![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি আমি অন্ধ চোখে জগতটাকে
আজকাল আমাদের সমাজ অনেক দ্রুত বদলে যাচ্ছে। আমাদের দেশে পরিবর্তনের হাওয়া খুব দ্রুত কাজ করছে। এই হাওয়া এক দিকে যেমন ভালো অন্য দিকে খুবই ক্ষতিকর। পরিবর্তনের এই ধাক্কায় মেয়েরা অনেক বেশী গা ভাসিয়ে দিয়েছে যার পরিনামে আজকাল পরিবারে পরিবারে ভাংগন ধরেছে। নারী স্বাধীনতার নামে অতিরিক্ত স্বাধীনতা হয়ে উঠেছে নারীদের একান্ত কাম্য। আজকাল নারী তার যৌন স্বাধীনতার চেয়ে মতের স্বাধীনতা বেশী চাই। আবার অনেক সময় দুই স্বাধীনতা চেয়ে বসে যা হিতের চেয়ে বিপরীত হয়ে আনে কেননা আমাদের মেয়েরা স্বাধীনতা বোঝে কিন্তু বোঝে না উন্নত দেশের মেয়েদের মত দায়িত্ববোধ ও স্বয়ং সম্পূর্ণতা।
১) কম তো দেখলাম না, ভার্সিটিতে পড়ার সুবাধে অনেক অনেক মেয়ের সাথে মেশার সুযোগ পেয়েছি, অনেক কাছে থেকে তাদের জীবন ধারা দেখেছি। অনেক মেয়ে ক্যাম্পাসে এসেই প্রেম করে। এটাকে তারা মনে করে ফ্যাশান এবং প্রেমের মাধ্যমে তারা নিজেদের কে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। এবং প্রেম করে অনেকে জাতে ওঠে। ক্যাম্পাসে এসেই প্রেম করলে মেয়েরা অনেক সুবিধা পাই এর মাঝে আছে বিনা বেতনে একজন স্বেচ্ছা সেবক যে দিনরাত মেয়ের সেবাই নিয়োজিত। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব প্রেমের সম্পর্কের কোন পরিনতি থাকে না। এসব ক্ষেত্রে দেখা যায় মেয়ের বাড়ি থেকেও জানে একটা ছেলে তাদের মেয়েকে পছন্দ করে এবং মেয়েকে ও মিশতে দেয় ছেলেটার সংগে। ছেলেটিও অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেয়েটির জন্য প্রেমের সব পরীক্ষা দিয়ে চলে। কিন্তু ওদিকে মেয়ের বাবা মা ভাবে যাক অন্তত মেয়ে খুব সহজেই ভার্সিটি পড়ালেখা শেষ করতে পারবে। এক সময় দেখা যায় ক্যমাস শেষ হবার পর মেয়ের বাবা মা মেয়ের সেই ছেলে বন্ধুকে ভুলে যায়। মেয়েকে অন্য জায়গায় বিয়ে দেবার জন্য উঠেপড়ে লাগে। কি আশ্চার্য পরের ছেলেকে দিয়ে স্বার্থ উদ্ধার কিন্তু কোন প্রতিক্রিয়া নেই ? এর মাঝে বড় জোর ছেলে-মেয়ের মধ্যে শারিরিক মিলন ও ঘটে যায়। তাতে কার বা কি আসে যায়? ছেলের মনের ভিতর যে ক্ষত তৈরি হয় তার দায় কে নেবে ? মে নেবে? মেয়ের মা বাবা? কেউ নেই না এরকম স্বার্থপরতার দায়। এক সব হারানো পথিকের মত ছেলে বসে থাকে পথের দিকে তাকিয়ে। এর নাম আসলে প্রেম ? না, প্রেমের নাম করে নিজের স্বার্থ উদ্ধার। এসব ক্ষেত্রে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছেলেরা নষ্ট হয়ে যায়। প্রতিটা ভাল ছেলের নষ্ট হয়ে যাবার পেছনে থাকে কোন একটা প্রতারনার ঘটনা যা তাদেরকে মূল ধারা থেকে আলাদা করে দেয়। আর যারা মাতাল বা নেশাখোর তাদের কথা না হয় বাদ দিলাম।
