![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি আমি অন্ধ চোখে জগতটাকে
কয়লা ও সূর্য বাসের ছাদের উপর বসে ভাবতে লাগল কাজটা কি ঠিক হয়েছে কিনা। কয়লা মুখ বেজার করে বলল তোর কথা শুনে উঠে পড়েছি পকেটে মাত্র ৩৭ টাকা এ দিয়ে কার কি হবে শুনি। রোমান্স আর অ্যাডভেঞ্চারের জন্য টাকা পয়সার কথা ওর মনেই ছিল না সম্বিৎ ফিরে পেয়ে পকেট হাতড়ে যা দেখল তাতে ভরসা পাবার মত কিছু না। ওদের দুজনের কাছে সব মিলিয়ে ১২৫ টাকা এদিকে যেতে হবে দুশোর উপর কিলোমিটার রাস্তা। যা হোক সূর্য কয়লাকে বলল মামা চিন্তা করিস না বাসের ছাদে সারা বাংলাদেশ পচিশ পচিশ পঞ্চাশ টাকা আর খাওয়া দাওয়া সে হবেনে। কয়লার ওসব চিন্তা নেই ওর চিন্তা হচ্ছে এতগুলো বিড়ি-সিগারেট পকেটে কিন্তু ম্যাচ নেই। সূর্য শয়তানী হাসি দিয়ে বলল বেনসনটা দে দেখি। কয়লা রাগে গো গো করতে থাকল কিন্তু উপায় তো নেই । বাস ছুটে চলেছে তিথি আর পরমেশ বাসের মধ্যে বসে গল্প করে চলেছে ঘূনাক্ষরেও ওরা জানতে পারল না যে কয়লা আর সূর্য ওদের সাথেই। সূর্য বাসের ছাদের উপর শুয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে সিগারেটে টান দিতে দিতে কয়লাকে বলল দোস্ত জানিস আমি না কোনদিনও কোন মেয়ের প্রেমে পড়িনি, আজও প্রেমের কারনে বাসের ছাদে তা কিন্তু না, কিন্তু কেন যাচ্ছি ? কিসের জন্য যাচ্ছি ? বা কবে আসব এসব কিছুই আমি জানি না, দোস্ত তুই কিন্তু রাগ করিস না। কয়লা ওর চোখের দিকে তাকিয়ে বলল তুই শালা আসলেই একটা গাড়ল, মনে প্রেম নিয়ে মুখে বলিস আমি কিছু জানি না। বাসের ছাদে চড়ে যাত্রা যে কত কঠিন তা কয়লা ও সূর্য টের পেতে শুরু করেছে, রাস্তার দুপাশের গাছ-পালার ডাল পাতা ওদের মুখে হাতে পায়ে চুমু দিয়ে যেতে লাগল। সূর্যের মাথায় কখন কি আসে তা বুঝে উঠা মুশকিল। হঠাত কয়লার দিকে তাকিয়ে বলল চল তিথিকে চমকে দিই কি বলিস, কয়লা বলল তোর মাথা খারাপ এখন বাসের ভিতরে যাবি? সূর্য বলল তোর মাথায় কিছু আছে। তিথিকে ফোন করে বলল বাস এখন কোথায় ওপাশ থেকে উত্তর এল বাস থেমে আছে। সূর্য বলল কিছু খেয়েছো, তিথি বলল তুই তো নেই কে আমাকে খাওয়াবে। সূর্য বলল কি খাবি বল আমি পৌঁছে দিচ্ছি। তিথি খুব আত্মবিশ্বাসের সাথে হয়ে বলল আচ্ছা আমি একটা কোক,চিপস আর বাদাম খাব সাথে তৃষ্ণার স্পঞ্জ রসোগোল্লা। সূর্য বলল ৫ মিনিটে পেয়ে যাবি, তিথি কি যেন বলতে যাচ্ছিল সূর্য লাইন কেটে দিয়ে বাসের ছাদ থেকে নেমেই বাসের হেলপারকে জিনিসগুলো কিনে দিল সাথে রসোগোল্লা দিয়ে সিট