নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কে কিছু বলা যাবে না। আমার মূল্যায়ন হবে আমার লেখায় আর তা করবে আমার চারপাশের মানুষ

৭ ১ নিশান

দেখি আমি অন্ধ চোখে জগতটাকে

৭ ১ নিশান › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাতের ভুল ও শশান যাত্রা

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ২:০৮

কলা চুরির কাহিনী গত হবার পর সূর্যরা বেশ কিছুদিন ঠান্ডাভাবে দিন কাটাতে লাগল। এলাকায় তাদের যে সুনাম ছিল তা পুনরুদ্ধারে তারা ব্যস্ত হয়ে পড়ল। আজ এ বাড়ির আন্টি তো কাল ওবাড়ির কাকী বা কাকাকে সাহায্য করার জন্য পড়ালেখা বাদ দিয়ে বসে আছে দামাল ছেলের দল। যা হোক অদের এই সব কৃতিকালাপের খবর নিরালা ছাড়িয়ে ক্যাম্পাস, এমনকি নিউমার্কেটের দোকানদার পর্যন্ত জেনে যাচ্ছে কি সর্বনাশা কথা। লজ্জায় সূর্যের মাথা হেট হয়ে যাচ্ছে; মানুষে কি বলবে সামান্য কলার জন্য বদনাম কুড়িয়ে বেড়াতে হবে। এই সব সাত পাচ চিন্তা করতে করতে সূর্য ও কবি কাহিল হয়ে গেল। জ্ঞানী চলে গেল তার কাজে, কাজ মানে কোচিং এ ক্লাস নেওয়া। সেখানে আবার সূর্য ছাত্র হিসাবে পক্সি দিয়ে আসে। রাসু ক্যাম্পাসে মেয়েদের পটানোর কাজে ব্যস্ত বাসা নিয়ে দুর্নাম নিয়ে তার ভাবার সময় খুব কম। যা হোক রাতের বেলার আড্ডার জন্য সবাই রেড়ি হচ্ছে। অনেকদিন পর ফ্রাইডে নাইট হবে আজ। তাই সবাই চাঁদা দিয়েছে পানি খাবে বলে। সেই সাথে আছে নানা প্রকার ভেজিটেবল। আশেপাশের দু চার মেস এ দাওয়াত ও দিয়ে এসেছে । রাতের কাজের মধ্যে ভুতের গল্পের আসর বসানো ওদের একটা নিয়মিত কাজ। নেশার ঘোরে ভুতের গল্প ওদের বেশ ভালোই লাগে। সেই মোতাবেক মালপানি সব আনা হল, ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে দু জন সাগরেদ কে ডেকে পাঠাল সূর্য , তারা চলে এল টাইম মত। ওদের একজন হবিট অন্যজন কে সূর্য মনি বলে ডাকে। যা হোক আজ ওদের বাসায় হয়রান আসবে, তাই হয়রানের মত করে আয়োজন রেখেছে। সূর্য সন্ধ্যা বেলায় চলে গেল মিষ্টি আনতে। কবি সেই যথারীতি নফল পড়ে গেমস নিয়ে বসে গেল। যা হোক রাত ৮ টার পর একে একে অতিথিরা সবাই আসতে লাগল। ৯ টা নাগাদ সবাই এসে গেল। এর পর শুরু হল ইনডোর ক্রিকেট যা হোক দু চারটা জানলার কাচ আর একটা বাল্ব এর উপর দিয়ে এযাত্রা খেলা শেষ হল। এদিকে ইঞ্জিনিয়াররা জানান দিল কম্ম শেষ ২০ কাঠি হয়ে গেছে। সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে ছাদে এসে বসেছে। এর মাঝে মামা এসে হাজির, মানে বুঝলেন না কলা চুরির মামা।মামার আসল পরিচয় হল সে সর্ব বিষয়ের জ্ঞানী। মামা এসে বলল মামা আজ নাকি আসর আছে সূর্য বিরক্ত হয়ে বলল হুম আছে। মামা পকেট থেকে কিছু ট্যব্লেট ও ডেক্সোটিন বের করে বলল আজ ঝাক্কি খাব একবার দেখবে নাকি চেখে। সূর্য এর একটা বাজে গুন হল সে কোন কাজে না করতে পারে না। তাই অনিচ্ছা সত্তেও বলল বানাও মেরে দিই। মামা তার কাজে নেমে গেল সূর্য তার নিত্যদিনের ফোনালাপ সেরে নিল যাতে পরে ঝামেলা না হয়। মামার বানান ঝাক্কি খেয়ে সূর্যের ভিতরটাও ঝাকুনি খেয়ে গেল। রাতের খানা দানা পর্ব শেষ করে সবাই এখন আসরে বসে গেল। নানা বন্ধু তাদের নানান অভিজ্ঞতা বলতে