![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি আমি অন্ধ চোখে জগতটাকে
প্রায় ১৭ কোটির কাছাকাছি জনসংখ্যা নিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে দৌড়ে চলেছে বাংলাদেশ নামের জীবন্ত নরক। বর্তমানে বাংলাদেশ মানুষের নুন্যতম মৌলিক অধিকার নেই। মানুষ তাদের যা যা দরকার তা নিজেরাই কোন না কোন ভাবে ব্যবস্থা করে নিচ্ছে। মানুষ অমর নয় তার রোগ ব্যধি হবেই বা স্বাস্থ্যগত সমস্যায় পড়বেই। ধনী থেকে গরীব সবাই এই এক জায়গায় ধরা। বর্তমানে বাংলাদেশে ৮৯ টি মেডিকেল কলেজ আছে যার মধ্যে ২৯ টি সরকারি বাকি ৫৪ টি বেসরকারি। প্রতিবছর গড়ে প্রায় ১০০০০ ছেলে- মেয়ে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয় আর ৫ বছর পর ডাক্তার হয়ে বের হয়। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় এরা কি মানসন্মত ডাক্তার হয়ে বের হয় না ৩০০/৫০০/৮০০ টাকা ভিজিটে গলির দোকান/ ফার্মেসী/ কর্পোরেট হাসপাতালে বসার জন্য বের হয়। বিল্ডিং দেবে গেলে বা কাত হয়ে গেলে বোঝা যায় ইঞ্জিনিয়ার খারাপ কিন্তু ডাক্তার খারাপ তা বুঝতে বুঝতে তো রোগীর জীবন প্রায় চলে যেতে বসে। বাংলাদেশের প্রতিটা শহরে দেখা যায় ডাক্তার এর নামের নিচে কম করে হলেও ৫-৭ টা ডিগ্রি আছেই। যারা এত পড়াশোনা করে এসেছে তারা কেন রোগ নির্ণয় করতে ব্যার্থ হবে?
ঘটনা
“আমার বাবা গত মার্চ থেকে জ্বরে(১০০-১০১ ডিগ্রি ফারেনাইট)ও কাশিতে কষ্ট পাচ্ছিলেন তার শ্বাসকষ্ট ও উচ্চ রক্তচাপ আছে। মাগুরাতে এক ডাক্তার কে দেখানোর পর তিনি টাইফায়েড মনে করে ৭ দিন সেপ্ট্রোন ইঞ্জেকশন দেন তাতে কাজ না হলে ঢাকা মেডিকেলের রেস্পেটরি বিভাগে ভর্তি করি (১৩ দিন ভর্তি ছিলেন)। সব ধরনের পরীক্ষা নিরিক্ষার পর বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বলেন নিউমোনিয়া হয়েছে এবং তার চিকিতসা প্রদান করেন ( অনেক ধরনের দামি ইঞ্জেকশন) কিন্তু জ্বর ও কাশি কমলো না। এর পরে বলল বাবার নাকি যক্ষা হয়েছে কিন্তু কোন পরীক্ষায় এটা ধরা পড়েনি। এরপর ডাক্তাররা জ্বরের ও কাশির কারন উদ্ঘাটন করতে ব্যর্থ হয়ে টিবির ট্রায়াল ডোজ দেন...। কিছুদিন সেই ওষুধ খবার পর আবারো আগের মত জ্বর আসতে শুরু করেছে সাথে কাশি। ডাক্তারকে জানানোর পর তিনি বলেছেন আবার জ্বর আসা তো খারাপ! অবশ্য মাগুরার ডাক্তার বলেছেন ভারতে নিয়ে যান এখানে ট্রিটমেন্ট ভালো।
নতুন পাশ করা ডাক্তারদের কথা না হয় বাদ দিলাম কিন্তু যারা ডাক্তারি করতে করতে চুল বাল পাকিয়ে ফেলেছেন তাদের আসলে যোগ্যতাটা কোথায়? যোগ্যতাটা আসলে পাতা ভরে প্রেসক্রিপশন লেখা আর এক কুড়ি পরীক্ষা করতে দেওয়া। কিন্তু পরীক্ষার রিপোর্ট থেকে সমস্যা খুজে বের করার যোগ্যতা এদের আছে কিনা সেটা এখন দেখার বিষয়। একের পর এক কথা বলে রোগী ও তার আত্মীয়দের বিভ্রান্ত করা ছাড়া এদের কোন যোগ্যতা আসলেই নেই। আমাদের দেশের ডাক্তাররা কেবল সাধারন রোগের ট্রিটমেন্ট ছাড়া কিছু পারে না।
প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ ভারতে, থাইল্যান্ড, সিংগাপুর না হয় আমেরিকা চলে যাচ্ছে কেবল সুচিকিতসার জন্য কম বেশী সব রোগীর পেছনের দিকে তাকালে দেখা যাবে বাংলাদেশে বেশ কিছুদিন চিকিতসা করিয়ে ফলাফল শুন্য তাই বিদেশ যাচ্ছে। তাহলে প্রশ্ন আসা কি স্বাভাবিক নয়? জনগনের করের পয়সায় সরকারি ভাবে এক জন ছাত্রকে ডাক্তার হিসাবে গড়ে তুলতে কত টাকা খরচ হয় তার হিসাব আছে? আর বেসরকারিতে তো গাধা পর্যন্ত পিটিয়ে ডাক্তার বানিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