নাম্বার বলে দিল। হেলপার বলল মামা আপনার পরিচয় কি? সূর্য কোন কথা না বলে পকেট থেকে ২০ টাকার কড়কড়ে নোট বের করে দিয়ে বলল যা বাবা দিয়ে আয় হেলপার আর কিছু বলল না। সূর্য আর কয়লা গল্প করছে এর মাঝে তিথির ফোন, তিথির গলা ঠান্ডা সেই সাথে প্রশ্ন একটাই তুই কোথায়? সূর্য বলল আমি যেখানেই থাকিনা কেন তুই ডাকলেই আমি হাজির। তিথির মনের ভিতর তখন নানা প্রশ্ন কোথায় সূর্য ? ও কি আশেপাশেই আছে ? তিথি এদিক সেদিক তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করল যে সূর্য আছে কিনা? সে আশায় গুড়ে বালি। এদিকে তিথির ভালবাসার মানুষ ওকে ফোন করেছে বলে ওয়েটিং দেখাচ্ছে, এই দেখে কয়লা বলল রাজার ধন পাহারা দেয় প্রজা, কিন্তু কিছুই পাই না। সূর্য বলল দুনিয়াই সব কিছু পেতে হয় না। পরমেশ গল্পে গল্পে সূর্যের অনেক ইচ্ছা অনিচ্ছার কথা তিথিকে বলছে। দেবের বিশ্বাস সূর্য আশেপাশেই আছে কিন্তু কোথায় এটাই সে ভেবে ভেবে হয়রান। সূর্য ও ওর বন্ধুদের উপর দেবের খুব বিশ্বাস, কারন ফ্লিমি কায়দায় ওর প্রেম তো সূর্য আর ওর বন্ধুরা মিলে করিয়ে দিয়েছিল এরপর থেকে দেবের বিশ্বাস যে সূর্যের অসম্ভব কিছুই নেই। সূর্য যদি বলে আমি দেখছি ব্যাপারটা তাহলে তা সমাধান হবেই। তিথি বলল বুঝেছি আপনার সূর্য মিয়ার কথা এখন বল আর কতক্ষন লাগবে। ক্যাম্পাসে সূর্য কে খুজে খুজে জ্ঞানী ও তার সহকারী হয়রান। এমন কোন জায়গা নেই যেখানে ওকে খুজে ফেরা হয়নি কিন্তু ওর কোন চিহ্ন নেই। একান সেকান হতে হতে গল্পটা এমন দাঁড়ালো যে সূর্য বাসের পিছনে ছুটতে ছুটতে বাতাসে মিলিয়ে গেছে মোট কথা সূর্য কিছু না বলেই ডুব দিয়েছে। সবাই ওকে খুজে ফিরছে কারন সকালে কাউকে না বলে মেডিকেলে যেয়ে এক বাচ্চাকে রক্ত দিয়ে এসেছে, বাচ্চার অপারেশন সুন্দরভাবে হয়ে যাবার পর তার বাবা-মা এসেছে ফলমূল কিনে সূর্যকে ধন্যবাদ জানাতে। অবশেষে জ্ঞানী বুঝল আবার না বলে কারো উপকার করতে চলে গেছে। হুট করে পেন্সিল লাইটের আলোয় চোখ বন্ধ হয়ে আসল। বাসের হেল্পার দুচোখে রাজ্যের অবিশ্বাস নিয়ে বলল এই ছাদের উপর মানুষ! কয়লা হেলপারের কলার চেপে বলল হারামজাদা তুই কিছু দেখিস নি এখন ম্যাচ দিয়ে যা। হেলপার কি বুঝল কে জানে দুম করে গ্যাসলাইট দিয়ে বলল মামা আমি কাউরে কিছু কমু না আমারে মাইরেন না। তিথি তার প্রেমিকের সাথে বাসের গতির সাথে পাল্লা দিয়ে ঝগড়া করে চলেছে। তিথির কান্নার শব্দ সূর্যের কানে আসতেই সূর্য তিথিকে মেসেজ দিল “ মোবাইলটা বন্ধ করে যাত্রা পথ শান্তিতে