লাগল। কবি বলল সে নাকি ভুতের সাথে দেখা করেছে। শোনা মাত্র সূর্য বলে উঠল তুমি একটা কবিতা না লিখে যখন কবি হতে পেরেছ তখন ভুতের সাথে ২ বছর সংসার যে করে এসেছ তা আমি হলফ করে বলতে পারি। এ কথা শোনা মাত্র সবাই হো হো করে হেসে উঠল। কবি কিন্তু গম্ভীর ভাবে বলল যে তোমরা না জেনে কিছু বলবানা। সবাই আবার হাসতে লাগল হাসবে না কেন গত ১ ঘণ্টা যাবত সবাই মিলে ২০ কাঠি সবজি, মিষ্টি, ঝাক্কি খেয়ে আকাশে বাতাসে উড়ছে। এর মাঝে একজন বলে উঠল তার বাসায় নাকি আত্মা ঘোরে তাও আবার মেয়ে মানুষের। যা হোক সূর্য আর জ্ঞানী বসে টান দিয়েই যাচ্ছে। সূর্য টালুমালু করতে করতে বলল আমি কত রাত শশানে/ কবর স্থানে কাটিয়েছি তা বলে শেষ করা যাবে না। এ কথা শোনামাত্র কবি বলল তা বাপু আজ গল্লামারী শশানে কাটিয়ে এস। সূর্য কি যেন বলতে যাচ্ছিল কিন্তু সবাই যেভাবে ধরে বসল তাতে সে রাজি না হয়ে পারল না। চাপা মারতে যেয়ে যে এভাবে ধরা পরে যাবে তা সূর্যের কল্পনাতেও ছিল না। কবি বলল তুমি গেলে যে তুমিই ফিরে আসবা তার নিশ্চয়তা কি? কোন ভুত ও তো আসতে পারে? এটা শুনে সূর্য আর জ্ঞানী সহ সবাই খুব ঘাবড়ে গেল। কিন্তু সূর্য ও জেদি পুরুষ সে বলল যাই হোক আমি যাব, এবং সে বলে গেল ফিরে আসলে ১ প্যাকেট সিগারেট ও গরম গোশ রুটি খাওয়াতে হবে কিন্তু। এর মাঝে হালকা বৃষ্টি শুরু হয়েছে সাথে বজ্রপাতের আলো এবং ঘুটঘুটে আদিম অন্ধকার। সূর্য বাসা থেকে বের হবে বলে নিচে চলে এল। এসে একটা কয়লা, ও কিছু মরিচ নিল, কবি এসে ঘাড়ে হলুদ ঘষে দিয়ে গেল। সূর্য খালিপায়ে একটা রেইন কোর্টে যার আবার কোন বোতাম নেই ; পরে ঘারে একটা ঝোলানিয়ে বের হল। ব্যাগের ভিতর , পান, সিগারেট ম্যাচ ছুরি, তামাক, ক্যামেরা ও নানা জিনিস পাত্তি। সব শেষে নিজের মোবাইলটা নিয়ে খালি পায়ে রওনা হল। খালি পায়ে রওনা হবার কারন সে বিশ্বাস করে যেখানে প্রেতাত্মা থাকে সেখানে খালি পায়ে গেলে সুবিধা হয়। এটার কোন বাস্তব প্রমান নেই তার পরও সূর্য কিছু জিনিস বিশ্বাস করে। কবি সূর্যকে বাইরে পাঠাতে পেরে মহাখুশী।রাত ২টা সূর্য হেটে চলেছে শশানের দিকে সামনে কি আছে সে জানে না, মনের ভিতর একগাদা ভয় নিয়ে এগিয়ে চলেছে....................................।। সে তার স্বভাব মত গুনগুনিয়ে গান গাইতে শুরু করেছে আর হেটে চলেছে মুখে সিগারেট। হালকা বৃষ্টির পর রাস্তা একদম ফাকা হয়ে গেছে কোন ভ্যান রিকশা কিছু নেই। হুট করে একটা লোক কোথা থেকে হাজির হয়ে বলল মামা যাবেন সূর্য কিছু বুঝে ওঠার আগেই যেন বাতাসে মিলিয়ে গেল। সূর্য বুঝতে পারল যে টা তার হ্যালুসিনেশন । ও মনে মনে নিজেকে বকে উঠল। মোবাইলে সময় দেখল রাত ২ টা বেজে ১৫ মিনিট। এদিকে ও বাসা থেকে ওভাবে চলে আসায় জ্ঞানী কবিকেয় বলল তুমি ওকে না পাঠালে পারতা একেতো অনেক রাত তার উপর ঝড় বৃষ্টি ও কোথায় কি করছে আল্লাই জানে। তখন কবির ও মনে হল ব্যাপারটা আসলে ঠিক হয়নি। কবি ওকে ফোন করতে বসে গেল, কি আশ্চার্যের বিষয় ওর ফোনে কোন ভাবেই কল যাচ্ছে না কবি ব্যাপারটা জ্ঞানীকে বলতেই জ্ঞানীও চেষ্টা করে দেখল যে ব্যাপারটা বড় অদ্ভুত। ও কবিকে বলল এখন দেখ ঠেলা পাগল চলে গেছে আন খুজে। কবি ভাবতে লাগল কি করা যায়।

