![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি আমি অন্ধ চোখে জগতটাকে
বিকাল বেলা সবাই এক সাথে আড্ডা দিচ্ছে সন্ধ্যার কিছূটা আগে আমি যাচ্ছি বলে হন হন করে বেরিয়ে পড়ল। এই সূর্য দাড়া এই দাড়া কোথায় যাচ্ছিস বলতে বলতে জ্ঞানী সূর্যের পিছনে হাটতে শুরু করল। সূর্য কোন দিকে না তাকিয়ে বলল সময় যেখানে স্থির, জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, আলো যেখানে প্রভাহীন সেখানেই আমার শুরু বন্ধু, তুমি যাবে আমার সাথে, জ্ঞানী কে আর বেশী কিছু বলার দরকার হল না। এর পর দুজনে মিলে চলে গেল অজয় এর দোকানে । আজয় ওদের দেখেই খুশী সে কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না, জ্ঞানী আর সূর্য দুজনে এক কোনায় বসে চিড়া চিবাতে শুরু করল। ওরা শুনতে পেল অজয়দা বলে চলেছে এই হারু তাড়াতাড়ি কর মামারা আইছে ……….
ট্যাংরা এসে সাদি আর কয়লা কে পেয়ে ওদের সাথে আড্ডা দিতে বসে গেল আর হয়রান ড্যামনা মুরগির মত মত এক কোনায় ঝিমাচ্ছে আর মাঝে মাঝে একটান দুইটান বিড়ি চেয়ে খাচ্ছে। বিড়ি চেয়ে খেলে সমস্যা ছিল না, হয়রানের আবার বিড়ি সিগারেট প্রথম দিকে না খেলে চলে না। শুধু কি তাই ? কাঁটা ওয়ালা মাছ খান না তিনি, নির্দিষ্ট তাপে পোড়া পরাটা না হলে চলে না, হয়রানের এসব কায়দার সাথে সবাই খুব পরিচিত। যান হোক ট্যাংরা মনে করেছিল হয়রান ঘুমিয়ে গেছে তাই সামনে বসে আয়েশ করে একটা বেনসন সিগারেট ধরিয়ে টান টান দিতে দিতে বলল এই সূর্য আর জ্ঞানী কই? সন্ধ্যাকালে তো বাইরে যায় না দুইটা একসাথে। এর মাঝে সিগারেটের তীব্র গন্ধে হয়রান কাকা ঝিমুনি বাদ দিয়ে উঠেই ট্যাংরার দিকে তাকিয়ে কড়া গলায় বলল তুই সিগারেট ধরাইছিস ক্যান? ট্যাংরা কিছু বুঝে উঠার আগেই হয়রান ওর সিগারেট নিজের আয়ত্তে নিয়ে টান দিতে দিতে বলল খালা ট্যাংরাকে আর একটা সিগারেট দাও। এদিকে কয়লাকে রোজ ফোন দিয়ে জানালো জ্ঞানী আর সূর্য ভাই রেল স্টেশনে টিকিট কাটতে দেখা গেছে। কয়লা এই কথা হয়রান কাকাকে বলা মাত্রই ও বলে উঠল চল চল চল দেরী হয়ে যাচ্ছে। কে কি বুঝল তা খুব একটা বোঝা গেল না, ওরা সব মিলিয়ে দশ জন ছুটল রেল স্টেশনের দিকে ।
জ্ঞানী আর সূর্য দুজনে খুব মজে গিয়েছে , চিড়া চিবাচ্ছে আর কি সব বলে হেসে কুটি কুটি হয়ে যাচ্ছে ওদের সাথে অজয়দা বসে পড়েছে আর নানান সুখ দুঃখের গল্প বলছে। ওরা অনেক দিনের পরিচিত বলে আজয়দা ওরা আসলেই ওদের সাথে বসে পড়ে। জ্ঞানী বাইরে গেল সিগারেট কিনতে কিন্তু হন্ত দন্ত হয়ে ভিতরে প্রবেশ করে বলল ওঠ ওঠ পাল ধরে আসছে সবাই, ওঠ ওঠ । সূর্য হাসতে হাসতে কারা কারা আসতিছে ... জ্ঞানী একদমে বলে গেল ট্যাংরা, কয়লা, হয়রান আর কারা চিনি না। সূর্য বলল বস ভিতরে, যা হয় দেখা যাবে। সূর্য অজয়দার মুখে এক চিলতে হাসি দেখল এই হাসির মানে সে বোঝে। কয়লা এসেই বলল এই তদের কাজ আমাদের