২) কিছু মেয়েরা প্রেম করে জীবনের কথা ভেবে এরা প্রেম করে ৩য় বা ৪ বর্ষে এসে। এদের চিন্তা ভাবনা থাকে দীর্ঘ মেয়াদী। এই ধরনের মেয়েরা অনেক বার ছ্যাকা ম্যাকা খেয়ে বসে থাকে শেষের দিকে কারো গলায় ঝুলে পড়ার আশায়। ক্যাম্পাসের শুরুতে এদের প্রেম থাকে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার, পাইলট, উকিল, ব্যারিস্টার এর সাথে । এদের ভাবে মাটিতে পা পড়ে না । কিন্তু চার /৫ বছর পর দেখা যায় কোন এক বড় ভাই বা বন্ধুর সাথে গলাগলি করে ঘুরছে। মেয়েদের ভাবওই এদের সম্বল। নিজেদের যে এরা কি মনে করে তা বিধাতাই জানেন। এই টাইপের মেয়েদের বয় ফ্রেন্ড ক্যম্পাসে আসলে তারা সবার কাছে খুব ক্রেডিট নেই বন্ধুদের কাছে। কিন্তু হায় এদের বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে প্রেম টিকে না, বলা ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে প্রেম নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু একটা জিনিস এই টাইপের মেয়েরা ভাবে সেটা হল যা হয়েছে তা অনেক এখন সুন্দর করে কিভাবে ভবিষ্যতে আগানো যায় সেটা এদের কনসার্ন থাকে এবং বিয়ের পর এরা আগের সব কিছু ভুলে যায়। এদের দিয়ে আর যায় হোক সংসার চলে দারুন ভাবে।
৩) কিছু মেয়ে থাকে যাদের জাত ই আলাদা, ভালো কিছু করার তীব্র বাসনা থাকে এদের মধ্যে। এরা অন্য সবার থেকে আলাদা হয়, প্রেম ট্রেম এদের জন্য না। এদের চিপ সেট আলাদা, সফটওয়্যার ও আলাদা এরা থাকে পড়াশোনা নিয়ে। রুপ বেঁচে বা প্রেম বেঁচে খাবার মত সময় এদের নেই। এরা প্রেম বিয়ে করে পাশ করার পর ভালো কিছু করে। এদের উদ্দেশ্য থাকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হবার পর। এ ধরনের মেয়েরা অনেক আত্ম বিশ্বাসী হয়। এদের নিয়ে সংসার শুরু করলে প্রথমে ঝামেলা শুরু হলেও পরে ভাল যায়। অন্তত কানের কাছে প্যান প্যান করে না। স্বামীর যোগ্য সহযোগী হতে এদের বাধে না। এ ধরনের মেয়েরা ছেলেদের কে অনেক উপরে নিয়ে যায়। এদের নিয়ে বাবা মা ও গর্বিত থাকে ।
৪) কিছু মেয়ে আছে যারা রুপ আর যৌবন দেখিয়ে ক্যাম্পাস পার করতে পারলেই খুশি। এরা কারো সাথে প্রেম করবে না কিন্তু প্রেম প্রেম ভাব করে সুবিধা আদায়ে এরা পটু । স্যার থেকে শুরু করে ভ্যানওয়ালা সবায় এদের কাছে কুপোকাত। মিষ্টি হাসি, চোখের ইশারা আর রুপের আগুন দিয়ে এরা সব আদায় করে নেই। এদের কাছে নিজের স্বার্থ সব থেকে বড়। কে কি বলল তা নিয়ে এরা মাথা ঘামায় না। এরা পারেও।
©somewhere in net ltd.