এদিকে সূর্য পান বিড়ি মুখে দিয়ে হেটে চলেছে শশানের দিকে যা আছে কপালে। এর মাঝে সে ২ কিমি হেটে ফেলেছে রাত ২ টা ৩০। চারিদিকে অন্ধকার শনশন করে বাতাস বয়ে চলেছে আর মাঝে মাঝে বুনো শেয়াল আর প্যাচার ডাক । চারিকদিকের আবহাওয়া ওর কাছে অসহ্য লাগছে বাইরে ঠান্ডা বাতাস তারপরো ও ঘামছে। এখন ও শশান থেকে ১ কিমি দূরে বনের মধ্যে নদীর পাড়ে শ্মশান বুনো পথ দিয়ে হাটতে শুরু করেছে ও ক্যামেরাটা বের করে রেডি রাখল কখন কি দেখা যায় এই আশায়। ওকে ভড়কে দিয়ে একটা কালো বেড়াল ফ্যাচ করে ওর সামনে দিয়ে চলে গেল, যাবার মুহূর্তে এমন ভাবে তাকাল যেন বলতে চাইল ভাল চাইলে আর যাস না। কিন্তু ও দমার পাত্র না নিজের ইগোকে কিছুতেই পরাজিত হতে দেবে না। এর মধ্যে অজানা একটা ভয় ওর মনে বাসা বেধেছে। যা হোক কিছুক্ষন হেটে ও শ্মশানে উপস্থিত হল। পরিবেশটা কেমন যেন গুমোট হয়ে আছে আধা পোড়া মাংসের গন্ধ ওর নাকে আসতেই কেমন করে যেন ঘাবড়ে গেল সূর্য। জীবনে যা হয়নি তা হতে লাগল ও ভুল দেখতে লাগল। কিছুক্ষনের মধ্যেই ও নিজেকে ফিরে পেল। কিন্তূ ও জানে না কি বিপদ ওর সামনে অপেক্ষা করছে। ও অনেক কষ্ট করে নিজের ভিতর সাহস নিয়ে একটা বিড়ি ধরাতে গেল কিন্তু কোথ থেকে এক দমকা বাতাস এসে ম্যাচের আগুন নিভিয়ে দিয়ে গেল , ও আবার চেষ্টা করল কিন্তু এবার ও পারল না। ম্যাচে কাঠি আছে আর ৩ টা তাও ভিজা। ও মনে মনে ভ্য পেয়ে গেল , চারিদিকে গাড় অন্ধকার ভেদ করে শেয়ালের কান্না আরো স্পষ্ট হতে লাগল।সূর্য অনেক কষ্ট করে আগুন জালাতে সক্ষম হল।