সবাইকে বসিয়ে রেখে এখানে বসে চিড়া চিবানো হচ্ছে। সূর্য মোটেই বিরক্ত না হয়ে বলল হ্যা এখানে জ্ঞান কাজ করে না, সময় স্থির হয়ে থাকে আর জায়গাটাও অন্ধকার তাই এখানেই আমার শুরু এই শুনে জ্ঞানী খিক খিক করে হেসে বলল ঠিক ঠিক ঠিক মামা। সবাই ভিতরে এসে দেখে কোন কিছু নেই । রেগে মেগে সূর্য আর জ্ঞানীর গুষ্টি উদ্ধার করতে থাকল, মিনিট পাঁচেক পর অজয়দা একটা বোতল নিয়ে এসে বলল আপনাদের জন্য নিয়ে যাবে বলে সূর্য মামা এসেই আমাকে পাঠিয়ে দিয়েছিল , তা মামারা এখানেই না পরে খাবেন। কয়লা নগদ নগদ কিছুটা ঢেলে দিল এর পর আর কেউ কিছু বলল না, সূর্য টাকা দিয়ে সবাইকে নিয়ে ক্যম্পাসে ফিরে এল। ক্যম্পাসে এসে ফোনে সপ্ত আর তিথির সাথে কথা বলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ল। ওর কানে আসল কে যেন বলছে শালা একটা গাড়ল ওর আর লাগবে না আমরাই খাই। আর জ্ঞানী সে যে সেই কখন থেকে একটা সিগারেট নিয়ে বসে আসে তা যেন শেষ করতে না পেরে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে ।
সূর্য সবার থেকে আলাদা হয়ে একটু দূরে বসেই তিথির সাথে বকর বকর করে চলেছে । তিথির সাথে কথা বলতে বলতে ওর মনে পড়ে গেল তিথির জন্য রাতের খাবার আনার কথা ছিল এবং তিথি ওকে টাকা দিয়ে বলেছিল এটা তোকে ধার দিলাম তুই এই টাকা দিয়ে আমার জন্য সুন্দর একটা শাড়ি কিনে আনবি আর মনে অনে রাখিস হালকা হলুদ আর জরি জরি পাড়। সূর্য যেন কি করবে কিছু বুঝে উঠতে পারছে না কারন হাতে খুব একটা সময় নেই এর মাঝে কখন খাবার আনবে আবার কখন শাড়ি কিনতে যাবে মহা ফাপড়ে পড়েছে বেচারা এদিকে তো টাকাও নেই। ও কিছু একটা চিন্তা করে জ্ঞানীকে বলল আমি ১ ঘন্টা পর আসব তুই ওদের নিয়ে রুমে যা আমি আসছি জ্ঞানী আর কথা বাড়ালো না। সূর্য একটা ভ্যানে বসে বাইরের দিকে রওনা হল। যতক্ষন মুঠোফোনে টাকা আছে ততক্ষন সমাধান ও আছে এই হল সূর্যের একটা বানী। ও ফোন বের করে প্রথম যে কাজ টা করল তা হল ওর সব সময়ের বন্ধুকে ফোন দিয়ে বলল এখনই ১০০০ টাকা যেন পাঠাই। ওর বন্ধু মানে ওর বাবা কোন কথা ছাড়াই বলল আচ্ছা, আর কি কি যেন বলল সূর্য হুম হ্যা হু করে উত্তর দিল। এর মাঝে ওর ফোনে ক্রিস্টিন এর মেসেজ এল come to skype । ক্রিস্টিন হল ওর খুব কাছের একজন বন্ধু যে থাকে অনেক দূর দেশে । সূর্য মেসেজ দিল ৫ মিনিট পর সে স্কআইপিতে আসছে। সূর্য লিলি ভাইকে ফোন দিয়ে বলেল ভাই আপনি যে করে হোক দোকান থেকে ১ প্যাক খাবার পশ্চিম পাড়ার হলের ২০৬ নাম্বার রুমে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। লিলিভাই হেসে বলল তুই নিজে কিছু খাইছিস না এখনো ওর কাজে আছিস ওর মুখ দিয়ে কিছু আসল না ও বলল ভাই আপনি পাঠান আমি পরে কথা বলছি ।
সূর্যঃ হ্যালো ক্রিস্টিন কেমন আছ
ক্রিস্টিনঃ সে কথা না জানলেও চলবে তুমি কেমন আছ
সূর্যঃ আমি ভাল আছি, আচ্ছা বল মেয়েরা আসলে কি চাই?