যা”। তিথি সাথে সাথেই ফোন দিয়ে বলল তুই এখনই আমার সামনে আয়। সূর্য হেসে বলল সেটা সম্ভব না আর তোর ফোন অনেকক্ষণ ব্যস্ত মানেই তুই ঝগড়া করছিস। তিথি বলল আমাকে বাচ্চা বোঝানোর কোন দরকার নেই আমি সব বুঝি তুই কোথাও না কোথাও আছিস হয় আকাশে না হয় বাতাসে বলতে বলতে ঝর ঝর ভাবে কেদে চলল। বাস থামলে সূর্য আর কয়লা বাসের ছাদ থেকে নেমে একটু ঘুরে বেড়াতে লাগল কয়লার চোখ হুট করে আটকে গেল একটা দোকানের দিকে তাকিয়ে। সূর্য পড়তে লাগল ডাঃ মিলন কুমার এম এস সি গনিত, মিলন ফার্মেসী। কয়লা বলল মামা বুঝে গেছি কি এলাকায় এসে গেছি। দুকাপ লাল চা এর অর্ডার দিয়ে আয়েস করে বিড়ি খেতে লাগল দুজনে মিলে একটু ঝোপের মাঝে এসে দাড়িয়েছে ওরা যাতে করে পরমেশ আর তিথি যেন দেখতে না পাই। সূর্য যা ভেবেছিল ঠিক তাই কয়লা ফার্মেসীতে ঢুকেই বলল ডাক্তার আছে ডাক্তার । ডাক্তার আসলেই কয়লা তার পায়ের ধুলো নিয়ে বলল আমার সব রোগ সেরে গেছে। গনিতে ডাক্তার কিছু বুঝে উঠার আগেই সূর্য বলল ও আসলে একটু অন্যরকম অংক বেশী বোঝে কিছু মনে করবেন না। সূর্য আর কয়লা এসে দেখে বাস নেই সূর্য বলল তুই একটা গাড়ল তোর জন্য ফ্রি বাসটাও মিস করলাম। কি আর করা দুজনে মিলে সেই পুরোনো কাজ করতে লেগে গেল মানে একটা সিগারেট হালকা করে ভিজিয়ে টানতে আরম্ভ করল। সূর্যের কথা মতে এতে নাকি সিগারেট কড়া হয় ও টানতে সুখ লাগে। নতুন জায়গা সব কিছু অচেনা সূর্য তেমন কিছু ভাবছে না ওর মাথায় কেবল দুইটা চিন্তা আর তা হল তিথির সাথে দেখা করে একটা কুমড়া ফুল দেওয়া আর দেবের থেকে কিছু টাকা বের করে নেওয়া কিন্তু কিভাবে ওরা যে চলে গেছে। এই সাত সতেরো ভাবনার মাঝে ছেদ পড়ল ফেরীর তীব্র হর্নে কয়লা বলল মামা পাইছি পাইছি দৌড় লাগা ফেরী যে চলে গেল । সূর্য পড়ি মরি করে ফেরীতে উঠে হাপাতে লাগল বুকটা যেন হাপরের মত উঠানাম করছে মনে মনে ভাবছে একটা ঠান্ডা ডাব হলে পরানটা জুড়াতো। যা হোক ওর ভাগ্যটা ভাল বলতে হয় কেননা ঠান্ডা ডাব এর বদলে একটা ঠান্ডা জুস জুটে গেল। ও যখন ফেরিতে উঠে বাতাস খাচ্ছিল তখন তিথি কয়লার কাছ থেকে বাসের ছাদের ইতিহাস শুনে বোবার মত কিছুক্ষন বসে থেকে কয়লাকে বকাবকি করে বাইরে ছুটে এসেছে। একটু পর বাসের হেলপার এসে বলল মামা ভাড়া দেন এই শুনে সূর্য বলল কত দিব, হেলপার বলল দুজন ১৬০ টাকা হয় আপনারা ১০০ টাকা দেন। দাদারে টাকা থাকলে কেউ শ কিলোমিটার ছাদে চড়ে আসে এই ভর সন্ধ্যার পর ৫০ টাকা আছে নিয়ে যাও আর মাঝে মধ্যে একটু কলা, আম বা ডাব খেয়ে