ওদিকে চলছে বাসায় তুমুল কান্ড কবিকে সবাই একপেশে করে ফেলেছে কেন সে সূর্যকে বাইরে পাঠিয়েছে। রাশু এসে বলল চল আমরা সবাই শ্মশানে যায় ওকে নিয়ে আসি। জেনি ওর প্রস্তাবে সাই দিয়ে বলল চল বেচারা চাপে পড়ে চলে গেছে এখনি না গেলে কি হবে কে জানে। কিন্তু সমস্যা হল ও কোন শ্মশানে গেছে তা কেউ জানে না । ওরা সবাই বাসা থেকে বের হয়ে পড়ল।

কিছুকক্ষন অপেক্ষা করার পর সুর্য দেখল যে অনেক গুলো শিয়াল ওর থেকে কিছুটা সামনে এসে দাঁড়িয়ে আছে ওদের চোখে মুখে হিংস্র ভাব আর ওর মনে হল শিয়াল গুলো যেন অনেক বড় আর ওদের চোখ গুলো থেকে আগুন বেরিয়ে আসছে। সুর্য চিৎকার করতে চাইল কিন্তু পারলনা। শেয়াল গুলো ওর কাছে এসে ওকে শুকে শুকে দেখছে আর কান্নার সুরে চিৎকার করছে , সূর্য ভাবছে শেয়ালগুলো কি আদিম প্রেতাত্মার দল যারা মানুষকে ভয় পায়না। ওর গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে ও শেয়াল গুলোকে তাড়াতে গেল কিন্তু তাতে শেয়াল গুলো ক্ষেপে ওর দিকে তেড়ে এল ও কোন রকমে শ্মশানের বেদীর কাছে যেয়ে রক্ষা পেল। ও লক্ষ করল যে ও কখন শ্মশানের লাশের বেদীর কাছে এসে পড়েছে তা বুঝতে পারেনি। হালকা বৃষ্টির জন্য আগুন নিভু নিভু করছে,বাতাস বয়তে শুরু করেছে সূর্য দেখতে লাগল কিছু মানুষ কি সব জপ করতে করতে মাটি ফুড়ে বের হতে লাগল। তাদের প্রত্যেকের ধড়ে কোন মাথা নেই মাথার জায়গায় একটা মাংস পিন্ড ঠিক যেন বলের মত মাংস পিন্ড। ওর হাত পা কাপতে লাগল, শিয়াল গুলো দূরে দাঁড়িয়ে মাথা নিচু করে কাঁদছে , গাছে বসে থাকা পাখির দল ভয়ে গাছ ছেড়ে পালাল। সূর্য ভ্য় পেলেও জ্ঞান হারায়নি চারিদিকে কেবল মৃত্যু পুরীর নিস্তব্ধতা, কেউ যেন ওকে বলছে আজ তোর শেষ তু কেন এখানে এসেছিস জানিস না এখানে কেউ জীবিত আসেনা তোকে মরতে হবে সূর্য বলতে গেল না না না না না আমি জীবিত মরতে চাইনা কিন্তু এবার ও পারল না। একটা ঠান্ডা হাতের স্পর্শে ও যেন জ্ঞান হারিয়ে ফেলল কিন্তু না ও শুনতে পেল অদ্ভুত ভাষায় হুম হুম হুম হাহু হাউ হাউ হি হি হি নানা রকম শব্দ। নিজের কোন বোধ বুদ্ধি কাজ করছেনা বলে ও ভেতরে ভেতরে ও পাগল হয়ে গেল। রাত ৩ টা বেজে ২০ মিনিট হঠাত আগুন জলতে লাগল চিতায় মাংসের গন্ধ আবার ওর নাকে এসে ধাক্কা দিল অনিচ্ছা সত্তেও সেদিকে তাকিয়ে ও যা দেখল তা জীবনে ভুলতে পারবে না । ও দেখল মাথা হীন একটা লাশ আস্তে আস্তে চিতা থেকে উঠে বসেছে । এই ব্যাপার দেখে ও আর নিজেকে ধরে রাখতে পারল না চিৎকার করতে লাগল পাগলের মত। শেয়াল, মুন্ডুহীন মানুষের নৃত্য আর জলন্ত লাশের উঠে বসা দেখে ও জ্ঞান হারাল।