কত মানূষ যে ডাক্তার নামের এই হতচ্ছাড়াদের ভুল চিকিতসায় মারা যাচ্ছে বা রোগে ভুগছে তার ইয়াত্তা নেই। আমাদের মেডিকেল কলেজ থেকে ডাক্তার বের হয় না, বের হয় স্বাপিচ ও ড্যাবের ভোটার ও সামরথক। এটা বাইওরে কল্পনা করা যায় না যে ডাক্তাররা সেবা ও গবেষনা বাদ দিয়ে রাজনীতি করে বেড়াচ্ছে। রাজনীতি করে দল করে বা নকল করে বা জোর খাটিয়ে পাশ করে আসছে এরা। তাহলে এরা কিভাবে বুঝবে রোগী কি রোগে ভুগছে? এরা যেটুকু পারে তা হল ওষুধ কোম্পানির লোকদের জন্য যারা ডাক্তারদের কোন রোগের কোন ওষুধ তা এসে বলে দিয়ে যায় প্রতিদিন।
কালে ভদ্রে দুই এক জন ভাল ডাক্তার হয় তাও নিজের যোগ্যতায় কিন্তু এদের সংখ্যা খুব নগন্য।
রোগে ভুগছে সমগ্র ডাক্তার সমাজ আর শিকার হচ্ছে জনগন
২| ১৬ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১:৩৫
রমিত বলেছেন: বাংলাদেশে গবেষণাও তেমন হয়না। গবেষণার গুরুত্বও সমাজ এখনও বুঝতে পারেনি। এই সেদিনও কোন বিশ্ববিদ্যালয়েই 'রিসার্চ মেথডোলজি' নামের গুরুত্বপূর্ণ সাবজেক্ট-টি পড়ানোই হতোনা।
চিকিৎসা শাস্ত্রে গবেষণা বিষয়টি খুবই জরুরী। ডাক্তার বছরের পর বছর কেবল রুগী দেখে অর্থ উপার্জনেই ব্যস্ত। গবেষণার সময় তাদের নেই। আর দেশে সেই পরিবেশও নেই।
এই সমাজে গবেষকদের কোন সম্মান নেই। যার টাকা আছে তিনিই সকলের সালাম পান। কোন পথে তার টাকা আসলো এই নিয়ে কারো আগ্রহ নেই। দুর্নীতিবাজ জেনেও লোকে তাদের প্রচন্ড সম্মান করে। এই সব অসাধুদের কাছে গুটিকতক মেধাবী নিয়মিত অপমানিত হয়। মেধার মূল্যাুন না থাকলে সমাজের অবক্ষয় তো হবেই।
১৬ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ২:০৩
৭ ১ নিশান বলেছেন: দুঃখের কথা কি বলব ভারতে যাবার অপেক্ষায় আছি চিকিতসার জন্য। যা হোক আপনার কথাগুলো খুব সুন্দর। আমাদের ব্যবস্থাকে আমাদের বদলাতে হবে আজ বাবা অসুস্থ কাল আপনি বা আমি বা আমাদের কাছের কেউ হবে আর এই গন্ডমূর্খ ডাক্তাররা জীবন নিয়ে পরীক্ষা নিরিক্ষা করবে এটা চলতে দেওয়া যায় না। আসুন পরিবর্তনের ডাক দিই।
৩| ১৬ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ২:১৫
এস. এম. মাহমুদুল হাসান বলেছেন: চমৎকারভাবে সমাজের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পুরো চিত্রটা তুলে ধরেছেন। আসলেই আমাদের ডাক্তারী সেক্টর এখন সবচেয়ে বেশি ভালনারেবল হয়ে গেছে। আমি দেখেছি অনেক ছেলে-মেয়েকে যারা আদৌ ডাক্তার হতে চায়নি, পরিবারের চাপে ডাক্তারী পড়ছে। অনেকে আবার ডাক্তারী পড়তে গিয়ে গাঁজাখোরে পরিনত হয়েছে, আড্ডাবাজি করছে আর মেডিকেল কোচিং সেন্টারে ক্লাশ নিচ্ছে অথচ নিজের এমবিবিএস পাশ হচ্ছে না বছরের পর বছর। অনেক মেধাবী মেয়েরা ডাক্তারী পড়ে মডেল হয়ে গিয়েছে। ডাক্তারী পড়া এখন যেন একটা আবেগ, যে আবেগ মেডিকেলে ৩ মাস ক্লাশ করলেই হাওয়ায় উবে যায়। ফলে আর ভাল ডাক্তার বের হচ্ছেনা দেশে।
৪| ১৬ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫
মুদ্দাকির বলেছেন:
শেষ লাইনটার সাথে একমত। নাহ, ডাক্তার দের পক্ষে বলার কিছু নাই আমার।
৫| ১৬ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৩
সাদ আরেফিন বলেছেন: ভারতীয় রোগীরা কোথায় যায় ??? শ্রিলেদার্সে শপিং করতে ভুল্বেন না ....
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১:২৫
রমিত বলেছেন: বাংলাদেশে সব লেখাপড়াই খুব দুর্বল।
এর মূল কারণ শিক্ষকরা খুবই ডিপ্রাইভড। তাই মেধাবী এই পেশায় যেতে কোন আগ্রহ বোধ করেনা।
শিক্ষকদের অবহেলা করে শিক্ষার মান উন্নয়ন কখনোই সম্ভব নয়।