ক্রিস্টিনঃ আর ইউ ইন লাভ ?
সূর্যঃ আমি আসলে বুঝি না ব্যাপারগুলো খুবই জটিল তুমি তো বোঝায় দাওনি কখনো
ক্রিস্টিনঃ আমি তোমার পাশে থাকলে এতদিন বাবা হয়ে যেতে হা হা হা হা হা
সূর্যঃ হা হা হা তাহলে ব্যাচেলর পড়তে এসে ছেলেপুলে নিয়ে মানে সব ডিগ্রি নিয়ে বের হতাম ভালই হত কি বল?
ক্রিস্টিনঃ যাক ওসব কথা তা তুমি ফাদার রিগ্যানের সাথে কবে দেখা করছ বল ? ওখানে গেলে তুমি অনেক উত্তর পাবে
সূর্য মনে মনে বলল দেশী ঝামেলা নিয়ে বাঁচতে পারছিনা এর মাঝে স্প্যানিশ কই যাব আল্লারে। ও যখন মীনাবাজারে গেল তখন বাজার প্রায় বন্ধ ও অনেক করে বুঝিয়ে রাজি করাতে না পেরে বলল এটা কি মগের মুল্লুক নাকি যে ১ মিনিট পরে মাল বিক্রি হবে না আর এটা তিথি ম্যাডামের জন্য। ম্যাডাম যদি আজ রাতে কাপড় না পাই তাহলে লংকা কান্ড হয়ে যাবে । ম্যানেজার কি বুঝল কে জানে হুট করে বলে উঠল সেটা আগে বলবেন না ভাই আসেন যেটা ইচ্ছা নিয়ে যান। ভাই বোঝেন তো একটা নিয়ম আছে তো। ও অনেক খুজে খুজে তিথির পছন্দের শাড়ি নিয়ে টাকা দিয়ে বের হয়ে নিজের পথে রওনা হল। আর ভাবল কাল মেয়েটাকে অনেক সুন্দর লাগবে। গোলগাল মায়াবী মুখ, বড় বড় হরিণীর চোখ আর কমলার কোয়ার মত ঠোটে মেয়েটা যখন হাসবে তখন কি দারুণই না লাগবে। ও যখন ফিরে এল তখন আর ৯ টার মত সময়। চারিকদিকে দেখে ওর একটা জিনিস খটকা লাগল তিথি কেন হলুদ শাড়ি পরতে চাইল? রুমে ফেরার পর কয়লা বলল কাল পহেলা ফাল্গুন তা মামা কি করবা? সূর্য বলল গাছে গাছে নতুন পাতা গজিয়েছে সেগুলো গুনব আর ঝরে যাওয়া পাতা ছাগল দিয়ে খাওয়াবো। কয়লা ওর এমন একজন বন্ধু যে ওর বেসম্ভব সব কাজের বাস্তবায়নের সাথে থাকে তা হোক না কঠিন বা হাস্যকর।
সূর্য রাত ১২ টার পর তিথিকে ফোন করে পহেলা ফাল্গুন বলে শুভেচ্ছা দিল। তিথি বলল বোকারাম এটা বাংলা মাস সূর্য না উঠলে পহেলা ফাল্গুন হয় না। সূর্য বলল তা আমি তো উঠেই জানাচ্ছি যে পহেলা ফাল্গুন। তিথি ওর কথা শুনে হেসেই খুন, তিথি বলল শাড়িটা খুব পছন্দ হয়েছে। সূর্য বলল তাহলে ১০ টার দিকে চলে আয় ক্যাম্পাসে মজা পাবি আর শোন ভুলেও ঝগড়া করিস না। এবার তিথি ঢাকায় যাচ্ছেনা পহেলা ফাল্গুনে ব্যাপার হল প্রতিবার সে তার প্রেমিকের সাথে দেখা করতে চলে যায় এবারই ব্যতিক্রম আর তাই সুর্য চাচ্ছে এইদিনটা মেয়েটা যেন শান্তিতে থাকে এর জন্য ওর চেষ্টার কোন কমতি নেই।
পহেলা ফাল্গুন সকালে সবখানে যেন হলুদ পরীদের মেলা বসেছে আর গেলমানরা মানে পরীদের প্রেয়সীরা সব সফেদ পাঞ্জামী পরে তাদের সাথে। রুম থেকে এসব দেখে জ্ঞানী বলল সব গেল গেল এভাবে কিছু হয় আর কি সব বকবক করছে । কয়লা আর সূর্য খুব সুন্দর করে সেজে রুম থেকে বের হচ্ছে দেখে জ্ঞানী বলল তা তোদের পরী কি আছে ? কয়লা হেসে বলল পরী নেই তবে ছাগলের বাচ্চা আছে । এই কথার মাথা মুন্ডু কেউ বুঝল না। হল থেকে বের হয়ে ইকোনোমিক্সের সেজান, ইএস এর ফজু, ও রোজ এর সাথে দেখা। কয়লা আর সূর্যের হাতে হাতে ছাগলের বাচ্চা দুটো দেখে ওরা বলল কি ব্যাপার ভাই আপনারা কি ছাগল রান্না করবেন? ওদের খুব চমকে দিয়ে কয়লা বলল না, এই ফাগুনে যাদের প্রেম হয়নি তাদের কে বলব কিছু না পারেন অন্তত ছাগল নিয়ে ঘোরেন তবুও আজকের দিনে একা একা না......