নিও কাজে আসবে বলে জুসের প্যাকেট টা বাড়িয়ে ধরল। সবার অলক্ষে হেলপারের চোখে দুফোটা আনন্দ অশ্রু সূর্যের চোখ এড়ালো না। এদিকে কয়লা পরমেশকে ধরে খুব করে শাসাচ্ছে আর বলছে প্রেম করেছিস কিন্তু খাওয়াবি কবে বল তা না হলে প্রেম ভেঙে দেব কিন্তু। পরমেশ ভয়ে ভয়ে বলছে আচ্ছা খাওয়াব। বাসের মধ্যে উঠতেই পরমেশ বলল সূর্যকে টাকা দিয়ে দিচ্ছি ওর কাছ থেকে খেয়ে নে। সূর্য বলল এখনি দিতে হবে না তোমার বাড়ি যাই দুদিন থাকি আসার সময় দিওনে তাতেই হবিনি। তিথি বলল আর কত বিনে পয়সায় ঘুরবি বল। তিথি বাস থেকে নেমে গেল বাসার সামনে যাবার সময় সূর্যের হাতে কি একটা গুজে দিল। পরমেশ, কয়লা আর সূর্য বাস থেকে নামল রাত ১১ টার দিকে, দেবের বাড়ি যেতে হলে এখন ৩০ মিনিট হাটতে হবে। রাস্তায় হাটতে হাটতে চাঁদের আলোয় একটা ছেড়া কাগজের টুকরো বের করে দেখল লেখা আছে “অনেক মিস করি, তোকে পেতে মন চাই , এজন্মে হয়ত পাব না, পরের জন্মে ছাড়ব না” পরমেশ বলল মামা তা তুমি কি আমাদের এলাকার জামায় হয়ে গেছ ? সে কপাল কি আর নিয়ে এসেছি আমিতো কেবল পরের জিনিস দেখে রাখছি আর... থাক পরে বলব। ওরা ১২ টার দিকে বাড়িতে এসে থামল দেবের মা ওদের জন্য খাবার সাজিয়ে বসে রয়েছে কাকাবাবু আগেই শুয়ে পড়েছে। খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ করে সূর্য ও কয়লা শুয়ে পড়ল বারান্দায়। রাতে চাঁদের আলোয় চারিদিকে বন্যা বয়ে চলেছে। সূর্য ভাবতে লাগল কেন ও তিথিকে পছন্দ করে। অনেক মেয়েই ওর জন্য পাগল কিন্তু ও কিছুতেই অন্য মেয়েদের ভাবতে পারে না। কি এক গন্তব্যহীন পথে ও হেটে চলেছে তা নিজেই জানেনা। এই ব্যাপারটা ওকে খুব পীড়া দেই কিন্তু ও কিছু করতে পারছে না। তিথিকে কোনদিন বলতে পারবে না যে ও ওকে কতটা ভালবাসে কারন তিথির প্রেম আছে। ও মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে যে ও ছুটে চলা ট্রেনের মত গন্তব্যহীন পথেই হেটে যাবে। এদিকে তিথি বাড়িতে যেয়ে সূর্যকে ফোন দিয়ে কি কি সব জেনে নিল। পরদিন সূর্য আর কয়লা রেড়ি হয়ে পরমেশ কে বলল চল তিথিদের বাড়ি যাব। পরমেশ বলল না আমি যাব কেন আমার অনেক কাজ তোরা যা। সূর্য আস্তে করে বলে উঠল তা তোর পকেটে যা আছে দিয়ে দে তা না হলে আমাদের সাথে কিন্ত যেতে হবে এই শুনে পরমেশ বুঝে গেল কেন ওকে যেতে বলছে। দেবের বাসা থেকে বের হয়ে এদিক সেদিক ঘুরে উত্তর বাজার হয়ে জেলা পরিষদের কাছে এসে থামল ওরা। পুকুর ধারে বসে ফোন দিয়ে তিথিকে বলল যদি মন চাই তাহলে পুকুর পাড়ে