![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি আমি অন্ধ চোখে জগতটাকে
মানুষের নানা প্রকার অভ্যাস থাকে কোনটা ভাল আবার কোনটা খারাপ বলে বিবেচিত হয়। কারো কাছে খারাপ আবার কারো কাছে ভাল, অভ্যাস আসলে নির্ভর করে ব্যক্তি সমাজ সময়ের উপর। অন্য সব মানুষের মত সূর্যের ও কিছু অভ্যাস আছে আর এর মধ্যে অন্যতম হল বিড়ি খাওয়া। সে অনেক আগে থেকেই সিগারেট, বিড়িতে অভ্যস্ত বলতে গেল প্রাইমারী স্কুলের গন্ডি পার হবার পর থেকে শুরু করে আজ অবধি টেনে চলেছে এ যেন বিরতিহীন কোচ। একে একে দিনগুলো পার হতে হতে সূর্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় পা রাখল।
বাড়িতে যখন থাকত তখন সে শুনেছিল যে এখানে কেউ কিছু বলে না নিজের যা ইচ্ছা তাই করা যায়। ক্যাম্পাসে এসে দেখে ছোট বড় সবাই বিড়ি টানছে, কেউ বা মেয়ে বগল দাবা করে বাদাম খাচ্ছে , এসব দেখে ওর খুব ভালো লাগল, নিজের মনে মনে বলল যাক বাবা বাচা গেল এখন শান্তি মত চলা যাবে । যা হোক এভাবে কিছু ক্ষন দেখে সে চলে গেল ক্যাফেট্রিয়ার মধ্যে ।
বিড়ি নিয়ে হঠাত কার ডাকে যেন বাইরে বেরিয়ে এল। কিন্তু সমস্যা হল ওর কাছে কোন ম্যাচ নেই। ও এদিক ওদিকতাকিয়ে ক্যাফের সামনের রাস্তায় চলে এল এসে লেকের ধারের কাল্ভার্ট এর উপর বসে পড়ল । এর মাঝে টেংরা এসে হাজির। ট্যাং ট্যাং করতে করতে বলল কিরে বিড়ি নিয়ে বসে আসিছ তা আগুন কই? যা হোক দুজনে মিলে গল্পে মশগুল হয়ে গেল। এর মাঝে এক ভ্যান ওয়ালার কাছে থেকে আগুন নিয়ে সিগারেট জালিয়ে নিল। ক্যাম্পাসে নতুন তার পর ক্লাস ফাকি দিয়ে সিগারেট টানছে কি যে মজা। সিগারেট নিয়ে রাস্তার দিকে ফিরছে আর ধোয়া ছাড়ছে আর যাবি কই? ইয়া মোটা শরীর ওয়ালা এক লোক এর মুখে পড়েছে ধোয়া। দেখে মনে হল ব্যক্তিটি এক পৈশাচিক মজা নেবার জন্য তৈরি হচ্ছে।
সে খুব কড়া গলায় বলল, বলি হচ্ছেটা কি ? যেখানে সেখানে সিগারেট খেয়ে স্যারদের মুখে ধোয়া মারার লাইসেন্স তোরে কে দিছে ? তোর নাম কি? তোর বাপের নাম কি?
সুর্যের কানে যেন বজ্রপাত হয়ে গেল ।সে যেন কিছুক্ষণের জন্য বোবা হয়ে গেল। যা হোক প্রথম ধকল কাটিয়ে নিজেকে সোজা করে বলল হ্যা আমার নাম সূর্য বাপের নাম......।
তারপর পর সেই স্যার বলল থাক আর বলতে হবে না বাপের নাম তারা টারা হবে মনে হয়।
এদিকে স্যার নাম শুনে সূর্য তার সিগারেট পকেটের ফাকে চালান করে দিয়েছে , পকেটের মধ্যে জলন্ত সিগারেট যে আস্তে আস্তে ওর প্যান্ট পুড়িয়ে দিচ্ছিল উত্তেজনায় ও তা ভুলেই গিয়েছিল। ব্যাপারটা স্যারের নজর এড়ায়নি আর টেংরা সে তো পগার পার।
সুর্য কি যেন ম্যাও ম্যাও করে বলতে যাচ্ছিল কিন্তু শিক্ষক মহাশয় ধমক দিয়ে বলল অনেক হয়েছে এখন নিজের নিচে সামলাও।
সূর্য বুঝে উঠতে না পেরে নিচের দিকে তাকিয়ে দেখে ওর প্যান্ট থেকে ধোয়া বের হচ্ছে ও আতংকিত হয়ে ফু ফু আর হাত দিয়ে প্যান্ট থাপড়াতে লাগল । এই দেখে শিক্ষক মহাশয় বলল এখন থেকে আগে সিগারেট লুকানো শিখবে তার পর ............ এবং সেই সাথে নিজের রুম নাম্বার বলে চলে গেল ।
২| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:০১
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: হাহাহা।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৫৭
৭ ১ নিশান বলেছেন: মন্তব্য করে জানাবেন কেমন হয়েছে