কি আছে।
প্রেম হয়ে যায়ঃ
বাবা-মা কে জানিয়ে কেউ প্রেমে পড়েছে বা প্রেম করেই বাপ মা কে কেউ জানিয়েছে বলে শোনা যায়নি। যখন একজন ছেলে বা মেয়ে বড় হয় সে প্রকৃতির নিয়ম অনুসারে নিজের সাথী খোজে। মানুষ উন্নত প্রানী ও সামাজে বসাবাস করে বলে প্রেম করার সময় একে অপরের সম্পর্কে জানে। এর একটায় কারন ভবিষ্যতে যেন কোনভাবেই সমস্যায় না পড়তে হয়। যেখানে শুরুতেই সমস্যার কথা মাথায় থাকে সেখানে সমস্যা ছাড়া কোন কিছু ভালভাবে শেষ হবে তা দাবি করা যায় না। আর জুটি গুলো মধ্যে থাকে নানা কথা ও ছোট খাট মিথ্যার ব্যবহার। সেটা যা হোক বাবা-মা জানার আগেই ছেলে বা মেয়ে মন দিয়ে বসে থাকে অন্য একজনকে। মন এক আজব জিনিস এটা বার বার বিনিময় করা যায় না। একজন মানুষ জীবনে সত্যি বলতে একবারই বা দুবার প্রেমে পড়ে। বার বার প্রেমে পড়ে কিছু অসভ্য মানুষ। তাই দেখা যায় প্রেম কিভাবে হয়ে যায় তা আসলে বলা যায় না। একসাথে পথ চলতে চলতে ছেলে মেয়ে একে অপরের সাথে এক হয়ে যায়। এখানে তখন বাবা-মা আসার কোন সুযোগ নেই।
পরিবারের অবস্থান ও মেয়েদের সমস্যাঃ আমাদের সমাজে সবথেকে বেশী কষ্ট ভোগ করে ছেলে বিয়ে করে বউ বাড়ি আনলে বাবা-মার কিছু করার থাকে না। কিন্তু মেয়ে তো আর বাড়ির অমতে বিয়ে করে জামায় বাড়ি নিয়ে যেতে পারে না। অনেক মেয়ে বা ছেলে পালিয়ে বিয়ে করে। কিন্তু একটা প্রতিষ্ঠিত মেয়ের পক্ষে একটা প্রতিষ্টিত ছেলের সাথে পালিয়ে বিয়ে করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এদিকে বিয়ের সময় ও পার হতে থাকে বাবা-মা মেয়ের দাবি মেনে নিতে চাই না। মেয়ে উভয় সমস্যায় পড়ে কিমা হতে থাকে । একদিকে প্রেমিকের চাপ অন্যদিকে প্রেমিক ছেড়ে দেবার জন্য বাবা-মায়ের চাপ। এভাবে একটা মেয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। একটা সময় অনেক মেয়ে প্রেমিক কে বাদ দিয়ে নিজের খুশিকে বলি চড়িয়ে অন্য অচেনা পুরুষের বিছানায় যেতে রাজি হয়। এভাবে প্রায়ই মেয়েরা নিজেদের কে বাবা-মার সন্মানের বলি করে চলছে। এতে করে মেয়েদের সমস্যা কমে না বরং বাড়ে।
অসমাপ্ত প্রেম ও বিষের জীবনঃ এভাবে যখন কোন প্রমের জীবনের শেষ নেমে আসে তখন মানুষ এমন অনেক কিছু করে যার জন্য আসলে তাকে দায়ি করা যায় না বরং এখানে কাঠ গড়ায় থাকবে ছেলের মা-বাবা, মেয়ের বাবা-মা ও অন্য মানুষ । কেবল প্রেম করার অপরাধে যারা একটা সম্পর্ককে মেনে নিতে পারে না তাদের আসলে বাবা- মা হিসাবে সন্তানের অভিবাবক হোয়া উচিত হয়নি। বাবা-মা কেন ডিক্টেটর হবে। বাবা মা যদি বন্ধু না হয় তাহলে একটা ছেলে বা মেয়ে কেউই নিজের প্রেমের মানুষের সাথে সংসার করতে পারে না আর প্রভাব পড়ে ছেলে ও মেয়ের জীবনে। আবেগ বার বার আসে না তাই প্রভাব যে আসবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মেয়ে হয়ত অন্য বাড়ি গিয়ে চোখ বন্ধ করে স্বামীর দ্বারা পিষ্ট হবে , কিন্তু ছেলেটা কি করবে সে পথের পাশে বসে গাঁজা খাবে নয়ত হিরোইন বা এরপর প্রতিশোধ নিতে হাজারটা মেয়ের সাথে প্রতারনা। এটাই কি নিয়তি হওয়া উচিত ছিল অনেক সময় দেখা যায় মেয়ে ছেলের বাড়ির সামনে এসে দাবি নিয়ে বসে বিয়ের। কিন্তু একটা প্রতিষ্টিত ছেলের জন্য কি মেয়ের বাড়িতে যেয়ে ধর্না দেওয়া সম্ভব বা মেয়ের পক্ষেও কি কিছু করা সম্ভব? এ দায় কে ? একটা তৈরি হয়ে ওঠা জিনিস যখন নষ্ট হতে শুরু করে তখন ছেলে যদি একটা দুর্ঘটনা ঘটিয়ে বসে তাহলে কি হবে? মেয়েটার উপর রাগ করে তার ক্ষতি করলে সে কি করবে? বা মেয়েটা অতিষ্ট হয়ে ছেলের সাথে বাজে ব্যবহার করলে বা খারাপ কিছু করলে তার দায় নেবে কে? অধিকাংশ ঘটনা স্টাডি করলে দেখা যাবে প্রেমের সম্পর্ক থেকে মানুষ শত্রুতে পরিনত হয়। আর এর দায় ভার আজীবন মানুষ বহন করে চলে অভিভাবকদের অবিবেচক বুঝের কারনে।
২| ০৭ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৪
নাহিদ ইসলাম ৩৫০ বলেছেন: হুম......... ভালো লঅগলো।
প্রযুক্তি বিষয়ক বাংলা ব্লগঃ আইডিয়া বাজ
৩| ০৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৪৩
৭ ১ নিশান বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৬
৭ ১ নিশান বলেছেন: এ লেখার বাস্তব ভিত্তি আছে যা জীবনের সাথে যায় , অনেক কেস স্টাডি থেকে দেখার পর এ লেখা যদিও গুছিয়ে লিখতে পারিনি। মন্তব্য দিয়ে আপনার মতামত জানাবেন