চলে আয় আর আসার সময় মনে করে একটা ম্যাচ নিয়ে আসিস। সূর্যের ফোন ও শেষ তিথি হাজির সাথে তিথির ছোট ভাই ওর নাম অর্নব। তিথি বলল আমার বাড়িতে ঢোকার আগে সিগারেট না খেলেই কি নয়। সূর্য হেসে বলল কোন সমস্যা নেই আমিতো তোমার বাপের জামায় না যে পরে আমার সমস্যা হবে আমি হলাম ভবঘুরে সূর্য আমার কি দায় আছেরে। সবাই হেসে দিল ওর কথা শূনে কিন্তু তিথি মনে মনে একটু কষ্ট পেল। বিধাতার কি নিয়ম একজন কষ্ট পাই অন্যজন সুখ এর নাম জীবন। খাবার টেবিলে বসে সূর্য আর তিথির বাবা গল্পে জমে গেল কেউ কারো থেকে কম যাই না। খাবার পর তিথির মা এল তার বিখ্যাত চা নিয়ে সূর্য এত ভাল চা আগে কখনো খাইনি তিথির কাছে অনেক শুনেছে ওর মায়ের চায়ের কথা আজ বুঝল তার স্বাদ। বাবা-মা চলে গেলে ওরা তিনজন এক সাথে বসে আড্ডা দিতে লাগল। কয়লা তিথিকে বলল ঢাকা কলকাতা ছেড়ে ছেলেটাকে ধর ও তোকে অনেক পছন্দ করে তিথি বলল তুই খা পরের জন্মে দেখে যাবে। দুপুর পর তিথি ওদের নিয়ে শহরে বেড়াতে বের হয়ে তিথি এপাড়া ও পাড়া ঘুরিয়ে শেষতক ওদের নিয়ে কলেজের মাঠে হাজির হল। কলেজের মাঠে বসে ওরা বাদাম চিবুতে লাগল আর তিথি ওর কলেজ জীবনের কথা শোনাতে লাগল সূর্য অদ্ভুতভাবে ওর মিষ্টি করে বাদাম চিবুনো দেখতে লাগল। তিথি জানতে চাইল সূর্য কাউকে পছন্দ করে কিনা উত্তরে সূর্য বলল ছুটন্ত ট্রেনের পিছনে ছুটতে কি কারো ভালো লাগে তিথি ব্যাপারটা হালকা আঁচ করতে পেরে সেখানেই থেমে গেল। পরমেশ আর কয়লা কি একটা বিষয় নিয়ে হাসাহাসি করতে করতে ওদের দিকে এগিয়ে আসতে লাগল। ওদের হাসাহাসি দেখে সূর্য বলল ব্যাপার কি? কয়লা বলল তুই তিথিকে ভালবাসিস এটা আমরা জানি কিন্তু এখন তোকে এই পাঁচ পয়সার আধুলি উপরে ছুড়ে টস করতে হবে। টস করা ব্যাপারটা কখনোই সূর্যের পছন্দ না তারপরো সবার পিড়াপীড়িতে রাজি হয়ে পয়সাটা সজোরে আকাশের দিকে ছুড়ে মারল কিন্তু বিধিবাম হুট করে একটা ঝড়ো হাওয়া এসে পয়সাকে কোথায় নিয়ে গেল কেউ দেখতে পেল না। সবাই মুখ ভার করে ব্যাপার বুঝতে চেষ্টা করছিল কি হল আর তিথি সে তো মুখখানা কালো করে বসে আছে। সবার অবস্থা দেখে সূর্য বলল আমি যেদিন তিথির হাত ধরে বলব তিথি আমি তোমাকে ভালবাসি সেদিন এই পয়সা আকাশ থেকে তিথির হাতে পড়বে আর তাতে এক পিঠে তিথির নাম ও অন্য পিঠে আমার নাম লেখা থাকবে তোরা সাক্ষী থাকলি কিন্তু। সূর্য মনে মনে কিন্তু ভেবেই চলেছে ওর গন্তব্যহীন যাত্রার কথা কোথায় এর শেষ তা ও নিজেও জানে না.।.।.।.।.।.।.।.।.।
©somewhere in net ltd.