সকাল ৯টা সূর্য আর কয়লা ছাগলের বাচ্চা নিয়ে চৌরাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে ছাগল দিয়ে ঝরা পাতা খাওয়াচ্ছে। এক স্যার এসে বলল সূর্য হচ্ছেটা কি? সূর্য বলল স্যার আজ সবাই নতুন সবুজ পাতার মত আনন্দে মাতোয়ারা কেউ ঝরা পাতার দিকে তাকাচ্ছে না তাই ছাগল দিয়ে ঝরা পাতা খাওয়াচ্ছি , লাগবে ছাগল ? লাগলে নেন না? একদম বিনে পয়সায়। স্যারকে একরকম জোর করিয়ে ছাগল দিয়ে ওরা চা খেতে চলে এল। চা খাওয়া শেষ করে আবার ছাগল নিয়ে মোড়ের পর দাঁড়িয়ে গেল আর বলতে লাগল লাগবে ছাগল লাগবে ছাগল... ৩০ মিনিট ১৫ টাকা, ১ ঘন্টা ২০ টাকা, খাওয়াবেন ঝরা পাতা, সংগ নিন ছাগলের আরও নানা কথা। ইতমধ্যে ওদেরকে ঘিরে একটা জটলা পাকিয়ে গেছে কেউ কেউ আবার ছাগল আনার কাহিনী শুনে হাসছ, কেউ ছাগল ভাডা নেবার জন্য দরদাম করছে । ৩০ মিনিটের ভিতর ১৩ জনের লিস্ট হয়ে গেল কে কে ছাগল ভাড়া নেবে। আয় রোজগার ও হয়েছে বেশ। জেনি নামে সূর্যের এক বন্ধু ছাগল ভাডা নেবার সময় বলল যে সে ছাগলের গায়ে লিখে দিবে ভালবাসি জেসিকা। সূর্য ভাড়া বাড়িয়ে দিল ৩০ টাকা বেশী।
হলে বসে হয়রান এই খবর শুনে বলল শালা আমাকে ফাকি দিয়ে ধান্ধা করে বেড়াচ্ছে দেখাচ্ছি মজা। হয়রান বের হয়েয় ছাগলের মালিককে বলল আপনার ছাগল আজ গেছে এই শুনে মালিক পান চিবুতে চিবুতে বলল সূর্য ভাই গত র্যামইত্তেই আমাকে ২০০ টাহা দিয়ে গ্যাছে ছাগল ভাড়া হিসাবে। আপনার কি লাগবে ? ছাগল না গরু, একটা গাই বাছুর আছে এখনও ভাড়া হয়নি আপনি ১০০ টাকা দিয়েন। এই শুনে হয়রান বলল যান যান ভাগেন যত্তসব ফালতু লোকের আনাগোনা সব এই মতিন ভাই এই মতিন ভাই এসব লোক যেন আসতে না পারে হলে, আর আসলে তোমার......... এদিকে হয়রান আসার খবর পেয়ে কয়লা একটা ছাগলের বাচ্চার গায়ে আমিই হয়রান লিখে সেটাকে গাছের সাথে বেধে রেখেছে। এর পর কয়লা আর হয়রান এর মধ্যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয়ে গেল। যুদ্ধের পর হয়রান অভ্যাসমত বিড়ি নিয়ে ঝিমাতে বসে গেল।
এতকিছু চলছে ক্যাম্পাসে আর তিথির কোন খোজ নেই সূর্য ওকে কয়েকবার ফোনে না পেয়ে ওর আশা বাদ দিয়ে নিজের কাজে লেগে রয়েছে কারন ওর কথা হল ও তো আর তিথির প্রেমিক না যে সব সময় ওরে নিয়ে চলতে হবে। এসব এর মাঝে ওর মোবাইল জানান দিল যে আমি আসছি ইতি তিথি । সূর্য ক্রিস্টিন এর সাথে অনলাইনে চ্যাটুর প্যাটুর করে যাচ্ছে আর ক্যাম্পাসের ভিডিও দেখাচ্ছে । হঠাত ভিড় ঠেলে