এদিকে রাশু ওর চিৎকার শুনে সবাইকে বলল ও গল্লামারী শ্মশানের কাছে আছে। সবাই ওই দিকে দৌড়াতে লাগল, হালকা আলোয় কবি দেখতে পেল সুর্যের ক্যামেরা পড়ে আছে কাদায়। সবাই ব্যপারটা দেখে ভয়ে কুকড়ে গেল ক্যামেরায় রক্তের দাগ দেখে, যা হোক জ্ঞানী সবাইকে অভয় দিয়ে চলল সময় খুব বেশী নেই চল ওকে খুজে বের করি তা না হলে সব শেষ হয়ে যাবে। শ্মশানে এসে দেখতে পেল সূর্যের মোবাইল পড়ে আছে কিন্তু ও নেই কোথাও এবার কবি হাউমাউ করে কান্না করতে লাগল। রাশু চিৎকার করে চলল সূর্যের নাম ধরে কিন্তু কোথাও নেই সে। যখন ওরা ভয়ে কিছু ভাবতে পারছেনা তখন সূর্যের কাদামাখা জামা দেখতে পেল নালার কাছে । টর্চের আলোয় জ্ঞানী দেখল কাদায় মাখামাখি জামা পড়ে রয়েছে নালার শেষ দিকে। জ্ঞানী ও জেনি সূর্যকে আবিষ্কার করল শ্মশানের কাছের এক খালের মধ্যে কাদায় মাখমাখি অবস্থায় পড়ে আছে চোখ উল্টে হাতে চাপ চাপ রক্ত গায়ে চাকা চাকা দাগ। ওরা সবাই মিলে ওকে উদ্ধার করে হাসপাতালে এনে ভর্তি করল, সকাল ৮ টায় ওর জ্ঞান আসার পর ও চিৎকার করতে লাগল আমি মরিনি আমাই মরিনি আমাকে ছাড়া আমি যাব না আমি যাব না বলে আবার জ্ঞান হারাল। চিকিৎসার ৫ দিন পর সূর্য সুস্থ হল । ওই রাতের পর কেউ জানতে চাইনি যে কি হয়েছিল সেদিন এবং সুর্য মনে করতে পারেনি ও কিভাবে খালের মাঝে চলে গিয়েছিল বা হাতে রক্তই বা কিভাবে এসেছিল।



অদ্ভুত ব্যাপার হল ওর ক্যামেরায় ও সেদিন যা তুলেছিল তার কোন কিছু ওয়াস করার পর কিছুই আসেনি, কেবল একটা ছবি আর তা হল সূর্যের খালে পড়ে থাকার ছবি। সবার এক প্রশ্ন কে তুলেছিল এই ছবি? যা হোক সূর্য এই ঘটনা থেকে অনেক কিছু শিক্ষা নিয়েছে। কেবল ও মনে করতে পারে শেষ মুহূর্তে জ্ঞান হারাবার সময় আল্লাহর নাম নিচ্ছিল বার বার।



মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ২:১০

৭ ১ নিশান বলেছেন:
অবশ্যই মন্তব্য করবেন পাঠকগন

২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ২:৫৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ভৌতিক গল্পগুলোর যেমন প্রতিটার নির্যাস ভিন্ন। এটাও ব্যতিক্রম নয়। আর আছে নেশার বাস্তবতা একটু আলাদা মাত্রা দিয়েছে। ধন্যবাদ।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:০৯

৭ ১ নিশান বলেছেন: হ্যারে ভাই এটা নিজের জীবনের কিছু ঘটনার ছায়াকে অবলম্বন করে লেখা, কিছুটা সত্য কিছুটা রঙ দিয়ে লেখা। আপনার মন্তব্য অনেক ভাল লেগেছে আশাকরি অনান্য পোস্ট ও পড়বেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.