ভেনাসের প্রতিকৃতি যেন ধরায় নেমে এল সবার নজর তিথির দিকে। হালকা হলুদ শাড়ি আর হালকা সাজে মেয়েটাকে অদ্ভুত সুন্দর লাগছে , সূর্যের কানে আসত লাগল She is Beautiful she is mind blowing . Do you hear me? Do you hear me? সূর্য বলল Hold some moments I am busy with beauty bye. তিথি এসেই বলল ছাগলের ভাড়া কত আমি সারা দিনের জন্য ভাড়া নেব কত? সূর্য বলল সারাদিন ৫০০ টাকা। তিথি ৫০০ টাকা দিয়ে ছাগল গুলো নিয়ে চলে গেল। সবাই বেশ অবাক ই হলো তিথির আচরনে । এসব করে সুর্য আর কয়লা বেশ কিছু আয় রোজগার করে হিসাবে বসেছে চা এর দোকানে । কিছুক্ষন বাদেই তিথি এসে হাজির সুর্য বলল ছাগল কই ? তিথি বলল আমি ভাড়া নিয়েছি এটা এখন আমার ব্যাপার।
সূর্য তিথিকে এত সুন্দরভাবে আগে দেখেনি ওর মনে মনে বলল আগে কেন দেখা হয়নি তিথির সাথে তাহলে তিথির সাথেই প্রেম বা ভালবাসা হয়ত হত। তিথি ওকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে চলে গেল। দুপুরে হোটেল রয়্যালে বসে আড্ডা সময় কাটালো ওরা। সূর্য তিথিকে খুব কাছ থেকে দেখছে আজ আর মুগ্ধ হয়ে বসে আছে। তিথি বলছে কি রে কিছু বলছিস না যে? খুব তো ছাগল নিয়ে ব্যবসা করছিলি এখন বোবা যে? সূর্য বলল কিছু বলতে পারব না যদি কিছু মনে পড়ে রাতে বলবানি। তিথি বলল রাতে আমি থাকলে তো, সূর্য মুখ কালো করে বলল কেন ঢাকা যাবি মন টিকল না বুঝি। তিথি বলল না মাকে খুব মনে পড়ছে সন্ধ্যার বাসে বাড়ি যাব । তিথি হঠাত বলল আমার হাতে না কি যেন হয়েছে একটু দেখবি? সূর্য বলল দেখি কই কই বলে তিথির ডান হাত নিয়ে দেখতে লাগল আর তিথি ওর দিকে তাকিয়ে রয়েছে.........
সন্ধ্যার আগে তিথি ব্যাগ নিয়ে ক্যাম্পাসের গেটের বাইরে বাসের জন্য অপেক্ষা করছে সাথে কয়লা, দেব । দেব এর বাড়ি আর তিথির বাড়ি এক জায়গায় ওরা দুজনে যাবে আজ। সুর্য বলতে লাগল তিথি আজ না গেলেই কি নয় ? কেন যাবি ? থাক আজ এই সব। তিথি বলল তোর ইচ্ছা হলে তুই চলনা? সে তো যাবি না আমি চিনি তোদের।
অল্প কিছুক্ষন পর এসে থামল তিথি আর দেব উঠে গেল। বাস চলতে শুরু করল সূর্য বাসের পিছনে ছুট দিয়ে বাসের ছাদে উঠতে লাগল ওকে দেখে কয়লা ও উঠতে শুরু করল। সূর্য বলল বেশী না ১৬৪ কিমি আর বাসের ছাদে ২৫ টাকা দেশ ঘুরা । কয়লা বলল গোল্ডলিফ ৫ টা, ম্যারেজ ২ টা, বেনসন ১ টা.........ম্যাচ ম্যাচ...কইযে রাখি এগুলো..................। ভিতরে কেউ কিচ্ছু জানতে পারল না ............
©somewhere in net ltd.